তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৩৩
সিলেট থেকে হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করেছেন বিমান মন্ত্রী
সিলেট, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান বলেছেন, হজযাত্রীরা আল্লাহর মেহমান। তাঁদের স্বাচ্ছন্দ্যে হজব্রত পালনে সম্ভব সকল পদক্ষেপ নিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। শাহজালালের পূণ্যভূমি সিলেটে বাংলাদেশ বিমানের বিপুল পরিমাণ যাত্রী বসবাস করেন। তাই ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে সিলেটকে বরাবরই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে বিমান। এরই ফলশ্রুতিতে বরাবরের মতো এবারও সিলেট থেকে বিমান হজ ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
মন্ত্রী আজ রাতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে হজ ফ্লাইট উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৯৮ জন হজযাত্রী হজে গমন করবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন হজে গমন করবেন। হজ চুক্তি অনুযায়ী মোট হজযাত্রীর অর্ধেক অর্থাৎ ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন হজযাত্রী বিমান এবং অবশিষ্ট ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন যাত্রী সৌদিয়া এয়ারলাইন্স পরিবহন করবে। গত ১৪ জুলাই সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে ৪১৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রার মধ্য দিয়ে এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিমানের পরিচালকবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, হাব ও আটাবের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
মাহবুবুর/সেলিম/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৩২
প্রযুক্তি অপব্যবহারকারীদের থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে জাতিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিল বর্তমান সরকার অথচ সেই প্রযুক্তিরই অপব্যবহার করে এদেশের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারী অশুভ মহল। প্রযুক্তির অপব্যবহারকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের থেকে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফবিজেও) আয়োজিত ‘জাতীয় শোক দিবস ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
ফেডারেশন অভ্ বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফবিজেও) এর চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ, সাহিত্যিক ও গবেষক সেলিম রেজা, সঞ্চালক এম এ মোতালিব এবং লায়ন নূরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যকে বাধাগ্রস্ত করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে ঐ অশুভ মহল। মন্ত্রী এ অশুভ মহল থেকে সকলকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।
#
রেজুয়ান/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৩১
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
কাঠমান্ডু (নেপাল), ১০ আগস্ট :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজ কাঠমান্ডুতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী খাদগা প্রসাদ অলি (কযধফমধ চৎধংধফ ঙষর)-এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বিষয়ক বাংলাদেশ-নেপাল সমঝোতা স্মারককে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উন্নয়নের সাথে সাথে বাংলাদেশ-নেপাল সহযোগিতার সম্পর্ক দৃঢ় হবে। তিনি পানি ব্যবস্থাপনা, বাঁধ নির্মাণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি নিয়ে তাঁর সরকারের পরিকল্পনা আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার গৃহীত কার্যক্রম নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা গেলে এ অঞ্চলের উন্নয়ন দ্রুত হবে। নেপালের জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো যেতে পারে আবার শীতকালে বাংলাদেশও নেপালকে বিদ্যুৎ দিতে পারে। সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। যৌথ বিনিয়োগে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বাংলাদেশ-নেপাল উভয়েই উপকৃত হতে পারে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্মসচিব ফায়েজুল আমীন উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৩০
সরকার শিক্ষাখাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে
-- এলজিআরডি মন্ত্রী
ফরিদপুর, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে গুণগত শিক্ষার বিকল্প নেই। সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। দেশের উন্নয়ন বরাদ্দে স্থানীয় সরকার বিভাগ গুরুত্ব পেলেও প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাকে প্রথম স্থানে রেখেছেন।
আজ দুপুরে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরতলীর বদরপুরে আফসানা মঞ্জিলে “সার্বজনীন ও মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষক সমাজের করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী-পুত্র ও প্রধানমন্ত্রীর জামাতা খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু, পুলিশ সুপার মোঃ জাকির হোসেন খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতেন বলেই প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে তিনি জাতীয়করণ করেছিলেন, যার কারণে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় নবজাগরণ হয়।
মন্ত্রী শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, মানসম্পন্ন শিক্ষা বাস্তবায়নে আপনাদের ভূমিকা অপরিসীম। জাতি গঠনের গুরু শিক্ষকরা। শিক্ষকদের সক্রিয়তায় দেশে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আপনারা নিঃস্বার্থ চেষ্টা, বুদ্ধি দিয়ে, দলীয়করণের বাইরে থেকে শিক্ষা প্রসারে যেভাবে কাজ করে চলেছেন তাতে এ জাতিকে কেউ আর দমিয়ে রাখতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার কলেজ, মাধ্যমিক, প্রাথমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
#
জাকির/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৯
খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম জীবনে যে অর্জন তার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার। একজন বাঙালি নারীর যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য থাকে তার সবই ছিল বঙ্গমাতার মধ্যে। সংসার, রাজনীতি, সমাজ প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন সচেতন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনগণের মুজিব ভাই, বঙ্গবন্ধু এবং জাতির পিতা হয়ে উঠার পেছনে সম্পূর্ণ অবদান ছিল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের। প্রতিটি কাজেই তিনি বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা করেছেন।
আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ’ আয়োজিত ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮ তম জন্মদিন’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ এ যারা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছিলেন তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ঐ সময়ে যিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি বিদেশে ছিলেন। কিন্তু জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকা-ের পরও তিনি এ হত্যাকা-ের বিরুদ্ধে বহির্বিশ্বে জনমত গঠন করেন নাই। সুতরাং তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে একই সাথে নিজের সংসার এবং আওয়ামী লীগ দুই-ই সামলেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনে যা কিছু অর্জন তার পেছনে মূল অবদান বঙ্গমাতার।
‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ’-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আকতারুজ্জামান, সাবেক ছাত্র নেতা বলরাম পোদ্দারসহ আরো অনেকে।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৮