তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০২৫
সরকার সংস্কৃতির সকল শাখায় সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করেছে
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সরকার নাটক, সংগীত, নৃত্য, চারুকলা-সহ সংস্কৃতির সকল শাখায় সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করেছে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সারা দেশের সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা তথা পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সদাপ্রস্তুত রয়েছে। সারা দেশে সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে বেগবান করতে সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের উচিত এক্ষেত্রে আরো তৎপর হওয়া ।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠার তিন যুগ পূর্তি উপলক্ষে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় আয়োজিত দশ দিনব্যাপী (২১ হতে ৩০ অক্টোবর) ‘বাংলা নাট্যোৎসব ২০১৯’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কে এম খালিদ বলেন, ভারত বিদ্যুৎ দিয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যকে ফেনী নদীর পানি দিয়ে সহযোগিতা করেছে এবং ট্রানজিট ও নৌবন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ত্রিপুরা তাঁদের সে সময়ের জনসংখ্যার তিনগুণ বাংলাদেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রতিমন্ত্রী এ সময় দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের মাত্রা অদূর ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে নাট্যোৎসব উদ্বোধন করেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের চিফ হুইপ কল্যাণী রায়, বিশ্ব আইটিআই এর সাম্মানিক সভাপতি নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মানিত উপদেষ্টা মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলা নাট্যোৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কবির আহমেদ।
#
ফয়সল/ফারহানা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৯/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪০১৮
বাজার তদারকি
৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা
ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর) :
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গতকাল ঢাকাসহ সারাদেশে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
রাজধানীর তেজগাঁও এবং গুলশান এলাকায় বাজার তদারকিকালে ধার্য্কৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ‘আগোরা’ পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘মোতাহার স্টোর’, ‘জাহাঙ্গীর স্টোর’, ‘বাবুলের গোস্তের দোকান’, ‘মেসার্স বাসার ট্রেডার্স’, ‘মেসার্স ইহাস ট্রেডার্স’, ‘মানিক ট্রেডার্স’, ‘কুমিল্লা বাণিজ্যালয়’, ‘আবদুল গণি পাটোয়ারী স্টোর’, ‘সেকান্দার এন্টারপ্রাইজ’, ‘সামাদের কাঁচাবাজার’, ‘লিটিল ইন্ডিয়া’, ‘মনা দধি ভান্ডার’, ‘মেসার্স মমতাজ ট্রেডার্স’ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘মোহাম্মদীয়া হোটেল’, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘ইসলামিয়া জেনারেল স্টোর’ ও ‘বিসমিল্লাহ স্টোর’ কে যথাক্রমে মোট ৭৯ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ২৫টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্কৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবাগ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৫৮টি প্রতিষ্ঠানকে
২ লক্ষ ৭ হাজার ৫০০ জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির ভিত্তিতে ধার্য্কৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি ও প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং আইনানুযায়ী ৪ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ প্রদান করা হয়।
#
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০১৯/১৫৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪০১৭
শিলং সংলাপ এবং ইন্দো-বাংলাদেশ স্টেকহোল্ডার
সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত গেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ‘শিলং সংলাপ-২০১৯’ এবং আসাম রাজ্যের গৌহাটিতে অনুষ্ঠেয় ‘ইন্দো-বাংলাদেশ স্টেকহোল্ডার সম্মেলন’ এ যোগ দিতে আজ ভারত এর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
আগামী ২২-২৩ অক্টোবর ভারতের আসাম রাজ্যের গৌহাটিতে ইন্দো-বাংলাদেশ স্টেকহোল্ডার সম্মেলন এবং ২৪-২৫ অক্টোবর মেঘালয় রাজ্যে শিলং সংলাপ-২০১৯ অনুষ্ঠিত হবে। এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স এবং ইন্ডিয়া ইষ্ট এশিয়া সেন্টার এর আমন্ত্রণে এ দু‘টি অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন মন্ত্রী।
শিলং সংলাপের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারত ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মধ্যে পর্যটন এবং কৃষি ও উদ্যানতত্ত্ব খাতে মূল্য সংযোজন প্রক্রিয়ার উন্নয়ন। এ সংলাপে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিশেষতঃ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং দু’দেশের মানুষের মধ্যেও যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আগামী ২৫ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
#
বকসী/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/শামীম/২০১৯/১৫১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪০১৬
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ অক্টোবর ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বাংলাদেশে তৃতীয়বারের মতো ২২ অক্টোবর ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০১৯’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জীবনের আগে জীবিকা নয়, সড়ক দুর্ঘটনা আর নয়’ অত্যন্ত যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত পরিবহন সেবা অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। এ উপলব্ধি থেকে স্বাধীনতার পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের বিধ্বস্ত সড়ক ও ধ্বংসপ্রাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থাকে স্বল্প সময়ের মধ্যে সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করে সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিগত পৌনে এগার বছরে দেশের উন্নত সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। দেশের সকল জাতীয় মহাসড়ক পর্যায়ক্রমে চার বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীতকরণ, মেট্রোরেল, বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, ওভারপাস-আন্ডারপাস নির্মাণসহ নতুন নতুন সড়ক, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ করা হচ্ছে।
আমাদের সরকার সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ন্যাশনাল রোড সেফটি স্ট্র্যাটেজিক অ্যাকশন প্ল্যান (২০১৭-২০) প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ জাতীয় সংসদে পাশ করা হয়েছে। এ আইনটি প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্ঘটনা ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সড়ককে নিরাপদ করতে ডিভাইডার স্থাপন, বাঁক সরলীকরণ, সড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণ, গতিনিয়ন্ত্রক বসানোসহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আনয়ন এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে আমরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর এবং টেকসই নিরাপদ মহাসড়ক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের সরকারের লক্ষ্য।
সড়ক দুর্ঘটনা মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে, আবার কাউকে পঙ্গু করে দিতে পারে। একটি দুর্ঘটনা কোন ব্যক্তি বা তার পরিবারের জন্য সারাজীবন দুঃসহ কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অস্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চালানো সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। নিয়ন্ত্রিত গতিতে এবং সাবধানে গাড়ি চালানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন হতে হবে। মনে রাখতে হবে জীবনের প্রয়োজনে জীবিকা, জীবিকার প্রয়োজনে জীবন নয়। জাতীয় সড়ক নিরাপদ দিবস ২০১৯ সামনে রেখে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ট্রাফিক আইন মেনে চলার সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দেশের সড়কগুলোকে নিরাপদ হিসেবে গড়ে তুলে সড়ক দুর্ঘটনা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সক্ষম হব।
আমি ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/দীপংকর/শামীম/২০১৯/১১.০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪০১৫
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২২ অক্টোবর ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০১৯’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘জীবনের আগে জীবিকা নয়, সড়ক দুর্ঘটনা আর নয়’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি। আমি আশা করি, এ আয়োজন নিরাপদ সড়ক ব্যবহারে জনগণের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে সহায়ক হবে।
টেকসই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে উন্নত পরিবহন সেবার বিকল্প নেই। সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। একটি সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়েকে ফোর লেনে উন্নীত করা হয়েছে। বাস্তবায়িত হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, বাস র্যা পিড ট্রানজিট এর মতো মেগা প্রকল্প। নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান। এছাড়াও অন্যান্য মহাসড়কসমূহ চার বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীতকরণ, ফ্লাইওভার এবং ওভারপাস নির্মাণ, ট্রাফিক সাইন ও রোড মার্কিং স্থাপন, মহাসড়কের পাশে বিশ্রামাগার নির্মাণ, চালকদের প্রশিক্ষণসহ নানামুখী উদ্যোগ ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
দেশের সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়নের সাথে সাথে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে পরিবহন মালিক, শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী নির্বিশেষে সকলের এ সংক্রান্ত আইন ও বিধিবিধান জানা এবং তা মেনে চলা আবশ্যক। এর মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি। সড়ককে দুর্ঘটনামুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে- এ প্রত্যাশা করি।
আমি ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০১৯’ এর সকল কর্মসূচি সফল ও সার্থক হোক - এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”।
#
হাসান/অনসূয়া/দীপংকর/শামীম/২০১৯/১১.০০ ঘণ্টা