তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৬৬
ডব্লিউসিআইটি আন্তর্জাতিক সম্মাননা অর্জন করলো বাংলাদেশ
ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) :
দেশে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্র এবং আইসিটিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ অর্জন করেছে উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯। পাঁচটি বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল সম্মাননা চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।
আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভ্যানের কারেন ডেমিরচান কমপ্লেক্সে তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি’র (ডব্লিউসিআিইটি) ২১তম আয়োজনের অ্যাওয়ার্ড নাইটে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের নিকট অ্যাওয়ার্ডটি হস্তান্তর করেন উইটসার চেয়ারম্যান ইভোন চু । এ সময় হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের (বিএইচটিপিএ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বিসিএস সভাপতি মোঃ শাহিদ-উল-মুনীর উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ার্ল্ড আইটি সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (উইটসা) প্রতিবছর এই সম্মেলনের আয়োজন করে থাকে। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সংগঠন উইটসা এর গর্বিত সদস্য। বিসিএস বাংলাদেশ থেকে এ সম্মাননার জন্য বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নাম প্রস্তাব করে।
অ্যাওয়ার্ড অর্জন সম্পর্কে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই অর্জন তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার স্বীকৃতি। হাই-টেক পার্কের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগের পথ সহজ হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৬ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া উইটসার ২১তম সম্মেলন ডব্লিউসিআইটিতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যের একটি দল অংশগ্রহণ করেছে।
#
শহিদুল/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২২৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৬৫তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৬২
সত্যপ্রিয় মহাথেরোর মহাসংঘদান, পেটিকাবদ্ধ ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত
কক্সবাজার, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) :
বাংলাদেশের বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় গুরু, একুশে পদকপ্রাপ্ত, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার প্রাক্তন সভাপতি, রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের অধ্যক্ষ উপসংঘরাজ প্রয়াত পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরোর মহাসংঘদান, পেটিকাবদ্ধ ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান আজ রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে বিহার প্রাঙ্গণে মহাসংঘদান অষ্টপরিষ্কার দান, ধর্মসভা, অতিথি ভোজন, স্মৃতিচারণ, প্রয়াত পণ্ডিত মহাথেরোর নির্বাণসুখ ও বিশ^শান্তি কামনায় প্রার্থনা-সহ দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। তিনি বলেন, সত্যপ্রিয় মহাথেরো বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপসংঘরাজ ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ৬৯ বছর ভিক্ষু জীবন কাটিয়েছেন। ধর্মীয় সম্প্রীতিতে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক পেয়েছেন। তার মৃত্যু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
বাংলাদেশ সংঘরাজ, ভিক্ষু মহাসভার উপসংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাথেরো এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংসদ সদস্য আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল ও আশেক উল্ল্যাহ রফিক, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়–য়া, উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা প্রমুখ। এছাড়াও দেশবরেণ্যে প্রাজ্ঞ ভিক্ষুসংঘ, রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প-িত সত্যপ্রিয় মহাথেরো শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন।
#
নাছির/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৬১
কমনওয়েল্থ বাণিজ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে বাণিজ্যমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ৯ ও ১০ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী কমনওয়েল্থভুক্ত দেশসমূহের বাণিজ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে লন্ডনের উদ্দেশে গতকাল রাতে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। যুক্তরাজ্যের সেক্রেটারি অভ্ স্টেট ফর ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এর আমন্ত্রণে মন্ত্রী এ সম্মেলনে যোগদান করছেন।
এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো কমনওয়েল্থভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে কমনওয়েল্থভুক্ত দেশসমূহের বাণিজ্য দুই ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা। এ উদ্দেশ্য সফল করতে গঠিত ৫টি ক্লাস্টারের মধ্যে বিজনেস টু বিজনেস কানেকটিভিটি ক্লাস্টারে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে।
এ ক্লাস্টারের মূল ফোকাস কমনওয়েল্থভুক্ত দেশসমূহের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ সম্প্রসারণ করা। এর মাধ্যমে কমনওয়েল্থভুক্ত দেশসমূহের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও জীবন মান উন্নয়নে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নের পথ সুগম হবে।
#
বকসী/ফারহানা/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৬০
জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থার অপব্যবহার হচ্ছে
-- ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) :
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, জমি অধিগ্রহণে তিন গুণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্তটি সরকারের অত্যন্ত সময়োপযোগী ও গণমুখী উদ্যোগ হলেও এর অপব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কোনো এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণের খবর পেলেই কিছু অসাধু চক্র যোগসাজশ করে ওই এলাকার জমি কিনে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে। ফলে জমি অধিগ্রহণে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতেও খারাপ প্রভাব পড়ছে। এ ছাড়া প্রকৃত মালিকরা বঞ্চিত হয়।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রী তাঁর নিজ দপ্তরে ভূমি জরিপ ও ভূমি অধিগ্রহণ সম্পর্কিত পৃথক দু’টি সফটওয়্যার সিস্টেমের অগ্রগতি উপস্থাপন (প্রেজেন্টেশন) পর্যবেক্ষণ করার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন। ভূমি সচিব মোঃ মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জরিপ সম্পর্কিত এপ্লিকেশনে একই সিস্টেমে ম্যাপ ও খতিয়ান দেখা যাবে। ভূমি অধিগ্রহণ সম্পর্কিত সিস্টেমে জমির মালিক নিজ একাউন্ট থেকে ফাইল ট্র্যাকিং করতে পারবেন। ফলে, অধিগ্রহণের পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এই অপকর্ম রোধ করতে ‘জমির মালিকানার সময়কাল’ ও ‘বসতবাড়ির ভূমির আয়তন নির্ধারণ’-সহ আরো কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তা করা হচ্ছে। প্রকৃত মালিকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো এবং অর্থের অপব্যয় রোধ করতেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রী এ সময় আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামীকাল হতে ভূমি সেবা হটলাইন ১৬১২২ চালু হলে জনভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব হবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবদুল হক, আনিস মাহমুদ ও আতাউর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ তসলীমুল ইসলাম, ঢাকার জেলা-প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান-সহ এপ্লিকেশন ডিজাইনে যুক্ত সংশ্লিষ্ট ভেন্ডরের প্রতিনিধি।
#
নাহিয়ান/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৫৮
১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সরাতে হবে অবৈধ ডিটিএইচ সংযোগ
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল অবৈধ ডিটিএইচ সংযোগ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন শিল্পী, কলা-কুশলী, নাট্যকার, অনুষ্ঠান নির্মাতাদের সম্মিলিত সংগঠন এফটিপিও (ফেডারেশন অভ্ টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনস)-এর সাথে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে এ সিদ্ধান্ত জানান। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব আবদুল মালেক, অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম এবং এফটিপিও আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ-সহ প্রতিনিধিবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির ডিটিএইচ অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়। বিদেশি কোনো ডিটিএইচ কোম্পানিকে এখানে ডিটিএইচ যন্ত্র বসিয়ে সম্প্রচারের অনুমোদন দেয়া হয়নি। সুতরাং বিদেশি যে সমস্ত ডিটিএইচ যারা ব্যবহার করছেন বা যাদের মাধ্যমে ব্যবহার করছেন, পুরোটাই অবৈধ।’
‘বাংলাদেশে কয়েক লাখ বিদেশি ডিটিএইচ সিস্টেম বিভিন্ন জায়গা লাগানো হয়েছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, শুধু শহরে নয় গ্রামেও লাগানো হয়েছে যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এটা বিদেশ থেকে কেনা হয়, বাংলাদেশের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে যায়। এগুলো যারা ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে এক বছরের টাকা নিয়ে নেয়া হয়। কোম্পানি তো বিদেশি, মাসে মাসে নেয়া কঠিন, এজন্য এক বছরের টাকা নিয়ে সেগুলো আবার হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয়। এভাবে দেশের সাতশ’ থেকে আটশ’ কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার হয়। এটি চলতে দেয়া যায় না, এটি সমীচীন নয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি, ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। সমস্ত অবৈধ বিদেশি ডিটিএইচ যন্ত্র ব্যবহার এর মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে। এরপর আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। কেব্ল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার জন্য যেভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে, একইভাবে ১৫ ডিসেম্বরের পরে অবৈধ বিদেশি ডিটিএইচ কেউ যদি ব্যবহার করে, তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এফটিপিও আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ সভায় বাংলায় ডাবিং করা বিদেশি সিরিয়াল অনুমোদনের জন্য একটি কমিটি গঠন এবং এ ধরনের সিরিয়াল অফ-পিক আওয়ারে সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেয়ার ওপর জোর দেন।
এফটিপিও প্রতিনিধিদের মধ্যে ডিরেক্টর’স গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু, সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক, অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহিদুজ্জামান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এজাজ মুন্না এবং টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার এসোসিয়েশনের সভাপতি মুনতাসির মামুন সাজু মতবিনিময়ে অংশ নেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৫৬
ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা সফল হবে না
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকাণ্ডে দোষীদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি হবে। একইসাথে এ মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন শিল্পী, কলা-কুশলী, নাট্যকার, অনুষ্ঠান নির্মাতাদের সম্মিলিত সংগঠন এফটিপিও (ফেডারেশন অভ টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনস)-এর সাথে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব আবদুল মালেক, অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম এবং এফটিপিও আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ-সহ প্রতিনিধিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত এ হত্যাকাণ্ড প্রচণ্ড ন্যাক্কারজনক, অনভিপ্রেত। সরকার প্রথম থেকেই এটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শুরুতেই কেউ দাবি তোলার আগেই সন্দেহভাজন সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং যারা এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হবে তারা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়, সেজন্য সরকার বদ্ধপরিকর।’
‘দেশে অবশ্যই ভিন্নমত থাকবে, ভিন্নমত ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক সমাজ হতে পারে না’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ভিন্নমত থাকবে, সমালোচনাও থাকবে। সমালোচনার জবাব সমালোচনার মাধ্যমে হয়। ভিন্নমতের জবাব নিজের মত প্রকাশের মাধ্যমে হয়। ভিন্নমতের জবাব কোনোভাবেই আক্রমণ করে হতে পারে না। এটি আমাদের সরকার সমর্থন করে না, আমাদের দলও সমর্থন করে না। এজন্য এটির সাথে প্রাথমিকভাবে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, ইতোমধ্যে ছাত্রলীগ তাদের বহিষ্কার করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়, সেজন্য সরকার বদ্ধপরিকর।’
হত্যাকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিষয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি দেশে কোনো ঘটনা ঘটলে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে। এখনও সেই চেষ্টা হচ্ছে। কেউ এই ঘটনাকে পুঁজি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবে সেটি হতে দেয়া যাবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সঠিক তথ্য প্রচার করবে এবং এই ঘটনার নিন্দাও হবে, নিন্দা হওয়া উচিত। কিন্তু এই ঘটনাকে পুঁজি করে অপপ্রচার করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। অতীতেও যারা এভাবে অপপ্রচার করেছে, এ ধরনের কিছু ছড়িয়েছে সেটির বিরুদ্ধে কিন্তু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও কেউ যদি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় সে চেষ্টা সফল হবে না।’
#
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৫৫
দুর্যোগ মোকাবিলায় মহড়া সহায়ক
--- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ আশি^ন (৯ অক্টোবর) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জনগণকে সচেতন করতে এবং পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে মহড়া সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় আগারগাঁয়ে পঙ্গু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে ভূমিকম্প ও অগ্নিকা-ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত মহড়ায় এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ দুর্যোগ-ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্প ও বজ্রপাত অন্যতম। আগাম সতর্কবার্তা এসব দুর্যোগের ঝুঁকি বা জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারে। তিনি বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলকভাবে অনেক হ্রাস পেয়েছে। কারণ সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বিশ্বের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে তা সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে দুর্যোগে ববহারের জন্য সরবরাহ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জাপান সরকার ও জাইকার টেকনিক্যাল সহযোগিতায় বাংলাদেশ অচিরেই ভূমিকম্প সহনীয় দেশে পরিণত হবে। এ লক্ষ্যে জাপানের সাথে শীঘ্রই এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে।
#
সেলিম/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৮০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৫৪
স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য
সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) :
সকল ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় নিচের বিজ্ঞপ্তিটি স্ক্রল আকারে প্রচার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
মূল বার্তা:
‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৯’ বাস্তবায়ন
‘ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন দেশব্যাপী ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে’।
#
রুজিনা/পরীক্ষিৎ/রেজ্জাকুল/কুতুব/২০১৯/ ১৫৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী &n