Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd August ২০১৭

তথ্যবিবরণী ২২ আগস্ট ২০১৭

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর :  ২২০১

বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আরো জনশক্তি নেয়ার আহ্বান স¦াস্থ্যমন্ত্রীর
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
    সংযুক্ত আরব আমিরাত সফররত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সে দেশে বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি জনশক্তি নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাইস আল খাইমা প্রদেশের শাসক শেখ সৌদ বিন সাকর আল কাশিমি (ঝযবরশয ঝধঁফ ইরহ ঝধয়ৎ অষ ছধংরসর) এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
    রাইস আল খাইমায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে একসাথে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন দুই নেতা।   
এ সময় স্বাস্থ্যসহ আর্থসামাজিক খাতে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্যে এ সময় মন্ত্রী আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি আজ মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক উন্নত দেশে কাজ করে সে দেশগুলোর অগ্রগতিতে অবদান রেখে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেন আরো বেশি জনশক্তি রপ্তানি করা যায় সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করার জন্যেও রাস আল খাইমার শাসকের প্রতি অনুরোধ করেন মোহাম্মদ নাসিম।
শেখ সৌদ এসময় বাংলাদেশে ঔষধ শিল্পসহ কয়েকটি খাতে আরব আমিরাতের চলমান বিনিয়োগের সাফল্য সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরো কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের যাতায়াত সহজ করাসহ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তার আশ^াস প্রদান করে তিনি বলেন, শীঘ্রই বাংলাদেশের জন্য আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে সুসংবাদ আসবে। এ সময় তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সে দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
পরে মোহাম্মদ নাসিম রাইস আল খাইমায় জুলফার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রধান অফিস ও প্ল্যান্ট পরিদর্শনে গিয়ে বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান।
এ সময় বাংলাদেশের গাজীপুরে জুলফার ফার্মার একটি প্ল্যান্টের সাফল্যে সহায়তা করায় কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি চট্টগ্রামে নতুন একটি প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগের কথা জানান জুলফার ফার্মার চেয়ারম্যান শেখ ফয়সল বিন সাকর আল কাশিমি (ঝযবরশয ঋধরংধষ ইরহ ঝধয়ৎ অষ ছধংরসর)। তিনি জানান, বিশে^র ৪০টিরও বেশি দেশে জুলফার এর ঔষধ রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশে তাদের ইনসুলিনসহ কয়েক ধরনের ঔষধ প্রস্তুত হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের বাজারে ইনসুলিনের  বিপনন বাড়ানোর জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাদেরকে মুন্সিগঞ্জের এপিআই পার্কে আরো একটি ফার্মাসিউটিক্যাল প্ল্যান্ট স্থাপন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মতো বৃহৎ বাজারে ঔষধের পাশাপাশি মেডিকেল ডিভাইসের চাহিদাও ব্যাপক। মেডিকেল ডিভাইস উৎপাদনের একটি প্ল্যান্ট তৈরির জন্যও জুলফার ফার্মাকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন মোহাম্মদ নাসিম।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহম্মদ ইমরানসহ সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ও জুলফার ফার্মার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছেলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত ২০ আগস্ট আরব আমিরাতে যান। আগামী ২৬ আগস্ট তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৩০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ২২০০
বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
                                                       -- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা ১৯৭১ সালে যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, তেমনি এখনও তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি চায় না। তাদের কারসাজিতেই বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তারা চায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হোক।
  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু একথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিটাক মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র আজ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিটাকের মহাপরিচালক ড. দিলীপ কুমার শর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এতে বিটাকের পরিচালক ড. সৈয়দ মোঃ ইহসানুল করিম স্বাগত বক্তব্য রাখেন।  
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের পর সংবিধান থেকে জাতীয় চার মূলনীতিকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল। পাশাপাশি জাতীয় চার নেতা হত্যা, গোলাম আজমকে রাজনীতির সুযোগ দান, বেতারের নাম বদলিয়ে রেডিও বাংলাদেশ করা ইত্যাদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কর্মকা- প্রমাণ করে এর পেছনে বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল।
আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও উন্নয়নের পথে হাঁটা শুরু করলে তাঁকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনা, সংবিধানে চার মূলনীতি প্রতিস্থাপন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে বাস্তবে এগিয়ে নেয়ায় এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঊনিশ বার হামলা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ্র অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে আছেন বলে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প থেকে পাকিস্তানের উৎপত্তি হলেও বাংলাদেশ এভাবে সৃষ্টি হয়নি। অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে হিন্দু- মুসলমান-বৌদ্ধ-খৃষ্টানের সম্মিলিত রক্ত ¯্রােতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে নতুন প্রজন্মকে সততা ও সাহসিকতার শিক্ষা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু কখনও ব্যক্তিস্বার্থে কোনো কাজ করেননি। তিনি অন্যায়ের সাথে কোনো আপোশও করেননি। তিনি সব সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন কিন্তু মৃত্যু ভয়ে কখনও ভীত ছিলেন না। ১৬ কোটি মানুষ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করলেই সত্যিকার সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
#
জলিল/মাহমুদ/আলী/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৫০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২১৯৯

জাপানে সেমিনারে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা
জাপান বাংলাদেশ  থেকে দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী নিতে পারে

টোকিও (জাপান), ২২ আগস্ট :

    ‘ঐতিহাসিকভাবে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান। এছাড়া জাপানে কর্মক্ষম লোকবল দিন দিন কমছে অথচ বাংলাদেশে জনবলের অভাব নেই। তাই জাপান বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল নিয়োগ করতে পারে’- জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো)’র প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ‘তথপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের জনসম্পদ’ শীর্ষক সেমিনারে এমন আশা প্রকাশ করেছেন জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

    বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এ সেমিনারে সহ-আয়োজক হিসেবে জেটরো, জাপান ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (জিসা) এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার এসোসিয়েশন অভ্ জাপান (সিএসজি) সহযোগিতা করে। জাপানের খ্যাতনামা শতাধিক তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানির প্রতিনিধিরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

    বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-আধুনিক বাংলাদেশ হিসেবে গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন এবং তথ্যপ্রযুক্তি সেই লক্ষ্য পূরণের অন্যতম হাতিয়ার’ তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে অনেক মেধাবী ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ অনেক জনবল রয়েছে যাদেরকে জাপানি কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান করে জাপানে নিয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে তা দু’দেশের জন্যই কল্যাণকর হবে।

    রাবাব ফাতিমা বলেন, এক্ষেত্রে মিয়াজাকি-বাংলাদেশ আইটি সহযোগিতা মডেল দু’দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই মডেলের মাধ্যমে জাপানি বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকগণ বাংলাদেশের শতাধিক ইঞ্জিনিয়ারকে জাপানে কাজ করার উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করবে এবং  পরে তাদের জাপানে নিয়োগ করা হবে। ফলে দুদেশই লাভবান হবে। বাংলাদেশের জন্য বিদেশে জনবল নিয়োগের আরেকটি দ্বার উন্মুক্ত হবে। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীগণ তাদের আলোচনায় এই মডেলকে খুব উপযোগী ও লাভজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

    সেমিনারে বাংলাদেশে জেটরো’র সাবেক রিপ্রেজেন্টেটিভ কিই কায়ানো, কুয়াল্কম সিডিএমএ টেকনোলজির সিনিয়র ডাইরেক্টর এহেসানুল ইসলাম, ওয়ার্কস আপ্লিকেশন কোম্পানির শিগেও ইয়াশিতা, হিদিয়েকু শিমিজু এবং সৌরভ সরকার  এবং লিঙ্কস্টাফ কোম্পানির ইয়াসুয়াকি সুগিতা ও তাজুল ইসলাম সকলের কাছে তাদের প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন। পরে উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

    বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিওর কমার্শিয়াল কাউন্সিলর হাসান আরিফের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সেমিনার শেষ হয়।

#
শিপলু/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২১৯৮
 
মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাতীয়ভিত্তিক লার্নি এসেসমেন্ট উদ্বোধন 
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জাতীয়ভিত্তিক লার্নিং এসেসমেন্ট অভ্ সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস-২০১৭ (লাসি-১৭) কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ ঢাকার বাংলােেমাটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন উইং এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 
জাতীয় পর্যায়ে ৬ষ্ঠ, ৮ম ও ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষামান মূল্যায়নের লক্ষ্যে লাসি-২০১৭ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় ২০১৭ সালে সারা দেশের ৬৪টি জেলার ৮০টি উপজেলার প্রায় ৯০০টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮১ হাজার শিক্ষার্থীর অভীক্ষা মূল্যায়ন করা হবে। শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজী ও গণিত বিষয়ে শিক্ষামান মূল্যায়ন করা হবে।
লার্নিং এসেসমেন্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক শেখার যোগ্যতা পরিমাপ করা, এর ফলাফল বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করা, শিক্ষার্থীদের আঞ্চলিক ও এলাকাগত বৈষম্য পরিমাপ করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধরণ ও আন্তঃবিদ্যালয় বৈষম্য পরিমাপ করা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার বড় ধরণের পরিবর্তন চাই। এ খাতের ব্যাপক উন্নতি ও গুণগত মান বৃদ্ধি করতে চাই। এজন্য এ ধরণের মূল্যায়ন প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য ভাল মানের শিক্ষক প্রয়োজন। তাই, শিক্ষার্থীদের মুল্যায়নের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। শিক্ষকদের মান বৃদ্ধি এবং এ বিষয়ে সঠিক নীতি গ্রহণের জন্য শিক্ষকদের মূল্যায়নের বিষয়টি যুক্ত করা প্রয়োজন। শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য অভিভাবকদেরও সচেতন হওয়ার আহবান জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, শিক্ষার মান বৃদ্ধি সারা পৃথিবীতেই এখন একটি আলোচিত বিষয়। এটা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। এজন্য জাতিসংঘ এসডিজি-৪ গ্রহণ করেছে। 
মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর  ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দিন খান, সেকায়েপ প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহামুদ-উল-হক, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি টি এম আসাদুজ্জামান এবং  মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন উইং-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সেলিম মিয়া বক্তৃতা করেন। আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ (এসিএআর)-এর প্রতিনিধি অমিত কৌশিক লাসি-২০১৭ বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা পেশ করেন।
#
আফরাজুর/মাহমুদ/শেফায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/২০০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২১৯৭
 
নায়করাজকে তথ্যমন্ত্রীর অন্তিম শ্রদ্ধা 

ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে নায়করাজ রাজ্জাকের মরদেহে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। 
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি)  দেশের চলচ্চিত্রের প্রাণপুরুষের মরদেহ আনা হলে সেখানে তথ্যমন্ত্রী, তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ, অতিরিক্ত সচিব মনজুরুর রহমান, বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার ঘোষ, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম খোকন, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, খোরশেদ আলম খসরু, মানজারে হাসিন মুরাদ, ম. হামিদ, অনুপম হায়াৎ, ছোটকু আহমেদ, শাহ আলম কিরণ, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, ফেরদৌস, নূতনসহ বিপুলসংখ্যক  চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক, শিল্পী ও কলাকুশলীবৃন্দ এসময় শ্রদ্ধা নিবেদনে যোগ দেন।   
এরপর রাজ্জাকের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আনা হলে সেখানেও তথ্যমন্ত্রী নায়করাজের মরদেহে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে অন্তিম শ্রদ্ধা জানান। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম প্রতিনিধি, সরকারি কর্মচারীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুসংবাদে মন্ত্রী সেখানে ছুটে যান ও সেখান থেকে নায়করাজের বাসভবনে বাপ্পারাজসহ তাঁর পরিবার-পরিজন ও ভক্তদের আন্তরিক সমবেদনা জানান ও তাদের সাথে আলোচনা করে মঙ্গলবারের শ্রদ্ধা নিবেদন, বিকেলে গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা ও বনানী কবরস্থানে দাফন কর্মসূচি নির্ধারণ করে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।
শহিদ মিনারে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, নায়করাজ রাজ্জাক এদেশের চলচ্চিত্রকে যে নতুন প্রাণ দিয়েছেন, তা তাকে চিরভাস্বর ও অমর করে রেখেছে। এ সময় মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।
#
মীর আকরাম/মাহমুদ/আলী/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/২০০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২১৯৬

কোরবানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জনসচেতনতা
বাড়াতে সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
    যথাযথভাবে কোরবানির পশু জবাই ও কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে সরকার ব্যাপক   প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর  অনুশাসন অনুযায়ী পরিবেশ দূষণ রোধ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সারাদেশে  দশ হাজারেরও বেশি কোরবানির স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে যেখানে স্থানীয় অধিবাসীরা তাদের কোরবানির পশু  জবাই করবেন। রাস্তা-ঘাট ও উন্মুক্ত স্থানে পশু জবাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাড়ির আঙিনা এবং নির্ধারিত স্পট ছাড়া আর কোথাও কোরবানি করা যাবে না। এ  উদ্দেশ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণসহ ব্যাপক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এছাড়া প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ সম্পর্কে  ব্যাপক জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
    এদিকে ঢাকা শহরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রস্ততি চূড়ান্ত করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত জবাইখানায় কোরবানি করা হলে পরবর্তী ৩৬ ঘন্টার মধ্যে তার বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হবে। নির্ধারিত স্থানের বাইরে কোরবানির পশু জবাই না করার জন্য এবং যেখানে সেখানে কোরবানির বর্জ্য না ফেলার জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
    আসন্ন কোরবানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক সভায় আজ এসব বিষয়ে  উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানানো হয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক মোঃ আবদুল হালিম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল ইসলাম, এটিসিও এর পরিচালক ফারজানা মুন্নী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
    সভায় উভয় সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানীর বর্জ্য অপসারণে তারা ব্যাপক প্রস্ততি সম্পন্ন করেছেন। বিগত দুই বছরে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে প্রায় সব বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হবে না। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে  জানানো হয়, প্রতিটি ওয়ার্ডে ইতোমধ্যে ৫টি করে জবাইখানা নির্ধারণ করা হয়েছে। দক্ষিণের প্রতিনিধি জানান, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট ৬২৫টি জবাইখানা নির্ধারণ করা হয়েছে।
    তথ্য সচিব  মরতুজা আহমদ নির্ধারিত স্থানের বাইরে কোরবানির পশু জবাই না করার জন্য নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাইকিং, ইমামদের মাধ্যমে প্রচার, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্টদের  প্রতি আহ্বান জানান।

#

জাকির/মাহমুদ/শেফায়েত/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২১৯৫
 
পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধসের কারণ ও প্রতিকার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
 
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ ‘পার্বত্য অঞ্চলের ভূমিধস: কারণ ও প্রতিকার’ বিষয়ক দিনব্যাপী সেমিনার সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে পাহাড় ধসের কারণ হিসেবে পাহাড় কাটা, বৃক্ষনিধন, অপরিকল্পিত আবাসন ও রাস্তার ড্রেনেজ ব্যবস্থা, অপরিকল্পিত জুম চাষ, অতিবৃষ্টি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবকে চিহ্নিত করা হয়। এই ভূমিধসের প্রতিকার ও করণীয় হিসেবে আগাম সতর্ক সংকেত, পাহাড় উপযোগী গৃহ নির্মাণ নীতিমালা প্রণয়ন, পর্যাপ্ত আশ্রায়ণ ব্যবস্থা, ভূমি ব্যবহার নীতিমালা সর্বোপরি এ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে সেমিনারে সুপারিশ করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড গওহর রিজভী প্রধান অতিথি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার ও ফিরোজা বেমন চিনু বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 
সেমিনারে ড গওহর রিজভী  ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন প্রসংগে বলেন, শান্তি চুক্তির শর্তমোতাবেক অধিকাংশ সরকারি বিভাগ সংশ্লিষ্ট পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যাস্ত করা হয়েছে। যার ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, শান্তি চুক্তির পূর্ববর্তী সরকারগুলোর অপরিণামদর্শী পদক্ষেপের ফলে ভারসাম্য বিনষ্ট হয় ফলে পাহাড়বাসীকে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট নানা দূর্যোগ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের ভূমিধস রোধে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিধসের কারণ ও প্রতিকার বিষয়ক এ সেমিনারের সারসংক্ষেপের প্রেক্ষিতে সুনিন্দিষ্ট কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হবে। এ এলাকায় টেকসই উন্নয়নে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
সেমিনারে ভূমিধস এর কারণ ও প্রতিকার বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড এম শামসুল ইসলাম, সমন্বিত পর্বত উন্নয়নের আন্তর্জাতিক সংস্থা (ইসিমোড) এর ভূ-তত্ত্ববিদ প্রফেসর সামজাল রতœা বজরাচারিয়া (চৎড়ভ. ঝধসলধিষ জধঃহধ ইধলৎধপযধৎুধ) এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল পরিমল বিকাশ চাকমা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: কামাল  উদ্দিন তালুকদার। 
সেমিনারে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক চৌধুরী, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দেশী বিদেশী সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ১৫০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
#
জুলফিকার/মাহমুদ/আলী/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯১০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২১৯৪
 
প্রতিটি কারখানায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার থাকতে হবে 
                                 ---  শ্রম প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
 
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, যে সকল কারখানায় ৪০ এর বেশি নারী শ্রমিক রয়েছে সেখানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার থাকতে হবে।
তিনি আজ বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশন এবং ইউনিসেফ এর যৌথ উদ্যোগে “মাদারস @ ওয়ার্কঃ কর্মক্ষেত্রে মায়েদের অধিকার এবং শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সুব্যবস্থা” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। 
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইনের ৯৪ ধারা অনুযায়ী যে সকল কারখানায় ৪০ জনের বেশি নারী শ্রমিক রয়েছে সেখানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার না থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বিষয়টি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে গুরত্বের সাথে দেখার নির্দেশ দেন। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী কলকারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিক ১৬ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। এটি তাদের আইনগত অধিকার।
তিনি শ্রমিকদের সচেতনতার বিষয়ে সরকারের সাথে ইউনিসেফ, আইএলও সহ দাতাসংস্থাগুলোকে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কারখানায় কর্মরত মায়েদের সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ানোর সুব্যবস্থা করলে মালিক-শ্রমিকদের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার সম্পর্ক তৈরি হবে। এতে কারখানায় উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ ধরনের একটি প্রয়োজনীয় জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফ সহ অন্যান্য দাতা সংস্থাগুলোকে প্রতিমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান। 
কর্মশালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বিজিএমই এর পরিচালক সাইফ উদ্দিন, বাংলাদেশ এমপ্লেয়ার্স ফেডারেশনের সহসভাপতি আর্দাশীর কবির, বিকেএমই এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা শামসুন নাহার ভূঁইয়া, আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর নিবাস বি রেড্ডি এবং ইউনিসেফ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডউয়ার্ড বেগবেডার বক্তৃতা করেন।
#
আকতারুল/মাহমুদ/আলী/জয়নুল/২০১৭/১৮৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২১৯৩
 
সিভিল সার্ভিস আইন দ্রুত প্রণয়নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা
 
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :  
সিভিল সার্ভিস আইন দ্রুত প্রণয়নে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা প্রদান করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। 
আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যারিয়ার প্ল্যানিং অ্যান্ড ট্রেনিং অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এই বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ রকিব হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নয়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই লক্ষ্য অর্জনে একটি দক্ষ, শক্তিশালী ও সেবামুখী আমলাতন্ত্র গড়তে সবধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। 
তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের পেশাগত জ্ঞানচর্চা বাড়াতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে হবে।
এ সময় তিনি পেনশন প্রক্রিয়া আরো আধুনিক, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ও সহজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা  প্রদান করেন।  
#
মাসুম/মাহমুদ/আলী/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৭৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২১৯২
 
জাতীয় সংসদের সপ্তদশ অধিবেশন ১০ সেপ্টেম্বর শুরু
 
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
 
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রোববার বিকাল ৫:০০ টায় ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে দশম জাতীয় সংসদের সপ্তদশ (২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৪র্থ) অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
 
#
 
কামাল/মাহমুদ/শেফায়েত/রেজাউল/২০১৭/১৭১৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২১৯১

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
জাতীয় সংসদের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২২তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন (রিমি) এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, পংকজ নাথ এবং পিনু খান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে কমিটি স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা গ্রামের হাটবাজারের বার্ষিক ইজারা হতে সংগৃহীত আয়ের শতকরা ১ ভাগ সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে ব্যবহারের যৌক্তিকতা স্থানীয় সরকার বিভাগের নিকট তুলে ধরতে সুপারিশ করে। কমিটি প্রতিবছর সকল জেলায় পাবলিক লাইব্রেরিতে পাঠকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে জাতীয় দিবসগুলো উদ্যাপনের পাশাপাশি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ মাসব্যাপী চিত্রপ্রদর্শনী আয়োজনের সুপারিশ করে।
বৈঠকের শুরুতে শোকাবহ আগস্ট মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ আগস্টে তাঁর পরিবারের নিকটতম সদস্যদের নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ ধরনের প্রতিহিংসামূলক ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে পুনরাবৃত্তি না হওয়ার ব্যাপারে দেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল মানুষকে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠকে নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুতে কমিটির পক্ষ থেকে শোকপ্রকাশ, তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়। 
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।   
#
সাব্বির/অনসূয়া/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৬০০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ২১৯০
নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আ
Todays handout (6).docx Todays handout (6).docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon