Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ এপ্রিল ২০২০

তথ্য বিবরণী ৪ এপ্রিল ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১২২৭

খুলনায় নৌকার মাঝিদের মাঝে জেলা প্রশাসনের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

খুলনা, ২১ চৈত্র (৪ এপ্রিল) :

          খুলনায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঘরে থাকা কর্মহীন নৌকার মাঝিদের মধ্যে খুলনা জেলা প্রশাসন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে। খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঠিত ‘বেসরকারি মানবিক সহায়তা সেল’-এর আওতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন আজ খুলনার রূপসা নদীর বিভিন্ন ঘাটে নিম্ন আয়ের দুইশত জন নৌকা ও ট্রলারের মাঝিদের মাঝে চাল, ডাল, তেল, আলু, লবণ, সাবান ও মাস্ক-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

          জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, যে সকল মানুষ জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এখনও সরকারি সহায়তা পায়নি এবং বিশেষভাবে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ, যারা জনসম্মুখে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে সংকোচবোধ করেন তাদের এ ‘বেসরকারি মানবিক সহায়তা সেল’-এর আওতায় ঘরে ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

          জনসমাগম পরিহার করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে খুলনায় তিনশত স্বেচ্ছাসেবী তরুণ ঘরে ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার কাজ করে যাচ্ছে।

          খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

#

মিজান/দীপংকর/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/২২০২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ১২২৬

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে

নিজ নিজ বাসস্থানে দোয়া ও নামাজ আদায় করার আহ্বান

ঢাকা, ২১ চৈত্র (৪ এপ্রিল) :

দেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি রোধকল্পে সরকার সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস ‍ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণকে ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সকলকে হোম কোয়ারেন্টিন পালন করতে কঠোরভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও মসজিদে জুমা ও পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ সীমিত রাখার আহবান করা হয়েছে। অযু, নফল ও সুন্নত নামাজ বাসায় আদায় করার অনুরোধ করা হয়েছে।

 

          এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনা মান্য করে আগামী ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজ নিজ বাসস্থানে বসে পবিত্র শবে বরাতের ইবাদত যথাযথ মর্যাদায় আদায় করার জন্য সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

#

 

আনিস মাহমুদ/দীপংকর/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/২০৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ১২২৫

বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে এই দুর্যোগে জনগণের পাশে থাকার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

ঢাকা, ২১ চৈত্র (৪ এপ্রিল) :

          বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও এই দুর্যোগে জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

          আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে অনলাইনে দেয়া বক্তব‌্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। এসময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফেডারেশন অভ্ টিভি প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন-এফটিপিও, বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ- বিএসপি, প্রাইভেট রেডিও ওনার্স এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ-প্রোব নেতৃবৃন্দের হাতে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী হিসেবে হ‌্যান্ড-স‌্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভস ও সাবান এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ‌্যকর্মীদের জন‌্য ব‌্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক-পিপিই হস্তান্তর করেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল‌্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

          তথ‌্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ‌্যমের মাধ‌্যমে আমরা জানতে পেরেছি, এ সময় অনেক রোগীকে চিকিৎসা পেতে অসহায়ের মতো এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরতে হচ্ছে, এটি কোনোভাবেই কাম‌্য নয়। কারণ, সর্দি-কাশি হলেই তা করোনা নয়, আর করোনা রোগী হলেও তার সাহায‌্যার্থে আমাদের এগিয়ে আসা উচিত। অনেক ডাক্তার-নার্সই আজ করোনা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন এবং অনেক করোনা আক্রান্ত রোগীও সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছে। তাই আমি আশা করবো, যারা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনা করেন, তারা জনগণের পাশে দাঁড়াবেন। জনগণ যাতে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পায়, সেটি তারা নিশ্চিত করবেন, জনগণ এটিই প্রত‌্যাশা করে।’

          ‘কোন হাসপাতাল দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে, চিকিৎসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রোগী ফেরত দিচ্ছে, সরকার সেটিও নজরে রাখছে, সময়মতো ব‌্যবস্থা নেয়া হবে’, বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। 

          এ সময় সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান তথ‌্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা যদি সবাই ৩১ দফা নির্দেশনা মেনে চলি তবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা করোনার বিস্তার রোধে সক্ষম হবো। আমি গণমাধ‌্যমের মাধ‌্যমে সবার কাছে এই ৩১ দফা নির্দেশনা পৌঁছে দেয়া ও সবাইকে মেনে চলার আহ্বান জানাই।’

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দুর্যোগে দলের নেতাকর্মী ও বিত্তবানদের জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সে অনুযায়ী আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, বলেন ড. হাছান মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা পরিস্থিতির সকল দিক ওয়াকিবহাল এবং সব খুঁটিনাটি বিষয়ে লক্ষ‌্য রাখছেন এবং সেই মোতাবেক যেখানে যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, সে ব‌্যবস্থা নিচ্ছেন জানিয়ে তথ‌্যমন্ত্রী বলেন, সামনে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যে আশঙ্কা রয়েছে, তা মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে তিনি প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। 

          মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও সমাজকল‌্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর তত্বাবধানে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী দেশের সকল জেলায় পাঠানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যেটি করা হচ্ছে, অন‌্য কোনো দলের পক্ষ থেকে সেটি করা হচ্ছে বলে আমার জানা নেই। অনেকে অনেক কথা বলেন, কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কথা নয়, কাজে বিশ্বাসী। সে কারণে শুধু করোনা প্রতিরোধ সামগ্রীই নয়, দেশের খেটে খাওয়া মানুষ, যারা দিন এনে দিন খায়, তাদের জন‌্য সরকারের পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকেও গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। আমাদের জনপ্রতিনিধিরা, এমপি, উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম‌্যানেরা সেই ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন, অনেকে নিজ উদ‌্যোগেও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছেন।’ 

          এ সময় উপস্থিত একজন সাংবাদিক করোনা পরিস্থিতিতে বিএনপি'র দেয়া ৮৭ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের প্রস্তাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপি কোনো হোমওয়ার্ক না করে শুধু বলার জন‌্য এমন প্রস্তাব দিয়েছে। কার্যত কিছু লিফলেট বিলি করা ছাড়া জনগণের পাশে দাঁড়াতে তাদের দেখা যায়নি।  

          পরে তথ‌্যমন্ত্রী এফটিপিও, বিএসপি এবং প্রোব নেতৃবৃন্দের সাথে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার নানাদিক নিয়ে আলোচনা করেন। এফটিপিও সভাপতি নাট‌্যকার মামুনুর রশীদ, সদস‌্য এস এ হক অলীক, বিএসপি সভাপতি মো: শাহজালাল, সাধারণ সম্পাদক এম জি কিবরিয়া, প্রোব সভাপতি মো: হারুন-উর-রশীদ, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান চৌধুরী রনি ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশন সভাপতি মো: মতিউর রহমান তালুকদার আলোচনায় অংশ নেন।

#

আকরাম/দীপংকর/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/২০২৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ১২২৪

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দেশের সকল খেলাধুলা স্হগিতের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে

                                                                            -- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২১ চৈত্র (৪ এপ্রিল) :

          করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সকল খেলাধুলা আপাতত স্হগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এ সময়ে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পরিস্হিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দেশের সকল প্রকার খেলাধুলা বন্ধ থাকবে। 

          উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ সচিবালয়ের সভাকক্ষে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠককালে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সকল প্রকার খেলাধুলা স্হগিতের ঘোষণা দেন। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় ইতোমধ্যে দেশের সকল স্টেডিয়াম বিশেষ করে ইনডোর স্টেডিয়াম ও জিমনেসিয়াম গুলো স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন প্রয়োজনে অস্থায়ী হাসপাতাল বা আইসোলেশন সেন্টার করতে পারবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

          ঢাকা মহানগরী-সহ দেশে মোট ৮০ টি বিভাগীয় এবং জেলা স্টেডিয়াম ও উপজেলা পর্যায়ে ১২৫টি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম রয়েছে। এছাড়াও দেশে ২২টি জিমনেসিয়াম, ৭টি ইনডোর স্টেডিয়াম এবং ৫টি মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স রয়েছে। 

#

আরিফ/দীপংকর/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/২০১৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১২২৩

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২১ চৈত্র (৪ এপ্রিল) :

          রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭০ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ৩০ জন। এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন ৮ জন। ঢাকার বাইরে ৫টি সহ মোট ১৪টি ল্যাবে চলছে করোনা টেস্ট।

          এদিকে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ৬৪টি জেলায় এ পর্যন্ত
১১ কোটি ২৪ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা  নগদ সাহায্য এবং ৩৯ হাজার ৬শত ৬৭ মেঃটন চাল বরাদ্দ করেছে।

          দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য সমগ্র দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। 

#

 

তাসমীন/দীপংকর/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৯৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১২২২

