Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১৪ জানুয়ারি ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২৩৫০

শৈত্য প্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় কৃষি পরামর্শ

ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৪ জানুয়ারি) :

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) এর তথ্য অনুসারে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাটের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আগামী দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

এ মৃদু শৈত্য প্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মাঠের ফসল রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত জরুরি পরামর্শসমূহ প্রদান করা হলো:

- কুয়াশা ও মৃদু/তীব্র শীতের এ অবস্থায় বোরো ধানের বীজতলায় ৩-৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে।

-ঠান্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা এবং চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বীজতলা রাতে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে, বীজতলা থেকে পানি সকালে বের করে দিয়ে আবার নতুন পানি দিতে হবে এবং প্রতিদিন সকালে চারার ওপর জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে।

-আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর নাবী ধ্বসা রোগের আক্রমণ হতে পারে। প্রতিরোধের জন্য অনুমোদিত মাত্রায় ম্যানকোজেব গোত্রের ছত্রাকনাশক ৭-১০ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।

-সরিষায় অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে অনুমোদিত মাত্রায় ইপ্রোডিয়ন গোত্রের ছত্রাকনাশক ১০-১২ দিন পর পর ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করতে হবে।

- ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করতে হবে। কচি ফল গাছ ঠান্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

#

কামরুল/মোশারফ/শামীম/২০২৩/২২৩০ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                          নম্বর : ২৩৪৯

টানা দ্বিতীয়বার এলজিআরডি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মোঃ তাজুল ইসলাম

ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৪ জানুয়ারি) :

          আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিলেন মোঃ তাজুল ইসলাম। তিনি সচিবালয়ে এসে পৌঁছালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল অধিদপ্তরের দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

          স্থানীয় সরকার মন্ত্রী গণমাধ্যমের সাথে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের চলমান প্রকল্পগুলো গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে, এছাড়াও সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় নতুন প্রকল্প নেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছেন তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে যে ধরনের কর্মপরিকল্পনা দরকার তা করা হবে।

          এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন মন্ত্রী। তিনি এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তাদের বলেন, আপনাদের সাথে পূর্বে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে আরো সুন্দর এবং জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে কাজ করলে তা সবার জন্য কল্যাণকর হবে। যেহেতু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে একটি ইশতেহার দিয়েছে এবং জনগণ সেজন্য নৌকাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে, তাই সে ইশতেহার অনুযায়ী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে আমাদের ভবিষ্যতের পথ চলতে হবে। অতীতের মতো সামনের দিনগুলোতেও মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সব অধিদপ্তর দেশ ও মানুষের উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

          মন্ত্রী বলেন, গত ৫ বছর এই মন্ত্রণালয় পরিচালনার অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক সম্মৃদ্ধ করেছে, আমাদের সকল প্রতিষ্ঠান যার যার জায়গা থেকে কাজ করলে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। এ সময় গৃহীত প্রতিটি প্রোজেক্টের কোয়ালিটি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

          এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সভাকক্ষে সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমসহ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অধীন সকল দপ্তর প্রধানদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। মন্ত্রী পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দপ্তরগুলো পরিচালনে সমবায় সমিতি আইন যুগোপযোগী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সমবায় বিভাগের সকল  দপ্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।

#

 হেমায়েত/সায়েম/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২২০০ ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                                   নম্বর : ২৩৪৮

স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে চাই

                                                         --- বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৪ জানুয়ারি) :

            নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তাদের নিকট ন্যায্যমূল্য পৌঁছে দিতে স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)।

            পণ্য মজুত করে কেউ কৃত্রিম সংকটের চেষ্টা করলে শক্তভাবে মোকাবিলার হুঁশিয়ারি দেন এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সরকার থেকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী।

            আজ সচিবালয়ে প্রথম কর্মদিবসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধানদের সাথে সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। ভয়-ভীতি নয় আমরা সবাই আমাদের দেশকে ভালোবাসি। দেশের মানুষ ভালো থাকুক এটাই সবার প্রত্যাশা। এ দেশের মানুষ যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করে তারা মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই সরকারের কাজ।

            আহসানুল ইসলাম বলেন, সরবরাহ ভালো থাকলে বাজারে কেউ কারসাজি করার সুযোগ পাবে না। আবার কোনো ব্যবসায়ী মহল উচ্চমূল্যে বিক্রিরও সুযোগ পাবে না। কারসাজি করে বাজার অস্থিতিশীল করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। মজুতদারিদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য মন্ত্রণালয় যেমন কৃষি, খাদ্য ও শিল্পসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার সাথে সমন্বয় করে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

            পণ্যের বহুমুখীকরণ করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জানান, গার্মেন্টস শিল্পের ন্যায় চামড়া এবং পাট শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। একটি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকা যাবে না। পাট ও চামড়া শিল্পকে বিভিন্ন ইনসেনটিভ দিয়ে তুলে আনতে হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে বলেও জানান।

            প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া এবং ইজরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের প্রভাব অপরদিকে ডলার সংকটের ফলে সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরেও আমাদের সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখার। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশ অবশ্যই সফল হয়েছে বলে দাবি করা যায়।

            সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আহসানুল ইসলাম বলেন, রমজান আসলেই একশ্রেণির অসাধু গোষ্ঠী পণ্য মজুত করে থাকে। এই মজুতদারদের শক্তভাবে মোকাবিলা করা হবে। তিনি আরো বলেন, এরা কখনোই প্রকৃত ব্যবসায়ী হতে পারে না কারণ প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার লোভে খাদ্য মজুত করে না।

            এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, রমজান মাসের প্রয়োজনীয় পণ্য মজুতের ব্যবস্থা আছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। এটা সঠিক কি না আমাকে জানতে হবে। তবে আমি আশাবাদী আসন্ন রমজানে খাদ্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করে ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।

            অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সকল ব্যবসায়ী মহলের সাথে বসে তাদের জানিয়ে দিব যারা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করবে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। আর কেউ যদি কারসাজি করে সাধারণ জনগণের পকেট কাটে, সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

            প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে এত বড় দায়িত্ব দিয়েছেন সকলের সহযোগিতায় তা যেন সততা-নিষ্ঠার সাথে পালনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান দিতে পারেন সেজন্য তিনি দেশবাসীর নিকট দোয়া কামনা করেন।

            এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

হায়দার/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                        নম্বর : ২৩৪৭

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চান শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৪ জানুয়ারি) :

          শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নতুন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ এবং সদ্য সাবেক সফল শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অত্যন্ত সফলভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চালিয়েছেন তাঁর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক, অভিভাবক,  সাংবাদিক এবং সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগিতা চান তিনি।

          শিক্ষামন্ত্রী আজ সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধানদের সাথে মতবিনিময়ের সময় একথা বলেন।

          মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ। তাছাড়া ইউজিসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

          শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহীত শিক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ২০৪১ সালের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট প্রজন্ম সৃষ্টি করতে আমরা সকলে মিলে কাজ করবো। বর্তমান সরকারের নির্বাচনের ইশতেহারের অন্যতম লক্ষ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যে সকলকে নিয়ে সুশাসন ও জবাবদিহিতামূলক শিক্ষা খাত গড়ে তোলা এবং শিক্ষার রূপান্তরের কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন মন্ত্রী।

#

খায়ের/সায়েম/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২১১০ ঘণ্টা

 

তথ্যববিরণী                                                                                                        নম্বর : ২৩৪৬

উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে অধিক সংখ্যক কর্মী প্রেরণ করে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির চেষ্টা করব

                                                                                     --- প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৪ জানুয়ারি) :

          প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে অধিক সংখ্যক কর্মী প্রেরণ করে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির চেষ্টা করব। তিনি বলেন, প্রবাসীদের সেবা প্রদানে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। দেশাত্মবোধ ও সেবকের মনোভাব নিয়ে প্রবাসীদের সেবা দিতে হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ে প্রথম কর্মদিবসে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিন। মতবিনিময়ের শুরুতেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

          সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করে অভিবাসন খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবার সহযোগিতায় প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে যাতে কোনো অপশক্তি প্রভাবিত না করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদেরকে স্মার্ট মানসিকতা লালন করতে হবে।

          এর আগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। নতুন প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিন এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এছাড়াও তিনি নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

          এ সময় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)’র মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমানসহ মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

রাশেদুজ্জামান/সায়েম/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২১৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ২৩৪৫

স্টেডিয়াম নয়, খেলার মাঠকে প্রাধান্য দিতে চান যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান

ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৪ জানুয়ারি) :

যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান বলেছেন, আমাদের স্টেডিয়ামসহ যথেষ্ট পরিমাণ ক্রীড়া অবকাঠামো রয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্টেডিয়ামের চেয়েও আমাদের খেলার মাঠ বেশি জরুরি। যেটি আমাদের তরুণ প্রজন্মসহ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। খেলোয়াড় সৃষ্টিতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।

মন্ত্রী আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

সকল ধরনের খেলাধুলাকে এগিয়ে নেবার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, ফুটবল ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলাতেও আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে আমাদের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো; যারা আমাদের থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে থাকে তাদের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। আগামী তিন বছর পর তারা কোথায় যেতে চায়, কী অর্জন করতে চায় সেটি জানাতে হবে। আমি অল্প সময়ের মধ্যেই ইনডিভিজুয়ালি প্রতিটি ফেডারেশনের সাথে বসব। তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা শুনব।

মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের অনেক ফেডারেশন ভালো ফলাফল করছে। আমাদের ফুটবল এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে নারী ফুটবলাররা ভালো করছে। ছেলেরাও উন্নতি করেছে। শ্যুটিং, আর্চারিসহ আরো অনেকে উন্নতি করছে। ক্রিকেটের মতো অন্যান্য খেলাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে। এ সময় দেশের যুবগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে আনুষ্ঠানিক সভায় যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সভার পূর্বে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া পরিদপ্তর এবং বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচছা জানানো হয়। শুভেচ্ছা গ্রহণ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নতুন মন্ত্রী।

#

আরিফ/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ২৩৪৪

‍‍‍অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে সরকার                             

                              ----ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৪ জানুয়ারি) :

 

‍‍‍‍          দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে সরকার । তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি আপনাদের অবস্থা নিজ চোখে দেখার জন্য এখানে এসেছি। যেকোনো দুর্যোগে সরকার আপনাদের পাশে আছে ।

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় তেজগাঁওয়ের মোল্লাবাড়ি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন । তিনি বলেন, সরকারের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে। প্রয়োজন অনুযায়ী আরো ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হবে । একটি মানুষও যেন খাবার এবং শীতে কষ্ট না পায় সে লক্ষ্যে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে ।

বিতরণকৃত ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল কম্বল-১ পিচ, ড্রাই কেক-১ প্যাকেট, শুকনো খাবার ১ প্যাকেট যার মধ্যে আছে চাল-১০ কেজি, সয়াবিন তেল-১ লিটার, মশুর ডাল- ১ কেজি, লবণ -১ কেজি, চিনি- ১ কেজি, হলুদ গুঁড়া-২০০ গ্রাম, মরিচ গুঁড়া-১০০ গ্রাম এবং ধনিয়া গুঁড়া- ১০০ গ্রাম ।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন ।

#

সেলিম/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৯৪৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ২৩৪৩

নানা দেশের নানা মতের সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ, নির্বাচন নিয়ে চাপ নেই

                                                                               - পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৪ জানুয়ারি) :

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, নানা দেশের নানা মত থাকবে, কিন্তু দিন শেষে সবাইকে নিয়ে আমরা একসাথে কাজ করব। পাশাপাশি পশ্চিমা বিশ্বসহ সমগ্র পৃথিবীর বহু দেশ নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ নেই উল্লেখ করেন তিনি।

আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সচিব (সামুদ্রিক বিষয়ক ইউনিট) রিয়াল এডমিরাল (অবঃ) মোঃ খুরশেদ আলম, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মোঃ নজরুল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা সভায় যোগ দেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের বিভক্তি অবশ্যই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ কিন্তু আমরা আমাদের নীতিতে অবিচল আছি এবং থাকব। বিভিন্ন দেশের নানা মত থাকে কিন্তু দিন শেষে আমরা সবাই একসাথে কাজ করব। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পূর্ব-পশ্চিম সমস্ত রাষ্ট্রগুলো আমাদের সরকারের সাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে, অভিমত প্রকাশ করেছে। সবাই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এটিই হচ্ছে শেষ কথা।’ 

মতবিনিময়ে মন্ত্রী অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশ এখন রেমিটেন্স আয়ের ক্ষেত্রে পৃথিবীর যে সমস্ত দেশ উচ্চ আয় করে তাদের মধ্যে একটি এবং যারা বেশি জনশক্তি রপ্তানি করে সেই দেশগুলোর মধ্যে একটি। কোনো কোনো দেশে কিছু সমস্যা আছে আমরা সেগুলোর দিকে আমরা অবশ্যই নজর দেব যাতে জনশক্তি শুধুমাত্র সংখ্যায় নয়, দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি পায়। আমাদের যে জনশক্তি বিদেশে কাজ করে সেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোকে উৎসাহিত করা এবং ব্যাংকিং চ্যানেলগুলোকে অবারিত এবং সহজলভ্য করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকাসহ নতুন জনশক্তির বাজার উন্মুক্ত করাও আমাদের লক্ষ্য।

রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করি খুব সহসা কূটনৈতিকভাবে এর সমাধান হবে। রোহিঙ্গারা যে শুধু এখন এসেছে তা নয়, দেশ বিভাগের আগে থেকে তারা আসা শুরু করেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও কয়েক দফা এসেছে। কিছু কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে এবং আশা করি অন্যান্য রাষ্ট্রের সহযোগিতায় এই সমস্যা সহসাই সমাধান হবে। 

নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ আছে কি না, এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারো চাপ অনুভব করছি না, নির্বাচন নিয়ে বহু চাপ, গভীর, মধ্যম নানা ধরনের চাপ ছিল, সব চাপ উতরে নির্বাচন হয়ে গেছে। আমরা কারো চাপ অনুভব করছি না। আমরা সবার সাথে একযোগে কাজ করব।’ 

ড. হাছান আরো বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত, ওআইসিভুক্ত, সার্কভুক্ত দেশগুলো এবং এর বাইরেও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যবেক্ষকরা এসেছিল। তারা অকপটে শিকার করেছে এবং প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, দেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রীকে নতুন সরকার গঠন করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো, ভারত, রাশিয়া, চীন এবং বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন। অর্থাৎ তারা নতুন সরকারকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং সবাই আমাদের নতুন সরকারের সাথে কাজ করার অভিমত ব্যক্ত করেছে।’

মতবিনিময় শেষে এ দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন ও বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

#

আকরাম/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর : ২৩৪২

টিম হিসেবে কাজ করে স্মার্ট ভূমিসেবা বাস্তবায়ন করা হবে

                                                          ---ভূমিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ পৌষ (১৪ জানুয়ারি) :

 

 ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত আমরা সবাই একটা টিম হিসেবে কাজ করে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পিত ইশতেহারের অংশ স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে কাজ করব।

আজ সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে পরিচিতি ও মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিষয়ে অবহিতকরণ সভার পর সাংবাদিকদের সাথে এক মিট দ্য প্রেসে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এ কথা বলেন। এসময় ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সকল অতিরিক্ত সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। 

এর আগে বক্তব্যের শুরুতেই নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মহান স্রষ্টার কাছে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রামের সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। একইসাথে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পনেরোই আগস্টের সকল শহিদ, পঁচাত্তর সালের ৩রা নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতা এবং দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী সকলের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান নতুন ভূমিমন্ত্রী।

ভূমিমন্ত্রী মিট দ্য প্রেসে আরও বলেন, স্মার্ট ভূমিসেবা বাস্তবায়নে আমরা সকল অংশীজনের সহায়তা চাই। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ভূমির সাথে জড়িত এজন্য টেকসই ও স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে নাগরিক অংশগ্রহণের বিকল্প নেই।

ভূমি মন্ত্রণালয়কে একটি ‘চ্যালেঞ্জিং’ মন্ত্রণালয় হিসেবে বর্ণনা করে নতুন ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা পরিকল্পনাসমূহ পর্যালোচনা করব এবং কীভাবে এগিয়ে গেলে ভূমি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনাসমূহ দ্রুত টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে তা পরীক্ষা করে সেভাবেই কাজ করব। 

ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন বাস্তবায়ন ও ভূমি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নতুন আইন প্রণয়নে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বের সাধুবাদ জানিয়ে নতুন ভূমিমন্ত্রী বলেন, তিনি অনেক উদ্যোগী ছিলেন এবং অনেকটা ‘রিলিজিয়াসলি’ (ধারাবাহিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে) ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশনের কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি যে পর্যন্ত অগ্রগতি রেখে গিয়েছেন আমরা তা আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

সাংবাদিকরা জাতির বিবেক ও সমাজের দর্পণ উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী বলেন কোথাও অনিয়ম হলে তা আপনারা তুলে ধরবেন, ভালো কাজ হলেও তাও তুলে ধরবেন। আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই, এতে আমাদের কাজের গতি আরও বাড়বে।

ভূমি অফিসে হয়রানি প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ভূমিমন্ত্রী বলেন, যেকোনো ধরনের নাগরিক হয়রানির বিরুদ্ধে আমরা শক্ত অবস্থানে থাকব। এছাড়া আমরা ডিজিটাইজেশন পরিকল্পনা এমনভাবে করছি যেখানে সিস্টেমই হয়রানির সুযোগ না দেয়। দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমি নিজে পরিচ্ছন্নভাবে কাজ করব, আমি আশা করি ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাভুক্ত সকল দপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত আমার সহকর্মী সবাই পরিচ্ছন্নভাবে কাজ করবেন - এর ব্যত্যয় হলে প্রচলিত আইনে বিচারের আওতায় আসতে হবে।

 

#

নাহিয়ান/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২৩৪১

টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য

সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া

ঢাকা, ৩০ প

2024-01-14-16-48-afeb5cd5df8ca3cbc7b3506cbe546856.docx 2024-01-14-16-48-afeb5cd5df8ca3cbc7b3506cbe546856.docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon