Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ মার্চ ২০২০

তথ্যবিবরণী ৩০ মার্চ ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                 নম্বর : ১১৭৭

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিরাজমান পরিস্থিতিতে জনগণের

সুরক্ষা বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামের আহ্বান

ঢাকা, ১৬ চৈত্র (৩০ মার্চ) :

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গতকাল (২৯ মার্চ) রবিবার সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিরাজমান পরিস্থিতিতে জনগণের সুরক্ষা বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে জরুরি বৈঠকে মিলিত হন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আনিস মাহমুদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নূরুল ইসলাম।   

সভায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা বিষয়ে উপস্থিত বিশিষ্ট আলেমগণ স্ব স্ব মতামত উপস্থাপন করেন। এছাড়া আল্লামা আহমদ শফি, চেয়ারম্যান, হাইয়াতুল উলয়া বাংলাদেশ ও মহাপরিচালক, আল জামিয়াতুল দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম; আল্লামা মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী, মহাপরিচালক, আল জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম; মুফতি নুরুল ইসলাম, নাযেমে তা‘লীমাত, গওহরডাঙ্গা মাদরাসা, গোপালগঞ্জ; মুফতি মুহাম্মদ ছালাহ উদ্দীন, মুহতামিম, জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া, নানুপুর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম; মাওলানা মুহিব্বুল হক, মুহতামিম, জামেয়া কাসিমুল উলূম দরগাহে শাহজালাল (রাহ), সিলেট; মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, খতীব, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ, চট্টগ্রাম; আল্লামা সৈয়দ অছিউর রহমান, প্রিন্সিপাল, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া, চট্টগ্রাম ও আল্লামা মুফতি মোবারকুল্লাহ, মুহাতামিম, জামিয়া ইউনুছিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রমুখের নিকট থেকে ই-মেইলের মাধ্যমে গৃহীত মতামত বিবেচনা করা হয়। সভায় উপস্থিত ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য এবং ই-মেইলের মাধ্যমে প্রাপ্ত মতামত পর্যালোচনা করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সুরক্ষার জন্য ওলামায়ে কেরাম তাদের মতো করে নিম্নরূপ আহ্বান জানিয়েছেন:

বিশ্ব আজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। আমাদের দেশও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার ও জনগণ চরম উদ্বিগ্ন। এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা তৈরি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসমূহ মেনে চলা আবশ্যক।

ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে প্রণীত নির্দেশনাসমূহ

(ক) তওবা, ইস্তেগফার ও দুআ: পৃথিবীতে যা কিছু হয় আল্লাহ তাআলার হুকুমেই হয়। রোগবালাই, মহামারি সবই আল্লাহর হুকুমে আসে। আবার তাঁর হুকুমেই নিরাময় হয়। এ বিশ্বাস সকল মুমিনেরই থাকতে হবে। এ মহামারি থেকে বাঁচার জন্য মহান আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে। আমাদের অপরিহার্য কর্তব্য হলো সকল গুনাহ ও অপরাধ হতে বিরত থেকে বেশি বেশি তওবা ও ইস্তিগফার করা এবং নিম্নের দুআগুলো সর্বদা পড়তে থাকা।

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

বাংলা উচ্চারণ: ‘বিছমিল্লা হিল্লাযি লা ইয়াদুররু মা‘আছমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিছছামায়ি ওয়া হুয়াছ্ ছামিয়ুল আলিম।’

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ، وَالْجُنُونِ، وَالْجُذَامِ، وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ

বাংলা উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘উজুবিকা মিনাল বারাছি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়ামিন সায়্যিইল আসকাম।’

لَّاۤ إِلَـٰهَ إِلَّاۤ أَنتَ سُبۡحَـٰنَكَ إِنِّی كُنتُ مِنَ ٱلظَّـٰلِمِینَ

বাংলা উচ্চারণ: ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুন্তু মিনাজ্ জলিমীন।’

 (খ) সতর্কতা অবলম্বন: রোগ ও ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য সতর্কতা অবলম্বন ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সতর্কতা অবলম্বন তাওয়াক্কুল পরিপন্থী নয়। বরং নবীজী (সা) এর সুন্নত।

(গ) মসজিদ সংক্রান্ত: মসজিদে নিয়মিত আযান, ইকামত, জামাত ও জুমার নামাজ অব্যাহত থাকবে। তবে জুমআ ও জামাতে মুসল্লিগণের অংশগ্রহণ সীমিত থাকবে অর্থাৎ নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গ জুমআ ও জামাতে অংশগ্রহণ করবেন না:

(১) যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত,

(২) যাদের সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট আছে,

(৩) যারা আক্রান্ত দেশ ও অঞ্চল থেকে এসেছেন,

(৪) যারা উক্তরূপ মানুষের সংস্পর্শে গিয়েছেন,

(৫) যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত,

(৬) বয়োঃবৃদ্ধ, দুর্বল, মহিলা ও শিশু,

(৭) যারা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ও

(৮) যারা মসজিদে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করেন তাদেরও মসজিদে না আসার অবকাশ আছে।

চলমান পাতা/০২

--০২--

               

                যারা জুমআ ও জামাতে যাবেন তারা সকলেই যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা অবলম্বন করবেন। ওযু করে নিজ নিজ ঘরে সুন্নাত ও নফল আদায় করবেন। শুধু জামাতের সময় মসজিদে যাবেন এবং ফরজ নামাজ শেষে দ্রুত ঘরে চলে আসবেন। সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া, মাস্ক পড়া, জীবাণুনাশক দ্বারা মসজিদ ও ঘরের মেঝে পরিস্কার রাখাসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সকল নির্দেশনা মেনে চলবেন। হঠাৎ হাঁচি-কাশি এসে গেলে টিস্যু বা বাহু দিয়ে মুখ ঢেকে রাখবেন।

(ঘ) খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিটির করণীয়:

(১) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদকে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং কার্পেট-কাপড় সরিয়ে ফেলা।

(২) জামাত সংক্ষিপ্ত করা।

(৩) জুমার বয়ান, খুতবা ও দোয়া সংক্ষিপ্ত করা।

(৪) বর্তমান সংকটকালে দরসে হাদীস, তাফসির ও তা’লীম স্থগিত রাখা।

(৫) ওযুখানায় অবশ্যই সাবান ও পর্যাপ্ত টিস্যু রাখা।

(৬) বর্তমান পরিস্থিতিতে জামাতের কাতারে ফাঁক ফাঁক হয়ে দাঁড়ানো।

(৭) ইশরাক, তিলাওয়াত, যিকির ও অন্যান্য আমল ঘরে করা।

(৮) ঢাকাসহ দেশের কোন মসজিদে যদি কোন বিদেশী মেহমান অবস্থানরত থাকেন তাদের বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে সত্ত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 

(ঙ) করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফন ও জানাযা: হাদিসের বর্ণানুযায়ী মহামারিতে মৃত মুমিন ব্যক্তি শহীদের মর্যাদা লাভ করেন। করোনায় মৃত ব্যক্তির কাফন, জানাযা ও দাফন যথাযথ মর্যাদার সাথে করা জরুরি। করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফনে সহযোগিতা করুন। তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ বা কোনরূপ অসহযোগিতা করা শরীয়তবিরোধী ও অমানবিক।

(চ) দান-সাদকা: হাদিস শরীফে আছে দান-সাদকা দ্বারা বালা মছিবত দূর হয়। এই সংকটকালীন সময়ে আল্লাহর রহমত লাভের উদ্দেশ্যে দুস্থ ও অসহায়দের বেশি বেশি দান-সাদকা করুন। নিম্ন আয়ের মানুষের নিকট খাদ্যপণ্য পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করুন।

(ছ) গুজব সৃষ্টি না করা: এ সমস্ত বিষয়ে গুজব মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই গুজব সৃষ্টি করা বা গুজবে বিশ্বাস করা সর্বোতোভাবে বর্জন নিশ্চিত করতে হবে।

(জ) প্রচার-প্রচারণা: ওলামায়ে কেরামের এ আহ্বান আন্তরিকতার সাথে ব্যাপক প্রচার ও বাস্তবায়নের জন্য দেশের সকল মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, গণমাধ্যম, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারী/শিক্ষকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।

করোনা ভাইরাসের এই সংকটকালে শরীয়তের দিক নির্দেশনা চেয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের পরামর্শ গ্রহণ করায় ওলামায়ে কেরাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। একই সাথে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ সময়োচিত উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের মধ্যে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ, জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুমের মুহতামিম মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, শায়খ যাকারিয়া (র.) ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মীযানুর রহমান সাঈদ, জাতীয় মুফতি বোর্ডের সদস্য সচিব মুফতি মোঃ নূরুল আমীন, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. আল্লামা কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী, জামেয়া রহমানিয়ার মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুল হক, চরমোনাই কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোঃ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মদীনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক আল আযহারী,  ইদারাতুল উলূম আফতাবনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মোহাম্মদ আলী, দারুল উলূম রামপুরার মুহতামিম মুফতি ইয়াহ্ইয়া মাহমুদ, জামিয়াতুল ‍উলুমের মুহতামিম মুফতি মাহমুদুল হাসান, বায়তুল উলূম ঢালকানগর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জাফর আহমাদ, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, মহাখালী হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আল মারুফ, নারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসন জামে মসজিদের খতিব শায়খ আহমাদুল্লাহ, তেজগাঁও জামেয়া ইসলামিয়ার শায়খুল হাদিস ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান ও মুফাসসির ড. মাওলানা আবু ছালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী, পেশ ইমাম মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেম, চকবাজার শাহী মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, বড় কাটরা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি সাইফুল ইসলাম মাদানী, শামসুল উলূম মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি শারাফাত হোসাইন, মাদানীনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ফয়জুল্লাহ এবং উস্তাদ মুফতি মাহবুবুর রহমান প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।

#

 

আনোয়ার/আলমগীর/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/২১৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১১৭৬

 

প্রযুক্তির সাহায্যে করোনার ঝুঁকি নির্ণয় ও সেবা দিতে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে

                                                                        -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ চৈত্র (৩০ মার্চ) :

 

          করোনা পরিস্থিতিতে নাগরিকদের তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নির্ণয় ও সেবা দিতে বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

 

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ তাঁর বাসভবন থেকে জুম পদ্ধতি অবলম্বনে সরাসরি এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

 

          ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক এই প্ল্যাটফর্মগুলো হলো- লাইভ করোনা টেস্ট ডট কম, করোনা অ্যাকশন বট (ক্যাব), কল ফর ন্যাশন ডট কম, প্রবাসী হেলপ লাইন ডট কম, এমনমি আইসিটি ডিভিশন বিডি এবং স্টার্টাপ ডট গভ ডট বিডি। এর মাঝে স্টার্টাপ বাংলাদেশ ডট গভ ডট বিডি প্ল্যাটফর্মে ১৭টি ভিন্ন আলাদা প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। স্টার্টাপ বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন প্রযুক্তি কর্মজীবী, প্রযুক্তি প্রকৌশলী ও উদ্যোক্তাগণ এসব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে।

 

          এসকল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি সহজেই করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নির্ণয় ও বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশি প্রবাসীরা সংশ্লিষ্ট দেশের করোনা সম্পর্কে ঝুঁকি ও তথ্য জানতে পারবেন।

 

          এই প্ল্যাটফর্মের সাথে যারা নিজেদের পণ্য, সেবা বা আইডিয়া নিয়ে যুক্ত হতে আগ্রহী তাদের জন্য আর্থিক পুরস্কারসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা রাখছে আইসিটি বিভাগ। এতে নিবন্ধনের সময়সীমা শুরু হচ্ছে ৩১ মার্চ থেকে। সফটওয়্যার জনিত উদ্ভাবনের জন্য আবেদন জমা দেওয়া যাবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং ভিডিওসহ অন্যান্য প্রযুক্তিগত আবেদন জমা দেওয়া যাবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৫ এপ্রিল বিচারক প্যানেল তাদের মতামত জানাবেন আর ১৭ এপ্রিল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

 

          এসব পদক্ষেপ সম্পর্কে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, Ôএই দুর্যোগকালীন সময়ে অনেকেই অনেক ধরনের সমাধান নিয়ে আসছেন। আইসিটি বিভাগ থেকেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।  আমাদের উদ্দেশ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি আর এই যুদ্ধে আমাদের কাজ হচ্ছে ঘরে থাকা। এই ঘরে থাকার সময়ে জনগণের জন্য শিক্ষা, বিনোদন, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, তথ্য-সহ বিভিন্ন ধরনের সেবা আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

 

          আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমসহ বিভাগ এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

 

শহিদুল/আলমগীর/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/২০৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১১৭৫

 

তেজগাঁও ও আগারগাঁও বস্তিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ বিতরণ

 

ঢাকা, ১৬ চৈত্র (৩০ মার্চ) :

 

          আজ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ঢাকায় তেজগাঁও বস্তিতে ৩০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে। প্রতিটি প্যাকেটে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, আধাকেজি সয়াবিন তেল, ১ কেজি ডাল, ১টি সাবান ও ১টি মাস্ক দেয়া হয়। অন্যদিকে, আগারগাঁও বস্তিতে পৃথকভাবে ২০০ প্যাকেট রান্নাকৃত খাবার বিতরণ করা হয়।

 

          এসব খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী, সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম-সহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

 

#

 

শাহআলম/আলমগীর/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৯৪৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ১১৭৪

 

দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে

                                  -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৬ চৈত্র (৩০ মার্চ) :

 

          স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে 'সামাজিক দূরত্ব' নিশ্চিতকল্পে সরকার দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে এবং সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক দরিদ্র লোকের পক্ষে খাবার জোগাড় করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার তাঁদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

 

          আজ রাজধানীর মিরপুরে কল্যাণপুর নতুন বাজার পোড়াবস্তিতে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

          মন্ত্রী বলেন, দুস্থ ও অসহায় মানুষদের জন্য মানবিক বিবেচনায় ঢাকা ওয়াসা এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আজ এখানে দেড়শ’ পরিবারসহ ঢাকা শহরে প্রায়  দুই হাজার তিনশ’ পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সারা দেশে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা-সহ অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেও সরকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে উপকারভোগীর সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।

 

#

 

হাসান/আলমগীর/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৮৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১১৭৩

 

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১৬ চৈত্র (৩০ মার্চ) :

 

          করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ৬৪টি জেলায় এ পর্যন্ত  ৮ কোটি ৮৯ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা খয়রাতি সাহায্য নগদ এবং ৩১ হাজার ২শত ১৭ মেঃটন চাল বরাদ্দ করেছে।

 

          দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য সমগ্র দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। আজ ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) এর মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।

 

          এদিকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরো একজনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৯ জন। আগে আক্রান্তদের মধ্যে আরো ৪ জন-সহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১৯ জন। এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছে ৫ জন।  বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ২৩ হাজার ৩শত ৬৬ জন এবং আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৩২ জন।

 

#

 

তাসমীন/আলমগীর/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৯০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ১১৭২

 

স্টেডিয়ামগুলোকে প্রয়োজনে করোনা চিকিৎসায় হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে

                                                                     -- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৬ চৈত্র (৩০ মার্চ) :

 

          ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সকল স্টেডিয়াম বিশেষ করে ইনডোর স্টেডিয়ামসমূহ প্রয়োজনে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল। 

 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যে সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সরকার গৃহীত সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মহামারী রূপ ধারণ করে নাই। তবে আমাদের আত্মতুষ্টিতে বসে থাকলে চলবে না। দেশের সকল স্টেডিয়াম বিশেষ করে ইনডোর স্টেডিয়ামসমূহকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্হানীয় প্রশাসন চাহিদামাফিক করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করতে পারবে। 

 

          দেশবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য মজুত আছে। আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন।’ বিদেশ থেকে দেশে আসা প্রবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিদেশ ফেরতরা ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইনের নিয়ম মেনে চলুন। ইনশাআল্লাহ বৈশ্বিক এই সমস্যা আমরা সমাধান করতে সক্ষম হবো।’

 

          আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

#

 

আরিফ/আলমগীর/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৭৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর : ১১৭১

'করোনা' মোকাবিলায়  গণমাধ্যম ও সরকার আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে

                                                                            -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ চৈত্র (৩০ মার্চ) :

            'করোনা' দুর্যোগ মোকাবিলায় গণমাধ্যম ও সরকার আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে, জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ। 

            মন্ত্রী আজ ঢাকায়  মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে গণমাধ্যম নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকের পর এ কথা জানান। 

            নিউজপেপারস ওনার্স এসোসিয়েশন অভ বাংলাদেশ- নোয়াব-এর সভাপতি এ কে আজাদ, নির্বাহী সদস্য মতিউর রহমান ও তারিক সুজাত, সম্পাদকীয় পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম, সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম, এসোসিয়েশন অভ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো এর সিনিয়র সহসভাপতি ও এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু ও এটকো'র অন্যতম পরিচালক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বৈঠকে যোগ দেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাহানারা পারভীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

            করোনা সংকট মোকাবিলা ও এই সংকটের কারণে গণমাধ্যমে নতুনভাবে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগে ঐক্যমত্যের কথা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বৈশ্বিক দুর্যোগের এ সময় আমাদের দেশও করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকেনি। এই প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্র ও টেলিভিশন মালিক, সম্পাদকীয় পরিষদ ও এডিটরস গিল্ড নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা হয়েছে। এ দুর্যোগ মোকাবিলায় মানুষকে অবহিত ও সতর্ক করা, সঠিক চিত্র তুলে ধরা ও সার্বিকভাবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাপক।' 

            সরকার ও গণমাধ্যমসহ আমরা সকলে যাতে একসাথে কাজ করে এই সংকট থেকে উত্তরণ করতে পারি, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী জানান, আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি যে, বৈশ্বিক দুর্যোগের এ সময় অবশ্যই আমরা সবাই একযোগে কাজ করবো। 

            জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, 'অতীতেও আমরা দেখেছি, এমন দুর্যোগের সময়ে নানা ধরণের গুজব রটানো হয়, কিছু অনলাইন পোর্টাল  থেকে মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্য ভুয়া সংবাদ পরিবেশিত হয়। এই গুজব ও মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে আমাদের মূলধারার গণমাধ্যমগুলো ভূমিকা রাখতে পারে এবং রাখছে। সরকারও তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।'

            'সেইসাথে এ ধরণের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কীভাবে আরো জোরালো ভূমিকা রাখা যায়, সে বিষয়ে আমরা মূলধারার গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছি' জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমরা সবাই একমত হয়েছি যে, এ সময় জনগণকে আতঙ্কিত করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়, বরং সতর্ক করা দরকার এবং সরকার ও সবাই আর কী কী করতে পারি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আরো কী যুক্ত করতে পারি, সে বিষয়ে আমরা আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবো।'

            করোনা পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমে সৃষ্ট সমস্যাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় এনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই সংকটময় সময়ে সংবাদপত্র ও টেলিভিশনও নানা সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, বিশেষ করে সংবাদপত্রের সার্কুলেশন কমে গেছে, কোনোটা অর্ধেকে নেমে এসেছে, কোনোটা আরো কমে গেছে। হকারেরা ও সংবাদপত্রে যারা দৈনিকভিত্তিতে কাজ করে, তারা নানা সমস্যায় পড়েছে। টেলিভিশনেও কিছু সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যাগুলো মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে কী কী করা যায়, তাদের পাওনা বিলগুলো যাতে আমরা তাড়াতাড়ি দিতে পারি, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।'

            বৈঠক শেষে বিটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সম্পাদকীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম এ সময় সংকট উত্তরণে সরকারের সাথে একযোগে কাজের বিষয়ে ঐকমত্যের কথা জানিয়ে বলেন, বিশ্বব্যাপী সংকটের সময়ও গণমাধ্যম ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখে এবং রাখবে। সংবাদপত্র শিল্পের স্বার্থে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে পত্রিকাগুলোর পাওনা বিলগুলো দ্রুত পরিশোধের অনুরোধ জানান তিনি। 

            এটকো সহসভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু সাংবাদিকরা এ সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করেন ও আগামী পাঁচ মাসের জন্য এটকোকে একটি থোক বরাদ্দের অনুরোধ জানান। তিনিও সরকারের কাছে টিভিগুলোর পাওনা বিজ্ঞাপন বিল দ্রুত পরিশোধের অনুরোধ জানান। গুজব প্রতিরোধে মূলধারার গণমাধ্যম দৃঢ় ভূমিকা রাখবে, বলেন বাবু। 

#

আকরাম/আলমগীর/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৭২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ১১৭০

 

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান

                                                              - শিল্প প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ চৈত্র (৩০ মার্চ) :

          করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের আরো এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সুবিধা স¤প্রসারিত করা হচ্ছে, পাশাপাশি সারা দেশের দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

          শিল্প প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকার মিরপুরের ইব্রাহীমপুর, ইব্রাহীমপুর বাজার ও দক্ষিণ কাফরুলে গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য ও স্বাস্থ্য-সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী এসময় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য-সুরক্ষার সকল নিয়মকানুন সঠিকভাবে পালনের বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

          এসময় করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্নআয়ের মানুষদের সাহায্যার্থে শিল্প প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত পক্ষ হতে প্রায় সাতশ’ পরিবারকে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন। প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১টি সাবান ও ১টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।

          শিল্প প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সকল উপকরণ দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষদের মাঝে পৌঁছে দেন। কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আলাউদ্দিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

#

মাসুম/জাহাঙ্গীর/জয়নুল/২০২০/১৫৪৫ঘণ্টা

2020-03-30-21-41-a09a6964d527a96e0d17a17aeaa82246.docx 2020-03-30-21-41-a09a6964d527a96e0d17a17aeaa82246.docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon