Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪

তথ্যবিবরণী ৩০ এপ্রিল ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর: ৪৪৬৬

 

স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা মানবিক গুণের অধিকারী

                         -- কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

 

ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, ‘রক্তদান মুমূর্ষুদের জীবন বাঁচাতে শ্রেষ্ঠ কাজ। একজন মানুষের মধ্যে মানবিক গুণ জাগ্রত হলেই রক্তদানের মতো এমন মহৎ কাজ করতে পারেন। আর রক্তদাতারা মানবিক গুণের অধিকারী।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অভ্‌ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

কুজেন্দ্র লাল বলেন, রক্তদাতারা সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই মহতী এ কাজটি করে যাচ্ছেন। রক্ত কাকে দিচ্ছেন সেটিও তাদের কাছে মুখ্য বিষয় নয়। রক্তদানই আত্মত্যাগী- এটাই মানুষদের কাছে বড় কথা। তিনি ভূপেন হাজারিকার গানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মানুষ মানুষের জন্যে। সবাই একটু সহানুভূতি চায়। তিনি বলেন, এরকম সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে রেখেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জাতিকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাজগুলো স্বাধীনভাবে ভোগ ও পরিচালনা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এ জাতিকে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট দেশ উপহার দিতে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন, একজন মহৎ মানুষ, যার ভিতর গুণ আছে, মানবিক মূল্যবোধ আছে, প্রজ্ঞা আছে, যিনি অপরের জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় রক্ত দান করছেন, এর চেয়ে দুর্লভ দান আর কিছু হতে পারে না। এ সময় এ ধরনের মহৎ মানবিক কাজের সাথে সক্রিয় থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

 

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক নাহার আল বোখারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান।  এ সময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দেশে রক্ত চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে তরুণ স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের মানবিক এ সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আলোচকরা।

 

উল্লেখ্য, দুই যুগে ১৬ লাখ ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করে মুমূর্ষু মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে দেশের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী রক্তদানের সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। ২০০০ সালে ল্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ২৪ বছরে সংগঠনটি মোট সরবরাহ করেছে ১৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬৩ ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান। নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে কোয়ান্টামের স্বেচ্ছা রক্তদাতার সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি। এ সময় কমপক্ষে ৩ বার রক্তদান করে লাইফ লং, ১০ বারের দানে সিলভার, ২৫ বারে গোল্ডেন এবং ৫০ বার রক্তদান করে প্লাটিনাম ক্লাবের সদস্য হয়েছেন- এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

 

#

 

রেজুয়ান/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২২৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর: ৪৪৬৫

বিভিন্ন দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি দিতে স্থানীয়ভাবে

বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা করা হবে

                                  -- শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):

 

শৈত প্রবাহ, এক্সট্রিম হিট ওয়েভ, বন্যাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কমিটি গঠনের  লক্ষ্যে নীতিমালা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমানে শনিবারে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে তা স্থায়ী নয়।

 

আজ ঢাকা টিচার ট্রেনিং কলেজে ‘বঙ্গবন্ধু সুজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪’ এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  বিশেষ অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী  বেগম শামসুন নাহার, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

 

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট কর্মদিবস আছে বিদ্যালয়গুলোর জন্য। এখন আমাদের প্রয়োজনে শনিবার বিদ্যালয় খোলা রেখেছি। কারণ বেশ কিছু দিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এটি স্থায়ী বিষয় নয়। প্রয়োজনবোধে যে কোনো ছুটির দিন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আগেও ছিলো, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এটা নতুন কিছু নয়। শুক্রবারও তো অনেক জায়গায় পরীক্ষা হয়, আগেও নেওয়া হতো। সেটা শুক্রবার হোক, শনিবার হোক, প্রয়োজন সাপেক্ষে খোলা রাখা হবে।

