তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১৭
আইসিটি বিভাগ ও এর অধীন সংস্থার সাথে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন):
সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সুশাসন সংহতকরণ, প্রাতিষ্ঠানিক স্বক্ষমতা উন্নয়ন ও সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে রূপকল্প ২০২১ এর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও এর অধীন ৪টি সংস্থার সাথে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ঢাকায় আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে সংস্থা/দপ্তরসমূহের প্রধানগণ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সংস্থাগুলো হলো: বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর ও কন্ট্রোলার অভ্ সার্টিফাইং অথরিটিজ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সময়ের সাথে তালমিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত মৌলিক লক্ষ্য তথা ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশকে বাস্তবে রূপ দিতে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি অতীতের কাজের সাথে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজের পরিধি বাড়ানোর ওপরও জোর দেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বিসিস’র নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেন, সিসিএ নিয়ন্ত্রক আবুল মানসুর মোহাম্মদ র্সাফ উদ্দিনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ্য, এপিএ চুক্তি অনুযায়ী অর্থবছর শেষে চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনুযায়ী নম্বর দেয়া হয়।
#
শহিদুল/ফারহানা/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১৬
প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে সমাপ্ত করার আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :
আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের নির্বাচিত এলাকায় কুচিয়া ও কাঁকড়ার চাষ এবং গবেষণা প্রকল্পের দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী জুলাই-২০১৫ থেকে জুন-২০১৯ পর্যন্ত ৪ বছর মেয়াদী প্রকল্পটি যথাসময়ে সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের সমাপ্তির পর সেসব প্রকল্পের কাজ যাতে অব্যাহত থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি যথাসময়ে সকল প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে সমাপ্ত করে দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় জানানো হয়, প্রচলিত মৎস্যজাত পণ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশে অপ্রচলিত মৎস্যপণ্য যেমন- কাঁকড়া ও কুচিয়ার উৎপাদন এবং রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মাছ চাষের সাথে সাথে অপ্রচলিত মৎস্যপণ্যের দিকে ঝুঁকছে খামারিরা। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চার বছরে দেশের ১০টি জেলা যেমন- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুণা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সর্বমোট ২৫ হাজার ৬৪৩ দশমিক ৪২ মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদিত হয়।
উৎপাদনের পাশাপাশি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১২ হাজার ৪৯৩ দশমিক ৯৭ মেট্রিক টন কুচিয়া রপ্তানির বিপরীতে আয় হয়েছে ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১২ হাজার ৪৫১ দশমিক ৫৯ টনের বিপরীতে ১৮৩ কোটি ৮৫ লাখ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১২ হাজার ৬৮৫ দশমিক ৯৮২ টনের বিপরীতে ২০৪ কোটি ৪৮ লাখ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭ হাজার ২০২ দশমিক ৮০ মেট্রিক টন হিমায়িত ও জীবিত কাঁকড়া রপ্তানির বিপরীতে ৪০৪ কোটি ২০ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে।
অন্যদিকে মৎস্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে ৪ বছর মেয়াদী বাংলাদেশের নির্বাচিত এলাকায় কুচিয়া ও কাঁকড়ার চাষ এবং গবেষণা প্রকল্পের আওতায় দেশের ৮ বিভাগের ২১ জেলার ৩৬টি উপজেলায় কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষ সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০১৫-১৭ অর্থবছরে প্রকল্প এলাকার ৮৪৫টি প্রদর্শনী খামারে ১৯২ দশমিক ১৬ মেট্রিক টন কাঁকড়া এবং ২৬৪টি প্রদর্শনী খামারে ৬২ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন কুচিয়া আহরিত হয়েছে। এ সময় উভয় পণ্যের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৬৫ দশমিক ৪৩ মেট্রিক টন নির্ধারিত হলেও উৎপাদিত হয়েছে ২৮১ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম ম-ল, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রকল্পের কনসালটেন্ট ফিলিপাইনের অধিবাসী ড. এমিলিয়া টি কুইনটিনো এবং প্রকল্প পরিচালক মাসুদা খানম বক্তৃতা করেন।
#
শাহআলম/ফারহানা/ইসরাত/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১৫
ই-লার্নিং টেকসই করতে মানসম্মত কনটেন্ট প্রস্তুত করতে হবে
--- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে কোনোক্রমেই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি করা যাবে না। আমাদেরকে আমাদের দেশের মতো করে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ই-লার্নিং পদ্ধতি চালু করতে গেলে আমাদের দেখতে হবে তা আমাদের দেশের জন্য উপযোগী কিনা, টেকসই কিনা এবং আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী কিনা।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) এর আওতায় মাধ্যমিক পর্যায়ে শিখন, শেখানো কার্যক্রমে ই-লার্নিংয়ের ব্যবস্থা বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অনেক টাকা খরচ করে কোনো সিস্টেম চালু করলে হবে না। আগে আমাদের দেখতে হবে কত কম খরচে কিভাবে ভালো ফল পাওয়া যায়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ মাহামুদ-উল-হক এর সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। গোলটেবিল আলোচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন পর্যায়ের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা গোলটেবিল আলোচনায় প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি পর্যায়ে ই-লার্নিং কার্যকর পদ্ধতি নয় বলে অভিমত দেন। যুক্তি হিসেবে তারা বলেন ই-লার্নিং প্রক্রিয়ায় সোশ্যালাইজেশন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। তবে ই-লার্নিং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
#
খায়ের/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১৪
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ বলেন, উদ্ভাবন ও উন্নয়ন একে অপরের সম্পূরক। উদ্ভাবনের মাধ্যমে উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সেবার জন্য কাজগুলো আরো সহজ ও দ্রুততার সাথে করতে হবে। মানুষকে সেবার মাধ্যমগুলো জানাতে হবে। বর্তমান সময়ের উন্নয়নের সবকিছুই সম্ভব হয়েছে মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি থেকে। নৌপরিবহন সেক্টরসহ সকল সেক্টরে উদ্ভাবনী কাজের সুযোগ রয়েছে। আরো বেশি বেশি উদ্ভাবনী কার্যক্রম সৃষ্টি করতে হবে।
আজ ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএ ভবনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা ও দপ্তর কর্তৃক উদ্ভাবিত ‘নাগরিক সেবায় উদ্ভাবনী পাইলট উদ্যোগসমূহের ইনোভেশন শোকেসিং কর্মশালা ২০১৯’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন সচিব এসব কথা বলেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক, মোংলা বন্দর কর্র্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) ইয়াসমিন আফসানা, বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর ইয়াহইয়া সৈয়দ, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম এবং নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ‘ভারতীয় গাড়িচালকদের বারকোড (নধৎপড়ফব) সংবলিত তাৎক্ষণিক ফটো ক্যাপ্চার (চযড়ঃড় পধঢ়ঃঁৎব) সহ নিরাপত্তা পাস প্রদান এবং আমদানিকারকের নিকট তাৎক্ষণিক অটো ম্যাসেজ/ই-মেইলে পণ্য ও ওজনের তথ্য প্রেরণ’; বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি ‘ভর্তি পরীক্ষা সহজীকরণ’; নৌপরিবহন অধিদপ্তর ‘সিওসি সনদ প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণ’; মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ‘কম খরচে জেটির সম্মুখভাগের মাটির ভাঙনরোধ’; বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) ‘জাহাজে স্টোর ব্যবস্থাপনা ও মেরামত সংক্রান্ত সেবা সহজীকরণ’; চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ‘অটো টাইড গেজ ডাটা অনলাইনে প্রদর্শন’; ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট ‘স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ঘণ্টা বাজানো এবং ঘগও অঢ়ঢ়ং’; বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ‘নদী বন্দরগুলোতে হটলাইন সেবা চালুকরণ’ এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ‘ডিজিটাল টিকেটিং পদ্ধতিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার’ বিষয়ক উদ্ভাবনী উদ্যোগ শোকেসিং করেছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নৌপরিবহন অধিদফতর এই ‘ইনোভেশন শোকেসিং’ কর্মশালার আয়োজন করে। নৌপরিবহন সচিব ‘নাগরিক সেবায় উদ্ভাবনী পাইলট উদ্যোগসমূহের নয়টি ইনোভেশন শোকেসিং’ ঘুরে দেখেন।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১৩
চীনের সহায়তায় চলমান কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ রেলপথ মন্ত্রীর
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১২
জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
নিউইয়র্ক, ১৩ জুন ২০১৯:
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম ১২ জুন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ’র সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। রোহিঙ্গা ইস্যু এবং জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদ্যাপনসহ বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজভূমি রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে মিয়ানমার সরকারের অসহযোগিতা ও বিদ্যমান অন্যান্য সমস্যাগুলো তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবকে অবহিত করেন। রোহিঙ্গা সঙ্কটের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের দায়বদ্ধতার ইস্যুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কেও মহাসচিবকে অবহিত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার কারণে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেন। তবে বরাবরের মতোই রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের উদারতা ও মানবিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, আসন্ন ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের দিকে তাকিয়ে আছে জাতিসংঘ। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ যে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে সে জন্য ধন্যবাদ জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
পররাষ্ট্র সচিব মোঃ শহীদুল হক এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
১২ জুন জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া এর সাথেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্রিয়ার আলম। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরেন।
ল্যাক্রুয়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অব্যাহত অংশগ্রহণ ও সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আরো বেশি নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করবে মর্মে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল তাঁর প্রত্যাশার কথা জনান। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে জানান বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে নারী শান্তিরক্ষী বৃদ্ধি করছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
তৌহিদুল/অনসূয়া/নাছির/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৯/১১১৩ ঘণ্টা