তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৬৩
ই-কমার্স তরুণদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য অসাধারণ সুযোগ
ÑÑ মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশে তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতির ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রচলিত পদ্ধতিটি একদিন সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল হবে। আগামী দু‘এক বছর পর ডিজিটাল কমার্সের আওতায় কোনটা নেই সেটা খুঁজতে হবে। বাণিজ্যের ডিজিটাল এই রূপান্তর তরুণ প্রজন্মের আত্মকর্মসংস্থানের অসাধারণ সুযোগ তৈরি করেছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জিপিও চত্বরে ডাক অধিদপ্তর, ই-কমার্স এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ এবং ই-ক্যাব এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ই-কমার্স মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের হাজার হাজার তরুণ তরুণী ই- কমার্সে সংযুক্ত হয়ে এই খাতে সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। এই খাতের চ্যালেঞ্জের যে জায়গাগুলো ছিলো তার প্রায় সবগুলোই অতিক্রান্ত হয়েছে। বড় চ্যালেঞ্জটি ছিলো পণ্য গ্রাহক পর্যায়ে নিরাপদে পৌঁছানো। ডাক অধিদপ্তরের ৪৩ হাজার কর্মীবাহিনী এবং গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত ডাক অধিদপ্তরের বিশাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সেটাও সফলভাবে অতিক্রম করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে শত শত বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে অগ্রগতি অগ্রযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ পাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান। ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলার মাটিতে পদার্পণ করেছিলেন। সে দিনের পর থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্লের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের পর থেকে গত দশ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রী গ্রাহক সন্তুষ্টির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদানের বিষয়টি ই-ক্যাব কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, গ্রাহক সন্তুষ্টি না থাকলে ব্যবসা শোরুম বা এনালগ পদ্ধতি কিংবা ডিজিটাল পদ্ধতিতেই করা হোক না কেন ব্যবসার সফলতা আসবে না। ক্রেতা বা ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা করতে পারলে ডিজিটাল ব্যবসার প্রতি মানুষ প্রচলিত ব্যবসার চেয়ে অনেক বেশি আস্থা রাখতে পারে। এই ব্যাপারে আইনগত কাঠামো তৈরিতে সহযোগিতাসহ ডিজিটাল কমার্স বিকাশে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ^াস, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র, সাবেক মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার ম-ল, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল এবং দারাজ সিইও সৈয়দ মিস্তাহিদুল হক বক্তৃতা করেন।
পরে মন্ত্রী মেলার উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন।
মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ৮০টি স্টল স্থান পেয়েছে।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৯৩০ ঘণ্টা
Handout Number : 1962
SEACO initiative of Bangladesh gets support from Indonesia
Dhaka, May 17 :
State Minister for Foreign Affairs Shahriar Alam is leading a four members delegation to Jakarta to garner Indonesian support in an initiative called South and South East Asian Cooperation (SEACO). It is a private sector and track-II level Forum of five OIC countries in the region- Bangladesh, Brunei, Indonesia, Malaysia and Maldives with an objective of advancing regional economic integration. The Forum in the emergence is going to function in the model of World Islamic Economic Forum (WIEF) exclusively with the agenda of economic cooperation among the members’ countries and their neighborhoods. Bangladesh has taken the initiative and ready to host SEACO’s launching conference in Dhaka towards the end of June 2019 with expected participation of the Foreign Ministers along with the public and private stakeholders.
State Minister Shahriar Alam has a fruitful meeting with the Foreign Minister of Indonesia Rento Marsudi today and got their spontaneous support for the initiative. State Minister also handed over a formal letter of invitation to Indonesian Foreign Minister for attending the upcoming Conference in Dhaka
The Rohingya issue also figures prominently in the discussion where they agreed enhanced role of the ASEAN in the repatriation of the forcibly displaced Rohingyas sheltered in Bangladesh.The State Minister in his meeting with the Indonesian Foreign Minister reviewed the present status of Rohingya repatriation. State Minister briefed her about the outcome of latest Joint Working Group Meeting (JWG) in Nay Pyi Taw. Foreign Minister Marsudi informed that a comprehensive response team of ASEAN will soon visit to Rakhine and Cox’s Bazar to prepare a comprehensive need assessment.
The delegation also meet Indonesian Chamber of Commerce and Industry (KADIN) and Indonesian Investment Coordinating Board (BKPM). The Minister’s delegation included Bangladesh High Commissioner to Indonesia Major General Azmal Kabir, Dr. Shammi Ahmed, International Secreatry of Awami League, Executive Chairman of SEACO Foundation Bangladesh Salauddin K Khan, Adviser Dr. Abdul Mazid and other officials of the Ministry and Bangladesh High Commission.
#
Tohidul/Mahmud/Mosharaf/Salim/2019/1830 Hrs
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৬১
স্বাস্থ্য সেবা খাতে শুধু সরকার নয়, সকলের এগিয়ে আসা দরকার
-- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য সেবা খাতে শুধু সরকার নয়, সকলের এগিয়ে আসা দরকার। ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সৎ প্রচেষ্টার অনন্য-অসাধারণ প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছে। সে জন্য সমাজে যারা বিত্তবান আছেন তারাও এগিয়ে আসুন। আর্থিক সম্পত্তি না থাকলেও যাদের হৃদয়ের সম্পদ অনেক বড় তাদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি’।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুরস্থ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে হাইপারটেনশন কমিটি অভ্ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অভ্ বাংলাদেশ আয়োজিত গণমুখী সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসাশাস্ত্রে অনেক মহামানব অনেক বড় বড় অবদান রেখে গেছেন। এর পরও কেউ কেউ এ শাস্ত্রকে কলঙ্কিত করছেন। তবে এর সংখ্যা কম। কিন্তু এরাই এই মহান পেশার সমৃদ্ধ, সম্মান ও শ্রদ্ধার জায়গাকে বিতর্কিত করে তোলে। আমরা একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় ছুটে চলেছি। সমাজের দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, নৈরাজ্য এবং অনাকাক্সিক্ষত অনৈতিকতা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই। অসুস্থ, অনৈতিকতা এবং অবক্ষয়ের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, নৈতিকতার মানদ-কে ফিরিয়ে আনার জন্য, অবক্ষয়ের বল্গাহীন স্রোতকে বাধা দেয়ার জন্য আছেন, ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে যারা চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত আছেন সকলে বড় একটা ভূমিকা পালন করতে পারেন’।
মানুষকে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা যায় উল্লেখ করে চিকিৎসকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘নীতি-নৈতিকতার কথা মানুষকে শিক্ষা দিতে হবে। অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণে চাপ বেড়ে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপে মানুষ আক্তান্ত হয়। স্বস্তির সঙ্গে থাকার জন্য কিছু ফর্মুলা দরকার। সেই ফর্মুলাটা ডাক্তাররা দিতে পারেন। সব সময় অপারেশন বা ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা নাও হতে পারে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধকে আপনাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানের অংশে পরিণত করে বৃহৎ পরিসরে এর অনুশীলন করা দরকার। অনেক গুণগত ভূমিকা জাতির জন্য আপনারা রাখছেন এবং রাখতে পারেন’।
বক্তব্যের সমাপনীতে মন্ত্রী যোগ করেন, ‘সরকার গণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য অবিরাম কাজ করে চলেছে। শুধু সরকারি খাত নয়, বেসরকারি খাত থেকেও আপনারা সকলে এগিয়ে আসুন। চিকিৎসকদের পেশা যাতে কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্য চিকিৎসার পাশাপাশি মনোজাগতিক চিকিৎসাকে আরো বেশি সম্প্রসারিত করতে হবে’।
উল্লেখ্য, রক্তচাপ এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগসমূহ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানানো, প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসার জন্য জনগণ এবং চিকিৎসকসহ সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর ১৭মে বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উদযাপিত হয়ে থাকে। ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন লীগ এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অভ্ হাইপারটেনশন এর যৌথ উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও হাইপারটেনশন কমিটি অভ্ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অভ্ বাংলাদেশ শুক্রবার বিভিন্ন আয়োজনে দিবসটি পালন করেছে। বিশ্ব রক্তচাপ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘আপনার রক্তচাপ জানুন’।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অভ্ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বার্দান জং রানা, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অভ্ বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও আল-হোসাইনী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অভ্ বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাইপারটেনশন কমিটি অভ্ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অভ্ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী।
#
ইফতেখার/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৮১০ ঘণ্টা
Handout Number : 1960
Gambian Foreign Minister calls on
Prime Minister and Foreign Minister
Dhaka, May 17 :
The Gambian Foreign Minister Mamadou Tangara is visiting Dhaka as the Special Envoy of the President of Gambia Adama Barrow. The Gambian delegation also comprises the High Commissioner of Gambia in New Delhi and other high officials of the Gambian government. The Gambian Foreign Minister today met Prime Minister Sheikh Hasina and Foreign Minister Dr. A.K. Abdul Momen, M.P in the morning.
A bilateral meeting was held between the delegations led by Gambian Foreign Minister and Foreign Minister of Bangladesh this morning at State Guest House Meghna. At the outset of the meeting, Dr. Momen welcomed the Gambian delegation to Bangladesh. He thanked the Gambian government for their leadership role in the OIC on the accountability of issue related to the displaced Rohingyas. He briefed the Gambian Foreign Minister about the gravity of the crisis that Bangladesh is facing with the displaced Rohingyas. He urged for the necessity of creation of conducive environment for return of the Rohingya people to their homeland with the guarantee of safety and security. He added that the accountability on the Rohingya issue must be determined and Bangladesh will support all OIC initiatives in this respect.
Dr. Momen also briefed the Gambian delegation about Bangladesh's development march. He informed the delegation that Bangladesh is among the most rapidly growing economies in the world it is expected that the economic growth will exceed 8 percent in the next fiscal year.
The Bangladesh Foreign Minister suggested to the Gambian Foreign Minister about the necessity of establishing South-South-North Triangular cooperation among developing countries like Bangladesh and Gambia. He mentioned that cooperation may be established in agriculture and food production sectors with Gambia taking into account Bangladesh's remarkable success in the fields. He mentioned that Gambian investors may invest in Bangladesh and cooperation may be established in Energy, agro-processing and SME sectors. He informed that Gambia may import RMG, pharmaceutical, ships and boats from Bangladesh. A Protocol on Bilateral Consultations between Foreign Ministries of Bangladesh and the Gambia was signed by the two Foreign Ministers after the meeting.
#
Tohidul/Mahmud/Mosharaf/Salim/2019/1700 Hrs
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৫৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ মে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ এবং মহাপ্রয়াণের স্মৃতি বিজড়িত শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আমি দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ভয়, লোভ, লালসাকে অতিক্রম করে গৌতম বুদ্ধ সারা জীবন মানুষের কল্যাণে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, মৈত্রী ও করুণার বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমন করার জন্য আজকের পৃথিবীতে বুদ্ধের শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমান কাল থেকে এ দেশে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ মুক্ত পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘেœ প্রতিপালন করে আসছেন। আমরা বিশ্বাস করি, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’। হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমরা বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণও যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকা-ে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন।
আমি আশা করি, এ দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় গৌতম বুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে জ্ঞান, মেধা, কর্মদক্ষতা ও কৃতিত্বে নিজেদের আরও ঊর্ধ্বে তুলে ধরবেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স¦প্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
বুদ্ধ পূর্ণিমা বিশ্বের সকল মানুষের জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক - এ কামনা করছি।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৫৮
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৮ মে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জানাই মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব। মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। মহামতি বুদ্ধ ছিলেন জীবের মঙ্গল কামনায় সত্যসন্ধ। পৃথিবীকে সুখী ও শান্তিপূর্ণ করে গড়ে তোলার জন্য তিনি নিরন্তর প্রয়াস চালান। বুদ্ধের চেতনায় ছিল দুঃখ জয়ের মাধ্যমে জীবের মুক্তি কামনা। ‘চতুরার্য সত্য’ তত্ত্বে তিনি জীবনে দুঃখ, দুঃখের উৎপত্তি, দুঃখ ভোগের কারণ এবং তা থেকে মুক্তির পথ দেখান। তাঁর মতে ‘নির্বাণ’ লাভের মাধ্যমে মানুষ জীবনের পরমার্থ অর্জন এবং সকল প্রকার দুঃখ থেকে পরিত্রাণ লাভ করতে পারে। এ জন্য তিনি অষ্টমার্গ তথা প্রজ্ঞা, শীল ও সমাধি চর্চার উপদেশ দেন। তিনি স্থান-কাল-পাত্রের ঊর্ধ্বে ওঠে পৃথিবীর সকল জীবের কল্যাণ ও সুখ কামনা করেন। ‘সব্বে সত্তা সুখীতা হোন্তু’-পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখী হোক, এ ছিল বুদ্ধের শাশ্বত দর্শন।
মহামতি বুদ্ধ একটি সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় আজীবন সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করে গেছেন। ‘অহিংস পরম ধর্ম’ বুদ্ধের এই অমিয় বাণী আজও সমাজে শান্তির জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। আজকের এই অশান্ত ও অসহিষ্ণু বিশ্বে মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ, ধর্ম-বর্ণ-জাতিতে হানাহানি রোধসহ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহামতি বুদ্ধের দর্শন ও জীবনাদর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রাচীনকাল থেকে বাংলার জনপদের সাথে বৌদ্ধ সভ্যতা ও কৃষ্টি গভীরভাবে মিশে আছে। পাহাড়পুর ও ময়নামতি শালবন বিহার তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এ দেশের সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম ও আচার অনুষ্ঠানাদি অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে পালন করে আসছে। এটা আমাদের সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যের চর্চা ও বুদ্ধের মহান আদর্শকে ধারণ করে বৌদ্ধ সম্প্রদায় দেশের উন্নয়নে তাদের কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে-এ প্রত্যাশা করি।