Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ মার্চ ২০২৩

তথ্যবিবরণী ১৯ মার্চ ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১১৪৩

বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে কোনো রকম আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মধ্যে রাখেননি

                                                         --- লেজিসলেটিভ সচিব

ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ):

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবির বলেছেন, শিক্ষা একটি রাষ্ট্রের ভিত রচনা করে, সে কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমেই শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক করেছিলেন। তিনি শিক্ষাকে কোনো রকম আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মধ্যে রাখেননি। সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দিয়েছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্র্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আজ রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবারে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন "আইন প্রণয়নে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আইন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আয়োজনে শিশু আইনে উল্লিখিত শিশু অধিকার সম্পর্কিত সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন সচিব । অনুষ্ঠান শেষে শিশু পরিবারের এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।

সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের লক্ষ্যে The Primary Schools (Taking Over) Act, 1974 প্রণয়ন করেন। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। বঙ্গবন্ধুর সময়েই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে বই, অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ ও খাবার বিতরণ করা হত শিশুদের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ্ব করতে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের বিনা বেতনে পড়ার সুযোগও দিয়েছিলেন তিনি। গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পোশাকও দেওয়া হত।

সচিব আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুই সংবিধানে যুক্ত করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা হবে প্রজাতন্ত্রের সকল শিশুর জন্য বাধ্যতামূলক। বহু বিত্তহীন ও দরিদ্র পরিবার আছে, যারা দুই বেলা খেতে পায় না, তারা শিশুদের স্কুলে পাঠাবে কীভাবে? তাদের তো অর্থ নাই। সেজন্যই তিনি সবার জন্য বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালুকরণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন। তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবারের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারী এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

#

রেজাউল/এনায়েত/মাহ্‌মুদ/শামীম/২০২৩/২২৪০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১১৪২

দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে অবদান রাখবে চলচ্চিত্র সংসদ

                                                – তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ):

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘দেশকে জাতির পিতা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে আমাদের চলচ্চিত্র অবদান রাখবে এবং চলচ্চিত্র সংসদ সেখানে নেতৃত্ব দেবে।’

আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের ৬০ বছর ও ফেডারেশন অভ্‌ ফিল্ম সোসাইটিজ অভ্‌ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী আয়োজন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ১৯৫৭ সালে ঢাকায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। সময়ের আবর্তে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলচ্চিত্র শিল্প আজ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বহু চলচ্চিত্র অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে। গত বছরের শেষ দিকে কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে দুপুর একটায় আমাদের সিনেমা দেখার জন্য সকাল নয়টা থেকে এক মাইল লম্বা লাইন হয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল চালু হচ্ছে, সিনেপ্লেক্সের সংখ্যা বাড়ছে। সিনেমা হল সংস্কার ও নির্মাণে এক হাজার কোটি টাকার সহজ ঋণ তহবিল গঠন করা হয়েছে।’

করোনায় সব থমকে না গেলে সিনেমা শিল্প ইতিমধ্যে আরো এগিয়ে যেতো উল্লেখ করে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে চলচ্চিত্র শিল্প আরো দৃঢ় অবস্থানে আসবে এবং দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ববাজারে আরো সমাদৃত হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।

চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি ঠিকই বলেছেন, চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন রাজপথের আন্দোলন নয়, নিজেকে পরিশীলিত করার, চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার আন্দোলন। এবং শুধু চলচ্চিত্র ক্ষেত্রেই নয়, সারা দেশেই সাংস্কৃতিক আন্দোলন প্রয়োজন যা আমাদের তরুণদের কুসংস্কারমুক্ত পথ দেখাবে।’

অনুষ্ঠানে দেশের চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘ছয় দশকের সেরা চলচ্চিত্র সংসদ সম্মাননা’ হিসেবে শতাধিক চলচ্চিত্র সংসদের মধ্য থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ হীরক সম্মাননা এবং ১৪ টি সংসদকে সুবর্ণ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

