তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮৭
স্বল্পসময়ে সৌদি আরবে জনশক্তি প্রেরণের জন্য কাজ করছে সরকার
-- প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
দাম্মাম (সৌদি আরব), ১৯ সেপ্টেম্বর :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, সৌদি আরবে স্বল্পসময়ে জনশক্তি প্রেরণের জন্য কাজ করছে সরকার। ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে শীঘ্রই একটি ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা হবে।
আজ সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের নোভাটেল হোটেলের অডিটোরিয়ামে সৌদি কোম্পানি, রিক্রুটিং এজেন্ট ও নিয়োগ কর্তাদের নিয়ে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইং আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সৌদি নিয়োগ কর্তাদের বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি কর্মী নিয়োগের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কর্মীরা জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সুনামের সাথে কাজ করছেন। তিনি দু’দেশের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে একটি ‘জব ফেয়ার’ আয়োজনেরও আহ্বান জানান।
সেমিনারে সৌদি নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশ থেকে বাছাই করে কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে সময় কমিয়ে আনতে মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ যাহিদ হোসেন ও মোঃ সরোয়ার আলম, বাংলাদেশ দূতাবাসের পলিটিক্যাল সেক্রেটারি এস এম আনিসুল হক এবং বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান।
#
রাশেদুজ্জামান/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮৬
সরকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে
-- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে কর্মসংস্থানের জন্য দেশের বাইরে গেলে কাজের যথেষ্ট মূল্যায়ন হয়। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হয়। বর্তমান সরকার প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বেকার যুবকদের দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকার তেজগাঁওয়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘বহুভাষায় সাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা-বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সরকার শিক্ষাখাতে যে ব্যয় করছে তার যথাযথ ব্যবহার করে দেশপ্রেম ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক-শিক্ষিকা-সহ সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা দান ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোঃ আকরাম-আল- হোসেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান এবং প্রতিনিধি Beatrice Kaldum । সভাপতিত্ব করেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ।
#
রবীন্দ্রনাথ/মাহমুদ/ইসরাত/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮২
বিলুপ্তপ্রায় মাছের ওপর গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে
-- মৎস্য প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর) :
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (BFRI) কর্তৃক ‘বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা প্রণয়ন ২০১৯-২০’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনকালে আজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু অপ্রচলিত মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈদেশিক অর্থোপার্জন এবং দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছের পুনরাবির্ভাবের জন্য গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা করে বিলুপ্তপ্রায় ৬৪টি মাছের মধ্যে ইতোমধ্যে ২১টি মাছের জিনপুল সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ১ম, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে ৩য়, মিঠাপানির মৎস্য উৎপাদনে ৪র্থ, চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম এবং তেলাপিয়া উৎপাদনে ৪র্থ অবস্থানে। এ কৃতিত্ব এদেশের সকলের। BFRI ইতোমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলের পারশে ও নোনা টেংরার প্রজনন কৌশল উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছে এবং চাকা চিংড়ি, হরিণা চিংড়ি, কাইন-মাগুর, ভেটকী, দাতিনা এবং চিত্রামাছের প্রজনন ও চাষাবাদের ওপর গবেষণা পরিচালনা করছে। এসব মাছের পোনা উৎপাদন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন সম্ভব হলে উপকূলীয় অঞ্চলে এসব মাছের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। BFRI অপ্রচলিত মৎস্য সম্পদের মধ্যে কাঁকড়া ও কুচিয়ার পোনা উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করায় কুচিয়া ও কাঁকড়ার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মেচিত হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে রাজধানীর কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (BARC) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক অফিসার ড. আশরাফুল আলম। এতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মন্ডল, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মোঃ কবির ইকরামুল হক, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নিয়ামুল হক বক্তৃতা করেন।
দু’দিনব্যাপী কর্মশালায় ৬টি টেকনিক্যাল অধিবেশনে মোট ৬৫টি গবেষণা প্রস্তাব উপাস্থাপন করা হবে। এতে মৎস্যবিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য গবেষক, মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ মৎস্য সেক্টরের সাথে সম্পৃক্ত লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
#
শাহআলম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮১
ছোটখাটো দুর্নীতির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে
---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্ব)
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘ছোটখাটো যে কোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, যুবদল নেতা যেমন গ্রেফতার হয়েছেন, যুবলীগ নেতাও গ্রেফতার হয়েছেন। অপরদিকে তারেক রহামান হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্রীয় সকল কাজ থেকে 'টেন পার্সেন্ট' নিয়ে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন। এসব কারণে বিএনপি'র মুখে দুর্নীতিবিরোধী কথা তো মানায়ই না, বরং তাদের লাগামহীন দুর্নীতির জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী রচিত 'প্রসঙ্গ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনী' এবং নূর-উন-নাহার মেরী রচিত 'আমার চেতনায় বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু' গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ সকল কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের সর্বোচ্চ 'জিডিপি প্রবৃদ্ধি' অর্জনকারী বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের প্রশংসা সারা বিশ্ব করলেও বিএনপি ও তার দোসররা প্রশংসা করতে পারেন না। দেশ আজ সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে, অনেক সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে, এটা তাদের ভালো লাগে না। তারা দোষ খুঁজে বেড়ায়।’
তথ্যমন্ত্রী এ সময় সদ্যপ্রকাশিত গ্রন্থদ্বয়ের লেখকদের অভিনন্দন জানান এবং লেখনীকে মৃত্যুর পর বেঁচে থাকার উৎকৃষ্ট মাধ্যম হিসেবে বর্ণনা করেন।
সাবেক তথ্যসচিব সৈয়দ মার্গুব মোরশেদের সভাপতিত্বে লেখকদ্বয়, আওয়ামী মহিলা লীগের দপ্তর সম্পাদক রোজিনা নাসরিন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, গ্রন্থদ্বয়ের প্রকাশক অমর প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী অমর হাওলাদার, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, অভি চৌধুরী, উদ্যোক্তা লায়ন আবুল বাশার প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/আব্বাস/২০১৯/১৮৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৭৮
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর) :
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং (Li Jiming) আজ সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করার পাশাপাশি অবকাঠামো, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী নিয়মিত সাংস্কৃতিক বিনিময়ের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিব বর্ষ ২০২০ উদ্যাপন উপলক্ষে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, চীন তার বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রতœস্থল ও প্রাচীন স্থাপনা সুদক্ষ ও সুচারুরূপে সংরক্ষণ করে আসছে। সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতœস্থলের আধুনিক ও যুগোপযোগী সংরক্ষণে তিনি চীনের সহযোগিতা কামনা করেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী প্রতœস্থল ও প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন বিশেষ করে সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত ঐতিহাসিক পানাম সিটি সংরক্ষণে চীনের সহায়তা প্রদানের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দু’দফায় বাংলাদেশের ২০ জন শিশু অ্যাক্রোবেট শিল্পী চীন হতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। নিয়মিত সাংস্কৃতিক বিনিময়ের পাশাপাশি এ খাতে চীন বাংলাদেশকে আরো সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহী। এজন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব প্রেরণের জন্য তিনি প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম, ঢাকাস্থ চীন দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর Sun Yan এবং দূতাবাসের পলিটিক্যাল শাখার কর্মকর্তা Hu Zhiying সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৭৬
ভোলাগঞ্জকে দেশের ২৪তম স্থলবন্দর ঘোষণা
ঢাকা, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর) :
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ভোলাগঞ্জ শুল্ক স্টেশনকে ২৪তম স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এ সংক্রান্ত গেজেট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ১২টি স্থলবন্দরের গেজেট করে। এরপর ২০০৯ সালে নতুন করে ১১টি স্থলবন্দর গেজেটভুক্ত করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদে ভোলাগঞ্জ শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর হিসেবে গেজেটভুক্ত করা হলো।
দেশের ২৩টি স্থলবন্দরের মধ্যে বর্তমানে ১২টি চালু আছে। ১১টি বন্দর চালুর অপেক্ষায় আছে। স্থলবন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত বন্দরগুলো হলো- যশোরের বেনাপোল, সাতক্ষীরার ভোমরা, লালমনিরহাটের বুড়িমারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, শেরপুরের নাকুগাঁও, সিলেটের তামাবিল, কুড়িগ্রামের সোনাহাট এবং বিওটি পদ্ধতিতে পরিচালিত স্থলবন্দরগুলো হলো- চাপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ, দিনাজপুরের হিলি, কুমিল্লার বিবিরবাজার, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও কক্সবাজেরর টেকনাফ।
দিনাজপুরের বিরল, সিলেটের শেওলা, হবিগঞ্জের বাল্লা, জামালপুরের ধানুয়া-কামালপুর, ময়মনিসংহের গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী, ফেনীর বিলোনিয়া, খাগড়াছড়ির রামগড়, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও দৌলতগঞ্জ, রাঙ্গামাটির থেগামুখ এবং নীলফামারীর চিলাহাটী স্থলবন্দরগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরো দু’টি নতুন স্থলবন্দর করার প্রস্তাব সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। সেগুলো হলো কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এবং মেহেরপুরের মুজিবনগর।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৭৫
স্থলবন্দরগুলোকে আরো গতিশীল করার নির্দেশ নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর) :
সোনামসজিদ, হিলি, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর-সহ অন্যান্য স্থলবন্দরগুলোকে আরো গতিশীল করতে এবং সোনামসজিদ ও হিলি স্থলবন্দরের বকেয়া পাওনা টাকা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম এম তারিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, বিল অন ট্রান্সফার (বিওটি) পদ্ধতিতে পরিচালিত সোনামসজিদ ও হিলি বন্দরের অপারেটরদের নিকট যথাক্রমে প্রায় ৩ কোটি ৩৯ লাখ ও এক কোটি ৩৮ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এসব বকেয়া পাওনা দ্রুত আদায়ের লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। বৈঠকে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের স্থায়ী আমানতের পরিমাণ ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৩৪৯ কোটি টাকা।
#
জাহাঙ্গীর/ফারহানা/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৭৪৫ ঘণ্টা