মাস্ক ছাড়া কেউই এ সময় বাইরে বের হবেন না
                                         --স্বাস্থ্যমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২১ চৈত্র (৪ এপ্রিল) :

          স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “করোনা মোকাবিলা করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। দেশে আজও ৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২ জন মারা গেছেন। গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস কঠিন মূর্তি ধারণ করছে। কাজেই সামনে আমাদের সতর্ক না হয়ে আর উপায় নেই। প্রত্যেকেরই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। এখন থেকে সামনের কিছুদিন ঘর থেকে খুব জরুরি না হলে বাইরে বের হওয়াই উচিত হবে না। আর বাইরে কোন প্রয়োজনে বের হলেই মুখে মাস্ক পরে বের হতে হবে।”


          আজ রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা বেড পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।


          জনসমাগমে কম অংশ নেয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, “বারবার অনুরোধ করার পরও দেখা যাচ্ছে মানুষ জনসমাগম পরিহার করতে চাচ্ছেন না। জুমার নামাযে মসজিদ ঘর ভর্তি হয়েও রাস্তা পর্যন্ত লোক দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। এই মুহুর্তে এটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপার। সৌদি আরব, কুয়েত, ইরানের মতো মুসলিম দেশ যেখানে এ সময়ে মসজিদে গিয়ে নামাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অথচ আমাদের দেশে এটি কোনভাবেই মানছে না। এভাবে নিয়ম অগ্রাহ্য করলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কঠিন হবে।”


          বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সাধারণ রোগে মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, “বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মানুষ এখন বিপদে আছে, এই বিপদে তারা (প্রাইভেট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানসমূহ) যদি চিকিৎসা না করে হাত গুটিয়ে বসে থাকে তবে সরকারও তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সময়ে লাইসেন্স বাতিল-সহ কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।”


          পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আলী নূর, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক, বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আহমেদুল কবীর-সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।

#

মাইদুল/দীপংকর/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৯১৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১২২১

 

করোনা সংকটেও মৎস্য উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও রপ্তানি অব্যাহত রাখার জন্য

অংশীজনদের আহ্বান জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

ঢাকা, ২১ চৈত্র (৪ এপ্রিল) :

          করোনা সংকটেও মৎস্য উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও রপ্তানি অব্যাহত রাখার জন্য মৎস্য খাতের অংশীজনদের যার যার জায়গা থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত  সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে স্থাপিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে হটলাইনের মাধ্যমে (হটলাইন নম্বর-০২-৯১২২৫৫৭) অবহিত করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়। সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় দ্রুততার সাথে উদ্যোগ নেবে মর্মেও এসময় জানানো হয়।

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্দেশনায় আজ রাজধানীর মৎস ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে করোনা সংকটকালীন মৎস্য উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও রপ্তানি অব্যাহত রাখার বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মৎস্য খাতের অংশীজনদের মতবিনিময় সভায় এ সকল আহ্বান জানানো হয়।

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারীজ অ্যাসোসিয়েশন, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লাইভ এন্ড চিলড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এবং ফিস হ্যাচারি এন্ড ফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ-এর নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

          সভায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বর্তমান পরিস্থিতিতে মৎস্য পোনা পরিবহন ও বাজারজাতকরণে বাধা, মাছের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর গুজব, আমদানিকৃত মৎস্য খাদ্য উপকরণ ছাড়করণে বন্দর ও কাস্টমস জটিলতা, মাছের মোকাম বন্ধ থাকা, ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ ও কিস্তি স্থগিতকরণ, রপ্তানি হ্রাস, চিংড়ি রপ্তানিতে প্রণোদনা বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরেন।

#

ইফতেখার/দীপংকর/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৮৫৫ ঘণ্টাHandout                                                                                                                 Number : 1220

Foreign Minister expresses solidarity with the China’s national day of mourning

Dhaka, 4 April:

            Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen expressed his solidarity with China in mourning for those who died in the Coronavirus pandemic.

            In a message sent to State Councilor and Foreign Minister Wang Yi, Dr. Momen said, ‘I am very touched to learn that  People’s Republic of China is going to observe  mourning on 4 April 2020 for the martyrs who died in fight against the fatal COVID–19 pandemic and compatriots died of corona virus infection.’

            He also expressed his deep condolences for the loss of lives due to the outbreak of Coronavirus in Wuhan city and other places in China. He conveyed his sincere sympathy for the families of the victims.

            Dr. Momen assured that the people and the Government of Bangladesh are with the people and the government of China to address the crisis. He also extended his sincere thanks to Chinese Foreign Minister for taking well care of Bangladeshi citizens living in China at the tragic moment of Coronavirus outbreak.

            Bangladesh Foreign Minister wishes for Chinese Foreign Minister’s good health and continued peace, progress and prosperity of China.

#

Tohidul/Dipankar/Sanjib/Rezaul/2020/1836  hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ১২১৮

নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ক্রেডিট কার্ডের বিল বিলম্বে পরিশোধ করা যাবে

ঢাকা, ২১ চৈত্র (৪ এপ্রিল) :

            নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকের পক্ষে প্রদেয় বিল নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায়, ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের আর্থিক সামর্থ্য ও চলমান অন্যান্য সীমাবদ্ধতার বিষয়টি বিবেচনায় যে সকল ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকের বকেয়া বিল পরিশোধের শেষ তারিখ ১৫ মার্চ ২০২০ বা তার পরে সে সকল ক্ষেত্রে গ্রাহক কর্তৃক প্রদেয় বিল নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করার ক্ষেত্রে কোন বিলম্ব ফি/চার্জ/দণ্ড সুদ/অতিরিক্ত মুনাফা বা অন্য কোন ফি/চার্জ (যে নামেই অভিহিত কোন না কেন) আদায় না করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, ১৫ মার্চ ২০২০ হতে ইতোমধ্যে কোন ক্রেডিট কার্ড বিল বিলম্বে পরিশোধের কারণে বিলম্ব ফি/চার্জ/দণ্ড সুদ/অতিরিক্ত মুনাফা বা অন্য কোন ফি/চার্জ (যে নামেই অভিহিত হোক না কেন) আদায় করা হয়ে থাকলে তা সংশ্লিষ্ট ক্রেডিট কার্ড গ্রাহককে ফেরত প্রদান/পরবর্তী সময়ে প্রদেয় বিলের সাথে সমন্বয় করতে হবে।

            এ নির্দেশনা ১৫ মার্চ ২০২০ তারিখ হতে কার্যকর হবে এবং আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

            কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিতকল্পে সাধারণ ছুটি/বন্ধকালীন গণপরিবহন চলাচল সীমিত রাখতে ও জনসাধারণকে জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে যাওয়া/ভ্রমণ হতে বিরত থাকার জন্য সরকার প্রদত্ত নির্দেশনা এবং সীমিত আকারে ব্যাংক চালু রাখার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

            বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

#

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ১২১৯

শিশুখাদ্য আমাদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন ৫ শতাংশ নির্ধারণ

ঢাকা, ২১ চৈত্র (৪ এপ্রিল) :

            নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে শিশুখাদ্যের চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায়, অত্যাবশ্যক পণ্য বিবেচনায় বাজারে শিশুখাদ্যের মূল্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং সরবরাহে সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় শিশুখাদ্য আমদানির লক্ষ্যে ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা যাবে।

            আমদানিকৃত পণ্য নভেল করোনা ভাইরাসমুক্ত রাখার জন্য আমদানিকারক কর্তৃক সর্বোচ্চ সতর্কতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

            এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

            বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

#

মকবুল হোসেন/দীপংকর/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৮২২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১২১৭

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যাত্রীবাহী লঞ্চসমূহ ‘আইসোলেশন সেন্টার’ স্থাপনে প্রস্তুত

                                                           -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২১ চৈত্র (৪ এপ্রিল) :

          করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধ এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে যাত্রীবাহী লঞ্চসমূহ ‘আইসোলেশন সেন্টার’ স্থাপনের জন্য রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে লঞ্চ মালিকদের সম্মতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

          নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী আজ ঢাকা সদরঘাটে নৌযানে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লঞ্চ মালিকদের করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

          নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, অভ্যন্তরীণ নৌযান (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল এবং লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম ভূইয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

          খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেন, লঞ্চগুলোতে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হলে উপকূলীয় অঞ্চলে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা পৌঁছানো সহজ হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, লঞ্চের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের কারণে লঞ্চগুলো বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে; মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাথে কথা বলে লঞ্চগুলোকে কীভাবে নিরাপদ জায়গায় আনা যায় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা নৌযান শ্রমিকদের পাশে আছি। করোনা সংক্রান্ত সংকট থেকে উত্তরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকার নৌযান শ্রমিকদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে। তিনি আরো বলেন, লঞ্চ মালিকদের (ব্যবসায়ীদের) স্বার্থের বিষয়টি সরকার নিশ্চয়ই গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। সরকার রফতানি পণ্যের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে প্রণোদনা দিয়েছে। নৌপরিবহন সেক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নৌপথে ৩৫ ভাগ পরিবহন হয়ে থাকে। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে এখাতকে দেখা হবে।

          এর পর প্রতিমন্ত্রী সদরঘাটে ঘাট শ্রমিকদের মাঝে ২০০ প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

#

জাহাঙ্গীর/দীপংকর/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৮১৯ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১২১৬

 

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত

ওএমএস খাতে চালের এক্স গুদাম মূল্য ৮.০০ টাকা এবং ভোক্ত পর্যায়ে ১০.০০ টাকা পুনঃনির্ধারণ

 

 

ঢাকা, ২১ চৈত্র (৪ এপ্রিল) :

 

          বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় খাদ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত ওএমএস খাতে চালের এক্স গুদাম মূল্য ৮.০০ টাকা এবং ভোক্ত পর্যায়ে ১০.০০ টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।

 

          আজ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

          খাদ্য মন্ত্রণালয় হতে খাদ্য অধিদপ্তরে প্রেরিত এক নির্দেশনায় নিন্মোক্ত নির্দেশনা অনুসরণের বিষয়  প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে :

 

          ১। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট কর্মহীন মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি চলমান ওএমএস (আটা) কর্মসূচির অতিরিক্ত হিসেবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে;

 

          ২। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন জনসাধারণ গৃহে অবস্থান করায় সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ফলে তাদের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। দিনমজুর, রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, পরিবহণ শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, তৃতীয়লিঙ্গ (হিজরা) সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সকল কর্মহীন মানুষকে এর আওতায় এনে এই বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে;

 

          ৩। কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভোক্তার বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত মাস্টাররোল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল নম্বরসহ) সংরক্ষণ করতে হবে;

 

          ৪। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে ভোক্তা হিসেবে নির্বাচন করা যাবে না। এছাড়া, উক্ত পরিবারের কেউ যদি খাদ্য বান্ধব অথবা ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগী হয়ে থাকেন তাহলে তিনি এ কর্মসূচির আওতায় ভোক্তা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হতে পারবেন না;

 

          ৫। জেলা ও বিভাগীয় শহরের কেন্দ্র প্রতি ২ (দুই) মে.টন এবং ঢাকা মহানগরের কেন্দ্র প্রতি ৩ (তিন) মে.টন করে চাল দৈনিক বিক্রি করা যাবে;

 

          ৬। জেলা ও বিভাগীয়/ঢাকা মহানগরীর ওএমএস বরাদ্দের পরিমাণের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ওএমএস কমিটির (জেলা ও বিভাগীয়/ঢাকা মহানগরীর ওএমএস কমিটি) মাধ্যমে বিদ্যমান ওএমএস কেন্দ্রের সংখ্যা ঠিক রেখে বিক্রয়কেন্দ্রের স্থান পূনঃনির্ধারণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী, শ্রমজীবীদের বসবাস কেন্দ্রের নিকটস্থ বস্তি এলাকায় অথবা পর্যাপ্ত খালি জায়গা আছে এমন স্থানকে অস্থায়ী বিক্রয়কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করতে হবে;

 

         

=২=

          ৭। ভোক্তা প্রতি ৫ (পাঁচ) কেজি চাল বিক্রয় করতে হবে এবং একজন ভোক্তা জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদর্শণ করে সপ্তাহে একবার মাত্র ৫(পাঁচ) কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন;

 

          ৮। সপ্তাহে ৩(তিন) দিন রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০:০০ টা হতে দুপুর ৩:০০ টা পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম চালানো হবে;

 

          ৯। স্থানীয় প্রশাসন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সিটি কর্পোরশন, পৌরসভা এর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা প্রতিনিধির উপস্থিতি /তদারকিতে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে;

 

          ১০। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি পরিচালনপূর্বক বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে;

 

          ১১। ওএমএস নীতিমালায় বর্ণিত জেলা/বিভাগীয়/ঢাকা মহানগরীর কমিটি সার্বিক বিষয়টি মনিটরিং করবে;

 

          ১২। ডিলারগণ দৈনিক বিক্রয় প্রতিবেদন তদারকি কর্মকর্তার প্রতিস্ব

2020-04-04-22-08-930aaaac8d77e9dc5756970524ca2d25.docx 2020-04-04-22-08-930aaaac8d77e9dc5756970524ca2d25.docx