তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৭৫
সাড়ে দশ বছরে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে আড়াইগুণেরও বেশি
---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :
গত সাড়ে দশ বছরে এদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আড়াইগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সম্প্রতি বিএনপি নেতা মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে এমন মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, বিশ্বব্যাপীই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু গত সাড়ে দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে আড়াইগুণেরও বেশি।
আজ রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশ মিলনায়তনে তাদের শিক্ষা-সহযোগী একাডেমিয়া স্কুলের সেরা শিক্ষার্থী সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপি মূলত তাদের নেতাদের দুর্নীতির অপরাধের সাজা থেকে রেহাই পেতে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল হিসেবে এধরনের কথা বলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বেগম জিয়াকে মুক্ত করা ও দুর্নীতি-সহ নানা অপরাধে আটকাদেশপ্রাপ্ত তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা এড়াবার জন্য জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে বিএনপি। কিন্তু জনগণ আর বিভ্রান্ত হবে না।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মী আইন ও সম্প্রচার আইন কবে পাশ হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাবার পরই আইন দু’টি পাশের দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্যে ড. হাছান বলেন, জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র। মেধার সাথে দেশপ্রেম, মানবিকতা ও মূল্যবোধের সমাবেশ ঘটিয়ে এযুদ্ধে জয়ী হবার ব্রত নিতে হবে। মা-বাবার সেবাদান ও শিক্ষক- গুরুজনদের সম্মান এই ব্রতের অংশ।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশ (আইইউবি) এর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক মিলান পাগন ও এডেক্সেল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং একাডেমিয়া স্কুলের পক্ষ থেকে চেয়ারপারসন সারওয়াত জেব, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কুতুবউদ্দিন, অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম মাহবুবুল হক ও উপাধ্যক্ষ রওনক আলমগীর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী এ সময় একাডেমিয়া স্কুলের ‘এ’ এবং ‘ও’ লেভেলের সেরা শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ও আইইউবি’র পাঠাগারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারটি ঘুরে দেখেন।
#
আকরাম/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০৪০ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৭৩
আঞ্চলিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা চলছে
-- পরিকল্পনা মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আঞ্চলিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকার স্থানীয় এক হোটেলে আয়োজিত ‘Expanding the Evidence Base for Policy and Interventions in Cox’s Bazar’ বিষয়ক দিনব্যাপী আলোচনা সভার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা পাওয়া গেছে। তবে এখন বস্তুগত সহযোগিতার চেয়ে এ অঞ্চলের রাজনৈতিক সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যেখানে জন্মগ্রহণ করেছে, বংশানুক্রমিকভাবে যুগ যুগ ধরে যেখানে বসবাস করেছে সেখানেই তারা ফিরে যাবে। এটা তাদের মৌলিক অধিকার। মন্ত্রী আশা করেন এ অঞ্চলের শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার Robert Dickson, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুশফিক মোবারক, ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টারের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইমরান মতিন প্রমুখ৷
#
শাহেদ/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০১৯/১৯৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৭২
দেশীয় শিল্পপণ্যের স্বার্থে শুল্ক কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে
-- শিল্প প্রতিমন্ত্রী
গাজীপুর, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, আমদানিকৃত পণ্যের সাথে প্রতিযোগিতায় দেশীয় শিল্পপণ্য যাতে টিকে থাকতে পারে সেজন্য শুল্ক কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কোন পণ্য উৎপাদিত হলে বিদেশ হতে সেই পণ্য আমদানি না করে দেশীয় পণ্য ব্যবহারে সবাইকে আরো আন্তরিক হতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ গাজীপুরের শ্রীপুরে স্টিলমার্ক বিল্ডিংস লিমিটেডের ফ্যাক্টরি পরিদর্শন শেষে দেশীয় স্টিল বিল্ডিং শিল্পের সম্ভাবনা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ক্রেতাদের সন্তুষ্টির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্রেতারা সন্তুষ্ট হলে বিদেশ হতে স্টিল অবকাঠামো নির্মাণ পণ্য আমদানির পরিমাণ কমে যাবে। তিনি বলেন, সরকারের উদ্যোগে বৃহৎ অবকাঠামো-সহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সকল নির্মাণে দেশীয় পণ্য ব্যবহারকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
স্টিলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ রেজয়ানুল মামুনের সভাপতিত্বে সভায় জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শিল্প প্রতিমন্ত্রী স্টিলমার্ক বিল্ডিংস লিমিটেডের ফ্যাক্টরির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ফ্যাক্টরির অত্যাধুনিক শিয়ার কাটিং মেশিন, সাবমার্সিবল আর্ক ওয়েল্ডিং মেশিন, শট ব্লাস্টিং মেশিন, অ্যাসেমব্লিং মেশিন ও সিএনসি মেশিনের কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
#
মাসুম/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৭০
প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্মিত সুবর্ণ ভবন উদ্বোধন ৫ ডিসেম্বর
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ, পুনর্বাসন ও আবাসিক সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সুবর্ণ ভবন’ নির্মাণ করা হয়েছে। ২৮তম আন্তর্জাতিক ও ২১তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৯ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন চত্বরে ১৫তলাবিশিষ্ট জাতীয় প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স ‘সুবর্ণ ভবন’ উদ্বোধন করবেন।
