Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

তথ্যবিবরণী 19.12.2017

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৩৫০৫
 
  ‘লয়েডস লিস্ট’ কর্তৃপক্ষের সনদপত্র হস্তান্তর 
চট্টগ্রাম বন্দর কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ২৭ ধাপ এগিয়েছে
 
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো সংবাদমাধ্যম ‘লয়েডস লিস্ট’ (খষড়ুফং খরংঃ) এর ২০১৬ সালের জরিপে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কন্টেইনার পোর্টের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পাঁচ ধাপ এগিয়ে ৭১তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। ২০১৫ সালের জরিপে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৬তম। ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৯৮তম। বিগত ৮ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর তার কর্মদক্ষতা এবং সর্বোচ্চ হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ২৭ ধাপ এগিয়ে এ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয় অর্থনীতিতে অগ্রনী ভূমিকা রাখছে। চট্টগ্রাম বন্দরের এ অভূতপূর্ব সাফল্য বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার প্রতিফলন। 
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সাফল্যকে বিশেষভাবে উদ্যাপন করেছে। 
লয়েডস লিস্ট-এর সম্পাদক লিন্টন নাইটিংগেল (খরহঃড়হ ঘরমযঃরহমষব) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট  আজ সনদপত্র হস্তান্তর করেন। 
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথি এবং বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আবদুস সামাদ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্র্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।  
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০৯ সালে ১০,৬৯,৯৯৯; ২০১৩ সালে ১৪,০৬,৪৫৬; ২০১৪ সালে ১৫,৪১,৫১৭; ২০১৬ সালে ২০,২৪,২০৭ এবং ২০১৭ সালে এ পর্যন্ত ২৩,৪৬,৯০৯ টিইইউস  (২০ ফিট দৈর্ঘ্যরে কন্টেইনার) কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। ২০০৯ সালে ২,০৯৯; ২০১৩ সালে ২,১৫৬; ২০১৪ সালে ২,৪১০; ২০১৬ সালে ২,৭০৯ এবং ২০১৭ সালে এ পর্যন্ত ৩,০১৪টি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে।
শীর্ষ ১০০টি বন্দর ২০১৬ সালে ৫৫৫ দশমিক ছয় মিলিয়ন টিইইউস (টুয়েন্টি ইক্যুইভেলেন্ট ইউনিটস) কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। ২০১৫ সালের চেয়ে যা দুই দশমিক দুই ভাগ বেশি। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন ও সিঙ্গাপুর। চীনের ২০টি, ভারতের তিনটি ও পাকিস্তানের করাচি বন্দর স্থান পেয়েছে তালিকায়। করাচি বন্দরের অবস্থান ৭৭তম আর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৭১তম। বিশ্বের চার হাজার বন্দরের মধ্যে ৫০০টি বন্দর নিয়মিত কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করে থাকে। 
#
জাহাঙ্গীর/নাইচ/শেফায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২১১০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৫০৪
 
সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার মৃত্যুতে
 সড়ক পরিবহন মন্ত্রী এবং প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর শোক
 
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) এর সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদ-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী শোকবার্তায় মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদ এর মৃত্যুতে আরো শোক জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
প্রতিমন্ত্রী তাঁর আত্মার শান্তিকামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারসহ আত্মীয়স্বজনদের প্রতিও সমবেদনা জানান। 
#
ওয়ালিদ/শাহ আলম/নাইচ/শেফায়েত/জয়নুল/২০১৭/২১০০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৫০৩
 
শিল্পকে ভালো লাগাই বড় কথা
     --- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
 
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, শিল্পকে ভালো লাগাই বড় কথা এবং মুখ্য বিষয়। কিন্তু কেন শিল্পকে ভালো লাগে, সেটির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। এটি আমাদের কতটুকু আনন্দ দেয়, সেটিই বিবেচনার বিষয়। আমাদের শিল্পকে উপভোগ করতে হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ গ্যালারিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট মোহাম্মদ হাসানুর রহমানের ‘কোড অভ্ কন্ডাক্ট’ শীর্ষক একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ঢাকার পরিচালক ব্রুনো প্লাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিল্পী মোহাম্মদ হাসানুর রহমান।
প্রধান অতিথি বলেন, শিল্পানুরাগীদের সাধ্যমতো শিল্পকর্ম কেনার চেষ্টা করতে হবে। তবেই শিল্পীরা উৎসাহিত হবেন এবং নতুন নতুন শিল্পকর্ম সৃষ্টিতে অনুপ্রেরণা পাবেন। একই সাথে এটি শিল্পীদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে। তিনি এ ধরনের শিল্প উদ্যোগে সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, প্রদর্শনীতে শিল্পীর ৩৯টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে।
পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনী আজ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে শুরু হয়ে আগামী 
৩ জানুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত চলবে।
#
ফয়সল/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০১৫ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৫০২
 
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
 
উখিয়া (কক্সবাজার), ০৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। 
      উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ৩০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৪৮ ট্রাকের মাধ্যমে ৯৮ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৯ হাজার ৮ শত ৪৬ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫ শত ২৪ প্যাকেট শিশুখাদ্য, ৩৫ হাজার ৩ শত ৭৪ পিস গৃহস্থালিসামগ্রী, ৬ শত গৃহনির্মাণসামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।  
#
সাইফুল/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০১৫ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৫০১
 
 
সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন মাত্রা
                                                    --- সেতুমন্ত্রী
 
কলকাতা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে যে অবিশ্বাস ও সংশয়ের দেয়াল ছিল সেটি ভেঙে গিয়েছে। সম্পর্কের নতুন মাত্রা  যুক্ত হয়েছে। 
মন্ত্রী আজ কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপহাইকমিশন প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
এসময় তিনি দুই দেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এছাড়া যেভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন হয়েছে ঠিক একইভাবে তিস্তা চুক্তিরও সমাধান হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। 
এসময় কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
ওয়ালিদ/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০১০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৫০০
 
 মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
 
উখিয়া (কক্সবাজার), ০৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
আজ কুতুপালং -১ ক্যা¤েপ ৫ শত ৭০ জন পুরুষ, ৫ শত ৬০ জন নারী মিলে ১ হাজার ১ শত ৩০ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৯ শত ৫৩ জন পুরুষ, ৯ শত ৫৭ জন নারী মিলে ১ হাজার ৯ শত ১০ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৭ শত ৩৪ জন পুরুষ, ৮ শত ৫৯ জন নারী মিলে ১ হাজার ৫ শত ৯৩ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ৪ শত ৪৮ জন পুরুষ, ৪ শত ৮০ জন নারী মিলে ৯ শত ২৮ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ২ শত ৬৬ জন পুরুষ, ২ শত ৪২ জন নারী মিলে ৫ শত ৮ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ৬ শত ৪১ জন পুরুষ, ৬ শত ৭৯ জন নারী মিলে ১ হাজার ৩ শত ২০ জন, ঊনচিপ্রাং ক্যাম্পে ৫ শত ৪০ জন পুরুষ, ৫ শত ৭৮ জন নারী মিলে ১ হাজার ১ শত ১৮ জন এবং পুরোদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ৮ হাজার ৫ শত ৭ জনের জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
¬¬আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৮ শত ৭৮ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিক সংখ্যা ৬ লাখ ৭১ হাজার ৫ শত জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে। ২৫ আগস্ট, ২০১৭ এর পূর্বে আগত মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪ হাজার ৬০ জন।
#
সাইফুল/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০০০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ৩৪৯৯
 
স্বর্ণ-কিশোরী জাতীয় কনভেনশনে বাণিজ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য এক কাতারে দাঁড় করিয়েছিল 
 
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য এক কাতারে দাঁড় করিয়েছিল। তিনি বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের জন্য জীবনের বহুদিন জেলে কাটিয়েছেন। জেল-জুলুম তাঁকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। পাকিস্তান সৃষ্টির পর তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য সৃষ্টি হয়নি। বাঙালিদের নিজের ভাগ্য নিজেদের নির্ধারণ করতে হবে। ১৯৪৮ সাল থেকেই পরিকল্পিতভাবেই তিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য ধীরে ধীরে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ১৯৫৬ সালে শানসতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৭ সালে গণঅভ্যুত্থান এবং এরপর ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনোদিন নিজের জন্মদিন পালন করতেন না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি আমার জন্মদিন পালন করি না। যে জাতি অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটায়, কথায় কথায় গুলি করে হত্যা করা হয়, সে জাতির নেতা হিসেবে আমি জন্মদিন পালন করতে পারি না। এ দিনে আমার প্রতিজ্ঞা বাঙালি জাতির সার্বিক মুক্তি। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি বারবার মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন। মৃত্যুভয়ে তিনি থেমে থাকেননি, বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে স্বর্ণ-কিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বর্ণ-কিশোরী জাতীয় কনভেনশন-২০১৭ এর একপর্বের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সারাদেশ থেকে আগত প্রায় ৫ হাজার কিশোরীর উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। 
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমান দু‘টি উদ্দেশ সফল করতে আন্দোলন করেছিলেন। একটি হলো বাঙালি জাতির মুক্তি অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, অপরটি হলো বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি অর্থাৎ সোনার বাংলা গড়ে তোলা। তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন করে গেছেন। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দেশবাসীকে দু‘টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। একটি হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ, অপরটি দেশকে বিশে^র মধ্যে মধ্যমআয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নি¤œমধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্যমআয়ের দেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নয়, তিনি এখন বিশ^নেতা। 
বাণিজ্যমন্ত্রী কিশোরীদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্কুল-কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সবাইকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের সেবা করতে হবে। ডিজিটাল সুবিধা গ্রহণ করতে হবে। ডিজিটাল ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আজ তাঁরই কন্যা বাস্তবায়ন করছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ^বাসীর কাছে প্রশংসিত হচ্ছে। বিশে^র কাছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল। এ উন্নয়নের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
স্বর্ণ-কিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এন্ড সিইও ফারজানা ব্রাউনিয়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
#
বকসী/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৫৫ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৪৯৮
 
রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক 
 
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
দশম জাতীয় সংসদের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩৯তম বৈঠক কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক, খালিদ মহমুদ চৌধুরী এবং ইয়াসিন আলী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে রেলওয়ের ৭০টি লোকমোটিভ ক্রয়ের সর্বশেষ অবস্থা, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগের (প্রকৌশল, মেকানিক্যাল ইত্যাদি) বিগত তিন বছরের ক্রয় পরিকল্পনা ও প্রকৃত ক্রয়ের উপর প্রতিবেদন উপস্থাপন, চট্টগ্রামে নতুন কন্টেইনার ইয়ার্ড এবং ঢাকার আইসিডি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। 
বৈঠকে উল্লেখ করা হয় যে, ১০০টি সেশনের আধুনিকায়নসহ যাত্রীদের প্রবেশ ও বহিরাগমন নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে যাত্রীরা পাঞ্চিং মেশিনের মাধ্যমে স্টেশনে প্রবেশ ও বের হতে পারবে। এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিনা টিকিটের যাত্রী প্রতিরোধ এবং প্রবেশ ও বহিরাগমন গেটগুলোতে টিকেট চেকিংয়ের জন্য পয়েন্ট অভ্ সেল (চঙঝ) মেশিন ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 
বৈঠকে রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে যাত্রীসেবার বাইরে অন্য কোনো কাজে মাইকিং যেন না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে দুর্ঘটনা থেকে ট্রেনকে রক্ষার জন্য যে দুই শিশু অকুতোভয় সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে তাদেরকে পুরস্কৃত করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় কমিটিকে অবহিত করে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
সাব্বির/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯২০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৪৯৭
 
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক  
 
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
দশম জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ৩৮তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি-এর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জাতীয় সংসদের হুইপ মোঃ আতিউর রহমান আতিক ও মোঃ আবু জাহির বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে ঝঁংঃধরহধনষব উবাবষড়ঢ়সবহঃ এড়ধষং (ঝউএং) বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মপরিকল্পনা, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জিত ফলাফল এবং বিদ্যুৎ বিল, ২০১৭ পরীক্ষাপূর্বক সংসদে উপস্থাপনের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
কমিটি ঝঁংঃধরহধনষব উবাবষড়ঢ়সবহঃ এড়ধষং (ঝউএং) অর্জনে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে সময়ানুপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করে।
বৈঠকে কয়লাভিত্তিক কিংবা এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রমের বিষয় বাস্তব অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জনের জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্যগণকে দেশে ও বিদেশে শিক্ষা সফরের জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কমিটি গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের সুষ্ঠু প্রাপ্তির লক্ষ্যে নতুন লাইন নির্মাণ ও পুরাতন লাইন সংস্কারের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আরইবিকে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপরিশ করে।  
বৈঠকে বিদ্যুৎ বিল, ২০১৭ এর উপর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন ও সংযোজন সহকারে পরবর্তী কমিটি বৈঠকে উপস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়।
  বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
হালিম/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯০০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৪৯৬
 
মতবিনিময় সভায় বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী
প্রসারের পাশাপাশি রেসপনসিবল ট্যুরিজমের ক্ষেত্রেও দায়িত্ব পালন করতে হবে
 
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও প্রসারের পাশাপাশি রেসপনসিবল ট্যুরিজমের ক্ষেত্রেও আমাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে। অন্যথায় বিকাশমান এ শিল্পের সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়ে যাবে। 
মন্ত্রী বলেন, পর্যটকের ভারে সেন্টমার্টিন, রাতারগুল, জাফলং, বিছানাকান্দিসহ যেসব পর্যটন স্থাপনা পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এগুলোর সংরক্ষণে সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরকেও এগিয়ে আসতে হবে। 
কয়েক বছরের অন্তহীন প্রয়াসে প্রাইভেট সেক্টরের সহযোগিতায় সরকার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের জন্য একটি মসৃণ রানওয়ে তৈরি করেছে। এ রানওয়ে দিয়ে এ শিল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। 
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) সম্মেলন কক্ষে ‘পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও দায়িত্বশীল পর্যটন’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। 
#
তুহিন/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৫৫ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৩৪৯৫
 
 
জেনেভায় দ্বাদশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামে তথ্যমন্ত্রীর চার বৈশ্বিক চুক্তির প্রস্তাব
 
জেনেভা, সুইজারল্যান্ড, ১৯ ডিসেম্বর :
ডিজিটাল বিশ্বকে নিরাপদ ও জনমুখী রাখতে জাতিসংঘের দ্বাদশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামে (আইজিএফ) বৈশ্বিক চুক্তির প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
গতকাল সন্ধ্যায় জেনেভায় জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রের প্রধান হলে সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ডরিস লুথার্ড (উড়ৎরং খবধঁঃযধৎফ) পাঁচদিনের এ ফোরাম উদ্বোধনের পরপরই ভবিষ্যৎ ডিজিটাল বিশ্বের রূপরেখা শিরোনামে মূল আলোচনাসভার অন্যতম প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় তিনি এ প্রস্তাব দেন। নিরাপদ সাইবার স্পেস, জাতিসংঘের অধীনে ডিজিটাল অর্থনীতির কাঠামো, ইন্টারনেটকে মৌলিক মানবাধিকারের ঘোষণা এবং জাতিসংঘের অধীনে ইন্টারনেটের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা -এ চারটি চুক্তির প্রস্তাবের সাথে উন্নয়নকামী দেশগুলোর মানুষের ইন্টারনেটপ্রাপ্তি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আরো সাতটি কর্মপরিকল্পনাও পেশ করেন তথ্যমন্ত্রী।
সাত কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, ডিজিটাল সংযোগবঞ্চিতদের সংযোগের মধ্যে আনা, মাতৃভাষায় বিষয়বস্তু তৈরি, শিক্ষাপদ্ধতি সংস্কার, ডিজিটাল কাঠামো তৈরিতে আরো সরকারি উদ্যোগ, ই-ব্যবসায় 
আন্তঃদেশীয় বাধা দূর করা, টেকসই উন্নয়ন সহায়ক ডিজিটাইজেশন এবং সবার জন্য সুলভ নিরাপদ ইন্টারনেট।
হাসানুল হক ইনু এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে দেশের অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৬০ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে এখন ১৩০ মিলিয়ন মোবাইল ও ৮০ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীসহ ২২ হাজারের বেশি মাধ্যমিক স্কুলে ডিজিটাল ল্যাব রয়েছে, মাধ্যমিক স্কুল থেকেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধ্যয়ন বাধ্যতামূলক।
আজ দ্বাদশ আইজিএফ এর দ্বিতীয় দিনের প্রধান অধিবেশন ‘রাজনীতি, নাগরিক আস্থা ও গণতন্ত্রের ওপর ডিজিটাইজেশনের প্রভাব’ বিষয়ে অন্যতম প্রধান বক্তৃতা দেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ডিজিটাইজেশনের ফলে জনগণ ও সরকার আরো কাছাকছি আসছে ও আস্থা বাড়ছে, দুর্নীতি কমছে, অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও গণমাধ্যমের দ্রুত বিকাশ ঘটছে ও মানুষের সক্ষমতা বাড়ছে। তিনি বলেন, সংবিধানে লেখা অধিকার জীবনের পাতায় আনতে সহায়ক এই ডিজিটাইজেশনকে নিরাপদ ও টেকসই করার জন্য বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। 
বিশ্বের প্রায় দেড় শতাধিক দেশের এক হাজার প্রতিনিধি এ ফোরামে অংশ নিচ্ছে। জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান, বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের মহাসচিব মোহাম্মদ আব্দুল হক অনু মন্ত্রীর সাথে যোগ দিচ্ছেন।
আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।
#
আকরাম/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৪৫ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৪৯৪
 
বিজ্ঞান শিক্ষা সম্প্রসারণে বিজ্ঞান জাদুঘরের উদ্যোগ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
 
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর আয়োজিত ‘বিজ্ঞান শিক্ষা সম্প্রসারণে বিজ্ঞান জাদুঘরের উদ্যোগ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার আজ ঢাকায় আগারগাঁও জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে  সাধারণ মানুষ জীবনমান ও দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছে। এ সরকারের নানামুখী কর্মকা-ের ফলে বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে, দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে।
মন্ত্রী এসময় উপস্থিত বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষক সমাজের দায়িত্ব হচ্ছে শিক্ষক ও পিতা হিসেবে সমাজকে পথ দেখানো এবং সমাজের চোখ খুলে দেয়া। শিক্ষকগণ হচ্ছেন সামাজিক নেতা। সেজন্য শিক্ষকতা পেশাকে শুধু টাকা উপার্জনের পথ হিসেবে বেছে নিলে হবে না। বরং কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে দেশের নতুন প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং বিজ্ঞান শিক্ষা সম্প্রসারণে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নত জাতি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজ্ঞান জাদুঘরের সিনিয়র কিউরেটর মোঃ বদিয়ার রহমান। বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক স্বপন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. নঈম চৌধুরী এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মঞ্জুর রহমান।
#
কামরুল/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৩৪৯৩
 
স্পিকারের সাথে আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস এর
 রিসার্চ এন্ড এডভোকেসি ডিরেক্টর ওরেন সামেটের সাক্ষাৎ
 
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি’র সাথে বাংলাদেশে সফররত আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এপিএইচআর) এর রিসার্চ এন্ড এডভোকেসি ডিরেক্টর ওরেন সামেট (ঙৎবহ ঝধসবঃ) আজ তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ইস্যু এবং এ ইস্যুতে আসিয়ানভুক্ত দেশসমূহের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। 
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সময়ে সীমান্ত খুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্মোচন করেছেন মানবতার নবদুয়ার, স্থাপন করেছেন মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাঁচদফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। পাঁচদফা প্রস্তাবের ভিত্তিতেই  এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন। 
এ সময় স্পিকার রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিশ্ব জনমত বৃদ্ধিতে আসিয়ানভুক্ত দেশসমূহের জোরালো ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ওরেন সামেট রোহিঙ্গাদের বাস্তব অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের জন্য কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন মর্মে স্পিকারকে অবহিত করেন। এছাড়া ২১-২৪ জানুয়ারি,২০১৮ আসিয়ানভুক্ত দেশসমূহের সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে প্রতিনিধিদল কক্সবাজার সফরে আসবে বলে নিশ্চিত করেন। রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে এপিএইচআর এ ধরনের পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক উল্লেখ করে স্পিকার তাঁদেরকে সকল সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
ওরেন সামেট রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিদলের সাথে এপিএইচআর এর মতবিনিময় সভা আয়োজনের জন্য স্পিকারকে অনুরোধ করেন। স্পিকার ওরেন সামেট এর প্রস্তাব সমর্থন করেন এবং তাঁকে ধন্যবাদ জানান। 
অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি এসময় উপস্থিত ছিলেন। 
#
তারিক/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৩০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর: ৩৪৯২              
 
স্পিকারের সাথে ইন্দোনেশিয়ার ডেপুটি স্পিকারের সাক্ষাৎ
 
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর): 
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী’র সাথে বাংলাদেশে সফররত ইন্দোনেশিয়ার ডেপুটি স্পিকার উৎ. ঋধফষর তড়হ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আজ তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
এসময় প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ঘঁৎসধহংুধ ঞধহলঁহম, গচ ও খবফরধ ঐধহরভধ অসধষরধয, গঢ় অংশগ্রহণ করেন। 
সাক্ষাতকালে তাঁরা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ইস্যু, এ ইস্যুতে আসিয়ানভুক্ত দেশসমূহের ভূমিকা, ইন্দোনেশিয়া সরকারের পাশাপাশি সংসদের সমর্থন,  দু’দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ইস্যুতে গৃহীত পদক্ষেপ, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমাতে গৃহীত পদক্ষেপ ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া তাঁরা দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 
স্পিকার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের বন্ধু। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইন্দোনেশিয়া সরকার ও বিশেষ করে সংসদের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এ ইস্যুতে তিনি আরও সহযোগিতা কামনা করেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপের বিবরণ দিয়ে স্পিকার বলেন, এটি একটি মানবিক সমস্যা। তিনি বলেন, এ ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত তৈরি হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরো সহযোগিতা কামনা করেন। 
ইন্দোনেশিয়ার ডেপুটি স্পিকার বাংলাদেশ সম্প্রতি অত্যন্ত সফলভাবে আইপিইউ ও সিপিএ সম্মেলন সমাপ্ত করায় স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি এসময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার সরকার ও সংসদের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়ে বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সন্তোষজনক। তিনি রোহিঙ্গাদের বাস্তব অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের জন্য কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শন  করবেন মর্মে স্পিকারকে অবহিত করেন। তিনি ইন্দোনেশিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ডাক্তার প্রেরণ ও তাদের অস্থায়ী আবাসস্থল নির্মাণ করে দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। 
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার  রাষ্ট্রদূত জরহধ চ. ঝড়বসধৎহড় উপস্থিত ছিলেন। 
 
#
 
তারিক/অনসূয়া/শহিদ/শামীম/২০১৭/১৬১৩ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                  &
Todays handout (7).docx Todays handout (7).docx