Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ জুন ২০১৯

তথ্যবিবরণী - 27.06.2019

তথ্যবিবরণী                                                                     নম্বর :  ২৩৮৩
 
  পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ডিজিটাল ওয়ালেট চালুর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
‘আর এম জি ডিজিটাল ওয়ালেট’ (ই-ওয়ালেট) এর মাধ্যমে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে মজুরি প্রদান ও শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে বিজিএমইএ’র উত্তরাস্থ কার্যালয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বিজিএমইএ’র মধ্যে আজ এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব ও বিজিএমইএ’র সচিব  আব্দুর রাজ্জাক উক্ত সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস শিল্প শ্রমিকেরা দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছেন। তিনি বলেন, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের সাথে যুক্ত হলো পোশাক শিল্প শ্রমিকদের জন্য ডিজিটাল ওয়ালেট। তিনি আরো বলেন, তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে তৈরি পোশাক শিল্পখাত, যা বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। তাই পোশাক শিল্পকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে স্বল্পপরিসরে পোশাক শিল্পে ই-ওয়ালেট চালু বিষয়ে একটি পাইলট প্রকল্প নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের গৃহীত কার্যকরী উদ্যোগের ফলে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়নে ৫  হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে যার মাধ্যমে জনগণ ২০০ রকমের সেবা পাচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন প্রদান করা হলে পোশাক শিল্প শ্রমিকদের বেতন প্রদানে স্বচ্ছতা থাকবে এবং কেনাকাটাসহ আর্থিক লেনদেন সহজ হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, এই ডিজিটাল ওয়ালেট এর ফলে পোশাক শিল্পের শ্রমিক ভাইবোনেরা অর্থ নিরাপত্তা পাবেন; তাদের অর্থ সাশ্রয় হবে; তারা অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবেন; বিদ্যুৎসহ সকল সেবার বিল সহজেই পরিশোধ করতে পারবেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, শ্রমিকদের ক্রেডিট প্রোফাইল তৈরি হবে, ফলে তারা যে কোনো সমস্যায় ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। 
বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিজিএমইএ’র পরিচালকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
শহিদুল/ইসরাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                               নম্বর : ২৩৮২
 
সরকার যোগ্য ও প্রশিক্ষিতদের বিদেশে পাঠাতে চায়
                                      --- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার যোগ্য ও প্রশিক্ষিতদের কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে পাঠাতে চায়। আগামী পাঁচ বছর কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানে সরকার প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। যুব সমাজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের সাথে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। গত বছর প্রায় ৭ লাখ ব্যক্তিকে বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ‘জাতীয় কর্মসংস্থান মেলা-২০১৯’ (ঘধঃরড়হ ঈধৎববৎ ঋধরৎ-২০১৯) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি সরকারের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। সরকার আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি ৫০ লাখ এবং প্রতি বছর ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে কমপক্ষে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সরকার আইসিটি সেক্টরে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে প্রায় সাড়ে তিন লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সরকার অর্থেরও যোগান দিয়ে যাচ্ছে। সরকার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তিনি বলেন, চাকরি প্রার্থীদের বেসরকারি সংস্থার উচ্চ পদে চাকরির জন্য যথাযথ লেখাপড়া ও  প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর বড় অংশ তরুণ ও কর্মক্ষম। জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশের বয়স ২৫ বছরের কম এবং ৭৪ শতাংশ কর্মক্ষম। ভবিষ্যতেও এই জনসংখ্যা আমাদের দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে। 
ড. মোমেন বলেন, শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের একটি দায়িত্ব হলো তাদের ছাত্ররা যেন মানসম্মত চাকরি পায় সে ব্যবস্থা করা। যারা ভালো চাকরি পায় সেটা কেবল তাদের জন্য নয়, বরং সমগ্র জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা দেশের জন্য অবদান রাখে। আমরা যদি যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে পারি, আমাদের দেশের যুব সমাজকে কেবল আমাদের দেশে চাকরি খুঁজতে হবে না, বরং তারা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবে। 
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং (চৎড়ভবংংড়ৎ ঠরহপবহঃ ঈযধহম)।
#
তৌহিদুল/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২২০০ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                     নম্বর :  ২৩৮১
 
সকল অতিরিক্ত জেলা জজকে গাড়ি দেওয়া হবে 
                                   -- আইনমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
 
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক আজ ৪৬ জন জেলা ও দায়রা জজ/ সমমর্যাদার বিচারককে ৪৬টি গাড়ির চাবি হস্তান্তর করে বলেছেন, অধস্তন আদালতে কর্মরত সকল জেলা ও দায়রা জজকে সরকারি গাড়ি প্রদানের কাজ শেষ হলো। এখন পর্যায়ক্রমে সকল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজদের গাড়ি প্রদান করা হবে। 
 
আজ ঢাকার আব্দুল গণি রোডে নিবন্ধন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে জেলা জজদের গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। আগামী রবিবার ৬২ জন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজকে গাড়ি দেওয়া  হবে।
 
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৩৮ কোটি ৭৬ লাখ ৩২ হাজার ৩২০ টাকা ব্যয়ে ১০৯টি সিডান কার এবং ৬টি মাইক্রোবাস ক্রয় করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ/ সমমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য ৪৬টি কার ক্রয় করা হয়েছে যার প্রতিটির মূল্য ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫৫ টাকা। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজদের জন্য ৬২টি কার ক্রয় করা হয়েছে যার প্রতিটির মূল্য ২৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এছাড়া ৬৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের জন্য একটি কার এবং ২ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে ছয়টি জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জন্য ৬টি মাইক্রোবাস ক্রয় করা হয়েছে।
 
এ সময় আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক, যুগ্মসচিব গোলাম সারোয়ার, যুগ্মসচিব হাবিবুর রহমান, সলিসিটর জেসমিন আরা, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মোঃ আব্দুল মান্নানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
#
 
রেজাউল/মাহমুদ/ইসরাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২১৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                           নম্বর : ২৩৮০
 
জলবায়ুু পরিবর্তন মানবাধিকারের জন্য বড় হুমকি
                                      --- আইনমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বাস্তবতা। এটি মানবাধিকারের বড় হুমকিগুলোর মধ্যে একটি। কারণ মানবাধিকার সুরক্ষা এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। 
আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এসডিজি বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশ এখনও অধিক মাত্রায় কার্বন নিঃসরণ করে চলেছে। এই প্রবণতা চলতে থাকলে অনেক দেশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব অঞ্চল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তার মধ্যে ছোট দ্বীপ, আর্কটিক, আফ্রিকা এবং এশিয়া ও আফ্রিকার বড় বড় দ্বীপ রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা এবং ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধিসহ সমুদ্র স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষের স্থানান্তরের প্রয়োজন হবে, যার জন্য বিশ্বব্যাপী কোনো স্থান নেই। বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে না। দেশের উপকূলীয় অঞ্চল এক মিটার পানির নিচে ডুবে যাবে। ফলে অসংখ্য লোক আশ্রয় ও কর্ম হারাবে। কৃষিজমি হ্রাস পাবে। ফলে এসডিজি অর্জনের গতি হ্রাস পাবে। 
মন্ত্রী বলেন, এর ফলে জনগণের খাদ্যের অধিকার, পানি, স্বনির্ভরতা, স্বাস্থ্য, উন্নয়ন ও পরিবেশের অধিকার হ্রাস পাবে। তিনি বলেন, দারিদ্র্য ও বৈষম্যের কারণে ইতিমধ্যে দুর্বল এবং সীমিত হওয়ায় অধিকারগুলোর ওপর দৃষ্টি দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়নের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তনের মানবাধিকারভিত্তিক পদ্ধতি একটি কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে।
জাতীয় মাসবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিায়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন¦য়ক আবুল কালাম আজাদ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. বিল্লাল হোসেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক আকতার হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
 
