তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৭৫
আগামী দিনের পৃথিবী হবে প্রযুক্তি ও মেধানির্ভর
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আগামী দিনের পৃথিবী হবে প্রযুক্তি ও মেধানির্ভর। তাই পরিবর্তিত প্রযুক্তির সাথে খাপখাইয়ে চলতে হলে আমাদেরকে এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা প্রথম শিল্প যুগের উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে না।
মন্ত্রী আজ তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআই এর যৌথ আয়োজনে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে দিনব্যাপী ‘শিক্ষক সম্মেলন ২০১৯’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘ভবিষ্যৎ শিক্ষা - ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি’ শীর্ষক এই সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে কর্মসংস্থানের। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মোকাবিলায় আমাদের এখনো দক্ষতার অভাব রয়েছে। আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে ডিজিটাল যুগের দক্ষতা দেওয়াই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। একটা শিশু ছয় বছর বয়সে স্কুলে গেলে তারও ১২ বছর পর হয়তো কর্মজীবন শুরু করবে। অর্থাৎ যে শিক্ষা এখন পেলে শিশুটি ১৮ বছর পর কর্মজীবনে ভালো করবে, সেই শিক্ষা তাকে দিতে হবে।
বাংলাদেশে এখনো সেভাবে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়নি মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, শুধু কম্পিউটার ব্যবহার করা, পাওয়ার পয়েন্টে কিছু সøাইড তৈরি করা অথবা পাঠ্যপুস্তককে পিডিএফ করে ই-বুক তৈরি করাই ডিজিটাল শিক্ষা নয়। ডিজিটাল শিক্ষার মধ্যে আমরা যেটি করতে পেরেছি তা হলো কম্পিউটার নিয়ে মানুষের ভয় কমেছে। পরিবর্তিত প্রযুক্তির সাথে খাপখাইয়ে চলতে এ সময় শিক্ষকদের আরো বেশি জ্ঞান চর্চার এবং সৃজনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মোস্তাফা জব্বার। শিশুদের হাতে এখন পৃথিবীর সব থেকে বড় লাইব্রেরি ইন্টারনেট রয়েছে। তাই শুধু ভালো শিক্ষকেরা, সৃজনশীল শিক্ষকেরা টিকে থাকবে। তাই আমাদের জ্ঞানকর্মী শিক্ষক দরকার।
একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ এবং ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রভাষক দিদারুল আলম বক্তৃতা করেন।
পরে মন্ত্রী ডিজিটাল কনটেন্ট প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষকদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে ল্যাপটপ বিতরণ করেন।
#
শহিদুল/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২২১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৭৪
সন্ত্রাসীদের দেশ-ধর্ম নেই
--- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেছেন, সকল ধর্মের মানুষের জন্য নিরাপদ হবে এমন একটি দেশ প্রতিষ্ঠা করা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই করছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় ইনিস্টিটিউশন অভ্ ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ এর সম্মেলন কক্ষে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবন মান উন্নয়নে মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা ও মঠ-মন্দির সংস্কার-সরকারের অর্জন’ বিষয়ক প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই, দেশ নেই। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে এবং শ্রীলঙ্কার গির্জা ও হোটেলে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানান। সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শিশু জায়ান চৌধুরীসহ নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। হিন্দু মঠ-মন্দির-শ্মশান সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য অনুদান প্রদান, হিন্দু অসহায়দের চিকিৎসার জন্য অনুদান, ধর্মীয় পুস্তক প্রকাশনা ও শিশুদের শিক্ষা প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এছাড়া মন্দিরভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে শিশু শিক্ষার্থীদের অক্ষরজ্ঞান ও আধুনিক শিক্ষাদানের পাশাপাশি নৈতিকতা শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
শেখ আব্দুল্লাহ আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে অন্যান্য সম্প্রদায়ের ন্যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের কল্যাণে অসংখ্য কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মূলধন ২১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সারাদেশে ১ হাজার ৮১২টি মঠ, মন্দির ও শ্মশান সংস্কারের জন্য ২২৮ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তথা মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা, শ্মশান ও কবরস্থান উন্নয়নে সরকার পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করছে।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনিছুর রহমান, ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজী মহারাজ, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার বক্তৃতা করেন।
#
আনোয়ার/মাহমুদ/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/২১৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৭৩
জিপিএ ৫ পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে হবে
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জিপিএ ৫ পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা জিপিএ ৫ পাচ্ছে, ডিগ্রি অর্জন করছে কিন্তু বাস্তব জীবনে তারা দক্ষতা দেখাতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে যথাযথভাবে বাংলা অথবা ইংরেজিতে ভাব বিনিময় করতে পারছে না। তার মানে হল আমরা যে পদ্ধতিতে মেধার মূল্যায়ন করে ডিগ্রি প্রদান করি সে পদ্ধতিতে ত্রুটি রয়েছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার করে তার গুণগত মান উন্নয়ন করতে হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইসিটি ডিভিশন এবং এটুআই প্রোগ্রামের আয়োজনে শিক্ষক সম্মেলন ২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শিক্ষক সম্মেলনে আমার গ্রাম, আমার শহর, আমার শিক্ষা শিরোনামে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ গিয়াস উদ্দীন আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সোহেল আহমেদ, এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। প্যানেল আলোচনার মডারেটর ছিলেন মোঃ অনির চৌধুরী।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে স্কুল ব্যবস্থপনা কমিটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রভাবশালীরা স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকে। সেক্ষেত্রে তারা শিক্ষার গুণগত মানের দিকে খেয়াল রাখেন না। বিষয়টি আমাদের ভাবতে হবে।
#
খায়ের/মাহমুদ/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২১০০ ঘণ্টা
Handout Number : 1672
Information Minister meets Nepalese Prime Minister in Kathmandu
Dhaka, April 25 :
Bangladesh Information Minister Dr. Hasan Mahmud called on Prime Minister of Nepal Khadga Prasad Sharma Oli today at latter's office in Kathmandu.
Prime Minister Oli paid homage to Bangladesh's Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and praised the nation's progress under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina.
The leaders of two countries also had cordial discussions for about an hour on bilateral cooperation in different sectors including trade, commerce and media cooperation with special emphasis on mutual benefits to be derived from Nepal's hydro-electricity projects.
Bangladesh Ambassador in Nepal Mashfee Binte Shams, Director General of Bangladesh Television S M Haroon Or Rashid and diplomats of Bangladesh mission accompanied the minister.
Minister Dr. Hasan reached Kathmandu Thursday afternoon on a two day visit to attend 5th Asia Pacific Broadcasting Union-ABU summit, representing Bangladesh.
Information Minister is due to speak on Media's role on Climate Change awareness at the main session of the summit on Friday.
#
Akram/Mahmud/Mosharaf/Salim/2019/2030 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৭১
বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার
-- এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদ্ধতি গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে বর্জ্যরে পরিমাণ বাড়ছে। প্রচলিত পদ্ধতিতে ডাম্পিং করতে প্রচুর জমির প্রয়োজন হয়। অন্যান্য পদ্ধতিগুলোও খুব বেশি লাভজনক না হওয়ায় বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে। এতে কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে যা ব্যবহার করা যাবে।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য হতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও থাইল্যান্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখেছি বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার পদ্ধতিটি গ্রহণ করা যায়। এতে খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হবে না। আবার কিছু বিদ্যুৎও উৎপাদন হতে পারে।’
সভায় অন্যান্যের মধ্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আজম নাসিরউদ্দিন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহবুব হোসেনকে প্রধান করে একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে যারা আগামী ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
#
হাসান/ফারহানা/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৭০
শুনতে চাই কারা দুর্নীতির সাথে যুক্ত, জানতে চাই কাদের কারণে মানুষ সেবা পাচ্ছে না
-- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘সেবা সহজীকরণের প্রক্রিয়া শুরু হলে আমরা মন্ত্রণালয়সহ প্রতিটি দপ্তরে একটা অভিযোগ বাক্স রাখবো। শুনতে চাই কারা দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জানতে চাই কাদের কারণে মানুষ কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না। বুঝতে চাই মানুষ কতটা সেবা পাচ্ছে। কারণ আমাদের দায়িত্ববোধের জায়গা আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না। আমরা আসবো যাবো, কাঁধে কোনো দায় নেবো না, এটা হতে পারে না। যারা স¦চ্ছতার সঙ্গে কাজ করবেন, তারা চাকরিতে থাকবেন। যারা অস্বচ্ছ হবেন, দুর্নীতির সঙ্গে থাকবেন, তাদের চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে হবে অথবা অন্য কোথাও চলে যেতে হবে। আমি যতদিন এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি, আমি চাইব মন্ত্রণালয়সহ দপ্তর-সংস্থার সবাইকে সততার সঙ্গে, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
আজ দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সেবা সহজীকরণ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ‘আবাসন নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার। সকলের জন্য আবাসন, কেউ থাকবে না গৃহহীন। সেই লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। যখন দেখি নাগরিকরা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অসহায় অবস্থায় ঘুরছে, তখন মনে হয় ঐ জায়গায় আমি থাকলে একই কষ্ট আমার হতো। সেজন্য দীর্ঘসূত্রতার অবসান ঘটাতে হবে, মানুষের ভোগান্তির অবসান ঘটাতে হবে, সেবাকে সহজ করতে হবে, স্বচ্ছতা আনতে হবে, সততা আনতে হবে। সুশাসন যদি আমরা নিশ্চিত করতে না পারি, মানুষের কাক্সিক্ষত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না, নাগরিকগণ মৌলিক অধিকার পাবে না। যারা দায়িত্বে আছি সকলকে ভাবতে হবে জনগণ মালিক, তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে’।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সেবা প্রদানের ২৬টি পর্যায়ের বিন্যাস করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে সেবা সহজীকরণের প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি। বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়েই প্রথম মানুষের সেবা সহজ করার জন্য, ভোগান্তি কমানোর জন্য আমরা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছি। এটা একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন’। সরকার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনে রাজউক ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষকে সরকার ভর্তুকি দেবে, কিন্তু জনগণের ঘাড়ে অতিরিক্ত ট্যাক্স চাপিয়ে তাদের কষ্ট বাড়ানো এবং তার ভেতর থেকে আমাদের সুবিধা নেয়া, এটা কাক্সিক্ষত নয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘স্বচ্ছতার ব্যাপারে অনাকাক্সিক্ষত অনেক অভিযোগে আমরা জর্জরিত। সে জন্য স্বচ্ছতার জায়গায় আসার জন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষে ১ জুন থেকে এবং রাজউকে ১ মে থেকে সমস্ত ব্যবস্থাকে আমরা অটোমেশন অর্থাৎ ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসছি। বাড়িতে ল্যাপটপের মাধ্যমে অনলাইনে প্ল্যান সাবমিট করা যাবে, মিউটেশন আবেদন করা যাবে। রাজউক বা গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অফিসে যাওয়া লাগবে না। বাড়িতে বসে অগ্রগতি জানা যাবে। এই জাতীয় পরিবর্তনের জন্য আমরা ২৬টি পর্যায়ে অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছি।’
ব্রিফিং অনুষ্ঠানে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ রাশিদুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আখতার হোসেন।
#
ইফতেখার/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৯৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৬৯
১০ বছরে চার লাখ দরিদ্র বিচার প্রার্থীকে আইনি সহায়তা দিয়েছে সরকার
--- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিগত ১০ বছরে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ তিন লাখ ৯৩ হাজার ৭৯০ জন বিচার প্রার্থীকে আইনগত সহায়তা দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
আজ সচিবালয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, লিগ্যাল এইড কার্যক্রমকে গতিশীল ও সেবাবান্ধব করার লক্ষ্যে ঢাকায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার (ঘখঅঝঙ) প্রধান কার্যালয় স্থাপন করে এর অধীনে দেশের ৬৪টি জেলা সদরে লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করা হয়েছে। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শ্রমিকদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রম আদালতে শ্রমিক আইন সহায়তা সেল চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল শ্রম আদালতে এই সেল চালু করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি আইনি সেবা প্রদান আরো বিস্তৃত ও সহজ করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ঘখঅঝঙ- এর প্রধান কার্যালয়ে টোল ফ্রি জাতীয় হেল্পলাইন ১৬৪৩০ চালু করা হয়েছে।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোতে মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে ‘এডিআর কর্নার’ বা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসব অফিসে নতুন করে ৯৬টি সহায়ক কর্মচারীর পদ সৃজন করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নের জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন জনসচেতনতা। প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে ২৮ এপ্রিল জাতীয়ভাবে আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্যটি হলো : ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় শেখ হাসিনার অবদান, বিনামূল্যে লিগ্যাল এইডে আইনি সেবাদান’।
দিবসটি পালনের জন্য জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকাস্থ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
#
রেজাউল/ফারহানা/ইসরাত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৬৮
কৃষি উন্নয়নে যান্ত্রিকীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যান্ত্রিকীকরণের প্রসার ঘটাতে সরকার উন্নয়ন সহায়তা বা ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভবিষ্যতে প্রণোদনা বা বিনিয়োগ হিসেবে ভর্তুকি আরো বাড়ানো হবে। আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর কৃষির প্রয়োজনে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার এখন অনস্বীকার্য। উন্নত দেশগুলো আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। বাংলাদেশেও কৃষিতে লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি গবেষণায় উদ্ভাবিত নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে প্রান্তিক চাষিদের কাছে পৌঁছানোর ওপর কৃষি উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভরশীল। প্রযুক্তি প্রয়োগে কৃষির অন্যান্য শাখা তথা পোল্ট্রি, গবাদিপশু ও মৎস্য চাষেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
আজ কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট চত্বরে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৯ এর উদ্বোধনী দিনের ‘বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অর্জন, সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন। এবার নিয়ে দ্বিতীয়বার এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দেশের জন্য উপযোগী কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও আমদানির বিষয়ে বিজ্ঞানী ও ব্যবস্যায়ীদেরকে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানান মন্ত্রী। উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে অবশ্যই হালকা বা মাঝারি কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন পাওয়ার টিলার, ইঞ্জিন, ট্রান্সপ্লান্টার ও ছোট আকারের কম্বাইন হারভেস্টার এগুলি তৈরি হতে পারে এখনই। এসব কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তিনি উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদেরকে কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক শেখ মোঃ নাজিম উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ মঞ্জুরুল আলম, মূল প্রবন্ধেন ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস প্রফেসর ড. এমএ সাত্তার মন্ডল।
এবার জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলায় এ পর্যন্ত সরকারি ৮টি ও বেসরকারি ২১টি প্রতিষ্ঠান এবং ৩টি প্যাভেলিয়ন রয়েছে।