তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৪৭
দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতার গ্রাস থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে
--- সমাজকল্যাণমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে সাম্প্রদায়িকতার কালো ছায়া আমাদেরকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করতে চাচ্ছে। সাংবাদিক কাজী সিরাজ এদেশের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে, দুর্নীতিমুক্ত ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত স্বাধীন দেশ করার জন্যই। কাজী সিরাজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন; কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না কাজী সিরাজ ছিলেন সারা জীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন ও সৎ থেকেছেন। দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে আজকের সাংবাদিকদের কাজী সিরাজের জীবনী থেকে শেখার আছে।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট কাজী সিরাজ এর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন কিছু রাজনৈতিক দল দেশকে অবিরাম পিছনের দিকে টেনে নিয়ে যেতে উঠে পড়ে লেগেছে। দেশের এই সময়ে সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার মতো সাহসী কলম সৈনিকের খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। তার মৃত্যুতে আমরা একজন বহুমুখী প্রতিভাবান কলম সৈনিককে হারিয়েছি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সমশের মবিন চৌধুরী, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, পরিবেশবাদী নেতা আতিকুর রহমান সালু ও কাজী সিরাজের পতœী ও সাবেক এমপি শাহরিয়ার আকতার বুলু।
#
মাইদুল/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৪৬
পল্লীকবি ভবনকে জসীম উদ্দীন একাডেমি হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে
-- সংস্কৃতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘পল্লী কবির পরিবারের পক্ষ থেকে উপযুক্ত প্রস্তাব পেলে কমলাপুরস্থ পল্লীকবি ভবনকে কবি জসীম উদ্দীন একাডেমি হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। তিনি বলেন, এটি আমার স্মৃতিমাখা একটি ভবন। এখানে স্বাধীনতা পূর্ববর্তীকালে আমার বহুবার আসা হয়েছে; কারণ, কবির তৃতীয় পুত্র ফিরোজ আনোয়ারের সঙ্গে ছিল আমার গভীর বন্ধুত্ব। কবির স্মৃতি রক্ষার্থে ইতোমধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা ফরিদপুরে কবি জসীম উদ্দীন স্মৃতিকেন্দ্র ও জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছি।’
মন্ত্রী আজ রাজধানীর কবি জসীম উদ্দীন রোডস্থ আসমানী ভবনে পল্লীকবি জসীম উদ্দীন পরিবার আয়োজিত ‘আমার মওদুদ আর্ট গ্যালারি ও পল্লীকবি জসীম উদ্দীন, মমতাজ বেগম জসীম উদ্দীন এবং আসিফ মওদুদের ভালবাসার স্মৃতিমাখা গ্রন্থাগার’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, রাজনীতিবিদরা দেশ গঠনে কাজ করেন। কিন্তু সেটি পূর্ণাঙ্গ হয় না, যদি তাঁদের পাশে কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, সংস্কৃতি কর্মী, বিজ্ঞানী ও গবেষকরা না থাকেন।
প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু বক্তৃতা করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ লোকসংগীত পরিষদ কর্তৃক ৪টি গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর পল্লীকবি রচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনান বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও কবি নীলুফার হক।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন কবি জসীম উদ্দীনের মেয়ে হাসনা মওদুদ জসীম উদ্দীন।
#
ফয়সল/ফারহানা/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৫০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৪৫
সাইবার নিরাপত্তা রক্ষার্থে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন
-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
কলকাতা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর ) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্্মেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ গত এক দশকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে যে উন্নয়ন ঘটেছে তা বিশ্বে প্রশংসিত। বর্তমানে দেশের সকল সম্পদের অক্ষুণœতা রক্ষার্থে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সাইবার নিরাপত্তা রক্ষার্থে ভারতের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী আজ এসোসিয়েটেড চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, কলকাতা (আসুচ্যাম) আয়োজিত ‘সাইবারকন-২০১৮ এন্ড টেকনোলজি এক্সেলেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলকাতার একটি হোটেলে সাইবার নিরাপত্তায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি খাতে প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে যা বিশ্বে ইতিহাস হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল মন্ত্রণালয়ে সাইবার নিরাপত্তা রক্ষার্থে সরকার বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের আঞ্চলিক নিরাপত্তা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, আসুচ্যাম এর সভাপতি নাভিন জয়সাল, সহ-সভাপতি এস এন নান্দি এবং পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব দেবাশিষ সেন।
#
মোফাকখারুল/ফারহানা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৮/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৪৪
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার
ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে আজ এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝরৎ উধহরবষ এৎরধহ অষবীধহফবৎ-এর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল প্রতিমন্ত্রীর বারিধারাস্থ বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এআইআইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতির ভূয়সী প্রসংসা করে আগামীতে একসাথে আরো কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন। বর্তমানে এআইআইবি’র অর্থায়নে ‘উরংঃৎরনঁঃরড়হ ঝুংঃবস টঢ়মৎধফব ধহফ ঊীঢ়ধহংরড়হ চৎড়লবপঃ’ এবং ‘ঘধঃঁৎধষ এধং ওহভৎধংঃৎঁপঃঁৎব ধহফ ঊভভরপরবহপু ওসঢ়ৎড়াবসবহঃ চৎড়লবপঃ’ নামক দু’টি প্রকল্প চলমান।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রচুর কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিতরণ লাইন ভূগর্ভস্থ করা, স্মার্ট গ্রিড, ইলেকট্রনিক ভিহাইকেল, নেট মিটারিং, মিনি গ্রিড ইত্যাদি দ্রুত প্রসারমান। ভিশন-২০৪১কে স্পর্শ করতে বিদ্যুৎ খাতে ৮২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইনোভেটিভ কাজে উৎসাহ প্রদান করে ও আধুনিক বৈদ্যুতিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরিতে এ ব্যাংক অবদান রাখতে পারে।
#
আসলাম/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৪৩
এসডিজি’র আলোকে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
দেশের এসএমই’দের উন্নয়নে এসডিজি’র আলোকে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশন আজ ঢাকার বিয়াম ফাউন্ডেশনের মেঘনা মিলনায়তনে ‘এসডিজি অর্জনে এসএমই খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় এসডিজি’র ৬টি লক্ষ্য এসএমই’র সাথে সরাসরি সম্পর্কিত হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। লক্ষ্যসমূহ হলোঃ দারিদ্র্যবিমোচন, গুণগত শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, সাশ্রয়ী এবং টেকসই জ্বালানির ব্যবহার, কর্মসংস্থান তৈরি ও টেকসই শিল্পায়ন। এই লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য এসএমই’দের অর্থায়ন, উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়।
কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি বিষয়ক) মোঃ মোকাম্মেল হোসেন। তিনি সরকারের মূল উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনার সাথে এসএমই উন্নয়ন পরিকল্পনা একই ধারায় এবং সমন্বিতভাবে প্রস্তুত করার ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সফিকুল ইসলাম দেশের সার্বিক উন্নয়নে এসএমই সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা উল্লেখ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশের জন্য ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম তুলে ধরেন।
কর্মশালায় এসএমই উদ্যোক্তা, বিভিন্ন এসএমই এসোসিয়েশন ও চেম্বারের প্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
মাসুম/ফারহানা/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯০০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৪২
নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করছে
--- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়নে ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষ্যে গবেষণায় ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধিকতর গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করছে। তিনি বলেন, হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ)-এর আওতায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের নেতৃত্বে একদল গবেষক নন-লিনিয়ার অপটিক্স গবেষণায় ক্যান্সার সনাক্তকরণের সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবিত ক্যান্সার সনাক্তকরণ প্রযুক্তি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, হেকেপের আওতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ২ হাজার ৫৪ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে টিচিং-লার্নিং ও গবেষণার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। হেকেপের ৫টি কম্পোনেন্টের মধ্যে একাডেমিক ইনোভেশন প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করা হয়েছে। এর আওতায় ৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে (২৮টি সরকারি ও ১০টি বেসরকারি) মোট ৪৪২টি সাব-প্রজেক্টে ৮০২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত ক্যান্সার সনাক্তকরণের প্রযুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন আবিস্কার। এটি শিক্ষা গবেষণায় বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। সকল মানুষের কল্যাণে এ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ‘নন-লিনিয়ার অপটিক্স ব্যবহার করে বায়োমার্কার নির্ণয়’ শীর্ষক প্রকল্পটি হেকেপের আওতায় গৃহীত হয়। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে নন-লিনিয়ার বায়ো-অপটিক্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি গড়ে তোলা হয়। এই ল্যাবরেটরিতে ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের রক্তের সিরামে শক্তিশালী লেজার রশ্মি পাঠিয়ে নন-লিনিয়ার সূচক পরিমাপ করার কাজ শুরু হয়েছে। বায়ো-কেমিক্যাল প্রক্রিয়ায় যে বাড়তি রিএজেন্ট ব্যবহার করতে হয় উদ্ভাবিত নতুন পদ্ধতিতে তা প্রয়োজন হয় না। এই পদ্ধতিতে প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে নতুন একটি পদ্ধতিতে রক্ত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য ক্যন্সারের ভবিষ্যদ্বাণী করার একটি সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে। এটি অল্প খরচে এবং কম সময়ে করা সম্ভব হবে। এই উদ্ভাবনী প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে শুধু ক্যান্সার রোগাক্রান্ত রোগীদের রক্ত নয়, অন্য যে কোন স্যাম্পলের নন-লিনিয়ার ধর্ম খুবই সহজে সূক্ষ্মভাবে পরিমাপ করা সম্ভব হবে।
উদ্ভাবন সম্পর্কে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা পেশ করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণা দলের প্রধান ড. ইয়াসমিন হক।
সংবাদ সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বিশ্ব ব্যাংকের চিফ অপরেশনস অফিসার ড. মোখলেছুর রহমান এবং প্রকল্প পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত।
#
আফরাজুর/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৪১
গণমাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তি উভয়ই সমাজকে স্বচ্ছ করে
--- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
‘দুর্নীতি, মানুষ পোড়ানো, হত্যা-খুনের অপরাধের মামলাকে রাজনৈতিক মামলা বলে চালিয়ে অপরাধীদের রক্ষা বা হালাল করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে,’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
আজ রাজধানীর কাকরাইলে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) সেমিনার হলে ‘পিআইবি-সোহেল সামাদ স্মৃতি পুরস্কার-২০১৮’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী গণমাধ্যমের প্রতি এ আহ্বান জানান।
গণমাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে অবদানের জন্য এবছর একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচি এ পুরস্কার লাভ করে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তি উভয়েই সমাজকে স্বচ্ছ করে। সেকারণে গুজব, মিথ্যাচার, চরিত্রহনন ও তথ্যবিকৃতির কোনো স্থান সাইবারজগত ও গণমাধ্যমে নেই।’
‘প্রশাসনের ভুল-ত্রুটির বিষয়ে যেমন গণমাধ্যম সোচ্চার, তেমনি রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর পদস্খলনের বিষয়েও গণমাধ্যমের সোচ্চার হওয়া উচিত। ভারসাম্য রক্ষার নীতির দোহাই দিয়ে অপরাধী নেতা-নেত্রীকে কোনো ছাড় দেয়া গণমাধ্যমের কাজ নয়’, বলেন হাসানুল হক ইনু।
পিআইবি পরিচালনা বোর্ড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’র গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান কাবেরী গায়েন, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও পিআইবি’র মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। পুরস্কার বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন এটুআই পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী ।
#
আকরাম/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৪০
আজিমপুর-মতিঝিল এলাকায় বিশ হাজার কর্মকর্তাদের বসবাসের সুযোগ করা হবে
--গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর ) :
বর্তমানে আজিমপুর কোয়ার্টার্সে প্রায় এক হাজার আটশত এবং মতিঝিল এলকায় দুই হাজার আটশত পরিবার বসবাস করে। আজিমপুর ও মতিঝিল এলাকার মাস্টার প্লান প্রণয়ন করা হচ্ছে। মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্ত করা হলে এই দুই এলাকায় প্রায় বিশ হাজার কর্মকর্তা বসবাস করার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। একই সাথে এসব এলাকায় উন্মুক্তস্থানের পরিমাণ বাড়বে এবং জলাশয় ও খেলার মাঠসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা যাবে।
আজ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডারে যোগদানকৃত নবীন কর্মকর্তাদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ঢাকা শহরে বসবাসকারী শতকরা আটভাগ কর্মকর্তা সরকারি আবাসন সুবিধা পান। এ সুবিধা ৪০ ভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর আগের তুলনায় অনেক গতিশীল হয়েছে। একইসাথে এ অধিদপ্তরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বেড়েছে। আগে বিভিন্ন সরকারি আবাসিক ভবন সাধারণত পাঁচ-ছয়তলা করা হতো। এখন এসব ভবন ২০ তলা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, যে জাতি স্বপ্ন দেখতে জানে না, সে জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করার সাথে সাথে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছেন এবং সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। এই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় নবীন কর্মকর্তাদের আত্মনিয়োগ করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী মো. রাফিকুল ইসলাম, প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন । অনুষ্ঠানে দু’জন নবীন কর্মকর্তা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে গণপূর্ত ক্যাডারে মোট ২৭জন কর্মকর্তা যোগদান করলেন। এরমধ্যে ১৯জন সিভিল এবং আট জন ইলেক্ট্রিক্যাল শাখায়।
#
কিবরিয়া/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৬০৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩৯
যাত্রা শুরু করল ক্যানন ফ্ল্যাগশিপ শো-রুম ক্যানন ইমেজ স্কয়ার
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর ) :
বাংলাদেশে ক্যানন পণ্যের একটি পরিপূর্ণ ডিসপ্লে-সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করল ‘ক্যানন ইমেজ স্কয়ার’। এটি ঢাকায় ক্যানন পণ্যের একটি পরিপূর্র্ণ ডিসপ্লে সেন্টার।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ আগারগাঁও এ দেশের সর্ববৃহৎ কম্পিউটার মার্কেট বিসিএস কম্পিউটার সিটি শো-রুমটি উদ্বোধন করেন।
এসময় ক্যানন এর প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ক্যানন সিঙ্গাপুর ইমেজ কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক অ্যালেক্স চ্যান এবং বাংলাদেশে ক্যানন ব্রান্ড এর একমাত্র পরিবেশক জে এ এন এসোসিয়েটস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ এইচ কাফী।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, দেশ যে ভাবে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করছে ক্যানন ব্রান্ডের ফ্ল্যাগশিপ শো-রুম ‘ক্যানন ইমেজ স্কয়ার’ এর যাত্রা তারই ধারবাহিকতা মাত্র। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষ ক্যাননের পণ্যসামগ্রীর সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত হতে পারবে এবং ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। তিনি বাংলাদেশে ক্যাননের সাফল্য কামনা করেন। ক্যানন এর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বৃহত্তর বিনিয়োগের জন্য মন্ত্রী আহ্বান জানান।
#
শহিদুল/অনসূয়া/সেলিনা/শামীম/২০১৮/১৬০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩৮
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমাদের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছিল। আমরাই প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ উন্মুক্ত করেছিলাম।
২০০৯ সালে সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততা ও লোডশেডিং-এ জনজীবন বিপর্যস্ত ছিল। এ অবস্থার উত্তরণের জন্য আমরা ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। বিগত প্রায় সাড়ে ৯ বছর সরকারি ও বেসরকারি খাতে ৯৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৩,৮১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে ১৪,১৩৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সকলের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব, ইনশাআল্লাহ।
আমরা গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি তরল জ্বালানি, কয়লা, পারমাণবিক শক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করে চলেছি। আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করে জনগণের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।
গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতিমধ্যে ৪টি নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে গ্যাসের গড় উৎপাদন ছিল দৈনিক ১৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বর্তমানে দৈনিক ২৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। গ্যাসের ঘাটতি পূরণকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এতে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নতি ঘটবে। বিদ্যুৎ, সার-কারখানা, শিল্প, বাণিজ্যিক ও আবাসিক খাতে বর্তমানে প্রায় ৪২ লাখ গ্রাহকের নিকট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের কার্যক্রম, সাফল্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিতকরণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বোত্তম জ্বালানির ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে অবগত করার উদ্দেশ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮’ উপলক্ষে এই প্রকাশনাকে আমি স্বাগত জানাই। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ‘অনির্বাণ আগামী’ স্লোগান সফল হউক।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অপচয় রোধ করে এর যথাযথ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আমি সকলকে অবদান রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০১৮/১০৩০ ঘন্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ২৪৩৭
বদ্যিুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতরি বাণী
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সপ্টেম্বের) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামদি ৬ সপ্টেম্বের বদ্যিুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে নম্নিোক্ত বাণী প্রদান করছেনে :
"বদ্যিুৎ, জ্বালানি ও খনজি সম্পদ মন্ত্রণালয়রে উদ্যোগে অন্যান্য বছররে ন্যায় এবারো ‘বদ্যিুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮’ উদযাপতি হচ্ছে জনেে আমি আনন্দতি। বদ্যিুতরে সাশ্রয়ী ব্যবহার ও জ্বালানি নরিাপত্তা নশ্চিতিকরণে এ র্কমসূচি ইতবিাচক ভূমকিা রাখবে বলে আমি মনে কর।ি
বদ্যিুৎ ও জ্বালানি টকেসই উন্নয়ন ও আধুনকি অগ্রযাত্রা ছাড়া অকল্পনীয়। বদ্যিুতরে ঝলমলে আলোয় বাংলাদশেরে প্রত্যন্ত অঞ্চল জগেে উঠছে।ে এ যনে নতুন যৌবনরে ডাক। র্বতমান যুগে তথ্য প্রযুক্তরি সুফল প্রতটিি ঘরে পৌঁছে দতিে বদ্যিুৎ অপরহর্িায। বাংলাদশেকে ২০২১ সালরে মধ্যে মধ্যম আয়রে এবং ২০৪১ সালরে মধ্যে উন্নত দশেরে র্মযাদায় আসীন করতে বদ্যিুৎ ও জ্বালানরি গুরুত্ব অপরসিীম।
বাংলাদশেরে র্অথনতৈকি প্রবৃদ্ধকিে অব্যাহত রাখতে সরকার বদ্যিুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বতিরণ খাতে বভিন্নি র্কমসূচি গ্রহণ করছে।ে বগিত বছরগুলোতে নতুন অনকে বদ্যিুৎ কন্দ্রে স্থাপনরে মাধ্যমে র্বতমানে বদ্যিুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার মগোওয়াটে উন্নীত হয়ছে।ে দ্ব-িপাক্ষকি ও আঞ্চলকি সহযোগতিার মাধ্যমে ইতমিধ্যে ৬৬০ মগোওয়াট বদ্যিুৎ ভারত থকেে আমদানি করা হচ্ছ।ে ২০২১ সালরে মধ্যে সবার ঘরে ঘরে নরিবচ্ছন্নি বদ্যিুৎ পৌঁছানরে লক্ষ্যে সরকার দৃঢ় প্রতজ্ঞি।
জ্বালানি খাতওে উন্নয়ন র্কাযক্রম এগয়িে চলছে।ে ২০০৯ সাল হতে এ র্পযন্ত নতুন চারটি গ্যাসক্ষত্রে আবষ্কিৃত হয়ছে।ে গ্যাসরে দনৈকি গড় উৎপাদন ১৭৪৪ মলিয়িন ঘনফুট থকেে বৃদ্ধি পয়েে র্বতমানে ২৭৫০ মলিয়িন ঘনফুট হয়ছে।ে জ্বালানি নরিাপত্তা নশ্চিতিকরণ ও জ্বালানি বহুমুখীকরণরে জন্য কয়লা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও তরলীকৃত প্রাকৃতকি গ্যাসরে ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়ছে।ে বদ্যিুৎ ও জ্বালানি খাতরে উন্নয়ন বাংলাদশেরে র্বধষ্ণিু র্অথনীতকিে আরো শক্তশিালী ও বগেবান করবে বলে আমার দৃঢ় বশ্বিাস।
বদ্যিুৎ ও প্রাকৃতকি গ্যাস উৎপাদন যমেন ব্যয়বহুল তমেনি তা সময়সাপক্ষে। দশে ও জাতরি র্স্বাথে তাই এই মূল্যবান সম্পদরে যথাযথ ব্যবহার নশ্চিতি করা অত্যন্ত জরুর।ি বদ্যিুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ জনগণকে বদ্যিুৎ ও জ্বালানি অপচয় রোধসহ সাশ্রয়ী ব্যবহারে উৎসাহতি করবে বলে আমার বশ্বিাস।
‘বদ্যিুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮’ সফল হোক-এ কামনা কর।ি
খোদা হাফজে, বাংলাদশে চরিজীবী হোক।"
#
আজাদ/অনসূয়া/জসীম/সলেনিা//আসমা/২০১৮/১০৩০ ঘণ্টা