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ-সহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এ দিবসটি প্রতিবছরের ন্যায় জেলা পর্যায়ে পালন করলেও এবারই প্রথম এর ব্যাপ্তি উপজেলা পর্যায়েও ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে ৬৪টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু করেছে, যেখানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ফিজিওথেরাপি ও অন্যান্য চিকিৎসা-সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। দেশের প্রতিবন্ধী ও অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রদানের জন্য দেশের ৬৪টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় মোট ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় থেরাপিউটিক সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে ২০১৫ সাল থেকে ৩২টি ভ্রাম্যমাণ মোবাইল রিহ্যাবিলিটেশন থেরাপি-ভ্যানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জাতীয় উন্নয়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাগণ-সহ সংবাদকর্মীদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
#
শাহ আলম/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৭২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৬৯তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৬৮
বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ
- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ। সরকার সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ইতোপূর্বে এমডিজি’র প্রায় সবগুলো লক্ষ্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ, এখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে সরকার। নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে এসডিজি অভিষ্ট অবশ্যই আমরা অর্জন করবো । উন্নত বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক গড়তে নিরাপদ খাদ্যের কোন বিকল্প নেই।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে দুই দিন ব্যাপী ‘Feed The Future Innovation Lab for Nutrition’ Scientific Symposium and Technology Exhibition. Agriculture to Nutrition Pathways' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবনযাপনে পুষ্টি হল কেন্দ্রবিন্দু। পুষ্টি হল শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যগ্রহণ। বর্তমান ও আগামীর সুষ্ঠু প্রজন্মের জন্য এটি অস্তিত্বের দিশা। পর্যাপ্ত পুষ্টিসম্পন্ন মানুষ তুলনামূলকভাবে বেশি সৃজনশীল। স্বল্প পুষ্টির কারণে শরীরের অনাক্রম্যতা কমে যেতে পারে, দুর্বলতা বাড়তে পারে, শারীরিক ও মানসিক বিকলাঙ্গতা বাড়তে পারে । তিনি বলেন, আমাদের কৃষি যথেষ্ট পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য উৎপাদন করছে। সরকার দেশ থেকে সম্পুর্ণরুপে অপুষ্টি রোধে অঙ্গিকারাবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০০৭ সালে পাঁচ বছরের নিচে খর্বাকার শিশু ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০১৭-১৮ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩১শতাংশ। স্বল্প ওজনের শিশু ৪১ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২২। ক্ষীন স্বাস্থ্য ১৭ শতাংশ থেকে কমে ৮ শতাংশ হয়েছে। বর্তমান সরকার অপুষ্টি রোধে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় দেশের শিশুদের পুষ্টিমান বাড়ছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিবি) ড. মো: রুহুল আমিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.মো: আব্দুল মুঈদ, জাতীয় পুষ্টি কাউন্সিলের মহাপরিচালক ডা. মো: শাহনেওয়াজ। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আসিডিডিআর’বি এর সিনিয়র পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ।
#
গিয়াস/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০১৯/১৬৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৬৭
ভ্রাম্যমান নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার উদ্বোধন করলেন খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :
আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভ্রাম্যমান নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার এর উদ্বোধন করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
উদ্বোধনকালে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে ভোক্তা পর্যন্ত খাদ্যশৃঙ্খলের প্রতিটি পর্যায় কাজ করতে হবে। এ কাজে আমাদেরকে কৃষক থেকে শুরু করে খাদ্যশিল্প, কাঁচাবাজার, পথ খাবার বিক্রেতা, খাদ্য ব্যবসায়ী, সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, জাতিসংঘ, এনজিও, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, পরীক্ষাগার, বেসরকারি ও সরকারসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে, ভেজালের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, অতি লোভ ও অতি মুনাফার লোভে একদল ভেজালকারী খাদ্যে ভেজাল মেশাচ্ছে। এ ভেজাল প্রতিরোধে প্রতিটি ব্যক্তির দায়িত্ব রয়েছে। ভেজালের বিরুদ্ধে তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, সোচ্চার হতে হবে। সচেতন হতে হবে প্রতিটি মানুষকে এবং অন্যকেও সচেতন করতে হবে। তিনি বলেন, একজন ভেজালকারী নিজেও অন্যান্য পণ্যের একজন ভোক্তা, তখন তিনি নিজেও ভেজাল পণ্য গ্রহণ করে থাকেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আরো সক্রিয় হতে হবে। এক্ষেত্রে জনগণকে সচেতন করার জন্য ভ্রাম্যমান নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার অত্যন্ত যুগান্তকারী একটি উদ্যোগ। তিনি জানান, ভ্রাম্যমান নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াবে এবং খাবার নিরাপদ বা অনিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করবে, দূষণের ও ভেজালের বিভিন্ন উৎস সম্পর্কিত ভিডিও প্রদর্শন করবে এবং কিভাবে আমরা আমাদের খাদ্য নিরাপদ রাখতে পারি তাও প্রদর্শন করবে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় এই ভ্রাম্যমান নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার তৈরি করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বিষয়টি আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যসচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ, এফএও এর বাংলাদেশের প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, ইউএসএআইডি এর প্রতিনিধি ডক্টর ওসাগি সহ দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞগণ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
সুমন/অনসূয়া/পরিক্ষীৎ/কুতুব/২০১৯/১৬২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৬৬
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা পরিবার ও সমাজেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ
- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :
প্রতিবন্ধিতা মানব বৈচিত্রেরই একটি অংশ উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদের পরিবার ও সমাজেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের বাদ দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন শারীরিক প্রতিবন্ধীরা অনেকেই প্রতিভাবান। প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তাদের প্রতিভার সঠিক বিকাশ ঘটাতে, অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতা আনতে সকলকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে ২৮তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ২০১৯ উপলক্ষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ অনষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে রূপকল্প-২০২১ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা করেন। তাঁর এই ঘোষণার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে প্রতিবন্ধী-সুস্থ প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমতা, মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ১৯৭৪ সালে দেশের ৪৭টি সাধারণ বিদ্যালয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সমন্বিত শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দেন। একই বছর বঙ্গবন্ধু প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ কুদরাত-ই-খুদার নেতৃত্বে এ সংক্রান্ত শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়নের পূর্বে পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বৈষম্যহীন একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দেয়া হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩’ এবং ‘নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’ নামে দু’টি আইন পাশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এর ফলে অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং সবধরণের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
পরে বিভিন্ন জেলা হতে আগত নির্বাচিত ৮০জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
#
শহিদুল/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/জসীম/আসমা/২০১৯/১৬০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৬৫
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের সরকারি অংশের চেক হস্তান্তর
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক ও কর্মচারীদের নভেম্বর মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের ৮টি চেক অনুদান বন্টনকারী অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, প্রধান কার্যালয় এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, স্থানীয় কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখা হতে নভেম্বর মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ উত্তোলন করতে পারবেন।
#
রুহুল মমিন/অনসূয়া/পরিক্ষীৎ/রেজ্জাকুল/কুতুব/২০১৯/১৫১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৬৪
জাতীয় বস্ত্র দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
দেশব্যাপী ৪ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এই উপলক্ষে ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
এ দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন-টেকসই উন্নয়ন’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশীয় কাঁচামাল ও সম্পদ ব্যবহার করে শ্রমঘন শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা। তিনি পরিত্যক্ত কলকারখানা জাতীয়করণ করে অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। ফলে বস্ত্রশিল্পে অধিকতর উন্নয়ন ও বিকাশ ঘটে এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকুরি নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটে।
বর্তমানে বস্ত্রখাত দেশের বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে ‘বস্ত্রনীতি ২০১৭’ ও ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বস্ত্র পরিদপ্তরকে বস্ত্র অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়েছে। বস্ত্রশিক্ষার প্রসারের জন্য বেশ কয়েকটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরো নতুন নতুন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট এবং তাঁত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চাহিদা অনুসারে দেশের বস্ত্রশিল্প খাতকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান ও বস্ত্রশিক্ষার বিস্তারে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়কে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রায় বস্ত্রশিল্প খাত সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনেরা পারস্পরিক সুসম্পক বজায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান নিশ্চিত করার পাশাপাশি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
আমি ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
সরওয়ার/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০১৯/১১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৬৩
জাতীয় বস্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০১৯’ এবং চার দিনব্যাপী ‘বহুমুখী বস্ত্র মেলা’ আয়োজিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন-টেকসই উন্নয়ন’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
মানুষের মৌলিক চাহিদার একটি হলো বস্ত্র। বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বস্ত্র ও পাট খাতকে জাতীয়করণ করে এ খাতকে সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ নেন। বর্তমানে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ পোশাক শিল্প থেকে অর্জিত হচ্ছে। গ্রামীণ দারিদ্র্যমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বস্ত্র ও পোশ