তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯০০
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিশ্বে বাংলাদেশের পুনরুত্থানের হাতিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি
---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমেই বাংলাদেশের পুনরুত্থান ঘটছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ই এর মূল দিকনির্দেশক।
আজ ঢাকায় র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অভ সফ্টওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি এওয়ার্ড-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অতীতে কৃষিনির্ভর বিশ্বে বাংলাদেশ ছিল সমৃদ্ধ অঞ্চল। সে কারণেই ডাচ-ওলন্দাজ-ব্রিটিশ-বর্গীরা বারবার এখানে হানা দিয়েছে। কিন্তু শিল্প বিপ্লবের শুরু থেকেই প্রথম তিন শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ার কারণে কৃষি যুগের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হারায়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসারের যুগে আবার জেগে উঠছে বাংলাদেশ।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এবং বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বেসিস পরিচালক দিদারুল আলম সানি এবং বেসিস ও স্পন্সর প্রতিষ্ঠান আইপিডিসির কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে দেশ আজ হতে চলেছে স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী জনপ্রশাসনের প্রতিটি ক্ষেত্রই ডিজিটালাইজড করার প্রক্রিয়া চলছে।
অতিথিবৃন্দ গত বছর জমা হওয়া দেশব্যাপী বিভিন্ন সংস্থার ১ হাজার ১৭৫টি প্রকল্প থেকে বাছাই করে ৩৫টি বিভাগে ৬৯টি পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন।
#
আকরাম/ইসরাত/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২২০৫ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৯৯তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৯৮
জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিদের যোগাযোগের জন্য হটলাইন চালু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস
টোকিও, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) :
জাপানে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টাইফুন ‘হাগিবিস’। চলমান দুর্যোগ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং মোকাবেলায় জাপান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বাংলাদেশ দূতাবাস নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
একই সাথে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটি প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে দূতাবাস নিয়মিত যোগাযোগ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এরূপ পরিস্থিতিতে দূতাবাস সকলকে Japan Meteorological Agency এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে পালন করার অনুরোধ জানাচ্ছে।
এছাড়াও যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নিম্নে প্রদত্ত ইমারজেন্সি 080-4456-1971, 070-32024400, 080-40656601 নম্বরসমূহ জাপান প্রবাসী ভাইবোনদের জন্য খোলা রয়েছে।
#
শিপলু/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২০২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৯৩
উইপোকা যেন সরকারের উন্নয়ন খেয়ে না ফেলে
---কক্সবাজারে তথ্যমন্ত্রী
কক্সবাজার, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘উইপোকা যেন সরকারের উন্নয়ন খেয়ে না ফেলে। জনগণের সামনে সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে হবে।’
আজ কক্সবাজার সার্কিট হাউজে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহ্মুদ এসব কথা বলেন।
পরপর তিন বার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের দলে অনেক অনুপ্রবেশ ঘটেছে, এখন সবাই আওয়ামী লীগ হতে চায়, সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে আওয়ামী লীগের নৌকায় তোলার প্রয়োজন নেই। যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী ইতোমধ্যেই ঢুকেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা একসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করতো, তারাও এখন আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়।’
মন্ত্রী বলেন, একসময় যারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করতো, তারা নানাভাবে পদ-পদবি পেয়েছে। এ আবর্জনা সম্মেলনের আগেই পরিষ্কার করতে হবে। পরীক্ষিত নেতাকর্মীরাই পদ-পদবির দাবিদার।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। তাই মাদক নির্মূলে দলের সবাইকে কাজ করতে হবে। দলের কারণে আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায়। দল আমাদেরকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে গেছে। কিছু মানুষের কারণে আমাদের দলের দুর্নাম হতে পারে না। তাই তিনি এ ব্যাপারে দলের সকল নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, নারী সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল, সাবেক এমপি এথিন রাখাইন প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৮২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৯২
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে ১৩ অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৯’ উদ্যাপন হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। টহরঃবফ ঘধঃরড়হং ঙভভরপব ভড়ৎ উরংধংঃবৎ জরংশ জবফঁপঃরড়হ (টঘউজজ) কর্তৃক প্রণীত সেøাগান ‘ইঁরষফ ঃড় খধংঃ’ এর আলোকে এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘নিয়ম মেনে অবকাঠামো গড়ি, জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি হ্রাস করি’ আমাদের সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য ও কর্ম কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
স¦াধীন বাংলাদেশের স¦প্নদ্রষ্টা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি প্রণয়নের পথিকৃৎ। তিনি ঘূর্ণিঝড় থেকে জানমাল রক্ষায় ‘মুজিব কিল্লা’ নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সে¦চ্ছাসেবক নিয়োজনের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা হিসেবে ১৯৭৩ সালে ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করেন। যেখানে দুর্যোগ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বর্তমানে ৫৫,৫১৫ জন সে¦চ্ছাসেবকের মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার দুর্যোগ প্রশমন ও প্রস্তুতিমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। সম্প্রতি দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী হালনাগাদ করা হয়েছে। দুর্যোগকে অন্তর্ভুক্ত করে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসমূলক অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ৩,১৪৫ কি.মি. রাস্তা হেরিং বোনবন্ড, ২৮,৪৯৪টি সেতু ও কালভার্ট, ২৫৫টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও ১০০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৫,২০৫ কি.মি. রাস্তা হেরিং বোনবন্ড, ১৩ হাজার সেতু ও কালভার্ট, ৪২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ২২০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৬৬টি জেলা ত্রাণ গুদাম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র এবং ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়নের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের স¦রূপ পরিবর্তন করে গৃহহীনদের জন্য ‘দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ’ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে মানসিক স¦াস্থ্য সেবা ও পরাশ্রমের বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে উদ্ভাবনী কর্মী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও সংগঠনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। তবে আগাম প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে লাঘব করা সম্ভব তার প্রমাণ আমরা রাখতে পেরেছি। ঘূর্ণিঝড়ে মানুষের মৃত্যু সাত অঙ্ক থেকে নামিয়ে এক অঙ্কে আনতে পেরেছি। বাংলাদেশ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে আন্তর্জাতিক রোল মডেল হওয়ার পাশাপাশি একটি দুর্যোগ সহনীয় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে। প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট দুর্যোগজনিত কারণে জনগণের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি রোধে আমাদের সরকার গত সাড়ে দশ বছরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (ঝউএ) অর্জন হওয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে দুর্যোগ প্রশমন, প্রস্তুতি, সাড়াদান এবং পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনে আমাদের সাফল্য ধরে রাখতে হবে।
সমনি¦ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা কাক্সিক্ষত অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হবো। আমি আশা করছি, আপামর জনগণ অবকাঠামো নির্মাণে এ বছরের প্রতিপাদ্য অনুসরণ করে দুর্যোগ সহনীয় দেশ বিনির্মাণে অংশগ্রহণ করবেন।
আমি ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস - ২০১৯’ এর সকল আয়োজনের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
শাওন/নাইচ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭১২ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৯১
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৯’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘Build to Last’ এর ভাবার্থ ‘নিয়ম মেনে অবকাঠামো গড়ি, জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি হ্রাস করি’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।
প্রতি বছর আমাদের প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্ধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করে তা যথাযথভাবে মোকাবিলা এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপকূলীয় বনায়নের মাধ্যমে সর্বপ্রথম দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রমের সূচনা করেছিলেন। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ তখন থেকেই শুরু হয়েছিল। সে সময়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি-কে সরকারের অন্যতম একটি কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল, যা দুর্যোগ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আজও কার্যকর অবদান রাখছে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দুর্যোগ ঘটার আগে সম্ভাব্য সকল প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া, পরবর্তী প্রতিকারের চেয়ে অনেক বেশি সাশ্রয়ী। উন্নয়ন প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সম্পদের ঝুঁকি কমানোর জন্য দুর্যোগ ও ঝুঁকি সচেতনতার বিষয়টি সকল উন্নয়ন কর্মসূচি ও পরিকল্পনায় সংযুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। বিল্ডিং কোড মেনে পরিকল্পিতভাবে নগর অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারলে যে কোনো দুর্যোগে জানমাল ও স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমে যাবে। আমি আশা করি, বিভিন্ন নগর ও স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ-সহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে অবকাঠামো গড়ার বিষয়টি স্থানীয় উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ‘Sendai Seven’ কর্মপরিকল্পনার সাতটি লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, এনজিও, সুশীল সমাজ, জনপ্রতিনিধি-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে - এ প্রত্যাশা করি।
আমি ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
ইমরানুল/নাইচ/সঞ্জীব/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/১৭১০ ঘণ্টা