Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ এপ্রিল ২০১৯

তথ্যবিবরণী ১৭ এপ্রিল ২০১৯

তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর :  ১৫৬৭
 
জাতির পিতার জন্ম না হলে এ দেশের মানুষ মুক্ত হতো না
                                          -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) : 
 
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। তাঁর জন্ম না হলে এ দেশের মানুষ কখনও পাকিস্তানিদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হতো না। জাতির পিতার বিরুদ্ধে যারা বিতর্ক করবে তাদেরকে জাতি বার বার ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। তিনি বলেন, জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। 
 
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক ও শিল্পী জাহানারা পারভীন আলোচনায় অংশ নেন। 
 
প্রতিমন্ত্রী আনুষ্ঠানে আগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরাই জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে নেতৃত্ব দিবে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র ছিল না। আইনের শাসন ও জনগণের অধিকার সামরিক স্বৈরাচারের বুটের তলায় পিষ্ট হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়। স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে। মানুষ ফিরে পায় তাদের অধিকার।
 
এর আগে প্রতিমন্ত্রী শিল্পকলা একাডেমিতে ‘শিল্পের আলোয় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ শিরোনামে শিল্পী জাহানারা পারভীনের পাথর খোদাই শিল্পকর্মের প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
 
#
 
রবীন্দ্রনাথ/মাহমুদ/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২১৩০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৫৬৬
 
নারায়ণগঞ্জে বিআইডব্লিউটিএ’র অভিযান
৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, দেড় একর ভূমি উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জ, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) :
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নদীতীর দখলমুক্ত করতে আজ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চানপাড়া এলাকায় সাতটি পাকা, আটটি সেমি পাকা ভবন, চারটি পাকা ওয়াল এবং ৩১টি টিনসেড ও অন্যান্যসহ মোট ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ।
এছাড়া দেড় একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। 
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২১৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৫৬৫
 
তুরাগের তীরে বিআইডব্লিউটিএ’র অভিযান
৭০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, এক কোটি ২৮ লাখ টাকার পণ্য নিলাম
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) : 
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নদীতীর দখলমুক্ত করতে আজ  ঢাকার তুরাগ থানার ভাটুলিয়া মৌজা ও পরান মন্ডল টেক এলাকায় একটি চারতলা, তিনটি দোতলা,  ছয়টি একতলা এবং নয়টি আধাপাকা ভবন, ১৩টি টিনশেড, ১০টি বাউন্ডারি ওয়াল, ২৯টি টিনের ঘরসহ মোট ৭০টি অবৈধ স্থ্পনা উচ্ছেদ, ছয়টি বালু, মাটি, পাথরের গদি অপসারণ এবং সাড়ে চার একর তীরভূমি অবমুক্ত করা হয়েছে। 
এছাড়া এক কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার পণ্য নিলাম করা হয়েছে।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২১২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর :  ১৫৬৪
 
চিকিৎসা সেবায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে
                                                          --স্বাস্থ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) :
 
জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের অডিটোরিয়ামে “চিকিৎসা সেবায় নৈতিকতা” বিষয়ক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান। সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। 
 
জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  সুযোগ্য নেতৃত্ব ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপের কারণে দেশের স্বাস্থ্যখাত অনেক দূর এগিয়ে গেছে। মেডিকেল কলেজসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের ৮টি বিভাগে ১টি করে কিডনি এবং ১টি করে ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শয্যা সংখ্যা ৫ হাজারে উন্নীত করা হবে। 
 
মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা পেশায় দায়িশীলতা ও নৈতিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসক সমাজের আরো উজ্জ্বল ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে রোগীদেরকে আন্তরিকতার সাথে সেবা দিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সকলকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, উপজেলা হাসপাতালগুলোতে যাতে রোগীরা এসে সেবা পান সেদিকে আরো নজর দিতে হবে। কর্মস্থলে যাতে সকল চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সেবা খাতকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে নিতে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও উন্নত নেতৃত্বও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।    
 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান বলেন, মানবতাবোধ থেকেই রোগীদেরকে আপনজন-আত্মীয় মনে করে সেবা দিয়ে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। চিকিৎসকদের আর্তমানবতার সেবায় নিজেদেরকে উৎসর্গ করতে হবে। “চিকিৎসা সেবায় নৈতিকতা” বিষয়ক আলোচনা স্বাস্থ্যসেবা খাতকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এগিয়ে নেয়ার জন্য করণীয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। 
 
সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ) জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের  মহাসচিব, ডা. মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।  
#
 
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/ফারহানা/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/২১২০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১৫৬৩
স্টিল স্ট্রাকচার খাতে শুল্ক বৈষম্য দূরীকরণের দাবি
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) : 
স্টিল স্ট্রাকচার খাতকে বাংলাদেশের একটি উদীয়মান শিল্পখাত হিসেবে উল্লেখ করে এ খাতের উদ্যোক্তারা বলেছেন, বর্তমানে এ শিল্পখাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। দেশীয় উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় এখন অভ্যন্তরীণ স্টিল স্ট্রাকচারের চাহিদার প্রায় ৯০ ভাগ যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে। এ সেক্টর ১৫ বছর আগেও আমদানিনির্ভর ছিল। তারা দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় স্টিল স্ট্রাকচার সেক্টরে শুল্ক হার যৌক্তিকীকরণের দাবি জানান। 
স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (এসবিএমএ) এর এক প্রতিনিধিদল আজ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে বৈঠককালে এ দাবি জানান। ঢাকায় শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 
বৈঠকে এসবিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ রেজওয়ানুল মামুন, উপদেষ্টা প্রশান্ত কুমার দাস, কোষাধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য তোফায়েল আহমদে তপনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 
বৈঠকে স্টিল বিল্ডিং শিল্পখাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় সংগঠনের নেতারা বলেন, দীর্ঘস্থায়ীত্ব, স্থানান্তর সুবিধা এবং জানমালের নিরাপত্তা বিবেচনায় এনে দেশে স্টিল স্ট্রাকচারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়ার প্লান্ট, এলএনজি, রেলওয়ে গ্রিডার, হাইওয়ে ব্রীজসহ বড় বড় প্রকল্পে এর ব্যবহার  উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। সরকারি সুযোগপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলো শুল্কমুক্ত ফিনিস প্রোডাক্টস্ আমদানির সুবিধা পাওয়ায় এ শিল্পখাত অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। তারা এ শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের আমদানি শুল্ক কমানোর জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।  
এসবিএমএ’র নেতারা বলেন, দেশীয় স্টিল বিল্ডিং শিল্পের পর্যাপ্ত উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। এরপরও প্রকল্পের জন্য বিদেশ থেকে শূন্য শুল্কে স্টিল স্ট্রাকচার আমদানি কাম্য নয়। সরকারি অগ্রাধিকার প্রকল্পে দেশে উৎপাদিত স্টিল স্ট্রাকচার ব্যবহার হলে স্থানীয় উদ্যোক্তারা লাভবান হবে। ফলে দেশে এ শিল্পের বিকাশ ঘটবে। বর্তমানে বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা স্টিল স্ট্রাকচার সংশ্লিষ্ট পণ্যের ক্ষেত্রে শতকরা ৫-১০ ভাগ হারে কাস্টমস্ ডিউটি প্রদান করলেও স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারারগণ এসব পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ কাস্টমস্ ডিউটি পরিশোধ করে থাকেন। তারা দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরণের শুল্ক বৈষম্য দূর করার দাবি জানান। 
 শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষায় সরকার সম্ভব সব ধরণের নীতি সহায়তা দেবে। তিনি স্টিল স্ট্রাকচারকে পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ উল্লেখ করে এ শিল্পের প্রসারে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান। শুল্ক বৈষম্যের বিষয়টি যাচাই বাছাই করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের প্রতি অনুরোধ জানানো হবে বলে তিনি এসবিএমএ’র নেতাদের আশ্বস্ত করেন।
#
জলিল/মাহমুদ/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২০৪০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর : ১৫৬২
সিউইড চাষ বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা
সিউইডের ভ্যালু এডেড পণ্যের ব্যবহার জনপ্রিয় করতে হবে
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) :
