তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮০৫
বন্যা ও দুর্যোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী আজ সারা দেশে বন্যা ও দুর্যোগ পরিস্থিতি নিম্নরূপ (রাত ৮টা পর্যন্ত) : বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমূদ্র বন্দরসমূহকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
৩০ জুলাই সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস: টাংগাইল ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিঃ মিঃ বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি /বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সকল এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস : সিনপটিক অবস্থা : মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, গঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
পূর্বাভাস : চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর অবস্থা : বিগত ২৪ ঘণ্টায় পানির সমতল হ্রাস ৭২টি ও বৃদ্ধি ১৮টি স্থানে।
সরকার গত ১ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ২৭ হাজার ৮৫০ মে. টন চাল, ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ ১৫ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার, ৮ হাজার ৫০০ সেট তাঁবু, ৫৪ হাজার ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণে ১৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা, শিশুখাদ্য ক্রয়ে ১৮ লাখ টাকা এবং গো খাদ্য ক্রয়ে ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করে।
#
কাদের/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৯/২২৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮০০
সরকার বন্যা আক্রান্ত মানুষের পাশে আছে
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
মুন্সিগঞ্জ, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা বলেছেন, সরকার সব সময় বন্যা আক্রান্ত মানুষের পাশে আছে। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বন্যায় আক্রান্ত মানুষের জন্য কাজ করছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুন্সীগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে ২৫০টি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে, ১ হাজার ৫০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার বেশ কিছু এলাকায় বন্যায় মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী এ সময় স্থানীয় প্রশাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দ্রুত ত্রাণ সরবরাহ ও পুনর্বাসনের নির্দেশ দেন।
আজ মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী আসন্ন ঈদুল আজহার আগে ও পরে মাওয়া ঘাট ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বলেন, মাওয়া ঘাটে যেন কোনো মানুষের ভোগান্তি না হয়। নিরাপদে যানবাহন পারাপারের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি মাদকের বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
ফজিলাতুন নেসা আরো বলেন, সম্প্রতি পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে ও ছেলে ধরা বলে কিছু মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলাকে গুজব থেকে মুক্ত রাখার জন্য প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলেন।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মুন্সীগঞ্জ জেলার গত দশ বছরের উন্নয়ন ও চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় ও সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুতফর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছউজ্জামান আনিছ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
#
আলমগীর/মাহমুদ/রফিকুল/রেজাউল/২০১৯/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৯৯
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র জারি
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করেছে। আজ ও গত ২৫ জুলাই পৃথক দুইটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। পরিপত্রের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থা এবং বিভাগীয়, আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস ও নিজ নিজ বাসস্থানে সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন-সহ নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে :
নিজ নিজ অফিস, গৃহ, আঙ্গিনা ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে; নিজ নিজ বাসস্থান পরিষ্কার রাখতে হবে এবং জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করতে হবে; শিক্ষা প্রতিষ্ঠোনসমূহে সৌন্দর্য বর্ধণের জন্য রাখা ফুলের টব, বাসস্থানের ছাদ বাগানসহ পানি জমে থাকে এমন সকল পাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে; সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়সমূহ শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করতে হবে; খেলার মাঠ ও ভবনসমূহ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে; মাঠ কিংবা ভবনে জমে থাকা পানি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে; প্রতি সপ্তাহে একটি দিন নির্ধারণ করে এ কার্যক্রম নিয়মিত করতে হবে।
এ কার্যক্রমের বিষয়ে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে প্রথমবার এবং এর পরবর্তী প্রতি মাসের ১ তারিখে একটি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।
#
খায়ের/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৯/১৯২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৯৮
সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে
--- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই) :
সরকার আগামী মৌসুমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করবে। কৃষকদেরকে লাভবান করতে প্রয়োজনে সারের দাম আরো কমানো হবে ও কৃষি যন্ত্রে প্রণোদনা বৃদ্ধি করা হবে।
আজ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর সম্মেলন কক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক একথা বলেন।
ড. রাজ্জাক বলেন, কৃষিকে লাভজনক করতে হলে এর উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। এ উদ্দেশ্যে শুধু ধান কাটার যন্ত্রই নয়, ধান বপন করা এবং মাড়াই করার যন্ত্রও কৃষকদের দেয়া হবে। ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হবে-প্রান্তিক চাষি, মাঝারি চাষি ও বড় চাষি। এছাড়া প্রত্যেক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র থাকবে, সে কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে ধানের আর্দ্রতা পরিমাপ করবে।
সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষকদের বাঁচাতে সরকার স্থায়ী সমাধানের পথে যাচ্ছে। সারা দেশে ১৬২টি খাদ্য গুদাম তৈরি করা হবে, যার মোট ধারণক্ষমতা ৭-৮ লাখ মেট্রিক টন।
উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ৪১ হাজার মেট্রিক টন চাল রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। গত মৌসুমে আমাদের খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টন, এর মধ্যে শুধু ধান উৎপন্ন হয়েছিল ৩ কোটি ৭৮ লাখ মেট্রিক টন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কৃষি, খাদ্য, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং চাল কল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ব্যবসায়ী-সহ এফবিসিসিআই এর প্রতিনিধি।
#
গিয়াস/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৯৭
বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাতা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশ আজ উন্নয়নের ‘রোল মডেল’
-- তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরই প্রথম নিজেদের শাসন করার অধিকার পায় বাঙালি। আর দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বে দল চারবার ক্ষমতায় এসেছে এবং দেশ বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে’।
আজ চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির উদ্যোগে ‘গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর : তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক উন্মুক্ত আলোচনা সভায় প্যানেল আলোচকের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহ্মুদের সাথে প্যানেল আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খাঁন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাঙালি ছিলেন না। তার অন্দরমহলের ভাষা ছিল ফার্সি ও উর্দু। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে কখনো নিজেকে নিজে শাসন করার অধিকার পায়নি বাঙালি’।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বে উন্নয়ন ও অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বে বাঙালির পরিচয় বদলে দিয়েছেন’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে দল চারবার ক্ষমতায় এসেছে। উন্নয়ন ও অর্জনের মাধ্যমে তিনি দেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন’।
এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর প্রশ্ন ‘স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ান- এবিষয়ে সরকারের কোনো পদক্ষেপ আছে কিনা?’ এর জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্কটা শুরু হয় মূলত জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর। নিজে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এমন দাবি জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো করেননি। বিএনপি যেভাবে বলে, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, আমার মনে হয় কবরের মধ্যে যদি জিয়াউর রহমান এমন মিথ্যাচার শুনতে পেতেন, সেখানেও তিনি লজ্জা পেতেন’।
মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা আর ঘোষণা দেয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন, সে ঘোষণা বহুজন পাঠ করেছেন। বেতারের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা ২৬ মার্চ প্রথম পাঠ করেন তৎকালীন অবিভক্ত চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান। এরপর চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা সিদ্ধান্ত নেন সেনাবাহিনীর অফিসার দিয়ে পাঠ করানোর, তখন জিয়াউর রহমানকে দিয়ে ২৭ মার্চ তা পাঠ করানো হয়। এছাড়া ২৬ মার্চ নিজের জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী নূরুল হক শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন। নূরুল হকের মতো আরো অনেক মানুষ তখন সারাদেশে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন’।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যারা এই বিতর্ক তৈরি করেছে তারা ইতিহাস বিকৃত করতে চায়। তবে মানুষ এখন প্রকৃত ইতিহাস জেনে গেছে। এরপর কেউ কেউ উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলার চেষ্টা করে। এ অবস্থায় পাঠচক্র করে নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জানানোর জন্য ছাত্রলীগ উদ্যোগ নিতে পারে’।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে আবারো পেছনে নিয়ে যাবার জন্য অনেক চক্রান্ত হয়েছে। জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ তারা দু’জনে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। এরশাদ দেশের কিছু উন্নয়ন করলেও তাদের মন ছিল অন্যদিকে। বাংলাদেশকে সব সময় সঠিক পথে পরিচালিত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর থেকে দলকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করেছেন। সবকিছুর ঊর্ধ্বে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে সোনার বাংলা নির্মাণে আওয়ামী লীগের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা। শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন’।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীরা ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে কীভাবে দেখতে চান, সে বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেন। মঞ্চ থেকে প্যানেল বক্তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে নানা বিষয়ের প্রশ্নের জবাব দেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/রেজাউল/২০১৯/১৯২১ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৯৬
সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মৃত্যু রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র জারি
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই) :
সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মৃত্যু রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করেছে। গত ২৫ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মুখস্থ রাস্তা পার হতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধকল্পে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরুর প্রাক্কালে এবং ছুটি হওয়ার পর অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা যখন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করবে এবং প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করবে সে সময় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা করবেন। এ সময় রাস্তা পারাপারে সহযোগিতাকারী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ প্লাকার্ড বহন করতে পারেন। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ পালাক্রমে এ দায়িত্ব পালন করার জন্য শিক্ষক কিংবা দায়িত্ববান কর্মকর্তাদের নিয়োজিত করতে পারেন, স্কাউট-গার্লস গাইড/বি এন সি সি ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদেরও নিয়োজিত করা যেতে পারে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারের স্থলে প্রয়োজনে জেব্রা ক্রসিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারেন। শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারে সহযোগিতা করার সময় যেন অনাকাঙ্খিত যানজন সৃষ্টি না হয় সেদিকেও বিশেষ নজর রাখতে হবে।
#
খায়ের/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৯৫
সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই) :
গতকাল সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ৭০৮ জন, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ২৬৬ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৬১ জনসহ ডেঙ্গু রোগে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৩শ’ ৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। স¦াস্থ্য অধিদপ্তরের ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বর্তমানে সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন ৪ হাজার ৪শ’ ৮ জন রোগী। গত পয়লা জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত এ জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন ১০ হাজার ৯শ’ ৫৩ জন।
এদিকে গত ২৯ জুলাই মন্ত্রণালয়ের এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডেঙ্গু ও বন্যাজনিত কারণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
#
মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৯৪