#
রেজাউল/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২১৪০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                            নম্বর : ২৩৭৯
পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর
দেশের ইতিহাসে সর্বনি¤œ মূল্যে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা আরো বেগবান করার লক্ষ্যে সাশ্রয়ী দামে ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে যা  দেশের ইতিহাসে সর্বনি¤œ। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আজ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। 
  ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাশ্রয়ী ডিজিটাল অবকাঠামো শীর্ষক এক বৈঠকে এই  সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ^াস উপস্থিত ছিলেন।
মোস্তাফা জব্বার বৈঠকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের মূল্যহ্রাস বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব সরকার- প্রযুক্তিবান্ধব সরকার। শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ যাতে সাশ্রয়ী খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে সেই লক্ষ্যে এর আগে ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১৮ হাজার টাকায় নির্ধারণ করা হয়। পরে ২০১১ সালের এপ্রিলে  ১২ হাজার টাকা, ২০১২ সালের এপ্রিলে ৮ হাজার টাকা,  ২০১৪ সালের এপ্রিলে ২ হাজার ৮শত  টাকা এবং ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ ৯শত ৬০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৩ শত ৬০ টাকায় কমিয়ে আনা হয়। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে অদ্যাবধি  তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। ২০০৮ সালেও দেশে সাড়ে সাত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে তা ১১শত জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। 
বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ইন্টারনেট সংক্রান্ত সেবাসমূহের পুনঃনির্ধারিত মূল্য তালিকা:
আইআইজি এর জন্য আইপি ট্রানজিট : ব্যান্ডউইথ এমবিপিএস ৫০০-৯৯৯ পর্যন্ত এমবিপিএস প্রতি চার্জ (টাকা) ৩৫০, ন্যূনতম ২ বছর মেয়াদী চুক্তিতে  এমবিপিএস প্রতি চার্জ (টাকা) ৩৩৫, ব্যান্ডউইথ এমিবিপিএস ৫০০০০+ পর্যন্ত এমবিপিএস প্রতি চার্জ (৩০০ ন্যূনতম ২ বছর মেয়াদী চুক্তিতে  এমবিপিএস প্রতি চার্জ (টাকা) ২৮৫। আইএসপিএর জন্য আইপি ট্রানজিট: ব্যান্ডউইথ এমবিপিএস (৫-১৯) (শুধু উপজেলা বা ইউনিয়ন হতে) এমবিপিএস প্রতি চার্জ (টাকা) ৪০০ ন্যূনতম ৩ বছর মেয়াদী চুক্তিতে এমবিপিএস প্রতি চার্জ (টাকা) ৩৭৫। ব্যান্ডউইথ এমবিপিএস ৪০০০০+এমবিপিএস প্রতি চার্জ ৩১০ টাকা। ন্যূনতম ৩ বছর মেয়াদী চুক্তিতে এমবিপিএস প্রতি চার্জ ২৯০ টাকা। বিটিসিএল লোকাল কনটেন্ট ট্রান্সমিশন চার্জ : সংযোগের স্থান বৃহত্তর ঢাকা এলাকায় ট্রান্সমিশন চার্জ প্রতি এমবিপিএস (টাকা) ৩০, সংযোগের স্থান  ঢাকার বাইরে ট্রান্সমিশন চার্জ প্রতি এমবিপিএস (টাকা) ১০০। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এর জন্য: ব্যান্ডউইথ এমবিপিএস ৫-৯৯ পর্যন্ত, এমবিপিএস প্রতি চার্জ (টাকা) ৩০০, ন্যূনতম ৫ বছর মেয়াদী চুক্তিতে এমবিপিএস প্রতি চার্জ (টাকা) ২৭০, ব্যান্ডউইথ এমবিপিএস ৩০০০ এবং তদুর্ধ্ব, এমবিপিএস প্রতি চার্জ (টাকা) ২০০ ন্যূনতম ৫ বছর মেয়াদী চুক্তিতে এমবিপিএস প্রতি চার্জ (টাকা) ১৮০। সরকারি অফিস, আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেট অফিস এর জন্য : ব্যান্ডউইথ এমবিপিএস ৫- ৪৯ পর্যন্ত এমবিপিএস প্রতি চার্জ (টাকা) ৩৯৫, ন্যূনতম ৫ বছর মেয়াদী চুক্তিতে এমবিপিএস প্রতি চার্জ (টাকা)৩৫৫, : ব্যান্ডউইড্থ এমবিপিএস ৩০০০+  এমবিপিএস প্রতি চার্জ (টাকা) ২৫০, ন্যূনতম ৫ বছর মেয়াদী চুক্তিতে এমবিপিএস প্রতি চার্জ (টাকা)২২৫। ভিপিএন সেবা: দেশব্যাপী এক রেট ব্যান্ডউইথ (এমবিপিএস) ১ Ñ ৫ পর্যন্ত প্রতি এমবিপিএস ৩০০, ব্যান্ডউইথ (এমবিপিএস) ১০০০০ বা ততোধিক, প্রতি এমবিপিএস  টাকা ৩০। এছাড়া গ্রামীণ এলাকায় গ্রাহকদের ওপরে বর্ণিত চার্জ হতে শতকরা ১০ ভাগ ডিসকাউন্ট সুবিধা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে লিনাক্স ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজ এবং উইন্ডোজ ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজের ব্যান্ডউইথের মূল্য হ্রাস করা হয়েছে। িি.িনঃপষ.মড়া.নফ/ ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                             নম্বর : ২৩৭৮
 
রাজউককে জনবান্ধব আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবো 
                                --- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘রাজউককে জনবান্ধব, স্বচ্ছ, দীর্ঘ সূত্রতামুক্ত একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারবো। রাজউককে আমরা বিকেন্দ্রীকরণ করার কথা ভাবছি। রাজউকের সকল জোনকে শক্তিশালী করতে চাই। স্তরভিত্তিক পরিসর বাড়ার কারণে রাজউককে বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিবেন্দ্রীকরণের পক্ষে। এটা তিনি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছেন। যাতে মানুষ সেবা পেতে পারে’।
আজ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অডিটোরিয়ামে রাজউক সেবা সপ্তাহ ২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাজউকের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ্ প্ল্যানার্সের সভাপতি প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি স্থপতি জালাল আহমেদ এবং ইনস্টিটিউট অভ্ ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সবুর। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রাজউকের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আমজাদ হোসেন খান।
সভাপতির বক্তব্যে রাজউকের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ বলেন, ‘রাজউকের জনবল কম থাকা সত্ত্বেও সেবা প্রদান কার্যক্রম আগের চেয়ে অনেক বেগবান হয়েছে। স্বল্প সময়ে কোনো রকমের হয়রানি ছাড়াই সেবাগ্রহীতারা সেবা পেতে পারেন, সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেবাপ্রত্যাশীদের নিকট থেকে অনেক মতামত ও পরামর্শ এসেছে। ভবিষ্যতে তাদের মতামত ও পরামর্শ মোতাবেক সহজে ও দ্রুত সময়ে সেবা প্রদানের চেষ্টা করব’।
সেবা সপ্তাহের অংশগ্রহণকারী সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেবা সপ্তাহের পরিপূর্ণতা তখনই হবে, যখন আমরা সকলে মিলে পারস্পরিক সহানুভূতি, শ্রদ্ধা, সম্প্রীতি, সৌভাতৃত্ব এবং স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করতে পারবো। রাষ্ট্র আমাদের সকলের। আমরা সকলে মিলে কাজ করতে চাই।
উল্লেখ্য, সেবাগ্রহীতাদের সহজে ও দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রাজউকে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ২৩-২৭ জুন পাঁচ দিনব্যাপী পালন করা হয়েছে রাজউক সেবা সপ্তাহ ২০১৯।
সেবা সপ্তাহ চলাকালে রাজউকের বিভিন্ন শাখা থেকে সেবাগ্রহীতার ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র, ভবন নির্মাণ অনুমোদন, রাজউকের প্লট/ফ্ল্যাটের নামজারি, আম মোক্তার অনুমোদন, নকশা অনুমোদন প্রভৃতি সেবাসমূহ প্রদান করা হয়। সেবা গ্রহীতারা সেবা উন্নয়নে মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। সেবা সপ্তাহে রাজউকের নগর পরিকল্পনা শাখা থেকে ২৩০টি ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র, উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে ১৮৮টি ইমারত নির্মাণের নকশা অনুমোদন এবং এস্টেট ও ভূমি শাখা থেকে ৬৯টি নামজারি, ৩২টি প্লটের দখল হস্তান্তর, ৮১টি প্লটের আম মোক্তার/হস্তান্তর/লিজ ডিড/হেবা, ৭টি নকশা অনুমোদনের ছাড়পত্র, ১০টি ঋণ গ্রহণের অনাপত্তিপত্র, ৩২টি হাতিরঝিল ফ্ল্যাটের সাময়িক বরাদ্দপত্র, ১৭৫টি উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্পের ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রধান অতিথি সমাপনী অনুষ্ঠানের পূর্বে বিভিন্ন সেবা স্টল ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন সেবাগ্রহীতাদের সাথে কথা বলে সেবা গ্রহণ সম্পর্কে খোঁজ নেন।
#
ইফতেখার/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২০৫৫ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                     নম্বর : ২৩৭৭
 
মিরসরাইয়ে হবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
                                                    -- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, মিরসরাইয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। 
মন্ত্রী আজ রাজধানীর তেজগাঁয়ে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক)-এ বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষিত মেয়েদের মাঝে সনদ ও বিভিন্ন শিল্প কারখানায় চাকরির নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। বিটাকের মহাপরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব আবুল মনসুর মোঃ ফয়েজউল্লাহ, এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।   
মন্ত্রী বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানের শিল্প ও কলকারখানা স্থাপিত হচ্ছে। তাই দক্ষ কর্মীর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিটাকে গ্রামগঞ্জ থেকে মেধা অনুসন্ধানের মাধ্যমে সৃজনশীল ও মেধাবী কর্মী সনাক্ত করে তাদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে এবং প্রশিক্ষণ শেষের দিনই বিভিন্ন শিল্প কারখানায় চাকরিতে যোগদান করছেন। মন্ত্রী এ সময় নারী কর্মীরা যাতে সম্মানের সাথে কর্মস্থলে কাজ করতে পারেন সে বিষয়ে সচেতন ও তৎপর থাকার জন্য শিল্প কারখানার মালিক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধার প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। এ সকল প্রতিষ্ঠান বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। তিনি বলেন, দেশের শিল্পকারখানাগুলোকে ব্যবসায় সফল হতে হলে অবশ্যই শ্রমিকদের চাকরির স্থায়িত্ব, নিরাপত্তা ও ওভারটাইমসহ সকল ধরণের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আরো  মনোযোগী হতে হবে। তিনি এ সময় বিভিন্ন শিল্প কারখানায় বিটাক হতে প্রশিক্ষিত কর্মীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার বিটাককে নির্দেশনা প্রদান করেন। 
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার নারীদের জন্য সমসুযোগ নিশ্চিত করায় সকল ক্ষেত্রে নারীরা সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অদক্ষ কর্মী নয়, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত পুরুষ নারী পাঠাতে হবে।  এজন্য তিনি দেশের সকল জেলায় বিটাকের শাখা স্থাপন করা হবে বলে জানান। 
এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০৩০ মধ্যে আমাদের অর্থনীতিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। তাই আমাদের এখন থেকেই এই শিল্প বিপ্লবের জন্য আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। বাস্তবাবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন  বিভাগের সচিব  আবুল মনসুর মোঃ ফয়েজউল্লাহ তার বক্তৃতায় দেশে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও প্রশিক্ষক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 
অনুষ্ঠানে ২৭৮ জন মেয়ে বিভিন্ন ট্রেডে হাতে কলমে ৩ মাসের কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এর মধ্য আজ অনুষ্ঠানে ১৯৬ জন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ট্রান্সকম গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র গ্রহণ করেছেন। অবশিষ্ট মেয়ে প্রশিক্ষণার্থীরা ব্যক্তিগত কারণে এখনই যোগদান না করে পরে করবেন বলে জানান।   
#
মাসুম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                            নম্বর : ২৩৭৬
 
ভাতা  কার্যক্রম শতভাগ ডিজিটাইজ করার জন্য কাজ করছি
                                        --- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী 
 
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সরকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ভাতা দিচ্ছে। ভাতাভোগীরা সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠী। ভাতা প্রদানে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী যাতে না থাকে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কঠোর হতে হবে। ভাতা প্রদানে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। 
মন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত সমাজসেবা কর্মকর্তাদের তিন দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ভাতাভোগীরা যাতে কোনো রকম বিড়ম্বনায় না পড়ে। সাথে সাথে ভাতা কার্যক্রমে অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা ভাতা কার্যক্রম শতভাগ ডিজিটাইজ করার জন্য কাজ করছি। এ কাজ সম্পন্ন্ হলে ভাতাভোগীরা সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা পাবে। সুবিধাভোগীরা দ্রুত সেবা পাবে। তিনি আরো বলেন, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে দরিদ্রকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছি। পর্যায়ক্রমে অসহায় জনগোষ্ঠীর শতভাগকেই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূল ¯্রােতে আনতে সরকার আগামী বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে। 
মন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের সফলতার কথা উল্লেখ করে বলেন, এক সময় মানুষ প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম নিলে লুকিয়ে রাখতো। প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা হয়ে বেঁচে থাকতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে প্রতিবন্ধীরা আজ সমাজের মূল¯্রােতে আসতে পেরেছে। আমরা প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ বিদ্যালয় স্থাপন করার জন্য কাজ করছি। প্রতিটি প্রতিবন্ধীকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে।
মন্ত্রী নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার নির্দেশ দেন। ১২৯ জন কর্মকর্তা গত ২৫ জুন সমাজসেবা অধিদপ্তরে যোগদান করেন। তিন দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন কোর্স শেষে কর্মকর্তারা পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ জুলফিকার আলী ও পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) মোঃ আবু মাসুদ প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
#
জাকির/মাহমুদ/ইসরাত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                     নম্বর : ২৩৭৫
 
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ১৪তম সভা অনুষ্ঠিত
 
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
 
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ১৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অসুস্থ, আহত ও অসচ্ছল সাংবাদিক ও তাদের পরিবারকে সহায়তা ভাতা প্রদান চূড়ান্ত করার নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
 
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তথ্য সচিব আবদুল মালেক, সদস্য প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য-সচিব ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রেস) এস এম মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর সভাপতি মোল্লা জালাল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর শাবান মাহমুদ, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোঃ কাশেম হুমায়ুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এর সভাপতি আবু জাফর সূর্য প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
 
#
 
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                             নম্বর : ২৩৭৪
 
ডিজিটাল প্লাটফর্মে মুজিববর্ষ পালিত হবে বিশ্বব্যাপী
                                           -- তথ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
 
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মুজিববর্ষ পালিত হবে।  
 
আজ ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন ‘মিডিয়া, প্রচার ও ডকুমেন্টেশন উপকমিটি’র আহ্বায়ক হিসেবে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। 
 
মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল প্লাটফর্ম হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে সক্ষম হয়েছি। সেই পথ ধরে এখন ডকুমেন্টেশন, ইলেক্ট্রনিক প্রচারণা এবং বিশ্বব্যাপী নানাভাবে প্রচারণার বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সভায় আলোচনা করেছি। আশা করছি এটির সাথে সমগ্র দেশকে শুধু নয়, সমগ্র দেশের মানুষকে শুধু নয়, সমগ্র বাঙালিকে শুধু নয়, আমরা সমগ্র বিশ্ব সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করবো। সেই সাথে আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়ামসহ অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’ 
 
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মিডিয়া, প্রচার ও ডকুমেন্টেশন উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও তথ্যসচিব আবদুল মালেক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস, এম, হারুন-অর-রশীদ, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন প্রমুখ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
 
#
 
আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                           নম্বর : ২৩৭৩
 
বরগুনার ঘটনায় তথ্যমন্ত্রী
সব অপরাধীকে গ্রেফতার করা হবে
 
ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
 
বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামী হত্যা ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘এটি অত্যন্ত বর্বরোচিত, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমি নিজের কাছে প্রশ্ন করেছি, আশপাশের মানুষগুলো কেন এগিয়ে আসল না ?’
 
আজ ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ‘মিডিয়া, প্রচার ও ডকুমেন্টেশন উপকমিটি’র সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। 
 
মন্ত্রী বলেন, ‘এক্ষেত্রে তার স্ত্রী যেভাবে দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে, তা নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবি রাখে। নিজের জীবনের কথা চিন্তা না করে স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল, তাকে আমি সম্মান জানাই, শ্রদ্ধা জানাই। একই সাথে আমার নিজের কাছেই প্রশ্ন, আশপাশের লোক কেন এগিয়ে আসলো না। সরকার এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর, ইতোমধ্যেই
Todays handout (24).docx Todays handout (24).docx