তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১৯
শীঘ্রই জাতীয় জাদুঘরে নজরুল কর্নার করা হবে
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ জ্যৈষ্ঠ (১৪ জুন):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ‘নজরুল কর্নার’ ছিল বলে শোনা যায়। সম্ভবত স্থান সংকুলান বা অন্য কোনো কারণে বর্তমানে সেটি নেই। কারণ যাই হোক না কেন, অতিশীঘ্রই জাতীয় জাদুঘরে ‘নজরুল কর্নার’ পুনঃস্থাপন ও পুনরুদ্ধার করা হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নজরুলের সাহিত্য ও সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবে এবং নজরুল চর্চা আরো গতি লাভ করবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘আলোচনা, নজরুল পুরস্কার ২০১৮ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারের ১২০তম নজরুল জন্মজয়ন্তী ছিল অন্যবারের চেয়ে অত্যুজ্জ্বল। ময়মনসিংহ রোডে প্রায় ৬০ কিলোমিটার এলাকায় বিলবোর্ড, তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন প্রভৃতি দিয়ে এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। তিনি বলেন, প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন নকশা অনুযায়ী ঢাকাস্থ নজরুল ইনস্টিটিউটের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
নজরুল পুরস্কার ২০১৮ প্রাপ্ত দু’জন শিল্পীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নজরুল পুরস্কার প্রদান কোনো অনুদান বা সহমর্মিতা নয়, এটি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীদের প্রাপ্য সম্মান এবং অর্জন।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও কবি পৌত্রী খিলখিল কাজী। কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার পক্ষে স্মারক বক্তৃতা পাঠ করেন তাঁর ছেলে মুসা হুদা। স্বাগত বক্তৃতা করেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ভূঞা।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে নজরুল সংগীত প্রচার, প্রসার ও স্বরলিপি প্রণয়নে বিশেষ অবদানের জন্য শিল্পী সেলিনা হোসেন ও যোসেফ কমল রড্রিক্সকে নজরুল পুরস্কার ২০১৮ প্রদান করা হয়।
পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় একক ও দলীয় সংগীত, নৃত্য এবং আবৃত্তি।
#
ফয়সল/ইসরাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১৮
আইএলও এর ‘সেন্টেনারি’ শ্রম সম্মেলনে যোগ দিতে জেনেভা যাচ্ছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ জ্যৈষ্ঠ (১৪ জুন):
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও এর শততম বার্ষিকীর ১০৮ তম ‘সেন্টেনারি’ শ্রম সম্মেলনে যোগদানের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আজ রাতে জেনেভা যাবেন।
আন্তর্জাতিক এই সংস্থার প্রতিষ্ঠার শততম বার্ষিকীর জন্য এবারের সম্মেলন বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
শ্রম সম্মেলনের আলোচ্যসূচি অনুযায়ী এ বছর পাঁচটি বিষয়ের ওপর আলোচনা হবে। সূচি অনুযায়ী শ্রম প্রতিমন্ত্রী ১৭ জুন বিকালে প্লেনারি সেশনে ‘ফিউচার অভ্ ওয়ার্ক’ (ঋঁঃঁৎব ড়ভ ডড়ৎশ) বিষয়ে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তৃতা করবেন।
সংস্থাটির শততম বার্ষিকীর সম্মেলনে সংস্থাটির শত বছরের কার্যক্রমের সাফল্য, সীমাবদ্ধতা ভবিষ্যতের কর্মসূচি, কর্মপদ্ধতি, কর্মপরিকল্পনা প্রভৃতি বিষয়ের আলোকে একটি ঘোষণাপত্র গৃহীত হবে। এছাড়া সম্মেলনে আইএলও কনভেনশনের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে এবং ভায়োলেন্স এন্ড হারাজমেন্ট এগনেইস্ট উইমেন এন্ড মেন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড অভ্ ওয়ার্ক এর ওপর কনভেনশন/রিকমেন্ডেশন গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ এ কনভেনশন সমর্থনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠার শততম বার্ষিকীর সেন্টেনারি সম্মেলন উপলক্ষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আইএলও এর মহাপরিচালকের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেবেন।
এবারের সম্মেলনে ইতোমধ্যে গত ১০ জুন আইএলও এর এই শততম বার্ষিকীর শ্রম সম্মেলন শুরু হয়েছে। আগামী ২২ জুন পর্যন্ত এ সম্মেলন চলবে। শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সাথে সংসদ সদস্য ইসারফিল আলম ও মানু মজুমদার, মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী আজম, অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লাহ জালালসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান, বিজিএমইএ এর সভাপতি রুবানা হক এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টুসহ মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিগণ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
#
আকতারুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টা