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে “বাংলাদেশ উপকূলে সিউইড চাষ : সম্ভাবনা ও অগ্রগতি” শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালায় বক্তারা দেশের বঙ্গোপসাগরকে সামুদ্রিক মৎস্য, চিংড়ি ও কাঁকড়া সম্পদ ছাড়াও ব্যাপক পুষ্টিমানসম্পন্ন গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ও রপ্তানিযোগ্য খাদ্য হিসেবে সমুদ্রের জলজ উদ্ভিত সিউইড বা সমুদ্র-শৈবালের অফুরন্ত আধার বলে উল্লেখ করেছেন। তারা বলেন, বাংলাদেশ সমুদ্র-শৈবাল নিয়ে যখন প্রাথমিক গবেষণায় নিয়োজিত, তখন এশিয়ার দেশগুলো ৮৫ ভাগ শৈবাল উৎপাদন ও রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর অর্থোপার্জন করে যাচ্ছে। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ২৬ মিলিয়ন টন সিউইড চাষ হয়ে থাকে। অধিক সমুদ্র শৈবালের চাষকারী দেশের মধ্যে চীন, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, রাশিয়া, পর্তুগাল, তাইওয়ান উল্লেখযোগ্য।  
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালিত গবেষণায় বঙ্গোপসাগরে এ পর্যন্ত ১১৭ প্রজাতির শৈবালের খোঁজ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ১০টি প্রজাতি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লাল, সবুজ ও বাদামি রঙের এই সমুদ্র-শৈবালগুলো দেশের উপকূলীয় আদিবাসীরা যুগযুগ ধরে সবজি ও সালাদ হিসেবে খেয়ে আসছে এবং বিদেশেও এর নুডুলস, সুপ, চা-কফি ছাড়াও ডেইরি, ওষুধ, টেক্সটাইল ও কাগজশিল্পে আগার, ক্যারাজিনান কিংবা জেল জাতীয় দ্রব্য তৈরিতে এবং জমির সার, প্রাণিখাদ্য ও লবণ উৎপাদনেও বহুল ব্যবহৃত পণ্য। খাদ্য হিসেবে বালাদেশে সমুদ্র শৈবালের জনপ্রিয়তা না থাকলেও দক্ষিণ এশিয়ায় এর বিশাল বাজার রয়েছে। 
বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ অপ্রচলিত এই জলজ সম্পদের চাষাবাদ এবং ব্যবহার কৌশল উদ্ভাবনের লক্ষে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইঋজও) গবেষণার পাশাপাশি কক্সবাজারের টেকনাফসহ সেন্টমার্টিন দ্বীপ এবং বাঁকখালীর মোহনায়  “বাংলাদেশ উপকূলে সিউইড চাষ ও সিউইডজাত পণ্য উৎপাদন গবেষণা প্রকল্প” বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ দেশের জলবায়ূতে নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৬ মাস সিউইডের চাষ করা সম্ভব। উপকূলীয় এলাকায় ১৫দিন পর পর এক বর্গমিটার জায়গায় ৬০-৮০ কেজি পর্যন্ত ভেজা শৈবাল উৎপাদন করা যায়, স্থানীয় বাজারে এর প্রতি কেজির সর্বনিম্ন মূল্য ১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রয় করে অনায়াসে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা আয় করা সম্ভববপর বলেও আলোচকরা জানান। মাত্র ১২০০ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি আনুভূমিক জাল দিয়ে ৬ মাসে একজন জেলে সহজেই ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকা উপার্জন করতে সক্ষম। সেন্টমার্টিন, ইনানী ও বাঁকখালী এলাকার জনগণ সাগরে জন্মানো এই সিউইড সূর্যতাপে শুকিয়ে পার্বত্য এলাকার উপকূলীয় বাজারে প্রতিমণ ৩ থেকে ৫ হাজারে বিক্রি করে বলেও কর্মশালায় জানানো হয়। তারা সিউইডের ভ্যালু এডেড খাদ্যপণ্যের প্রয়োজনের ওপরও জোর দেন।  
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু। বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম ম-ল, যুগ্মসচিব তৌফিকুল আরিফ (ব্লু-ইকোনমি), মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক প্রমুখ। এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গাজীপুরস্থ  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুজ্জামান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ শাহাদাৎ হোসেন।
মৎস্য প্রতিমন্ত্রী সিউইড আমাদের দেশে সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি নতুন উদ্যোগ এবং শুধু কক্সবাজারস্থ উপকূল নয়, দেশের অন্যান্য উপকূলীয় অঞ্চলেও এর চাষকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে উপকূলীয় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের জীবনমানেরও উন্নয়ন ঘটবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সমুদ্র শৈবালের আধুনিক চাষাবাদ সংক্রান্ত উদ্ভাবিত একটি প্রযুক্তিও মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের হাতে তুলে দেন। 
#
শাহ আলম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৯৩০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর : ১৫৬১
 
৬৪ জেলায় খাল খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে
                       -- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) :
 
‘বড় বড় নদ-নদীর পাশাপাশি ৬৪ জেলায় খাল খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেখানে বাধ, সেখানেই ড্রেজিং বাধ্যতামূলক এবং নদ-নদীর উপর স্থাপনা নির্মাণে প্রকৃতি-বান্ধব ডিজাইনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।’
 
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সভা কক্ষে বিশ্ব পানি দিবস ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’ এর ওপর আয়োজিত এক সেমিনারে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এ কথা বলেন। তিনি আরো আরো বলেন, ৬৪ জেলার খাল খননের এই প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ৫৫১ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে, যার আওতায় আরো ৫ হাজার কিলোমিটার খাল খনন করা হবে।
 
গেস্ট অভ্ অনারের বক্তব্যে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা’ এই সেøাগান দিয়ে যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, নদীমাতৃক সেই বাংলাদেশের নদী-খাল-বিল-হাওরগুলোকে দখলমুক্ত করতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় অন্যদের সহযোগিতায় কাজ করে চলেছে। আমরা সেই কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।  তিনি বলেন, যেখানে বাধ হয়, সেখানে ড্রেজিং বাধ্যতামূলক করতে প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে অনুশাসন দিয়েছেন। আমরা সে মোতাবেক কাজ করছি।’ তিনি এ সময় নদ-নদী রক্ষায় রুটিন দায়িত্বের বাইরেও দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।  
পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার তার বক্তব্যে জানান, বৃষ্টির পানি প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষণের জন্য সরকার খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে। বাসযোগ্য বাংলাদেশ নির্মাণে প্রাকৃতিকভাবে পানি সংরক্ষণের বিকল্প নেই। এছাড়াও নদ-নদীর উপর স্থাপনা নির্মাণের ফলে যাতে কোনো ভাবেই পানির গতিপথ পরিবর্তিত না হয় কিংবা নদ-নদীর ক্ষতি না হয় সরকার সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখছে। তাই, প্রকৃতিবান্ধব ডিজাইনের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। 
 
সেমিনারে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি সম্পদ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. উম্মে কুলসুম নভেরা ‘বাংলাদেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থানা ও চ্যালেঞ্জ এবং তা উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাসচিব প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং এনজিও প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন। 
#
 
নাছের/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/২০০০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর :  ১৫৬০
 
ডিএনসিসি কাঁচাবাজারে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদান
 
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) :
 
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) কাঁচাবাজারে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রত্যেকে ১০ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান আজ ঢাকায় ডিএনসিসি কাঁচাবাজারে উপস্থিত থেকে ব্যবসায়ীদের মাঝে নগদ টাকা বিতরণ করেন। 
 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সৈয়দ মোহাম্মদ হাশিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
 
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার যে কোনো দুর্যোগে জনসাধারণের পাশে আছে। তিনি বলেন, গত ৩০ মার্চের অগ্নিকা-ে কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। সরকার মানবিক সহায়তা হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রত্যেকে ১০ হাজার করে টাকা প্রদান করে তাদের পাশে দাঁড়ালো মাত্র। এতে ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যৎ পথচলায় মনোবল চাঙ্গা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 
 
উল্লেখ্য অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের ৬শ ৬৯ জন কর্মচারীদের প্রত্যেকে ইতিপূর্বে মানবিক সহায়তা হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের অগ্নিকা- যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে সকলকে সচেতন হতে প্রতিমন্ত্রী আহ্বান জানান। 
 
#
 
সেলিম/ফারহানা/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/১৯৩৫ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৫৫৯
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর
                   --- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) : 
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর। নির্বাচনি ইশতেহারেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে আইনের শাসন সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।  
প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক ‘তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড’ এর দুর্নীতি সংক্রান্ত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত বাংলাদেশে বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান খাত। এ খাত বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গঠনে উজ্জ¦ল ভূমিকা রাখছে। এ খাতে কোনো অনিয়ম করতে দেয়া হবে না। 
প্রতিবেদনে তিতাসে দুর্নীতির ২২টি উৎস এবং এসব উৎস হতে দুর্নীতি প্রতিরোধে ১২টি সুপারিশ করা হয়। প্রতিমন্ত্রী এ সময় দুদককে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, তাদের এই উদ্যোগ জ্বালানি খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর অবদান রাখবে। সম্মিলিত উদ্যোগেই উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হবে। 
প্রতিবেদনে দুর্নীতির ২২টি উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে - অবৈধ সংযোগ; নতুন সংযোগে অনীহা এবং অবৈধ সংযোগ বৈধ না করা; অবৈধ লাইন পুনঃসংযোগ; অবৈধ সংযোগ বন্ধে আইনগত পদক্ষেপ না নেয়া; অদৃশ্য হস্তক্ষেপে অবৈধ সংযোগ; গ্যাস সংযোগে নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ না করা; একই কর্মকর্তার একাধিক দায়িত্ব পালন; বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহককে শিল্প শ্রেণির গ্রাহক হিসেবে সংযোগ প্রদান; মিটার টেম্পারিং; অনুমোদনের অতিরিক্ত বয়লার ও জেনারেটরে গ্যাস সংযোগ; বৈধ সংযোগ দিতে হয়রানি; মিটার বাইপাস করে সংযোগ প্রদান সংক্রান্ত দুর্নীতি; ইচ্ছাকৃতভাবে গৃহস্থালিতে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয়া; ইচ্ছাকৃতভাবে ইভিসি না বসানো; দীর্ঘদিন ধরে শিল্প এলাকায় পোস্টিং; এস্টিমেশন অপেক্ষা গ্যাস কম সরবরাহ করেও সিস্টেম লস দেখানো; অবৈধ চুলাপ্রতি বৈধ চুলার সমান টাকা আদায় করে আত্মসাৎ; গ্যাস বিক্রি বেশি দেখিয়ে আত্মসাৎ; ভুয়া সংকেত দিয়ে অবৈধ গ্রাহকের কাছে বিল আদায়; আঞ্চলিক ব্যাংক হিসাব থেকে তিতাসের মাদার একাউন্টে যথাসময়ে টাকা স্থানান্তর না হওয়া ও দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া বিল আদায় না করা; উল্লিখিত সমস্যা/দুর্নীতি ছাড়াও দরপত্রে অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতি, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্তৃক সার্বক্ষণিক কোম্পানির গাড়ি ব্যবহার, জরিমানা, সংশোধিত বিল ও জামানত আদায়ে গ্যাস বিপণন নীতিমালা অনুসরণ না করা। 
প্রতিবেদনে দুর্নীতি প্রতিরোধে ১২ সুপারিশমালা পেশ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে - প্রি-পেইড মিটার; আকস্মিক পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা; ফলোআপ; দীর্ঘদিন শিল্প এলাকায় এবং একই বিভাগে পোস্টিং না রাখা;  জনবলের দক্ষতা বাড়ানো; অনিয়মের সাথে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি; অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ; অডিট আপত্তিগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা; সিস্টেম লসের সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ; নিজস্ব সার্ভিলেন্স এবং মোবাইল কোর্ট; নিজস্ব প্রসিকিউশন বিভাগ ও বকেয়া পাওনা আদায়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ। 
প্রতিবেদনটি প্রতিমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন দুদকের কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।
#
আসলাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০২০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১৫৫৮
ট্যানারি পরিচালনার জন্য কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) : 
সাভার চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) পরিচালনার জন্য চলতি মাসের মধ্যেই একটি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে ট্যানারি শিল্প মালিকরা।   
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সাথে চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সাভার চামড়া শিল্পনগরীর সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় আজ এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার,  শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, বিসিক চেয়ারম্যান মোঃ মোশতাক হাসান, এপেক্স ট্যানারির চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর ইলাহী, এলএফএমইএবি’র চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিএফএলএলএফইএ এর চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিম, বিটিএ চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদসহ বুয়েট, বিসিক এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।  
সভায় সাভার চামড়া শিল্পনগরীর সার্বিক অবস্থা বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) নিরীক্ষক এবং ইতালীর পরামর্শকের প্রতিবেদন অনুযায়ী সাভার চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের সার্বিক নির্মাণ কাজ সন্তোষজনক। এতে কিছুটা নির্মাণ ঘাটতি থাকলেও তা সহজেই সমাধানের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে, সলিড এবং লিকুইড বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনলে সিইটিপির শতভাগ সুবিধা পাওয়া সম্ভব।  
সভায় চামড়া শিল্পনগরীর সলিড বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ল্যান্ডফিল্ড ডিজাইন অনুযায়ী বর্জ্য ডাম্পিং এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ক্রোম সেপারেশন ইউনিট সচল করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাশাপাশি ট্যানারিতে পানির অপচয়রোধে শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়। এ লক্ষ্যে বিসিকের মাধ্যমে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ট্যানারি মালিকরা সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে স্থাপিত সিইটিপিকে এশিয়ার সর্ববৃহৎ সিইটিপি হিসেবে উল্লেখ করেন। এটি পুরোমাত্রায় ব্যবহার করা গেলে দেশের চামড়া শিল্পখাত এশিয়ায় সপ্তম স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে চলে আসবে। তারা কোম্পানি গঠনের পর নিজস্ব দায়িত্বে সিইটিপি পরিচালনার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন।  
সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনের পর বাংলাদেশ আরো উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের টার্গেট নির্ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। এ টার্গেট পূরণে তৈরি পোশাকের পর চামড়া শিল্প দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত হতে পারে। এ শিল্পখাতে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের বিরাট সুযোগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 
শিল্পমন্ত্রী বলেন, হাজারিবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তর বর্তমান সরকারের একটি বিরাট সাফল্য। অতীতে কোনো সরকার এটি করতে পারেনি। সরকার সাভার চামড়া শিল্পনগরীর কাজ সম্পন্ন করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি এটি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে ট্যানারি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি শিল্পনগরীতে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে বিসিক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। 
#
জলিল/মাহমুদ/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর : ১৫৫৭
 
মুজিবনগর দিবস  উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন সজীব ওয়াজেদ
 
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) :
 
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ২০১৯ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর আজ দশ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে। এছাড়া দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা প্রকাশ ও একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন।
 
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এস এস ভদ্র  এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
 
#
 
শেফায়েত/মাহমুদ/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৯২০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর : ১৫৫৬
 
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে সরকার নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে
                                                                -- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) :
 
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি হলো ধর্ম নিরপেক্ষতা। সরকার সংবিধানের মূলনীতি অনুসরণ করে সকল ধর্মের অনুসারীদের কল্যাণে সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত  করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এর মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য সম্প্রদায়ের ন্যায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কল্যাণে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। 
 
প্রতিমন্ত্রী আজ তাঁর মন্
Todays handout (10).docx Todays handout (10).docx