Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ নভেম্বর ২০১৮

তথ্যবিবরণী 17/11/2018

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ৩১৩৩

বাসস ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শাহরিয়ার শহীদের মৃত্যুতে

তথ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের শোক

 

ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৭ নভেম্বর) :

    বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শাহরিয়ার শহীদের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং তথ্যসচিব আবদুল মালেক।

          শাহরিয়ার শহীদ আজ ঢাকার একটি হাসপাতালে হৃদরোগজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন।

          পৃথক  শোকবার্তায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

#

আকরাম/সেলিম/সঞ্জীব/শামীম/২০১৮/১৭৪৬ ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৩১৩২

 

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা আগামীকাল শুরু

 

ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৭ নভেম্বর) :

          প্রাথমিক শিক্ষা ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা আগামীকাল শুরু হবে। শেষ হবে ২৬ নভেম্বর।


          প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবার ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৭০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে, যার মধ্যে ছাত্র ১২ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২ এবং ছাত্রী ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫২৮ জন। ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩ লাখ  ১৭ হাজার ৮৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। এতে ছাত্র ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৪ এবং ছাত্রী ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৯ জন। ৩ হাজার ২ শ' ৯৪ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।

          পরীক্ষা প্রতিদিন সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় শুরু হয়ে শেষ হবে দুপুর ১.০০ ঘটিকায়। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।  ৬ টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ করে মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার পরীক্ষার বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বাদ দেয়া হয়েছে।

#

রবীন্দ্রনাথ/সেলিম/সঞ্জীব/শামীম/২০১৮/১৭৪৮ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর : ৩১৩১
 
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে 
বিপুল ভোটে পুনরায় মিয়ানমার বিষয়ে রেজুলেশন গৃহীত 
 
নিউইয়র্ক, ১৭ নভেম্বর ২০১৮ : 
 
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির (ঝরঃঁধঃরড়হ ড়ভ যঁসধহ ৎরমযঃং রহ গুধহসধৎ) ওপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে সদস্য দেশসমূহের ভোটের মাধ্যমে ওআইসি এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের যৌথভাবে আনীত একটি রেজুলেশন ১৬ নভেম্বর গৃহীত হয়। ১৪২টি দেশ এই রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দেয়। বিপক্ষে ভোট দেয় ১০টি দেশ এবং ভোট প্রদানে বিরত থাকে ২৬টি দেশ। ওআইসি ও ইউ’র পক্ষে যথাক্রমে বাংলাদেশ ও অস্ট্রিয়া এই রেজুলেশন পেশ করে। ওআইসি ও ইইউ’র সকল সদস্যরাষ্ট্র এবং যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া ও মেক্সিকোসহ মোট ১০৩টি দেশ এই রেজুলেশনটি কোস্পন্সর করে। 
রেজুলেশনটি ভোটে যাওয়ার আগে এর যৌক্তিকতা তুলে ধরে ওআইসির পক্ষে তুরস্ক ও ইইউ’র পক্ষে অস্ট্রিয়া বক্তব্য রাখে। তুরস্ক ও অস্ট্রিয়ার বক্তব্য সমর্থন করে রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দানের আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও বাংলাদেশ। ভোট গ্রহণের আগে ও পরে দেওয়া বক্তব্যে প্রায় সকল সদস্যদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অব্যাহতভাবে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের অবদানের কথা উল্লেখ করে। 
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন তার বক্তব্যে রেজুলেশনটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে রোহিঙ্গাদের প্রতি দায়িত্ব পালনের স্বার্থে এই রেজুলেশনকে সমর্থন করতে সদস্য দেশসমূহের প্রতি আহ্বান জানান। 
গত ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ থেকে স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত না যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা মিয়ানমারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এবং মিয়ানমারের ছাড়পত্র অনুযায়ী কিছু রোহিঙ্গা পরিবার ও সদস্যদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন কাজ গত ১৫ নভেম্বর শুরু করতে সম্মত হয়েছিলাম। কিন্তু তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা সদস্যরা মিয়ানমারের আশ্বাসের প্রতি কোনভাবেই আস্থা রাখতে পারেনি এবং একটি পরিবারও মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে সম্মত হয়নি। তারা নাগরিকত্বের পূর্ণ নিশ্চয়তা, নিজভূমিতে অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিপূরণ প্রদান, সহিংসতা থেকে সুরক্ষা ও সহিংসতার বিচার করা এবং ন্যায় বিচার প্রাপ্তির পূর্ণ নিশ্চয়তা ব্যতীত মিয়ানমারে ফিরে যাবেনা বলে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে। অতএব রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরির নিশ্চয়তা বিধানে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে অবশ্যই মিয়ানমারে বাধাহীন প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে”। 
রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকারের নীতিগত অবস্থানের কথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আবারও মনে করিয়ে দেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ধরে রাখা বা জোর করে ফেরত পাঠানো এর কোনটিতেই একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের কোন স্বার্থ নেই।
এবছরের এই রেজুলেশন মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধির নিয়োগ আরো এক বছরের জন্য বর্ধিত করাসহ তার কাজকে আরো বেগবান করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও এতে রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমার সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের জঘন্যতম কার্যকলাপের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার বিষয়টি জোরালোভাবে আনা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা এবং সে উদ্দেশে রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমারের যথাযথভাবে প্রত্যাবাসন বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এই রেজুলেশনে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ হতে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানও জানানো হয়েছে রেজুলেশনটিতে। গত বছরের চেয়েও বেশী ভোটে এবারের রেজুলেশন পাস মিয়ানমারের বিপক্ষে বিশ্ব জনমতের অধিকতর জোরালো অবস্থানেরই সুস্পষ্ট প্রতিফলন। তৃতীয় কমিটিতে গৃহীত এই রেজুলেশন আগামী ডিসেম্বর মাসে সাধারণ পরিষদের প্লেনারিতে উপস্থাপিত হবে। এই রেজুলেশন মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে চলমান মিয়ানমার সঙ্কটের সুষ্ঠু ও স্থায়ী সমাধানে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো প্রত্যাশা।
#
 
জসীম/মহসীন/২০১৮/৬২০ ঘণ্টা 
Todays handout.docx