ফেডারেশন অভ্‌ ফিল্ম সোসাইটিজ অভ্‌ বাংলাদেশ’র সভাপতি লাইলুন নাহার স্বেমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রকার সালাউদ্দিন জাকী বিশেষ অতিথি এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। বক্তব্য রাখেন বর্ষপূর্তি উৎসব জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম এবং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বেলায়াত হোসেন মামুন। ‘জলের গান’ ব্যান্ডের সংগীত ও মঙ্গল দীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূত্রপাত ঘটে।

চলচ্চিত্র সংসদের ৬০ বছর এবং ফেডারেশনের ৫০ বছর পূর্তি জাতীয়ভাবে উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে ফেডারেশনের বছরব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের নির্মিত চলচ্চিত্রের উৎসব, নীতিনির্ধারণী সেমিনার, আন্তর্জাতিক সেমিনার, ১০টি জেলায় চলচ্চিত্র কর্মশালার আয়োজন, চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ, দেশের ৫০ বছরের নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র উৎসব, স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ ও নৌ-ভ্রমণ।

উল্লেখ্য, দেশে চলচ্চিত্র শিক্ষা বিস্তার, চলচ্চিত্র সাহিত্যের বিকাশে অবদান রাখা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন ১৯৬৩ সালে যাত্রা শুরু করে এবং ১৯৭৩ সালের ২৪ অক্টোবর ফেডারেশন অভ্‌ ফিল্ম সোসাইটিজ অভ্‌ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। ফেডারেশনের প্রথম সভাপতি ছিলেন চলচ্চিত্রাচার্য আলমগীর কবির।

#

আকরাম/এনায়েত/মাহ্‌মুদ/শামীম/২০২৩/২২২৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১১৪১

শিক্ষা ব্যবস্থার সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে

                                                                      --- শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ):

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থার সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সরকার শিক্ষা খাতকে বিশেষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অসংখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গামী তরুণ সমাজকে দেশপ্রেমিক ও দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা এবং গবেষণা, প্রযুক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের ২১তম সমাবর্তনে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন এবং সনদ প্রদান করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন এশিয়ান ইনস্টিটিউট অভ্‌ টেকনোলোজির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক কাজু ইয়ামামোটো। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ইসতিয়াক আবেদিন।

পরিবর্তনশীল বিশ্বের শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধিতে অ্যক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোগত ও শিক্ষা কার্যক্রমে গুণগত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। দেশের উন্নয়নের প্রয়োজনে দক্ষ জনশিক্ত গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এমফিল-পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেভাবে ডিগ্রিগুলো অর্গানাইজড আছে তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আমাদের মডিউলার এডুকেশনে যাবার কথা। সামনে যে দিন আসছে যেভাবে দ্রুত পৃথিবী পরিবর্তন হচ্ছে তাতে আজ যে ডিগ্রি অর্জন করে যাচ্ছেন পাঁচ বছর পর তা আর প্রয়োজন নাও হতে পারে। সে জন্য রিস্কিল করতে হবে, আপস্কিল করতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেন- তোমরা চাকরি শুধু খুঁজবে না, তোমরা উদ্যোক্তা হবে। অন্য বহু মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করবে। মাদক সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নারী নির্যাতন থেকে নিজেদের মুক্ত রাখবেন। সাম্প্রদায়িতকার বিষবাষ্প যেন আপনাদের হৃদয় আচ্ছন্ন করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবে।’ সাম্প্রদায়িকতা যেন আমাদের সমাজ ও জীবন থেকে দূর করে দিতে পারি। সাম্প্রদায়িকতা যেমন অবশ্য পরিত্যাজ্য এবং তাকে যেমন প্রতিহত করতে হবে তেমনি ধর্ম-বর্ণ-জাতি-লিঙ্গ ভেদে যেন কোনো বৈষম্য আমরা না করি। নারী নির্যাতনকারী তার যে পরিচয়ই থাকুক না কেনো তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

#

খায়ের/এনায়েত/মাহ্‌মুদ/শামীম/২০২৩/২০৫০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১১৪০

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ):

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান সাক্ষাৎ করেছেন।

আজ বঙ্গভবনে সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ এবং ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমানের শুভেচ্ছা পত্র হস্তান্তর করেন।

শুভেচ্ছা পত্রে সৌদি বাদশা বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের অব্যাহত উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি সম্প্রতি সৌদি আরবের বাণিজ্য মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ সফরের ফলে দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্ভাবনার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো। সফরকালে যে সমস্ত চুক্তি ও সমঝোতার স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে এগুলো বাস্তবায়িত হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সৌদি বিনিয়োগকারীদের আরো বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সৌদি আরবের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা করেন, রোহিঙ্গারা যাতে সম্মানের সাথে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করতে পারে সে ব্যাপারে সৌদি আরব জোরালো ভূমিকা রাখবে।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে, শ্রীলংকার হাইকমিশনার সুদর্শন সেনেভিরত্নে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে বিদায়ি সাক্ষাৎ করেন।

শ্রীলংকার বিদায়ি হাইকমিশনার দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য শ্রীলংকার বিদায়ি হাই কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতির সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

ইমরানুল/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহ্‌মুদ/শামীম/২০২৩/২০৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১১৩৯

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘তথ্য অধিকার আইন ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ) :

‘তথ্য অধিকার আইন ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনার আজ ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক।

প্রধান অতিথি বলেন, জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকারের মাধ্যমে তথ্য প্রদান ও প্রকাশ নিশ্চিতকরণে সকল সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা বাড়বে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে, দুর্নীতি হ্রাস পাবে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করা সকল সংস্থার দায়িত্ব। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে সকলকে তথ্য প্রদানের আহ্বান জানান ডক্টর আবদুল মালেক।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য কমিশনের পরিচালক (গবেষণা, প্রকাশনা ও প্রশিক্ষণ) ড.
মোঃ আঃ হাকিম। জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোসের পরিচালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এবং প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, প্রভোস্ট, প্রক্টর উপস্থিত ছিলেন।

লিটন/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/২০০৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১১৩৮

 

ডিজিটাল পদ্ধতিতে উন্নততর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে

                                                                          --- পানি সম্পদ সচিব

ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ) :

          পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান বলেছেন, পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশের নদী অববাহিকার ৭১ শতাংশ প্লাবণ ভূমি রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট বন্যার পূর্বাভাস দিতে পারলে প্রাণ এবং সম্পদের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব। আর এজন্যই দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে গতিশীল করতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে উন্নততর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

          আজ ঢাকায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অভ্ ওয়াটার মডেলিং রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে উঅঘওউঅ অর্থায়িত গবেষণা প্রকল্প বাংলাদেশের বর্ধিত বন্যা পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ পরিষেবার সক্ষমতা উন্নয়ন শীর্ষক কর্মশালায় সচিব এসব কথা বলেন।

          সচিব বলেন, ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) ৫ দিনের আগাম বন্যা পূর্বাভাস উপাত্তকে প্রক্রিয়াকরণ করে উন্নততর প্লাবণ মানচিত্রের সাহায্যে বন্যা শুরু হওয়ার তিন দিন থেকে তিন ঘণ্টা সময় আগে স্থানীয় জনগোষ্ঠী পর্যায়ে তাৎক্ষণিক ভিত্তিতে ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

          অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ডেনমার্ক দূতাবাসের ডেপুটি হেড অভ্ মিশন  অ্যান্ডার্স কার্লসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক নুরুল ইসলাম সরকার এবং মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঁইয়া, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা)।

          উল্লেখ্য, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ডিজিটাল পদ্ধতিটি চালু করতে সহায়তা করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো), এটুআই, আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থা গুগল, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অভ্ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ।

#

গিয়াস/আরমান/সঞ্জীব/এনায়েত/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/২০৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ১১৩৭

২১ মার্চ বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল

ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ) :

          আগামী ২১ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এর ফাইনাল খেলা ঢাকায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাইনাল খেলা উপভোগ এবং খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন।‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনালে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইলের নলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুখোমুখি হবে। ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে’ রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার বিনোদপুর কলেজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোকাবিলা করবে নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার পূর্ব পঞ্চপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে।

          করোনাকালীন সাময়িক বিরতির পর আবারো এ টুর্নামেন্ট দুটি এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

          লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের সুস্থ বিকাশ এবং শিশুর মাঝে দেশপ্রেম, শৃঙ্খলাবোধ, উদারতা, কর্তব্যপরায়ণতা, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি সৃষ্টির জন্য ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ এবং ২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ‘আয়োজন করা হচ্ছে। এ বছর ইউনিয়ন পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ২২ লক্ষাধিক ক্ষুদে শিক্ষার্থী এ টুর্নামেন্ট অংশগ্রহণ করেছে।

          প্রসঙ্গত ২০২২ সালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এর ফুটবল টিমের ৫ জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজলিাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টে’র মাধ্যমে। এটি বর্তমান সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনার ফসল। 

#

তুহিন/আরমান/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১১৩৬

 

প্রতি জেলায় ৩০-৫০ বেডের মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে

                                                                       --- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ) :

          স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন দেশের মানুষের উন্নতির জন্য, দেশের মানুষের স্বস্তিতে থাকবার জন্য। কারণ তিনি জাতির পিতার কন্যা, তিনি জাতির পিতার আদর্শে গড়া মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার আদর্শকে ধারণ করে দেশের মানুষের চিকিৎসা সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

          আজ রাজধানীর মহাখালীস্থ জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, নতুন করে ৫টি মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়, ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ২২টি চিকিৎসা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা। প্রতিটি জেলায় হাসপাতালের বেড সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছেন। জেলা হাসপাতালগুলোতে অতি জরুরি ১০টি করে ডায়ালাইসিস সেন্টার করেছেন। উপজেলা হাসপাতালে বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে। চিকিৎসাখাতে আগামীর সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ক্যান্সার, কিডনি, লিভার-চিৎিসাখাতে মানুষ যাতে ঢাকায় না এসে নিজ বিভাগেই চিকিৎসা নিতে পারে সেজন্য দেশের ৮ বিভাগেই ৮টি অতি উন্নত ও আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ১৫ তলা বিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে। এর পাশাপাশি আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দেশের মা ও শিশুদের জন্য আলাদা করে সেবা দেবার জন্য। দেশের কয়েক’শ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রসূতি মায়ের জন্য ২৪ ঘন্টা স্বাস্থ্যসেবা দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব দ্রুতই দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এটি করা গেলে দেশের মায়েদের প্রসবকালীন যে সমস্যা ও অর্থ ব্যয় হয় তা অনেকখানি কমে যাবে।

          শিশু দিবস উপলক্ষ্যে শিশু শ্রম ও বাল্য বিয়ে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, শিশুদের বয়সে শিশুরা খেলাধুলা করবে, আনন্দ করবে। সেখানে শিশুদেরকে যেভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে তা অমানবিক। অন্যদিকে, বাল্যবিয়ে ঠেকাতে সরকার নানারকম প্রচারণা ও উদ্যোগ নিলেও বাল্যবিয়ে অহরহ ঘটছে। এতে মা ও শিশুর মৃত্যুঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়। এখন শিশুশ্রম ও বাল্য বিয়ে সব জায়গাতেই বন্ধ করতে হবে।

          সামনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন গোটা বিশে^র রোল মডেল হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার এই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেবে এই শক্তি কারো নেই। কোনভাবেই এই দেশে আর কাউকেই অরাজকতা করতে দেয়া হবে না। সামনে নির্বাচন আসছে, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন বিধি আছে, সেই বিধির বাইরের কোন প্রস্তাব শেখ হাসিনা গ্রহণ করবে না।

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)-এর লাইন ডিরেক্টর আব্দুল মান্নান, জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

#

মাইদুল/আরমান/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯৪৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ১১৩৫

বাংলাদেশ ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে ধাবিত হচ্ছে

                                        ---  টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ) :

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শক্তিশালী  ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার ফলে  বাংলাদেশ একটি ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য কাগজের মুদ্রাহীন সমাজ গড়ে তোলা। ডিজিটাইজেশনের ফলে ২০০৯ সালের পর থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং দেশের সাধারণ মানুষের অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি সেবায় রূপান্তরিত হয়েছে। মন্ত্রী মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের ক্যাশ আউট এবং টাকা পাঠানোর খরচ যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে এনে গ্রাহক স্বার্থ রক্ষার মাধ্যমে ক্যাশলেস সোসাইটির অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

          মন্ত্রী আজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটন কর্পোরেশন হলে ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে নারী গৃহকর্মীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং নারী নিয়োগদাতাদের ভূমিকা শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  এসব কথা বলেন।

          মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর নির্বাহী পরিচালক রোকসানা সুলতানা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্মসচিব নাহিদ সুলতানা মল্লিক, বেসরকারি সংস্থা নারী মৈত্রীর কর্মকর্তা শাহীন আক্তার জলি বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী।

          ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষের কাছে ইন্টারনেটের চাহিদা অত্যন্ত দ্রুততার সাথে বেড়ে চলেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালে চারটি মোবাইল অপারেটরকে দেশে মোবাইল সেবা প্রদানের অনুমতি প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে মোবাইল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন।  ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেটের চাহিদা ছিল মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস এবং ব্যবহারকারী ছিল মাত্র মাত্র ৮ লাখ। বর্তমানে ৪১০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। ২০৩০ সালে ইন্টারনেট

ব্যান্ডউইদথের চাহিদা ৩০ হাজার জিবিপিএস অতিক্রম করতে পারে। তিনি বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের নিকট স্মার্টফোন সহজলভ্য করতে সহজ কিস্তিতে স্মার্টফোন সরবরাহ করার বিষয়টি নিয়ে সরকার কাজ করছে।  লক্ষ্য ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন মানব সম্পদ গড়ে তোলা। মন্ত্রী নারী গৃহকর্মীদের মধ্যে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রচলন করায় বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল সেবা সংক্রান্ত মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও তাদের সহযোগী ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সসহ অন্যান্য সংস্থার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে একটি ভালো উদ্যোগ আখ্যায়িত করে বলেন, ডিজিটাল যন্ত্র দক্ষতার সাথে চালাতে পারলে তারা নিজেদেরকে উদ্যোক্তায় রূপান্তর করতে পারে।

          মন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে সরকার কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশের মূল স্তম্ভ হচ্ছে স্মার্ট মানুষ। মোবাইল ফিনান্সিয়াল খাতের অগ্রগতিতে সরকার কাজ করছে এবং যে কোনো সহযোগিতা প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর। মন্ত্রী গৃহকর্মীদের জন্য একটি ডাটাবেস তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এর ভিত্তিতে তাদের জন্য মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের বিশেষ সুবিধার বিষয়ে কাজ করা সহজ হবে।

          অনুষ্ঠানে গৃহকর্মী এবং তাদের নিয়োগ প্রদানকারী গৃহকর্তৃগণ তাদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।

#

 শেফায়েত/আরমান/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯১০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১১৩৪

দ্রব্যমূল্য টাস্কফোর্সের ৬ষ্ঠ সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী

<
2023-03-19-16-56-654a5b8c1dd782cc836ad38c150f43c0.docx 2023-03-19-16-56-654a5b8c1dd782cc836ad38c150f43c0.docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon