Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

তথ্যবিবরণী ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৮০১

 

স্বর্ণবিজয়ী তায়কোয়ান্দো অ্যাথলেট শাম্মী আক্তারকে

ফ্ল্যাট ও অর্থ হস্তান্তর করলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৫ ফাল্গুন (১৮ ফেব্রুয়ারি) :   

 

          যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে স্বর্ণবিজয়ী তায়কোয়ান্দো অ্যাথলেট শাম্মী আক্তারকে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ফ্ল্যাটের কাগজপত্র ও পঁচিশ লাখ টাকার  পারিবারিক সঞ্চয়পত্র  হস্তান্তর করেন। যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আখতার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

          এ সময় প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুখে-দুঃখে সবসময় আমাদের খেলোয়াড়দের পাশেই থাকেন। তিনি ক্রীড়াঙ্গনের প্রকৃত অভিভাবক। করোনাকালেও সরকার খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। ভবিষ্যতেও এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

 

          ফ্ল্যাটের কাগজপত্র  ও পঁচিশ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র গ্রহণকালে  স্বর্ণবিজয়ী তায়কোয়ান্দো  অ্যাথলেট শাম্মী আক্তার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট চিরকৃতজ্ঞ। তিনি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

           

#

 

আরিফ/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২৪০ ঘণ্টা  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর :  ৮০০

 

যারা বাংলাদেশের ক্ষতি চায়, তারাই দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে

                                                       -- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

 

টাঙ্গাইল, ৫ ফাল্গুন (১৮ ফেব্রুয়ারি) :   

 

          জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, যারা বাংলাদেশের ক্ষতি চায়- বাংলাদেশের উন্নয়নের বিপক্ষে, তারাই দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘মুজিববর্ষ ও মুজিবনগর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

 

          তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিস্ময়কর উন্নয়ন ঘটেছে। যারা এই উন্নয়নের বিরুদ্ধে, যারা এই রাষ্ট্রের ক্ষতি চায় তারাই এদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

 

          তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন তাদের নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করতে পারে, সেলক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

 

          প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এদেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই চেতনাকে ধারণ করেই আমাদের কাজ করতে হবে। সংকীর্ণতা ও দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করলেই বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব।

 

          টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মোঃ আতাউল গণির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য সানোয়ার হোসেন, তানভীর হাসান (ছোট মনির), আহসানুল ইসলাম টিটু ও টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক বক্তব্য রাখেন।

 

#

 

শিবলী/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২২০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৭৯৯

সুরক্ষা অ্যাপের কারণে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম আরো একধাপ এগিয়ে গেল

                                                                              -- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৫ ফাল্গুন (১৮ ফেব্রুয়ারি) :

          স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সুরক্ষা অ্যাপ উদ্বোধনের ফলে চলমান ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম আরো একধাপ এগিয়ে গেল। এ কার্যক্রমের জন্য দেশের সুনাম এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। দেশে বর্তমানে ১০০৬টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে চলছে। এই ভ্যাকসিন প্রাপ্তি প্রমাণ করেছে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব কতখানি দূরদর্শিতাসম্পন্ন। ভ্যাকসিন নিয়ে যারা বেশি বেশি সমালোচনা করেছে এখন তারাই আগে নিচ্ছে। এটিই সরকারের সফলতা, কষ্টের স্বীকৃতি।

          আজ রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সুরক্ষা অ্যাপ উদ্বোধন শেষে এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের টিকা প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

          সুরক্ষা অ্যাপ তৈরিতে স¦াস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বিশেষ সহায়তা প্রদানের জন্য মন্ত্রী আইসিটি বিভাগকে ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রী বলেন, সুরক্ষা অ্যাপটি ব্যবহার করে মানুষ আরো বেশি উপকৃত হবে।

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান।

#

দীপংকর/রোকসানা/মাসুম/সাহেলা/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২১৪৫ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                                 নম্বর : ৭৯৮

 

কৃষি পণ্যের তালিকায় চা অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে

                                                            ---বাণিজ্যমন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ৫ ফাল্গুন (১৮ ফেব্রুয়ারি):

 

         বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ চা বোর্ডের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সরকার প্রতি বছর ৪ জুনকে চা দিবস হিসেবে উদ্‌যাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দেশে চা উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে ভোগও বেড়েছে। ফলে আশানুরূপ চা রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। চা উৎপাদন আরো বাড়িয়ে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে।

 

          আজ চট্রগ্রামে বাংলাদেশ চা বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে চা শিল্পের অংশীজনদের সাথে মতবিনিময়ের সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

 

          মন্ত্রী বলেন, একটি চা বাগানও অলাভজনক রাখা যাবে না। দেশে চা এর উৎপাদন বাড়াতে সরকার সবধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদন শুরু হয়েছে, দিন দিন এ উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশার কথা, বর্তমানে দেশের উৎপাদিত চা এর ১২ ভাগ আসছে উত্তরাঞ্চল থেকে। চা উৎপাদনকারীদের উৎসাহিত করতে হবে এবং চা এর গুণগতমান উন্নত করতে হবে। চা-কে কৃষি পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। যাতে চা উৎপাদনকারীগণ কৃষি পণ্য উৎপাদনকারীদের সুযোগ সুবিধা পায়। সরকার চা শিল্পের উন্নয়নে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করছে। 

 

          বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে চা উৎপাদনকারীগণ উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় মতামত প্রদান করেন।

 

          এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ চা বোর্ডে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গ্যালারি ও বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন। 

#

 

বকসী/রোকসানা/সাহেলা/রেজুয়ান/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/২১১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর :  ৭৯৭

 

শেখ হাসিনার পথনকশা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে দেশ

                                  -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

জামালপুর, ৫ ফাল্গুন (১৮ ফেব্রুয়ারি) :   

 

          স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পথনকশা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

 

          আজ জামালপুর জেলা পরিষদ আয়োজিত নবনির্মিত মির্জা আজম অডিটোরিয়াম ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

          এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়-সহ সারা দেশে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

 

          অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য মির্জা আজম, জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোজাফফর হোসেন সিআইপি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।

 

          এর আগে মোঃ তাজুল ইসলাম জামালপুর সার্কিট হাউজে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন।

 

          এছাড়া, জামালপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী প্রকল্প ও মেলান্দহের মহিরামকুলে জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমি প্রকল্পসহ বাস্তবায়নাধীন বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।

 

#

 

হায়দার/রোকসানা/মাসুম/সাহেলা/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২১২০ ঘণ্টা  

Handout                                                                                                             Number : 796

 

US Ambassador calls on Foreign Minister

 

Dhaka, 18 February :

            The Ambassador of the United States in Bangladesh Earl R. Miller called on Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen today in the Ministry of Foreign Affairs. They discussed ways and means to further enhance the existing excellent bilateral relations between two friendly nations. After the assumption of the new US Administration led by US President Joe Biden, the prospect of having closer ties between two countries has enhanced, the two sides observed.

            Foreign Minister Momen underscored that Bangladesh, given its commendable socio-economic progress in last one decade, expects closer support from and collaboration with the US in coming days. Seeking more US investment in the Economic Zones and High Tech parks, he emphasized that the United States may consider investing in the ICT sector in Bangladesh, a prioritized area of development. The preservation of mangrove forest in the Sundarbans and the management of water resources can be other areas where the US can provide technical cooperation, he added, noting that Bangladesh needs technology transfer from the US.  Recalling that two countries’ bilateral ties have historical footing, Bangladesh Foreign Minister expressed conviction that this would continue to further enhance. He thanked for the continued support from the US on the Rohingya issue, underscoring that the repatriation of them remains the priority for Bangladesh. Recalling his recent telephone discussion with US Presidential Envoy for Climate John Kerry, Dr. Momen reiterated Bangladesh’s keenness to work with the US, both bilaterally and multilaterally, on the issue of climate change, including during the upcoming COP26 of the UNFCCC to be held in Glasgow, United Kingdom in November 2021. Bangladesh Foreign Minister also reiterated that Rashed Chowdhury, the convicted killer of the Father of the Nation, should be deported from the US without further delay. 

            The US Ambassador observed that Bangladesh is gaining growing importance within South Asia due to the socio-economic progress being achieved. He reiterated his country’s appreciation for Bangladesh for the mammoth humanitarian undertaking related to the Rohingya crisis and stated that the US remains as the most vocal in this regard. Underscoring that the ongoing celebration of the 50th Anniversary of Bangladesh and the Birth Centenary of the Father of the Nation is a good occasion to reinvigorate the relations between two countries, he discussed the possibility of the visit of high dignitaries of US Government this year to join the celebration. He also expressed optimism that Bangladesh-US ties would further enhance in coming days under the new US Administration. He assured of the continued engagement of the United States in the socio-economic development of Bangladesh.

#

 

Tohidul/Roksana/Masum/Sahela/Rejuan/Mosharaf/Salim/2021/2245 Hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৭৯৫

দেশের পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে

                              -- পরিবেশ মন্ত্রী

ঢাকা, ৫ ফাল্গুন (১৮ ফেব্রুয়ারি) :

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের পরিবেশের সুরক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এজন্য দেশের পরিবেশের উন্নয়নে সরকার সম্ভাব্য সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করবে। যেকোনো মূল্যেই দেশের পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

          আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় পরিবেশ কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৫ তম সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, জাতীয় পরিবেশ নীতি ২০১৮ এ বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ, পাহাড়, প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ এবং জীব-নিরাপত্তা, প্রতিবেশবান্ধব পর্যটন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা প্রস্তুতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবস্থাপনা, অন্যান্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক উন্নয়ন, টেকসই উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় পরিবেশ নীতিতে চিহ্নিত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাসমূহ তাদের স্ব-স্ব কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

          মন্ত্রী বলেন, হাসপাতাল, ক্লিনিকে পরিবেশবান্ধব ইনসিনারেটর, ইটিপি স্থাপন, পলিথিন, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। মন্ত্রী জানান, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ছিদ্রযুক্ত ইট তৈরি এবং বিভিন্ন ধরনের ব্লক উৎপাদন ও ব্যবহার ধাপে ধাপে বাধ্যতামুলক করা হবে। ব্লক ইট তৈরিতে শুল্ক হ্রাস অথবা সরকারি প্রণোদনা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ব্লক ইটের ব্যবহার বৃদ্ধির কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

          পরিবেশ মন্ত্রী জানান, কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্টের পাশাপাশি বিআরটিএ এবং পুলিশ প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হবে। নিয়মিতভাবে পর্যায়ক্রমে ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তা থেকে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান তিনি।

          পাহাড়, প্রতিবেশ সংরক্ষণে অবৈধভাবে পাহাড়কাটা বন্ধকরণ বিষয়ে মন্ত্রী জানান, জাতীয় স্বার্থে পাহাড় কর্তন প্রয়োজন হলে বাধ্যতামূলকভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিকট থেকে হিল কাটিং ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান অনুমোদন নিয়ে তদানুসারে পাহাড় কাটতে হবে।  পাহাড় কাটার কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে। মন্ত্রী জানান, পুকুর, ডোবা, খাল-বিল, নদী ও কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক জলাধার ভরাট বা শ্রেণি পরিবর্তন করা নিরুৎসাহিত করা হবে। জাতীয় স্বার্থে জলাধার ভরাট করার প্রয়োজন হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার আওতাধীন প্রাকৃতিক জলাশয়, পুকুরসমূহ বাধ্যতামূলকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় কোন ভরাট কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।

          সভায় অন্যান্যের মধ্যে কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী , পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

দীপংকর/রোকসানা/সাহেলা/রেজুয়ান/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২০৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৭৯৪ 

 

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অপ্রকাশিত থাকা রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা

                                                            -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৫ ফাল্গুন (১৮ ফেব্রুয়ারি) :   

 

          তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে প্রকাশ না করা ছিলো জাতীয়ভাবে আমাদের ভুল ও রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা এবং যারা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে খাটো করে দেখানোর অপচেষ্টা করেছেন, তারা অন্যায় করেছেন।’

 

          মন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের আন্তর্জাতিক  লিয়াঁজো উপ-কমিটির আহ্বায়ক আইয়ুব ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, বাংলা একাডেমি সভাপতি ড. শামসুজ্জামান খান এবং প্রেসক্লাবের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল আলম আলোচনায় অংশ নেন। সেমিনারে ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও বাংলার বিশ্বব্যাপ্তি’ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

 

          মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৪৮ সালে ঢাকায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’ ঘোষণার প্রতিবাদে আন্দোলন সংগঠিত করার কারণেই ১১ মার্চ ১৯৪৮ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৫ মার্চ মুক্তি লাভ করে আবার পরদিন ১৬ মার্চ ভাষার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগ্রাম পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়, একটানা ১৯৫২ সাল পর্যন্ত তিনি কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকাকালীনও তিনি কিন্তু বসে ছিলেন না। সেখান থেকেই তিনি ভাষা আন্দোলন সংগঠিত করার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এমনকি তিনি জেলখানায় অনশন করেছেন। আসলে এই বিষয়গুলো  আগে কখনো জনসম্মুখে প্রকাশিত হয়নি এবং  এটি অপ্রকাশিত রাখা একটি বড় অন্যায় ছিল।’

 

          ড. হাছান বলেন, একটি কথা অনেকে জানে না, ’৫২ সালের পরে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু ’৫৬ সালে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করার আগ পর্যন্ত বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হলেও সেটাকে কার্যকর করা হয়নি। ’৫৬ সালে পাকিস্তানের কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে সরকারি কার্যকরণে নিয়ে আসা হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে ২১ শে ফেব্রুয়ারি পালন, শহীদ মিনার সরকারিভাবে নির্মাণও তখনই শুরু হয়।

 

          ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আমাদের স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রাম, এর ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা সংগ্রাম; কিন্তু বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরিকল্পনা করেছিলেন পাকিস্তান হওয়ার পরপরই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং এখন প্রকাশিত সিক্রেট ডকুমেন্ট পড়লে বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধু আসলে পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করেছেন এবং সেই লক্ষ্যে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন।

 

          কখন কি বিষয় বলতে হয়, সেটি বঙ্গবন্ধু জানতেন, সেজন্যই বঙ্গবন্ধু রাজনীতির কবি, বলেন হাছান মাহ্‌মুদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যদি ’৬৬ সালে ৬ দফা ঘোষণা না করে তার মনে যে স্বাধীনতার কথা ছিল সেটি বলতেন, তাহলে তো স্বাধীনতা আসতো না। বঙ্গবন্ধু ৬৬ সালে ৬ দফা ঘোষণা করে প্রথমে বাঙালির মনন তৈরি করেছেন স্বাধীনতার জন্য। এরপর তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, ৬ দফার পক্ষে ম্যান্ডেট নিয়েছেন। তারপর তিনি জানতেন যে ৭০ সালে নির্বাচনের পর পাকিস্তানিরা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। কী করতে হবে সেই পরিকল্পনাও তাঁর ছিল। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ‘বাংলাদেশ স্বাধীন’ সেই কথা তিনি বলেন নাই। যে মুহূর্তে স্বাধীনতা ঘোষণা করা প্রয়োজন, সে মুহূর্তে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। এভাবে বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগঠিত করে বাঙালিকে স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন।’

 

          আমরা বঙ্গবন্ধুকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বলি কারণ হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালির জন্য কখনো স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না, বঙ্গবন্ধুই ঘুমন্ত বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করে সংগঠিত করেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে, স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে তাঁর নেতৃত্বে বাঙালিদের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন, বলেন তথ্যমন্ত্রী। ইতিহাসের পাতায় আরো বহু বাঙালি নেতা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন, চেষ্টা চালিয়েছেন কিন্তু সফল হননি, বঙ্গবন্ধুই সেই সফলতা এনে দিয়েছেন এবং সেই কারণেই বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বলেন তিনি।

 

          আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেমন এগিয়ে যাচ্ছে শুধু তাই নয় আজ ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং কেউ স্বীকার করুক আর না করুক, বাংলাদেশ আজ অনেক এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আশাহীন মানুষ যেমন এগুতে পারে না তেমনি আশাহীন জাতিও এগিয়ে যেতে পারে না। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জাতিকে আশাবাদী করা, স্বপ্ন দেখানো। শুধু বিরূপ সংবাদ পরিবেশিত হলে জাতি কখনো আশা দেখবে না। তাই আমার অনুরোধ, এই জাতির অর্জন আমরা গণমাধ্যমে তুলে ধরবো, জাতিকে আশার আলো দেখাবো। আর আমাদের দেশকে নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।’

 

বিটিভি মহাপরিচালকের বিদায় সংবর্ধনা

 

          আজ বিকেলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিদায়ী মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদকে সংবর্ধনা জানানো হয়। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ, তথ্যসচিব খাজা মিয়া, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাহানারা পারভীন-সহ কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বিদায়ী মহাপরিচালকের কর্মদক্ষতার প্রশংসা এবং তাঁর সুন্দর ও শান্তিময় ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

 

          স্থানীয় সরকার বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব সোহরাব হোসেনকে বিটিভি’র মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগাদেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

 

#

 

আকরাম/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/সেলিম/২০২১/১৯২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর :  ৭৯৩

 

পর্যটন খাতে সৌদি বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানানো হবে

                                               -- পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৫ ফাল্গুন (১৮ ফেব্রুয়ারি) :   

 

          বাংলাদেশের পর্যটন খাতে সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী।

 

          আজ সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসসা আল দুলাইহানের সাক্ষাৎকালে সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করলে তার জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। সাক্ষাৎকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

 

          প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, সৌদি বিনিয়োগকারীদের সাথে বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে একত্রে কাজ করাটা হবে আনন্দের। একই সাথে এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নেও একত্রে কাজ করতে পারবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন তিনি।

 

          কোভিড-১৯ মহামারির এই সময়ে সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দিকে খেয়াল রাখায় সৌদি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী। বর্তমানে বিশেষ ব্যবস্থায় বিমান সৌদি আরবে ফ্লাইট পরিচালনা করছে জানিয়ে বিমানের সিডিউল ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন ও কোভিড-১৯ এর কারণে সৌদি আরবে ফেরত যেতে না পারা ও নতুন ভিসা প্রাপ্ত ৮৬ হাজার বাংলাদেশি কর্মী দ্রুত ফেরত যাওয়ার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সৌদি রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান তিনি।

 

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে সাক্ষাৎকালে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর ও শক্তিশালী। সৌদি সবসময়ই বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে। এজন্যই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সৌদি আরবের বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের সাথে তা বন্ধ হয়নি। সিডিউল ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন শুরু হলে বাংলাদেশ বিমান প্রথমেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা পাবে।

 

          রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কর্মীগণ দক্ষ ও কর্মনিষ্ঠ। তাদের কাজের দক্ষতায় নিয়োগদাতাগণ সন্তুষ্ট। ফেরত যেতে না পারা ও নতুন ভিসা প্রাপ্তদের সৌদি আরবে নিয়ে যেতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  সৌদি আরবে কর্মরত প্রত্যেক বাংলাদেশি নাগরিককে বিনামূল্যে টিকা প্রদান করা হবে।

 

          বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সৌদি বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করতে খুবই আগ্রহী। এছাড়া এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সৌদি আরব বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

#                      

 

তানভীর/রোকসানা/সাহেলা/রেজুয়ান/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২০৩৫ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                       নম্বর : ৭৯২

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২১ উদ্‌যাপন

ঢাকা, ৫ ফাল্গুন (১৮ ফেব্রুয়ারি) :

          আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে চতুর্থবারের মতো পালিত হলো ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২১’। এবারের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই উন্নয়ন-সমৃদ্ধ দেশ নিরাপদ খাদ্যের বাংলাদেশ’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।

          ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু একটি টেকসই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি খাদ্যের পুষ্টিমান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

          মন্ত্রী বলেন, দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্য অর্জনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

          অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব

2021-02-18-23-11-a814d725902cfbaa7c4d1d5caf792020.docx 2021-02-18-23-11-a814d725902cfbaa7c4d1d5caf792020.docx