তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৯৭
এসডিজি অর্জনে সিরডাপ সহায়ক ভূমিকা রাখছে
-- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, সরকার সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জন করে এখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন করছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বিত গ্রামীণ উন্নয়ন কেন্দ্র (সিরডাপ) সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠানটির ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, সিরডাপের মহাপরিচালক তাভিতা জি বসাক তাজিনাভালু ও সাবেক মহাপরিচালক ড. দুর্গা প্রসাদ পাওডেল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিরডাপ সদস্যদেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি সদস্য দেশগুলোর দারিদ্র্য বিমোচনসহ টেকসই উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সিরডাপ সদস্যভুক্ত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৫টি সদস্যদেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে বলে উল্লেখ করেন এবং এ অঞ্চলের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আরো গতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বিত গ্রামীণ উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার দিকনির্দেশনায় এ অঞ্চলের ১৫টি দেশ নিয়ে ১৯৭৯ সালে সিরডাপ প্রতিষ্ঠিত হয়।
#
আহসান/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৯৬
রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্পের সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী
বিশ^বাণিজ্যে সফলতার জন্য বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির বিকল্প নেই
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ^বাণিজ্যে সফলতা অর্জন করতে হলে বাণিজ্য অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে দ্রত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশ^ব্যাপী এখন ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো অর্থাৎ অনলাইনে স্বল্প সময়ে এবং স্বল্প খরচে ব্যবসা-বাণিজ্য জনপ্রিয়। আমদানি-রপ্তানির কাজে ব্যবহৃত দেশের নৌ ও স্থল বন্দরগুলোকে আধুনিক করতে হবে এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে যাতে যথাসময়ে প্রকল্পের সকল কাজ সম্পন্ন করা যায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্প-১ (বিআরসিপি) এর আওতায় ন্যাশনাল ট্রেড এন্ড ট্রান্সপোর্ট ফেসিলিটেশন কমিটির প্রথম সভায় সভাপতিত্ব করে এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট ভূ-অবকাঠামো ও পদ্ধতিগত পরি-অবকাঠামোর উন্নয়ন, নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সমন্বয় ও দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক সহায়তার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষতায়ন এবং রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সার্বিক সমন্বয়ে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্প-১(বিআরসিপি) গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ^ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে নিবিড়ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ অংশের কাজ বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এর মধ্যে বিশ^ব্যাংকের ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ সরকারের ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অংশে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪ দশমিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এর মধ্যে বিশ^ব্যাংকের ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে ৭ দশমিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অংশে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এর মধ্যে বিশ^ব্যাংকের ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ সরকারের শূন্য দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।
সভায় কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, সড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, রেলপথ বিভাগের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুস সামাদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, আইসিটি ডিভিশনের সচিব জুয়েনা আজিজ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ শিল্প মন্ত্রণালয় কৃষি মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্প বিষয়ে উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী।
#
বকসী/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৯৫
শিশুদেরকে ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা
--- মেহের আফরোজ চুমকি
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, একটি চক্র শিশুদেরকে ভিক্ষাবৃত্তি এবং মাদক ব্যবসায় ব্যবহার করে। অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মাও শিশুদেরকে ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহার করে থাকে। এই ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিশুবান্ধব সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর কাওরান বাজারস্থ দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার অডিটোরিয়ামে বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন ফর সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) এবং দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার যৌথ আয়োজনে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন: শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকরা শিশুর পুষ্টি, শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সর্বোপরি শিশুর সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে মোটামুটি সচেতন রয়েছে কিন্তু অসহায় দরিদ্ররা এখনও শিশু অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়। সরকার এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রায় ৮ লাখ হতদরিদ্র মাকে ২৪ মাস মেয়াদে প্রতি মাসে পাঁচশ’ টাকা হারে ভাতা প্রদান করছে এবং তাদেরকে প্রজনন স্বাস্থ্য, শিশুর পুষ্টি ও শিশু বিকাশ প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। তিনি বলেন, পথশিশুদের পুনর্বাসন কাজটি অত্যন্ত জটিল। অনেক সময় শিশুরাই রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াতে চায় কিন্তু শেল্টার হোমে আসতে চায় না।
দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদক তাসলিমা হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বেগম জেবুন্নেছা আফরোজ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী ও বেগম কামরুন্নাহার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মোস্তান হোসেন, এএসডির নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক শহীদ মাহমুদ, ইউনিসেফ এর সামাজিক নীতি বিশেষজ্ঞ হাসিনা বেগম, পুলিশের উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের ডিসি ফরিদা ইয়াসমিন, আইএলও এর ন্যাশনাল প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর সৈয়দা মুনিরা সুলতানা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদা রওনক প্রমুখ।
#
খায়ের/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৭৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৯৪
নারায়ণগঞ্জ ও কক্সবাজারে নির্বাচনি এলাকায় ২৫ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার ও গোপালদী পৌরসভা এবং কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ২৫ জুলাই ২০১৮ বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সরকারি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোট গ্রহণের সুবিধার্থে এ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় যদি উক্ত তারিখে কোনো পাবলিক পরীক্ষা নির্ধারিত থাকে, তাহলে পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহ ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক/কর্মচারীগণ সাধারণ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।
#
হেলালুজ্জামান/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৮/১৭৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৯৩
২০১৮ সালে অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৩য়
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ ( ১৮ জুলাই) :
জাতিসংঘের সংস্থা FAO এর সর্বশেষ প্রতিবেদনানুযায়ী ২০১৮ সালে অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ৩য় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে অথচ ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই অবস্থান ছিল পঞ্চম। চীন ও ভারতের পরেই এখন বাংলাদেশের অবস্থান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ আজ মৎস্য ভবনের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
বাংলাদেশ ইকোনমিক রিভিউয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশের জিডিপিতে মৎস্যখাতের অবদান এখন ৩.৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে এখাতের অবদান ২৫.৩০ শতাংশ। দেশের মোট জনগোষ্ঠির ১১ শতাংশের অধিক লোক মৎস্য আহরণে জড়িত। ২০১৭-১৮ সালে দেশ প্রায় ৬৯ হাজার মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় দেশের জনগণ এখন জনপ্রতি গড়ে ৬২.৫৮ গ্রাম মৎস্য গ্রহণ করছে, যদিও জনপ্রতি দরকার মাত্র ৬০ গ্রাম। জাটকা নিধন রোধের কার্যকারিতার দরুণ ব্যাপক ইলিশ উৎপাদনের কারণে ২০১৭-১৮ সালে প্রায় ৫ লক্ষ টন ইলিশ উৎপাদিত হয়েছে, ২০০৮-০৯ সালে যা ছিল প্রায় ৩ লাখ টন।
মন্ত্রী জরিপ জাহাজ আরভিমীন সন্ধানীর দ্বারা সমুদ্র জরিপ প্রসঙ্গে জানান, ইতিমধ্যে আমাদের সমুদ্রসীমায় ২৯৮ প্রজাতির মাছ, ২৩ প্রজাতির চিংড়িমাছ, ১৬ প্রজাতির ক্রাস্টেপিয়ান ও ১২ প্রজাতির মলাস্কা চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ সালে প্রায় ৪২ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশ মাছে স্বয়ম্ভরতা অর্জন করেছে, যা আমাদের ধরে রাখতে হবে। সারাবিশ্বে একমাত্র বাংলাদেশি মাছ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে ইলিশ মাছের GI সনদ প্রাপ্তির কথা উল্লেখ করে তিনি মৎস্যখাতের জন্য যথাযথ অবদান রাখায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলেসহ মিডিয়াকর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জাটকা নিধন রোধে সহায়তা করায় ২০১৭-১৮ সালে প্রায় আড়াইলাখ জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে প্রায় ৪০ হাজার টন খাদ্য সহায়তা এবং ২২দিন পর্যন্ত মা-ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখায় বিগত ২ বছরে প্রায় ৪ লাখ জেলে পরিবারকে প্রায় ১৫ হাজার টন ভিজিএফ দেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
#
শাহ আলম/অনসূয়া/জসীম/শামীম/২০১৮/১৫৪৫ ঘণ্টা