 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই একটি নিরাপদ স্থান। একেক জেলায় একেক তাপমাত্রা। যে সমস্ত জেলায় আমাদের সন্তানরা অতিবৃষ্টির কারণে, বন্যার কারণে স্কুলে যেতে পারে না, অনেক কষ্ট হয়,  স্কুল বন্ধ থাকে। সে সমস্ত জায়গায় শুষ্ক মৌসুমেই শিক্ষা কার্যক্রম তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। তাদের শিখন ফল অর্জনের জন্য। কিন্ত এখন দেখা যাচ্ছে, রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসছে। তিনি বলেন, রাজধানীতে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে রাজধানীতে স্কুল বন্ধ রাখাই যায়।

 

অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার না হলে বিপর্যয় পরিস্থিতির সৃষ্টি  হবে। শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, নতুন কারিকুলামে  সফট স্কিলসের মতো বিভিন্ন সৃজনশীল দক্ষতার ওপরে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, কারণ সৃজন ব্যক্তি মানেই  মানবিক।

 

উল্লেখ্য, উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে,  বিজয়ী ১৩৫ জন শিক্ষার্থী আজ জাতীয় পর্যায়ে  চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্য থেকে আজ ১৫ জন জাতীয় পর্যায়ে  সেরা নির্বাচিত হয়েছে।

#

 

খায়ের/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর: ৪৪৬৪

 

ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড

ইনস্টিটিউটের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

 

ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):

 

ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক আজ একাডেমিতে স্বাক্ষরিত হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশ্‌ফী বিন্‌তে শাম্‌স্‌ এবং বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো জাফর উদ্দীন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্মারকটি স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষী হিসেবে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মহাপরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন খান ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোঃ ওবায়দুল আজম স্মারকটিতে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারকটির আওতায় দুই প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ পদ্ধতি, প্রশিক্ষক, ও প্রশিক্ষণার্থী আদান প্রদানে সক্ষম হবে। এছাড়া দুই প্রতিষ্ঠান গবেষণা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধাপে এবং কার্যক্রমে একে অপরের সহযোগিতা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।

 

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মাশ্‌ফী বিন্‌তে শাম্‌স্‌, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো জাফর উদ্দীন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফাইয়াজ মুর্শিদ কাজী এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাভিদ শফিউল্লাহ বক্তৃতা করেন। তারা স্মারকের যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট পারস্পরিক সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে  স্মারকটি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। 

 

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

মাসুম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১১০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর: ৪৪৬৩

 

বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ফিরলেন ২০ বাংলাদেশি

 

ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের  নারী ও শিশু পাচার রোধ বিষয়ক বিশেষ টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আজ ভারত থেকে ২০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেন। বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে চারটায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার যশোরের বেনাপোল সীমান্তে তাদের প্রত্যাবাসন করে।

 

প্রত্যাবাসনকালে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতায় কর্মরত মিনিস্টার কাউন্সেলর সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মনসহ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা এবং বিজিবি কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

 

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে মানবপাচার ও প্রতারণার শিকার হয়ে ভারতে প্রবেশকালে ও অবস্থানকালে আটকাধীন এসকল বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন সেইফ হোমে অবস্থানরত এসব বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের নাগরিকত্ব যাচাইপূর্বক ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে তাদেরকে নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

 

উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে কাজ করে আসছে। বিদেশে অবস্থানকালে বা কর্মরত অবস্থায় কোনো বাংলাদেশি যদি প্রতারণার শিকার হন বা আটকা পড়েন, তাদের সহযোগিতা করাসহ, প্রয়োজনে, তাদেরকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই মন্ত্রণালয়।

 

#

 

মাসুম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                           নম্বর : ৪৪৬২

স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সাথে চায়না ইন্টারন্যাশনাল
ডেভেলপমেন্ট কো অপারেশন এজেন্সির চেয়ারম্যানের বৈঠক অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):
    স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম আজ চীন সফরকালে বেইজিংয়ে চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো অপারেশন এজেন্সি এর চেয়ারম্যান লু জাহুয়ি এর সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন।
    বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে চায়না সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বিশেষ করে, নগর ও গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে চায়নার অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগানোর বিষয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া বৈঠকে পৌরসভার অবকাঠামো নির্মাণ, নগর বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা এবং নগর ও গ্রামীণ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনায় চীনের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এছাড়া নগর ও গ্রামাঞ্চলে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনা উন্নত করার বিষয়ে বৈঠকে সবিস্তারে আলোচনা করা হয়।
    ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ এম্বাসি, বেইজিংয়ের ইকোনমিক কাউন্সিলর মোঃ মমিনুল হক ভূঁইয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
    বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বেইজিংয়ে চায়না মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন পরিদর্শন করেন এ সময় পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পের ওপর মন্ত্রীকে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়।
#

হেমায়েত/পাশা/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১৩০ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                      নম্বর : ৪৪৫৯

রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিকল্প নেই

                                                  --- অর্থ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):

          অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিকল্প নেই। বর্তমানে সবাই অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারে। বাংলাদেশের ইনফরমাল সেক্টর অনেক বড় বিধায় এই সেক্টর থেকে কর আদায় গুরত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাত আমাদের সাথে থেকে সহায়তা করতে পারে।

          আজ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অভ্ বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয় রূপরেখা’ (Domestic Resource Mobilisation: Imperatives and a Roadmap)  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা রাহমাতুল মুনীম ও এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআরআই’র চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।

          অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানি মার্কেট, বেসরকারি ও সরকারি ঋণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে আরো আলোচনা করা দরকার। কিভাবে আরো বেশি ভালো কোম্পানি মার্কেটে আসে, সে বিষয়ে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে। তাহলে মানি মার্কেটের ওপর চাপ কমবে। ক্যাপিটাল মার্কেট, ইক্যুইটি মার্কেট ও বন্ড মার্কেট বৃদ্ধি করা জরুরি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করছে বর্তমান সরকার। তাঁর সুযোগ্য পরিচালনায় গত ১৫ বছরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে সেগুলো থেকে দেশ এখন রিটার্ন পাচ্ছে। আইবাস ব্যবস্থাপনার কারণে বাজেটের বাস্তবায়নের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে বাজেট পাস হলেও বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হতে অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিক চলে যেতো। বর্তমানে ১ জুলাই থেকেই অফিসগুলো বাজেট ব্যবহার করছে। আজকের আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, সেগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

          অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পিআরআই’র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, ডিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদসহ প্যানেল আলোচকবৃন্দ।

#

আলমগীর/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর: ৪৪৫৮

 

পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ

                                    -- আইএইএ প্রধানকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভিয়েনা (অস্ট্রিয়া), ৩০ এপ্রিল:

পারমাণবিক শক্তির অ-প্রসারণ এবং শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বিশেষ করে জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা, ওষুধ ও স্বাস্থ্য খাতে এর প্রয়োগে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

অস্ট্রিয়ায় সরকারি সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সে দেশের রাজধানী ভিয়েনায় স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) কার্যালয়ে সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসির সাথে সাক্ষাতে এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সদস্য হয়, যা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের প্রথম সদস্যপদের অন্যতম স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং পরমাণু সামগ্রীর নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ অবিচল।

মন্ত্রী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য আইএইএ-কে ধন্যবাদ জানান ও বলেন যে, বাংলাদেশ তার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে সর্বোচ্চ স্তরের স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখবে।

জাতীয় জ্বালানি দৃষ্টিভঙ্গি উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ তার ভবিষ্যৎ শক্তির প্রধান সবুজ এবং পরিচ্ছন্ন উৎস হিসেবে পারমাণবিক শক্তির কথা বিবেচনা করছে। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাংলাদেশের অতুলনীয় সাফল্য উল্লেখ করে ড. হাছান পারমাণবিক কৃষি, নিউক্লিয়ার মেডিসিন এবং রেডিও থেরাপির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য আইএইএ-কে ধন্যবাদ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাদ্যের জন্য পরমাণু বা ‘এটমস ফর ফুড’ এবং কার্বন নিঃসরণকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পরমাণু শক্তির ব্যবহার বা ‘এটমস ফর নেট জিরো’ উদ্যোগের জন্য মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির প্রশংসা করেন এবং এমন মহৎ উদ্যোগে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।

আইএইএ মহাপরিচালক পরমাণু বিজ্ঞান প্রয়োগকে কাজে লাগিয়ে মানবকেন্দ্রিক উন্নয়ন ইস্যুতে বাংলাদেশকে এজেন্সির টেকসই সহায়তাদান নিশ্চিত করেন এবং ‘অ্যাটম ফর ফুড’ উদ্যোগে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার বিশেষ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তিনি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই উদ্যোগ সংস্থাটির সাথে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততায় এক অনন্য মাত্রা যোগ করেছে এবং পারমাণবিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার  সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প চালুর সময় আইএইএ  মহাপরিচালককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ভিয়েনায় দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি আসাদ আলম সিয়াম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ উইংয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

#

আকরাম/শফি/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর: ৪৪৫৭

 

দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

                                              -- ব্রাসেলসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

ব্রাসেলস (বেলজিয়াম), ৩০ এপ্রিল:

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ইইউয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ জ্ঞান, দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং কর্মসংস্থানের ওপর বিশেষ গুরুত্বসহ ভবিষ্যতে বিস্তৃততর অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে কাজ করছে।

 

সরকারি সফরে ইউরোপে অবস্থানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের ঐতিহ্যবাহী ‘সের্কেল রয়্যাল গেলুয়া সেন্টারে’ স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। 

 

প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশি বন্ধুদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানে বেলজিয়াম সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপাক্ষিক বিষয়াবলি মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত Jeroen Cooreman, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল ব্যবস্থাপনা পরিচালক Niclas Kvarnström সম্মানিত অতিথি হিসেবে এবং বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে দেশের মিশন প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ বক্তব্য দেন।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সকলকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, গত দেড় দশকে অর্জিত টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে এশিয়া এবং এর বাইরেও দ্রুততম বর্ধনশীল একটি অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে।

 

বেলজিয়ামকে বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে ড. হাছান তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় বেলজিয়ামে উচ্চতর অধ্যয়নের জন্য এসে দেশটির সমাজ, সংস্কৃতি এবং মানুষের সঙ্গে কাটিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফরের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন এবং আগামী দিনে বেলজিয়াম এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ, জনযোগাযোগ, সুনীল ও বৃত্তাকার অর্থনীতিসহ নিরাপত্তার প্রচলিত এবং অপ্রচলিত ক্ষেত্রসমূহে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন যে, বাংলাদেশ ইইউয়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে যাতে বিশ্বে কোথাও মানুষকে যুদ্ধের ভয়াবহতা সহ্য করতে না হয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় এবং বিশ্বজুড়ে মানবতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা যায়।

 

ইইউ এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, ন্যায়বিচার, সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে, যা বিদ্যমান অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ককে আরো মজবুত করে চলেছে। তিনি শীঘ্রই বাংলাদেশের সঙ্গে পার্টনারশিপ এন্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে ইইউয়ের আগ্রহের কথা জানান।

 

বেলজিয়াম সরকারের পক্ষে রাষ্ট্রদূত জেরোএন কুরম্যান অভূতপূর্ব উন্নয়ন অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও বেলজিয়ামের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ আগামী দিনে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে নতুন রূপ দেবে।

 

রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি রাষ্ট্র, সরকার ও বন্ধুদের অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ বিশ্বের ৩৩তম বৃহত্তম, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ২৪তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে এবং এক্ষেত্রে বেলজিয়াম এবং ইইউয়ের সঙ্গে নিবিড় অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সম্মানিত অতিথিদ্বয় ও রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ এ সময় স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি কেক কাটেন।

 

বেলজিয়াম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগণ, রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য, বেলজিয়ামের রাজনীতিকবৃন্দ, গণমাধ্যম, থিংক ট্যাঙ্কস, একাডেমিয়া, ব্রাসেলসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে বসবাসরত বাংলাদেশ কম্যুনিটির সদস্যগণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

 

#

 

আকরাম/শফি/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৩০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর: ৪৪৫৬

 

মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের বুনিয়াদ ঠিক রেখে সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করতে হবে

                                                               -- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে বুনিয়াদ, সেটি ঠিক রেখে রাষ্ট্রের প্রতি, দেশের প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৪১তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে নবযোগদানকৃত কর্মকর্তাদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, মো. মজিবুর রহমান ও তন্ময় দাস, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন, পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, যে চিন্তা-চেতনা ও আদর্শ সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্ম, সেটার প্রতি আমাদের সবার আনুগত্য থাকা বাঞ্ছনীয়। একটা দেশ তার সংজ্ঞা তৈরি করে সে কী রকম দেশ হবে। বাংলাদেশের সংজ্ঞা তৈরি হয়ে গেছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। এ স্বাধীন দেশে ত্রিশ লাখ শহিদ ও দুই লাখ নির্যাতিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের ওপর দাঁড়িয়ে যে সংজ্ঞা নির্ধারণ হয়েছে সেই সংজ্ঞার ওপর আমাদের অটল থাকতে হবে। এই মূল জায়গায় অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রশ্নে, বাংলাদেশের জন্মের প্রশ্নে কোনো আপস করা যাবে না। এটিকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে চিন্তা করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র, দেশ সবার আগে। রাষ্ট্রের স্বার্থ সংরক্ষণ সরকারি কর্মকর্তাদের মূল দায়িত্ব। তবে গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র কাঠামোতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে সরকার গঠন করে। সে দলের যে ভিশন বা ইশতেহার থাকবে সেটা বাস্তবায়নের একটা দায়বদ্ধতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে আইন-কানুন, বিধি ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের যেকোনো পর্যায়ে স্বজনপ্রীতির  ঊর্ধ্বে উঠে পেশাদারিত্বের সাথে, ন্যায্যতার সাথে সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি। একইসাথে দেশের স্বার্থে আপসহীন দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার। নবযোগদানকৃত কর্মকর্তাদের এ বিষয়গুলো অনুশীলনের মাধ্যম শিখতে হবে। তিনি বলেন, যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছে তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের মালিকপক্ষ অর্থাৎ জনগণের সেবক হয়ে গেছে। সে চিন্তা ধারা নিয়ে নবীন কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।

এম এ আরাফাত আরো বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা খুবই জরুরি। নবীন কর্মকর্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পদক্রমিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, প্রশাসনিক কাজের মধ্যে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থাকা যাবে না কিন্তু সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। এই সুন্দর সমন্বয় করাটা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই জরুরি।

পরিচিতি অনুষ্ঠান শেষে ৪১তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে নবযোগদানকৃত ৪০ জন কর্মকর্তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

#

ইফতেখার/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যববিরণী                                                                                                   নম্বর : ৪৪৫৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় মানুষের পাশে থাকেন

                                                               --- কৃষিমন্ত্রী

শ্রীমঙ্গল, ২০ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):

          কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় দেশের জনগণের পাশে থাকেন ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেন। জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে এবারও ক্ষমতায় এনেছে, আগামীতেও ক্ষমতায় আনবে। কারণ, জনগণ জানে শেখ হাসিনা ক্ষমতায়

2024-04-30-17-02-b2e23269dafd78c729a4dca852011dec.docx 2024-04-30-17-02-b2e23269dafd78c729a4dca852011dec.docx