Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ জুন ২০২৪

তথ্যবিবরণী ২০ জুন ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৫১৭৪

 

বিদেশে স্বাস্থ্যকর্মী প্রেরণের পথ সুগম করতে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে বৈঠক করলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

জেনেভা (সু্ইজারল্যান্ড), ২০ জুন:

 দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যকর্মী প্রেরণের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেল্থ ওয়ার্কফোর্স ডিপার্টমেন্টের পরিচালক জিম ক্যাম্পবেলের সাথে গত ১৮ জুন জেনেভায় এক বৈঠকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় বিদেশে স্বাস্থ্যকর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করে উন্নত দেশসমূহের সাথে বাংলাদেশ অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।

পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব রয়েছে। এ জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে তারা স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। এ ধরনের নিয়োগের ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেন স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট না হয়, সে বিষয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুনির্দিষ্ট কোড অব প্রাকটিস রয়েছে। এর আওতায় নিয়োগকারী দেশসমূহের জন্য স্বাস্থ্যকর্মী প্রেরণকারী দেশসমূহের স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য-খাতের মান উন্নয়ন, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য উন্নতর প্রশিক্ষণ ও বৃত্তির ব্যবস্থা করা প্রভৃতির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মী নিতে ইচ্ছুক দেশসমূহের সাথে দ্বিপাক্ষিক শ্রম চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে ড. জিম ক্যাম্পবেল বাংলাদেশেকে সহযোগিতা করবেন বলে জানান। এছাড়া, প্রবাসী স্বাস্থ্যকর্মীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাকরণ, নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজীকরণ প্রভৃতি সম্পর্কিত আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে তিনি বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে বাংলাদেশের নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে আঞ্চলিক ডায়ালগ শুরু হতে পারে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

এছাড়া, এ সফরে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী গত ১৯ জুন ফ্রান্সের অ্যানেসীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার Global Task Force on Cholera Control (GTFCC) এর ১১তম সভায় Keynote Speaker হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। এ সভায় তিনি কলেরা রোগ নিরাময় ও নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ অগ্রযাত্রা এবং সাফল্যসমূহ তুলে ধরেন। প্রাইমারি হেল্থ কেয়ার কম্যুনিটি ক্লিনিক, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, জনসচেতনতামূলত প্রচারণা অভিযান প্রভৃতি কলেরার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে তিনি তার বক্তব্যে উপস্থাপন করেন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবসমূহের কারণে বাংলাদেশ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এবং এর ফলে স্বাস্থ্য খাতে অর্জিত সাফল্যসমূহ অব্যাহত রাখা কষ্টকর হবে বলে তিনি জানান। GTFCC এর সহযোগিতায় প্রণীত জাতীয় কলেরা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ২০১৯-২০৩০ এর ওপর আলোকপাতকালে তিনি বলেন, কলেরা নির্মূল করার জন্য নিরাপদ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিধায় সরকার এসব সম্পর্কিত অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের বিষয়ে জোর দিচ্ছে। GTFCC এর সভায় বিশ্বের কলেরা ঝুঁকিপ্রবণ অঞ্চল এবং দেশসমূহের জন্য নিম্নোক্ত চারটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সাহায্য ও সহযোগিতা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান তিনি।

প্রথমত: কলেরা নিয়ন্ত্রণে মৌলিক চালিকাশক্তি হিসেবে নিরাপদ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যবিধি অবকাঠামো নির্মাণ; দ্বিতীয়ত: ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন তৈরিতে বাংলাদেশ এবং আফ্রিকার দেশসমূহে সাহায্য প্রদান; তৃতীয়ত: কলেরার প্রার্দুভাব দ্রুত সনাক্তকরণ এবং তা নিরাময় ও নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চতুর্থত: কোথাও কলেরার প্রাদুর্ভাব হলে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানাতে রাষ্ট্রসমূহকে উদ্বুদ্ধকরণে ‘বাণিজ্য ও চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা’-এর পরিবর্তে বৈশ্বিক সংহতি ও সহানুভূতির পরিবেশ তৈরি করা।

পরিশেষে, কলেরা নিয়ন্ত্রণে চলমান উদ্যোগকে আরো বেগবান করার জন্য আগামী আগস্ট মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য সভায় অংশগ্রহণের জন্য উপস্থিত সবাইকে আহ্বান জানান।

#

শাহাদাত/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২১১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৫১৭৩

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজ্ঞ, সাহসী, দূরদর্শী ও সময়োচিত

পদক্ষেপের ফসল সফল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

                                   --আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 

বরিশাল, ৬ আষাঢ় (২০ জুন):

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, বিএনপিসহ কয়েকটি বিরোধীদলের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার পর সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুসম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজ্ঞ, সাহসী, দূরদর্শী ও সময়োচিত পদক্ষেপের ফসল সফল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

 

গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোঃ ইউনুছ ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারিছুর রহমান।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন। এ সংগঠন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণআন্দোলনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বলেন, সরকার সদ্যসমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও ভয়মুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় নির্বাচনি প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এতে নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে। তিনি বলেন, এবারের অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক সৎ, যোগ্য ও প্রতিভাবান জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন, যা সরকারের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বলতর করেছে। তিনি এ সফলতাকে ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে সকল প্রকার ভয়-ভীতির উর্ধ্বে থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান।

 

#

 

আহসান/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৯৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর: ৫১৭২

 

টেলিযোগাযোগ খাতের লোকসানি প্রতিষ্ঠানসমূহকে লাভজনক করতে স্মার্ট সম্পদ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য

                                                                                             --- জুনাইদ আহমেদ পলক

ঢাকা, ৬ আষাঢ় (২০ জুন):

          ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, টেলিযোগাযোগ খাতের লোকসানি প্রতিষ্ঠানসমূহকে লাভজনক করতে স্মার্ট সম্পদ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। দক্ষতা, আন্তরিকতা এবং সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে বিটিসিএল টেলিটক এবং টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে লাভজনক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা সম্ভব। প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পৃথকভাবে বিটিসিএল, টেলিটক ও টেলিফোন শিল্প সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

          অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান, বিটিসিএল এর এমডি মোঃ আনোয়ার হোসেন, টেলিটকের এমডি নুরুল মাবুদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থার এমডি আশরাফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

          ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অব্যবহৃত সম্পদের ব্যবহার, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস, বিদ্যমান প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বছরেরর পর বছর লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে করণীয় নির্ধারণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বিটিসিএল, টেলিটক এবং টেশিসকে গর্বিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অব্যবহৃত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, অপারেশন, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং সর্বোপরি দক্ষ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

          প্রতিমন্ত্রী বিটিসিএল এর অব্যবহৃত জমির সুষ্ঠু ব্যবহার, কলিং অ্যাপ আলাপ-এর সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহক বৃদ্ধি, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট জীবন-এর সেবার আওতাবৃদ্ধি এবং অন্যন্য অবকাঠামোর পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিটিসিএলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন। অনুরূপভাবে টেলিটক ও টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে সম্পদ ও প্রযুক্তির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান দুটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে সুযোগ কাজে লাগাতে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়নও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে লোকসানি প্রতিষ্ঠানসমূহকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় খুবই সময়োপযোগী।

          অনুষ্ঠানে বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল মাবুদ চৌধুরী এবং টেশিস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরেন।

#

 শেফায়েত/সায়েম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৯৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ৫১৭১

সরকার শ্রমিকদের সামাজিক মর্যাদা, স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে

                                                            --- শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী

কক্সবাজার, ৬ আষাঢ় (২০ জুন):

          বর্তমান শ্রমবান্ধব সরকার শ্রমিক ভাই-বোনদের সামাজিক মর্যাদা, স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিতকল্পে কাজ করে যাচ্ছে  বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

          আজ কক্সবাজারে হোটেল দ্য কক্স টুডে'র অরবিট হলে তথ্য অধিকার বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে  তথ্য অধিকার বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন  চিন্তা, বিবেক ও বাক স্বাধীনতাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে সমুন্নত করেছিলেন। জনগণের মধ্যে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সকল কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার প্রয়াসে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।

          শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক-মালিক উভয়ের স্বার্থ রক্ষা হয় এই বিষয়টি মাথায় রেখে কম সময়ের মধ্যেই শ্রম আইন ও বিধিমালা হালনাগাদ করা হবে। শ্রমিক-মালিক মিলেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত হতে শ্রমিক-মালিক ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে এবং আবারো বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ সংশোধনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ প্রণয়ন করে ২০২২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর এ আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। সরকার শ্রমিক ভাই-বোনদের সামাজিক মর্যাদা, স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিত করতে জাতীয় শ্রম নীতি-২০১২, জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা-২০১৩ এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫ প্রণয়ন করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে স্থিতিশীল শিল্প সম্পর্ক এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রমাণ করেছে।

          আজ তথ্য অধিকার বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কক্সবাজারে তথ্য অধিকার বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিক, শ্রমিক-মালিক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

  নোবেল দে/সায়েম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৯৪০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৫১৭০

সিলেট বিভাগে সৃষ্ট বন্যার প্রভাবে পিডিবি ও আরইবি’র বন্যা মোকাবিলা ও ক্ষয়ক্ষতির সার্বিক অবস্থা

ঢাকা, ৬ আষাঢ় (২০ জুন):

সিলেট বিভাগে চলমান বৃষ্টিপাত ও উজান হতে বয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)-এর সিলেট জোনের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, লাইন, ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক পোলের ক্ষয়ক্ষতির জন্য গ্রাহকদের বিশেষ করে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ দুঃখ প্রকাশ করছে।

বিতরণ অঞ্চল, বিউবো, সিলেটের অধীনে ৩৩/১১ কেভি মোট ২১টি উপকেন্দ্রের মধ্যে সকল উপকেন্দ্রই বর্তমানে চালু রয়েছে, যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রয়েছে। বিতরণ অঞ্চল, বিউবো, সিলেট বিভিন্ন শ্রেণির মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৯ জন, সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ২২৫ মেঃওঃ। বিতরণ অঞ্চল, বিউবো, সিলেট এলাকায় ৯টি ১৩২/৩৩ কেডি গ্রিড উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নেয়া হয়। সিলেট বিভাগে চলমান বৃষ্টিপাত ও উজান হতে বয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার প্রভাবে ৩৩/১১ কেভি ২১টি উপকেন্দ্রের মধ্যে ৭টি উপকেন্দ্রের অভ্যান্ত ইয়ার্ডে পানি প্রবেশ করলেও নিরাপদ দূরত্বে থাকায় উপকেন্দ্রসমূহ চালু অবস্থায় রয়েছে।

৩৩ কেভি লাইন ২ কি.মি.; ১১ কেভি লাইন ২২০ কি.মি.; ০.৪ কেভি লাইন ৬০০ কি.মি.; ১১/০.৪ কেভি ২৫০ কেভিএ ট্রান্সফরমার ৯টি; ১১/০.৪ কেভি ২০০ কেভিএ ট্রান্সফরমার ৫টি; ১১/০.৪ কেভি ১০০ কেভিএ ট্রান্সফরমার ৩টি; ১৫ মিটার পোল (হেলে পড়া) ২০টি; ১২ মিটার পোল (হেলে পড়া) ১৩০টি ; ৯ মিটার পোল (হেলে পড়া) ২৪৫টি; ৩৩ কেভি পিন ইন্দুলেটর (পিন-সহ) ৯৩টি; ১১ কেভি পিন ইন্সুলেটর (পিন-সহ) ২৪০টি; ৩৩ কেভি ডিওএফসি ৪টি; ১১ কেভি ডিওএফসি ৬০টি; ৩৩ কেভি এল এ ৪টি; ১১ কেভি এল এ ৬০টি; ৩৩ কেভি ডিস্ক ইন্সুলেটর (ফিটিংস-সহ) ৪ সেট; ১১ কেভি ডিস্ক ইন্সুলেটর (ফিটিংস-সহ) ২২ সেট; গাই এসেম্বলি ১৭০ সেট;।  প্রাথমিক ভাবে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ = ৯৪.৪০ লাখ টাকা; বিতরণ জোনের আওতাধীন সকল এলাকাই কম-বেশি বন্যা কবলিত হওয়ায় বন্যার পানি কমার পর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

বিতরণ জোনের আওতাধীন সকল এলাকাই কম-বেশি বন্যা কবলিত হওয়ায় বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা রোধে নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক জায়গায় ট্রান্সফরমারের ফিউজ কেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও, অনেক বসতবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়ে মিটার পর্যন্ত চলে আসায় বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা রোধে নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এসকল কারণে বিতরণ জোনের প্রায় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। বন্যার পানি কমলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। বিতরণ অঞ্চল, বাবিউবো, সিলেট অঞ্চলের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

আরইবি’র বিতরণ ব্যবস্থার সিলেট অঞ্চলে সমিতির সংখ্যা-ছয়টি (সিলেট-১, সিলেট-২, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও কিশোরগঞ্জ)।  বিনষ্ট পোল ৫৫টি, রিকভারি-৩৭টি; ট্রান্সফরমার-৬০টি রিকভারি-৪২টি; স্প্যান (তার ছেঁড়া)-৭৫টি, রিকভারি-৬৬টি; ইন্সুলেটর-২০টি, রিকভারি-২০টি; মিটার-২৫টি, রিকভারি-২৫টি; বিদ্যুৎবিহীন গ্রাহক সংখ্যা-১২১৪৩টি। মোট আর্থিক ক্ষতি পরিমাণ ৭৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা।

            কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ যার যার অবস্থান হতে মনিটরিং ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। বিতরণ জোনের আওতাধীন সকল এলাকাই কম-বেশি বন্যাকবলিত হওয়ায় বন্যার পানি কমার পর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সার্বিকভাবে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সদাসতর্ক রয়েছে। কোথাও ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার দেখলে নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিসে অবহিত করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

#

আসলাম/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৫১৬৮

বৈধভাবে বিনা খরচে জাপান যাচ্ছে দক্ষ জনশক্তি

                                                               

ঢাকা, ৬ আষাঢ় (২০ জুন): 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, দক্ষতা ছাড়া
দেশে-বিদেশে কোথাও মর্যাদা নেই। বিদেশে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, দক্ষতা ছাড়া দেশে-বিদেশে কোথাও মর্যাদা নেই।

আজ ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ-জার্মান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিনা খরচে জাপানগামী টেকনিক্যাল ইন্টার্ন স্মার্ট কার্ড ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

এসময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ খায়রুল আলম, বিএমইটি-এর মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর, বাংলাদেশ-জার্মান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ফৌজিয়া শাহনাজসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের টেকসই উন্নয়নের জন্য অবশ্যই শ্রমিকদের কারিগরি দক্ষতা বাড়াতে হবে। এজন্য আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

জাপানগামী টেকনিক্যাল ইন্টার্নদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা একেকজন দেশের প্রতিনিধি, বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর। আপনাদের কাজ, চলাফেরা, ব্যবহারে দেশের সুনাম হবে। জাপানগামী টেকনিক্যাল ইন্টার্ন বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনবে প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, আপনারা দেশের সুদিন, দুর্দিনে মানুষের পাশে থাকবেন। বিনা খরচে, বৈধভাবে জাপানে যাচ্ছেন, বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাবেন। আপনাদের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে যারা বিদেশ যেতে চায় তাদের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবেন। আপনারা তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করবেন যাতে সবাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে বিদেশে যায়।

#

সৈকত/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৭১৫ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর: ৫১৬৭

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৬ আষাঢ় (২০ জুন):

            স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ২০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ।

            গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৩০৫ জন।

#

 

দাউদ/সায়েম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৭৪০ঘণ্টা

Handout                                                                                                          Number: 5166

Raimah Chowdhury recognized as Global Youth Leader

Dhaka, 20 June:

          Raimah Chowdhury, the Managing Director of HR Lines Limited, has been recognized as a 2024 Global Youth Leader by the prestigious ‘2024 World Eco-Design Conference: Designing for Sustainable Development.’ The award ceremony was held recently at the Vienna International Center, United Nations Headquarters, Austria.
          UN consultative NGO, World Eco-Design Conference stated that Raimah Chowdhury, Managing Director of HR Lines Limited, a Karnaphuli company, the only owner and operator of ocean going container vessels under Bangladesh Flag, has been given the award for her outstanding work with the Women's International Shipping and Trading Association (WISTA) as its Executive Member for Asia and the Founder President of its Bangladesh Chapter.


          Environment Minister Saber Hossain Chowdhury today in his office said that this recognition underscores her commitment to integrating environmental and sustainability considerations into operations, promoting a greener future for the maritime sector and ushering new horizons for women in shipping and logistics and this is also at sync with Bangladesh’s global leadership in environmental stewardship.

#

Dipankar/Fatema/Siraj/Mansura/2024/1605 hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৫১৬৫

গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারের স্বীকৃতি পেলেন রাইমা চৌধুরী।

 

ঢাকা, ৬ আষাঢ় (২০ জুন):

এইচআর লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাইমা চৌধুরী মর্যাদাপূর্ণ ‘২০২৪ গ্লোবাল ইয়ুথ লিডার’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সম্প্রতি অস্ট্রিয়ায় অবস্থিত জাতিসংঘের সদরদপ্তর ভিয়েনা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে আয়োজিত ‘২০২৪ ওয়ার্ল্ড ইকো-ডিজাইন কনফারেন্স: ডিজাইনিং ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ অনুষ্ঠানে তাঁকে এ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

ওয়ার্ল্ড ইকো-ডিজাইন কনফারেন্স তাদের বিবৃতিতে জানায়, উইমেনস ইন্টারন্যাশনাল শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশন এশিয়ার কার্যনির্বাহী সদস্য এবং এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশের পতাকাবাহী সমুদ্রগামী কন্টেইনার জাহাজের একমাত্র মালিক ও অপারেটর কর্ণফুলী গ্রুপের কোম্পানি এইচআর লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাইমা চৌধুরীকে তাঁর অসামান্য কাজের জন্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, এ স্বীকৃতি তাঁর পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়ন ভাবনাকে বাস্তবায়ন করার, সমুদ্রখাতকে পরিবেশবান্ধব করার এবং শিপিং ও লজিস্টিকস খাতে নারীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচনের গুরুত্ব তুলে ধরে। এটি পরিবেশ সংরক্ষণে বাংলাদেশের বৈশ্বিক নেতৃত্ব প্রদানের স্বীকৃতিও বটে।

#

দীপংকর/ফাতেমা/সিরাজ/সুবর্ণা/আসমা/২০২৪/১৬০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৫১৬৪

যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন ও মেরামত শেষে আশুগঞ্জ সাইলোর উদ্বোধন                                                      

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৬ আষাঢ় (২০ জুন):  

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, BMRE (Balancing Modernization Rehabilitation and Expansion) সম্পন্ন হওয়ার ফলে আশুগঞ্জ সাইলো তার পূর্বের কর্মক্ষমতা ফিরে পেয়েছে। যন্ত্রপাতিসমূহ সম্পূর্ণ নতুন হওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৫ শত মেট্রিক টন গম গ্রহণ ও বিতরণ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া আশুগঞ্জ সাইলো মাত্র ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন ও মেরামত করা হয়েছে। নতুন সাইলো নির্মাণ ব্যয়বহুল। সরকারি অর্থ সাশ্রয় আমাদের লক্ষ্য। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সাইলো প্রাঙ্গণে আশুগঞ্জ সাইলোর বিএমআরই এর সফল সমাপ্তিতে সাইলো উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিয়ে দেশে সংকট নেই। এখন পুষ্টিকর আর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ। জনগণের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। সরকারি খাদ্য গুদামে ধারণ ক্ষমতা বর্তমানে প্রায় ২৩ লাখ মেট্রিক টন। আগামী জুনের মধ্যে এ ধারণক্ষমতায় আরো সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন যুক্ত করা হবে। এছাড়া, সারাদেশে পুরাতন জরাজীর্ণ গুদাম সংস্কারের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ধারণ ক্ষমতা ৩০ লাখ মেট্রিক টন হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব বাংলাদেশ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সাফল্য অর্জন করেছে। আশুগঞ্জের মতো কৌশলগত স্থানে সাইলো নির্মাণের ফলে এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে গম বিতরণ করা সহজ হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন খাদ্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ সাইলো সুপার খন্দকার সিরাজুস সালেকিন।

পরে মন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

#

কামাল/ফাতেমা/সিরাজ/মানসুরা/২০২৪/১৩৩৫ ঘণ্টা

 

2024-06-20-16-35-6fa73184973921cd037a69f5ce801a3b.docx 2024-06-20-16-35-6fa73184973921cd037a69f5ce801a3b.docx