তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩৬
কবিরপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে
-- তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, চলচ্চিত্র শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়নে গাজীপুরের কবিরপুরে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি নির্মাণের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৬০ লাখ টাকা এবং ১টি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের জন্য ৪০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত ১০ম আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স¦ল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ সামাদ, টঘঐঈজ এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পাপা কিসমা সিলা, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, ফেডারেশন অভ্ ফিল্ম সোসাইটিজ অভ্ বাংলাদেশ এর সভাপতি লাইনুর নাহার বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শুধু বিনোদন নয়, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমরা বিস্তার করতে পারি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা। বিকশিত করতে পারি আমাদের সংস্কৃতি। রক্ষা করতে পারি ঐতিহ্য ও পরিবেশ। নির্মাতা শিল্পী কলাকুশলী এমনকি দর্শকেরা-আমরা সবাই যদি এ ব্যাপারে সচেতন থাকি তাহলে আমাদের জাতীয় জীবনে চলচ্চিত্রের গৌরবময় ভূমিকা নিঃসন্দেহে বেগবান হবে।
তারানা হালিম বলেন, চলচ্চিত্র মানুষের ওপর সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে বলেই এ শিল্পের দায়ও অনেক বেশি। তাই চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, জাতিসত্তা, সভ্যতা -সংস্কৃতি ধর্মীয় মূল্যবোধ সব কিছুর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সুস্থ বিনোদন হচ্ছে মানুষের মানসিক খোরাক। তাই ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে মননশীলতা ও নন্দনশিল্পের বিকাশের প্রয়াস আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, ৭২টি দেশ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ উৎসবে অংশগ্রহণ করে।
পরে প্রতিমন্ত্রী শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাণকারীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
#
এনায়েত/ফারহানা/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩৫
গাজীপুরকে আধুনিক সিটিতে পরিণত করা হবে
-- এলজিআরডি মন্ত্রী
গাজীপুর, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তার সুফল জনগণ ভোগ করছে। দেশের প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন আধুনিকায়নের জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকেও আধুনিক সিটিতে পরিণত করা হবে।
মন্ত্রী আজ গাজীপুরের রাজবাড়ী মাঠে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের চেয়ে গাজীপুরের গুরুত্ব বেশি। কারণ এটি একটি শিল্পাঞ্চল। এ নগরীর কলেবর দ্রুত বাড়ছে। এখানকার নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত পরিষদকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আত্মনিয়োগ করেছেন। তিনি একমাত্র সরকার প্রধান যিনি দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ও দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এমডিজি অর্জনে সফল হয়েছে। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবো।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে সকল লোক গৃহ পাবে, কেউ অনাহারে থাকবে না। অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি করে পর্যায়ক্রমে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা হবে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য এডভোকেট মোঃ রহমত আলী এমপি, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতার উজ্জামান, সংসদ সদস্য মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, গাজীপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ টিএম এনামুল হক, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার ওয়াই. এম বেলালুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার প্রমুখ।
#
জাকির/ফারহানা/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২১৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩৪
মঞ্চনাটকের মান বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দরকার
-- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, মঞ্চনাটকের মান বৃদ্ধি ও বজায় রাখার জন্য প্রশিক্ষণ দরকার। কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাটকের মান বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট নয়, এ জন্য এ বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করতে পারে। তাছাড়া নিয়মিত মঞ্চ নাট্যকর্মীদের যাদের জীবন-জীবিকা মূলত নাটকের ওপর নির্ভরশীল তাদেরকে বাছাইপূর্বক আগ্রহী কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের প্রাতিষ্ঠানিক-সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বাৎসরিক সম্মানীর ব্যবস্থা করতে পারে।
মন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে স্বনামধন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্সিং লিমিটেড আয়োজিত পাঁচদিনব্যাপী ‘আইডিএলসি নাট্য উৎসব ২০১৮’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আইডিএলসি ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান এবং অন্যতম বৃহত্তম অ্যাডভার্টাইজিং সংস্থা বিটপী এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সারা আলী।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুর ছাড়াও সারা দেশের প্রতিটি উপজেলায় মঞ্চ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। এর ফলে তৃণমূল পর্যায়েও নাট্যচর্চার সুযোগ সৃষ্টি হবে। মন্ত্রী বলেন, নাটক একটি ব্যয়বহুল শিল্পমাধ্যম। এ থেকে আয় করে শিল্পী তথা নাট্যকর্মীর জীবিকা নির্বাহ তুলনামূলকভাবে কঠিন। সে জন্য আমাদের দেশের ব্যবসায়িক বা আর্থিক কোন প্রতিষ্ঠান নাটকের পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসলে নাট্যকর্মীদের উচিত সে সুযোগ গ্রহণ করা। সেটি নাটকের জন্য ভালো হবে। নাটক এগিয়ে যাবে এবং সমৃদ্ধ হবে।
উদ্বোধনী দিনে ‘হাসনজানের রাজা’ ও ‘দ্য লোয়ার ডেপথস’ মঞ্চায়িত হয় যা পরিবেশন করে যথাক্রমে ‘প্রাঙ্গণে মোর’ এবং ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ’।
এছাড়া আরো আটটি দল এ উৎসবে নাটক পরিবেশন করবে। দর্শকনন্দিত এ দলগুলো হলো- ঢাকা পদাতিক, পালাকার, বটতলা, ঢাকা থিয়েটার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, থিয়েটার, প্রাচ্যনাট ও নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়। এ নাট্য উৎসবে তারা যথাক্রমে পরিবেশন করবে ট্রায়াল অভ্ সূর্যসেন, বাংলার মাটি বাংলার জল, ক্রাচের কর্ণেল, পঞ্চনারী আখ্যান, দ্য অ্যালকেমিস্ট, মুক্তি, সার্কাস সার্কাস এবং ওপেন কাপল।
#
ফয়সল/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩৩
সাংবাদিক মামুনুর রশিদের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক মামুনুর রশিদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
মন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে তথ্যমন্ত্রী গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত সিনিয়র সাংবাদিক ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদের জানাজায় অংশ নেন ও তাঁর শেষশয্যায় পুষ্পার্পণ করেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩২
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের বৈঠক
ব-দ্বীপ পরিকল্পনা অনুমোদন
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
পরিকল্পিত অর্থনীতির সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ। বেড়েছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও মাথাপিছু আয়। মূল্যস্ফীতি রয়েছে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে সামাজিক খাতেও অগ্রগতি রয়েছে ব্যাপক। কিন্তু এত সব অর্জন টেকসই হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্নও রয়েছে। এর পেছনে অন্যতম মূল কারণ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাব। জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাবকে মোকাবিলা করে দেশকে কিভাবে উন্নয়নের সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত পরিকল্পনা’ ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা’ বা ‘ডেল্টা প্ল্যান’।
আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনাকালে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম। বৈঠকে এই মহাপরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে কাক্সিক্ষত উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন এবং পানি, জলবায়ু, পরিবেশ ও ভূমির টেকসই ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলাসহ ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাংলাদেশের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করবে।
উন্নত দেশের পথে হাঁটতে হলে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে এক কথায় বলা যায়, ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন অপরিহার্য। তাছাড়া প্রকল্পটির মূল প্রতিপাদ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো। তাছাড়া এরই মধ্যে ভূমি ক্ষয় হচ্ছে ব্যাপক। নদী ভাঙনের ফলে প্রতিবছর ৫০ থেকে ৬০ হাজার পরিবার গৃহহীন হচ্ছে। বন্যায় অনেক ফসলহানি হচ্ছে। এর বাইরেও বিশেষ করে শহর অঞ্চলে সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, কঠিন বর্জ্য ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনা, কৃষি জমিতে ব্যাপক রাসায়নিক সারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মতো চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি উৎপাদন শক্তি না কমিয়ে কিভাবে এসব বিষয় যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা যেতে পারে বাংলাদেশের
ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় এসব বিষয়ের প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্ট া করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে গঠন করা হবে ডেল্টা তহবিল। এই তহবিলের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে বাংলাদেশ সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত তহবিল, বিশেষ করে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে (পিপিপি) বিবেচনা করা হয়েছে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের জন্য ২০৩০ সাল নাগাদ জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ সমপরিমাণ অর্থায়ন সম্বলিত বাংলাদেশ ডেল্টা তহবিল গঠনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এর মধ্যে ২ শতাংশ নতুন বিনিয়োগ এবং শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ব্যয় করা হবে। জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে ৮০ শতাংশ সরকারি তহবিল হতে এবং ২০ শতাংশ বেসরকারি খাত হতে আসবে।
#
তৌহিদুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩১
সাংবাদিক মামুনুর রশিদের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক মামুনুর রশিদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী এক শোকবার্তায় মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
#
ওয়ালিদ/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩০
চিকিৎসাধীন সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামকে
দেখতে গেলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামকে দেখতে যান। মন্ত্রী তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
উল্লেখ্য, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
#
নাছের/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪২৯
তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার প্রয়োগ সফলভাবে এগিয়ে নিতে হবে
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলা ভাষা চর্চা ও গবেষণার মাধ্যমে বাংলা ভাষার উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নেয়া এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে এর প্রয়োগ করা আলাদা কোনো এজেন্ডা নয়, এটির সাথে আমাদের আত্মার সম্পর্ক। কাজটা শুরু হয়েছে, এটাকে সফলতার পর্যায়ে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে বিটিআরসি আয়োজিত ডোমেইনে বাংলা লিপির ব্যবহারবিধি প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষার জন্য বাংলাদেশের জন্ম। বাংলা লিপি ব্যবহার করে অনেক জাতি। তাদেরকে নিয়ে কাজ করতে চাই। মন্ত্রী বাংলা ভাষাকে তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, ‘১৯৮৭ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত কনসোর্টিয়ামের মিটিংয়ে ‘বাংলা ভাষার বিদ্যমান অক্ষরসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে ত্রুটি দূর করার দাবি জানিয়েছিলাম। আমাদের দৃঢ় প্রচেষ্টার ফলে যারা একতরফা ভাবে দেবনাগরীয় চিন্তা করত তা থেকে তাদেরকে পিছু হটাতে আমরা সফল হয়েছি’। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযু্িক্ততে বাংলা ভাষার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ১শত ৫৯ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলা ভাষার গবেষণা ও উন্নয়নের ফলাফল সারা বিশ্বের বাঙালিরা ব্যবহার করতে পারবে।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪২৮
নৌ নিরাপত্তা ও নৌ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
সাতটি কোস্টাল রেডিও স্টেশন ও লাইট হাউজ স্থাপনের উদ্যোগ
ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) :
নৌ নিরাপত্তা প্রসার ও নৌ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উন্নতির লক্ষ্যে অত্যাধুনিক ‘কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার’সহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সাতটি কোস্টাল রেডিও স্টেশন ও লাইট হাউজ (বাতিঘর) স্থাপন করা হবে। ‘গ্লোবাল মেরিটাইম ডিসট্রেস এন্ড সেইফটি সিস্টেম এন্ড ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম’ (জিএমডিএসএস এন্ড আইএমএনএস) প্রকল্পের আওতায় এসব কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ২৪ ঘণ্টা জাহাজের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন, আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থার (আইএমও) আন্তর্জাতিক কনভেনশনের চাহিদা পূরণ, আধুনিক নেভিগেশনাল সহায়তা, ভেসেল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নৌ-নিরাপত্তা প্রসারিত করা সম্ভব হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় এবং কার্যালয়ের ৮ম তলায় ‘কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার’ স্থাপন করা হবে। ১১ তলা বিশিষ্ট ভবনটির প্রথম পর্যায়ে আট তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে।
গতকাল (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
বর্তমানে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও কুতুবদিয়ায় অবস্থিত লাইট হাউজসমূহ আধুুনিকীকরণ এবং নিঝুমদ্বীপ, ঢালচর, দুবলারচর ও কুয়াকাটায় নতুন লাইটহাউজ ও কোস্টাল রেডিও স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে মেরিটাইম ডিজাস্টার ব্যবস্থাপনা উন্নতিকরণসহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় এলাকায় সকল ধরণের জাহাজ, নৌকা, ট্রলার ইত্যাদি উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করা যাবে। এছাড়া সমুদ্রের যে কোনো স্থানে জাহাজ বিপদগ্রস্ত হলে জিএমডিএসএস সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোনো জাহাজের অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব হবে এবং পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী যে কোনো দেশের মেরিটাইম রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের মাধ্যমে জাহাজ ও জাহাজের নাবিকদের অবস্থান নির্ণয় করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সাহায্যে উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা সহজ হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নৌপরিবহন অধিদপ্তর কর্তৃক কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি) এর যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। এজন্য ব্যয় হবে ৪৫৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থ ১৬৪ কোটি ৪১ লাখ এবং কোরিয়ার প্রকল্প সাহায্য ২৯১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের কাজ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান এলজি-সামহিকন সোর্টিয়াম যৌথভাবে সম্পাদন করবে।
বর্তমানে ৩টি (কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও কুতুবদিয়া) লাইট হাউজের মাধ্যমে সরকার প্রতি বছর বিদেশি জাহাজ হতে আনুমানিক ১৪ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছে। প্রকল্পটি শেষ হলে ৭টি লাইট হাউজের মাধ্যমে এ খাতে সরকারের রাজস্ব আয় বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৩০ঘণ্টা