Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯

তথ্যবিবরণী ১৭ অক্টোবর ২০১৯

Handout                                                                                                          Number : 3977

 

Foreign Minister mourns the loss of valuable lives

at bus accident near the holy city Medina

  

Dhaka, October 17 :

 

Foreign Minister Dr. A. K. Abdul Momen expressed his deep condolences and sympathies through a message to the Foreign Minister of the Kingdom of Saudi Arabia, Dr. Ibrahim bin Abdulaziz Al-Assaf over the loss of lives of 35 people and injury of 4 others at the bus accident that took place near the holy city Medina. 

 

Foreign Minister prayed for the salvation of the departed souls. He also prayed that the families and near and dear ones of the victims may have enough fortitude to withstand the loss. He wished speedy recovery of the injured.

 

#

 

Tohidul/Israt/Mosharaf/Salim/2019/2300 Hrs

 

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর :  ৩৯৭৬

 

রাজশাহীর চারঘাটে বিজিবি ও বিএসএফ এর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত

 

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :

 

আজ রাজশাহী ব্যাটালিয়নের চারঘাট বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্য লাইন হতে পদ্মা নদীর পাড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ৩ জন জেলেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে মাছ ধরার সময় বিজিবির চারঘাট বিওপি’র টহল দল ১ জন জেলেকে অবৈধ কারেন্ট জাল-সহ আটক করে। বাকি ২ জন জেলে ভারতের দিকে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

 

পরে বিএসএফ এর ১১৭ ব্যাটালিয়নের কাগমারী বিওপি হতে স্পিডবোট করে ৪ জন বিএসএফ সদস্য রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বালুঘাট এলাকার শাহারিয়াঘাটের বড়াল নদীর মুখে বাংলাদেশের ভেতরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করলে চারঘাট বিওপির টহল দল তাদেরকে বাধা প্রদান করে। বিএসএফ টহল দলের নিকট অস্ত্রও ছিল। পরে বিএসএফ উক্ত জেলেকে জোর করে ফিরিয়ে নিতে চাইলে তাদেরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিয়মমাফিকভাবে ফেরত প্রদান করা হবে বলে বিজিবি টহল দল জানায়। বিএসএফ সদস্যরা জোরপূর্বক জেলেকে নিয়ে যেতে চাইলে বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা প্রদান করে। এ সময় বিএসএফ  সদস্যরা ফায়ার করতে করতে স্পিডবোট চালিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। তখন বিজিবি টহল দল আত্মরক্ষার্থে ফায়ার করে।

 

অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় বিজিবি রাজশাহী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এবং কমান্ড্যান্ট ১১৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে জানা যায় যে, উক্ত ঘটনায় বিএসএফ এর ১ জন সদস্য নিহত এবং ১ জন আহত হয়েছে।

 

 বৈঠকে উভয়পক্ষ তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে একমত হয়েছে। এ বিষয়ে আরো আলোচনার জন্য আবারো পতাকা বৈঠক করার ব্যাপারে উভয়পক্ষ জানায়।

 

#

 

শরিফুল/ইসরাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২২৫৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর :  ৩৯৭৫

 

আগামী বছর ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বাড়ানো হবে

                                                                          -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :

 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় এবার নিয়ে বাংলাদেশ পঞ্চম বারের মতো অংশগ্রহণ করছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এ আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণ করে। ২০২০ সালে দেশ-বিদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষে আগামী বছর ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ আরো বাড়ানো হবে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী বছর থেকে ঢাকায় নিয়মিতভাবে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বইমেলা, ঢাকা’ নামে একটি আন্তর্জাতিক বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে International Publishers Association (IPA) এর প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবেন মর্মে আশ্বাস প্রদান করেছেন।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০১৯ -এ বাংলাদেশ স্টলে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বইমেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সেমিনার একসাথে হলে অনুষ্ঠানসমূহ আরো সফল হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

 

‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাদুঘরের কিউরেটর মোঃ নজরুল ইসলাম খান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী প্রমুখ।

 

#

 

ফয়সল/ইসরাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২২১৫ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর :  ৩৯৭৪

 

প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা সম্পর্কিত এসডিজি অর্জনে

স্থানীয় পর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিক কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নই হবে মূল ভিত্তি

 

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :

 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে ‘প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা সম্পর্কিত এসডিজি অর্জনে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এক কর্মশালা ১৬-১৭ অক্টোবর ২০১৯ জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট) এ অনুষ্ঠিত হয়।

 

গত ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুনের  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। কর্মশালার কারিগরি সেশনে মোট সাতটি এসডিজি বিষয়ক উপস্থাপনা প্রদান করা হয়। উপস্থাপনায় এসডিজি এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিতকরণ, চ্যালেঞ্জসমূহ উত্তরণে কর্মপরিকল্পণা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন কৌশলসমূহ তুলে ধরা হয়।

 

আজ কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ  প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এসডিজি বিষয়ক কর্মশালাটি অত্যন্ত সময়োপযোগী। মুখ্য সমন্বয়ক কর্মশালায় সুপারিশকৃত লক্ষ্যমাত্রা ও সূচক অর্জনকারীদেরকে উপজেলাভিত্তিক পুরস্কার ও জবাবদিহিতা প্রবর্তনের প্রস্তাবকে জোর সমর্থন করেন। সমাপনী বক্তব্যে  স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন এই কর্মশালার ফলাফল এবং সুপারিশ অনুসারে তৃণমূল পর্যন্ত এসডিজি সংশ্লিষ্ট সকলকে এসডিজি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নিবিড়ভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

 

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ও সূচকসমূহ সম্পর্কে অবহিতকরণ, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিতকরণ এবং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নকল্পে কৌশল প্রণয়ন-সহ সারা দেশে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সকল স্তরের কর্মকর্তা, মাঠ প্রশাসনের এসডিজি সম্পৃক্ত কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

 

#

 

মাইদুল/ইসরাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২১১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                                        নম্বর : ৩৯৭৩
 
ক্ষুধা ও বৈষম্য দূর করা হবে
          --- পরিকল্পনা মন্ত্রী
 
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ক্ষুধা দূর করা সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার। এরপর বৈষম্য দূর করা হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বহুজাতিক বেসরকারি সংস্থা ‘অক্সফাম’ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের বৈষম্য কোথায়’ বিষয়ক এক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ক্ষুধা দূরীকরণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে বলেই দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। তিনি আরো বলেন, কোনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজে বৈষম্য থাকা উচিত নয়। কিন্তু বৈষম্য এখন সারা বিশ্বেই বাড়ছে। তাই সার্বজনীনভাবেই এটা মোকাবিলা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মীর্জ্জা এ বি মোঃ আজিজুল ইসলাম ও রাশেদা কে চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ ও 
ড. ফাহমিদা খাতুন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সাদেকা হালিম।
#
 
শাহেদ/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২১৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৩৯৭২
 
ইইউ-বাংলাদেশ সুশাসন ও মানবাধিকার বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার সম্পর্ক বিস্তৃত ও জোরদারকরণের লক্ষ্যে সুশাসন ও মানবাধিকার বিষয়ক সাব-গ্রুপের নবম সভা আজ ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
সভায় বাংলাদেশের পক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক বিভাগের প্রধান ঈধৎড়ষরহব ঠরহড়ঃ যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন। সভায় ঈধৎড়ষরহব ঠরহড়ঃ এর নেতৃত্বে একুশ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের বিশটি মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রতিনিধি অংশ নেন। 
সভায় রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইইউ প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের উন্নয়নে তাঁরা সহযোগিতারও আশ^াস দিয়েছেন। এছাড়া সুশাসন ও মানবাধিকারের সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সাধিত অগ্রগতি স্থায়ী রূপদান করার ব্যাপারে ইইউ প্রতিনিধিরা সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন।
সভায় মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দ্রুত ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ইইউ এবং এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহ-সহ সকলের সমর্থন চাওয়া হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জোরালো ও শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে মিয়ানমার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আগ্রহী হবে না। 
শ্রম অধিকার বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইইউ প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী শ্রম আইন, ২০০৬ এ ব্যাপক ভিত্তিক সংশোধন করা হয়েছে এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলসমূহের জন্য একটি নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান সহজ ও উদার করার পাশাপাশি ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের পদ্ধতিও সহজ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) এ গৃহীত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও এজেন্সিসমূহ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। 
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার যেসব কনভেনশনে পক্ষভুক্ত সেগুলোর বিধি-বিধানের আলোকে শ্রম আইনের সংশোধন এবং বিধি-বিধান প্রণয়নের জন্য ইইউ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 
নারী ও শিশু অধিকারের বিষয়ে  বলা হয়, নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার অনেক আইন, বিধি ও নীতি প্রণয়ন করেছে। নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য সকল ক্ষেত্রে তাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। নারীরা যাতে নিজ বাসস্থান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার না হন তা প্রতিরোধের জন্য সকল প্রতিষ্ঠানে গঠিত কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। 
সভায় মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে ইইউকে জানানো হয়, বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবারিত। সে কারণেই বহু সংখ্যক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, সংবাদপত্র ও অনলাইন মিডিয়া তাদের মত করে সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করছে। এ কারণে তাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।  
ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রসঙ্গে জানানো হয়, বাংলাদেশে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, জন্মস্থান ভেদে বৈষম্য না করার বিষয়টি সরকারের নজরদারিতে রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে এদেশের সকলে তাঁদের নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে মিলে-মিশে পালন করছে। 
#
রেজাউল/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২১০০ঘণ্টা
 

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর :  ৩৯৭১

 

প্রবাসী কর্মীদের কর্ম-অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি সনদ প্রদানের আহ্বান প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর

 

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :

 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ আজ দুবাইয়ে আবুধাবি ডায়লগের ৫ম মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় প্রবাসী কর্মীদের কর্ম-অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি সনদ বা ‘রিকগনিশন অভ্ প্রায়র লার্নিং’ প্রদানের আহ্বান জানান।

 

মন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত-সহ মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশ-সহ  বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ কর্মী কাজ করছেন। এদের অনেকে অদক্ষ বা স্বল্পদক্ষ কর্মী হলেও দীর্ঘদিনের কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষতা ও নৈপুণ্য  অর্জন করেছেন। গন্তব্য দেশসমূহ তাদের এই কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি প্রদান করলে পরবর্তী সময়ে তারা পুনরায় নিজ দেশে বা বিদেশে কাজের সুযোগ পাবেন। এছাড়া, তিনি বিভিন্ন সেক্টরে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় তার পারস্পরিক স্বীকৃতি বা মিউচুয়াল রিকগনিশন প্রদানের ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার প্রস্তাবকে জোরদার করার আহ্বান জানান।

 

উক্ত মিনিস্টেরিয়াল ডিসকাশনে আবুধাবি ডায়লগের সদস্য দেশসমূহের মন্ত্রিবর্গ সর্বসম্মতিক্রমে দুবাই ঘোষণা বা দুবাই ডিক্লারেশন গ্রহণ করেন। এই ঘোষণা অনুযায়ী আগামী দুই বছর পাঁচটি বিষয়ের ওপর কাজ করা হবে। এগুলো হচ্ছে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, বিদেশগামী কর্মীদের তথ্য ও প্রশিক্ষণ প্রদানের সামগ্রিক কর্মসূচি,  সনদায়ন ও দক্ষতার স্বীকৃতি, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে মানব-কেন্দ্রিক প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা এবং অভিবাসন বিষয়ে আন্তঃঅঞ্চল সহযোগিতা।

 

মন্ত্রী ইমরান আহমদের নেতৃত্বে  বাংলাদেশ ডেলিগেশনে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং দুবাইয়ে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেন খান।

 

#

 

রাশেদুজ্জামান/মাহমুদ/ইসরাত/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/২০০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর :  ৩৯৭০

 

মিড-ডে মিল চালু এলাকার শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া কমেছে

                         -- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ ও অটুট স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী বয়সের শিশুদের এ সকল চাহিদা পূরণ ও শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্কুল মিল কার্যক্রম বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। বিভিন্ন জরিপ অনুযায়ী মিড-ডে মিল চালু এলাকার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমে এসেছে এবং উপস্থিতি ও পুষ্টিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শিক্ষার গুণগত মান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মিড-ডে মিল কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে সারা দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে মিড- ডে মিল কার্যক্রম চালুর লক্ষ্য নিয়ে সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইলটিং ভিত্তিতে  যে মিড-ডে মিল চালু রয়েছে  তা কিভাবে সমন্বিতভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সেজন্য এই নীতিমালাটি প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে শুরু হয় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি, যা বর্তমানে দেশের ১০৪টি উপজেলায় চালু আছে। এ কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৩৩ লাখ প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি স্কুল দিবসে উচ্চ পুষ্টিমানসমৃদ্ধ ৭৫ গ্রাম বিস্কুট সরবরাহ করা হয়। তিনি বলেন, বিস্কুট প্রতিদিন বাচ্চারা খেতে না চাওয়ায় বিকল্প হিসেবে বিস্কুট, কলা ও ডিম এই তিনটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরিবেশন করা হয়।

 

মতবিনিময় সভায় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

   

এর আগে প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় জনগণের মাঝে পানীয়জল সরবরাহের জন্য টিউবওয়েল বিতরণ করেন।

 

#

 

রবীন্দ্রনাথ/মাহমুদ/ইসরাত/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/২০৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর :  ৩৯৬৯

সমাধান হওয়া ইস্যু হালে পানি পাবে না - ঐক্যফ্রন্টকে তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ঐক্যফ্রন্টের উদ্দেশে বলেছেন, ‘যে ইস্যু সমাধান হয়ে গেছে, সেই ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমে হালে পানি পাবেন না।’

আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের কেব্ল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার লক্ষ্যে আয়েজিত সভার শুরুতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে সমসাময়িক বিষয়ে তাদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী একথা বলেন। তথ্যসচিব আবদুল মালেক, অতিরিক্ত সচিব মোঃ নূরুল করিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা প্রসঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের জনসভার ডাকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে প্রচ- অনৈক্য। আবরার হত্যা নিয়ে তারা একটু ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু আবরার হত্যার পর সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছে, তাতে সন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছে।’

‘তাদের (ঐক্যফ্রন্টের) কোনো একটা ইস্যু প্রয়োজন, তারা কোনো ইস্যু পাচ্ছে না’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট আবরার হত্যা নিয়ে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে, কিন্ত এটি আবরার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের জন্য নয়, বরং নিজেদের রাজনীতি করার স্বার্থেই। যে কোনো ইস্যু নিয়ে তাদের ঐক্যটা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। এই সভা মূলত  ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য ধরে রাখার একটি চেষ্টা। তাদের স্বার্থে তারা এই সভা আহ্বান করেছে। আমি ঐক্যফ্রন্টকে বলবো, যে ইস্যু সমাধান হয়ে গেছে, সেই ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমে হালে পানি পাবেন না।’

ডিজিটাল হবে কেব্‌ল নেটওয়ার্ক

‘কেব্‌ল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল না হওয়ার কারণে সম্প্রচার সঠিকমতো হয় না, একইসাথে সরকার অনেক রাজস্ব হারাচ্ছে’ যুক্তি তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, ‘দেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। কিন্তু কেব্‌ল নেটওয়ার্ক এখনো ডিজিটাল হয়নি। এটিকে অবশ্যই ডিজিটাল করতে হবে। আমরা এই বিষয়ে সময়সীমা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। কেব্‌ল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করেন তারা একটি সময়সীমার মধ্যে পুরো কেব্‌ল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

সম্প্রচার অঙ্গনে শৃঙ্খলা আনতে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বহু অনিয়ম ছিল, সেগুলো দূর করার ক্ষেত্রে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিশেষত সম্প্রচারের ক্ষেত্রে টেলিভিশনের সিরিয়ালগুলো মানা হতো না। দেখা যেত যে বিদেশি টেলিভিশনে সিরিয়াল আগে এরপরে বাংলাদেশি টেলিভিশনের সিরিয়াল। বারবার নির্দেশনা দেয়ার পরও অতীতে বাংলাদেশের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সিরিয়াল কোনোভাবেই মানা হচ্ছিল না।’

‘কয়েকমাস আগে টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন-এটকো’র সাথে আলোচনা করে টিভি চ্যানেলগুলো স¤প্রচার শুরুর তারিখ অনুযায়ী ক্রম ঠিক করে সেটি কেবল অপারেটরদের-সহ সম্প্রচারের সাথে যুক্তদেরকে দিয়ে সেটি মানার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল’ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একইসাথে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু করি। তারপর এখন বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, শতকরা ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে এই সিরিয়াল মানা হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গা ব্যত্যয় হলেও সেগুলোতে আমরা অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি এবং করবো।’

বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণে প্রাধান্য দেশের শিল্পী, দেশের টিভির

বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণে দেশের শিল্পী, দেশের টিভিকে প্রধান্য দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপনের ওপরই চলে। এবং আমাদের দেশে এখন ৩৩টি টেলিভিশন চ্যানেল স¤প্রচারে আছে, ৪৫টির লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এবং এই টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল। শত শত নয়, কয়েক হাজার সাংবাদিক, সংবাদকর্মী এগুলোর সাথে যুক্ত। শুধু সাংবাদিক, সংবাদকর্মীই নয়, এর সাথে আরো নানাবিধ ব্যবসাও যুক্ত। যেটি আমাদের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

ড. হাছান বলেন, ‘কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছি যে, বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনগুলো বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার করা হয়, অর্থাৎ বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছিল, বিদেশি বিজ্ঞাপন তো আছেই। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী কোনো ধরনের বিজ্ঞাপনেই বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রদর্শিত হতে পারে না। সরকার এই নির্দেশনা জারি করার পর, আইনটি মনে করিয়ে দেওয়ার পর বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার বন্ধ হয়েছে।’

‘কিন্তু এখনো বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রদর্শিত হচ্ছে’ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এর মধ্যে অনেকগুলো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেশেও বাজারজাত করা হয় বিদেশেও বাজারজাত করা হয়।  যদিও বাংলাদেশে বিদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ হয়েছে কিন্তু বিদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন আইন অনুযায়ী প্রদর্শন করা যায় না এবং এটি আইনের লঙ্ঘন। এগুলো আলোচনা করার জন্যই আজকে যারা স¤প্রচারের সাথে যুক্ত তাদের রাখা হয়েছে। এবং বাংলাদেশের শিল্পীদের বঞ্চিত করে বাইরের শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন বানানোর ওপর কি পরিমাণ ট্যাক্স হবে, তা নির্ধারণে ইতোমধ্যেই আমরা সংসদ সদস্যদের চিঠি দিয়েছি। সবার সাথে আলোচনা করেই আমরা সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।’

বিদেশি সিরিয়াল সেন্সর হয়ে সম্প্রচার

মন্ত্রী বলেন, ‘একটি চলচ্চিত্র বানানোর পর সেটি যেখানে সেন্সর বোর্ড হয়ে সম্প্রচারে আসতে হয়। বিদেশি সিরিয়াল যেটি একবার নয়, পঞ্চাশবার, একশবার পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে, সেটি সেন্সর ছাড়া প্রদর্শন হওয়া মোটেও সমীচীন নয়। এটির জন্য পূর্বানুমতিও লাগে। সরকার ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশনা জারি করেছে। এবং যারা প্রদর্শন করছিল, তারা দরখাস্ত করেছে। যেগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে, সেগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা-বিবেচনা করে অনুমোদন দিচ্ছি, যাতে প্রদর্শনে ব্যত্যয় না ঘটে। কিন্তু ভবিষ্যতে এগুলো অবশ্যই সেন্সর হয়ে আসতে হবে।  সেজন্য আমরা একটি কমিটি করে দিচ্ছি। খুব সহসা সেই কমিটি আমরা ঘোষণা করবো।’

১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে অবৈধ ডিটিএইচ

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়, এমনকি অনেক বিত্তবান পরিবারেও দেখা যাচ্ছে, অবৈধ ডিটিএইচ সংযোগ লাগিয়ে সেগুলোর মাধ্যমে দেশি এবং বিদেশি চ্যানেল দেখার এবং প্রদর্শন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। বিদেশি কোনো ডিটিএইচকে বাংলাদেশে স¤প্রচার করার জন্য সরকার অনুমতি দেয়নি। এর জন্য হুন্ডি হয়ে বছরে ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে এই খাতে পাচার হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যেই  নির্দেশনা জারি করেছি যে, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব অবৈধ ডিটিএইচ সংযোগ সরিয়ে নিতে হবে। যারা এগুলো লাগিয়েছেন এবং যারা ব্যবহার করছেন, তাদের ওপরই এই দায়িত্ব বর্তায়। এরপর আমরা যেখানে এই অবৈধ সংযোগ পাবো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

 

‘কেব্‌ল টেলিভিশন পরিচালনা আইন ভেঙে যদি কোনো ব্যক্তি অপরাধ সংগঠন করেন তাহলে অনধিক দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, অনধিক এক লাখ টাকা, অন্যূন পঞ্চাশ হাজার টাকা কারাদণ্ড এবং দ্বিতীয়বার করলে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা অন্যূন এক লাখ টাকা কারাদণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে’ আইন থেকে উদ্ধৃত করেন তথ্যমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বেক্সিমকো কমিউনিকেশন লিমিটেড, যাদু ভিশন লিমিটেড এবং ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেডের প্রতিনিধিবৃন্দ ও কেব্‌ল অপারেটরস এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ-কোয়াবের প্রতিনিধিবৃন্দ ও সরকার নিযুক্ত কোয়াব প্রশাসক মোস্তফা জামাল হায়দার সভায় অংশ নেন।

#

আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                 নম্বর : ৩৯৬৮
 
অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে  --- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
 
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
আজ রাজধানীতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : সরকার, নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট রোহিঙ্গা সমস্যা জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন। রোহিঙ্গাদের বর্তমান সংকটের শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু সমাধানের জন্য সরকার সব ধরনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন শান্তি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালাতে না পারে সেজন্য সরকার সতর্ক রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। বিচারপতি শামসুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মানবাধিকার নেতা জুলিয়ান ফ্রান্সিস, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ (অব.), মানবাধিকার নেতা অশোক বড়ুয়া, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
 
মারুফ/মাহমুদ/ইসরাত/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০২০ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ৩৯৬৭
 
 শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ নেতৃত্ব দিতেন
                              --- তথ্য প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৫তম জন্মদিনে রাসেলকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, শেখ রাসেল জাতির পিতাকে খুব বেশি কাছে পাননি কিন্তু তিনি জাতির পিতাকে অনুসরণ করতেন। শিশু বয়সেই তিনি মুজিব কোট, প্রিন্স স্যুট পরতেন এবং জাতির পিতার মতো উন্মুক্ত চলাফেরা করতে পছন্দ করতেন। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৪ সালের এই দিনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কোল আলোকিত করে ফুটফুটে শেখ রাসেলের জন্ম হয়েছিল। শেখ রাসেলের জীবনকাল এতই ছোট, এতই ক্ষণিকের ছিল যা বাঙালি জাতিকে মর্মাহত করেছিল। মাত্র ১০ বছর বয়সে পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের হাতে বঙ্গবন্ধুর খুব আদরের শিশু সন্তান শেখ রাসেলকে নিহত হতে হয়েছিল। বাঙালি জাতি-সহ সারা বিশ্ব সেই ১৫ আগস্টের জাতির পিতার সপরিবারের ভয়ঙ্কর নৃশংস হত্যাকা-ে বিস
78879814aee9901eec619786f37e7900.docx 78879814aee9901eec619786f37e7900.docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon