তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬৯৫
পর্যটকদের সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে
-- পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, পর্যটন শিল্পের সমন্বিত ও সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। পর্যটন আকর্ষণীয় এলাকাগুলোতে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে পর্যটকদের জন্য সুবিধাদি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীকে সচেতন করার ক্ষেত্রে কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিশ্ব পর্যটন দিবসে শতাধিক সাইক্লিস্ট ঢাকায় সাইকেল র্যালি করেছেন। এ র্যালিতে অংশ নিয়ে সাইকেল চালিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী ও সচিব মোঃ মহিবুল হক। আজ রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে শুরু হয় এ র্যালি। র্যালিটির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ। এতে টুরিস্ট পুলিশও অংশ নেয়। মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে র্যালিটি সাত রাস্তা হয়ে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়।
‘ভবিষ্যতের উন্নয়নে, কাজের সুযোগ পর্যটনে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে উদ্যাপন করা হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সহ বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা।
এবার দেশজুড়ে কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। পর্যটন নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো সারা দেশের প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠান হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে হয়েছে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা।
#
তানভীর/ইসরাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬৯৪
প্রশিক্ষণ ও গবেষণার বিকল্প নেই
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ আজ রাজধানীর লালবাগ কেল্লা জাদুঘরের হলরুমে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর আয়োজিত ‘প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের কার্যাবলী-সহ সার্বিক বিষয়াদি : প্রেক্ষিত পরিকল্পনা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার বিকল্প নেই। আজকের এ কর্মশালা থেকে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের উন্নয়নে যেসব প্রস্তাব ও সুপারিশ বের হয়ে আসবে, মন্ত্রণালয় সেগুলো বাস্তবায়নে সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তিনি এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে একটি যুগোপযোগী ও আধুনিক মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে তুলুন।
প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ হান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি।
কর্মশালায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেঙ্গল মিডিয়া কর্পোরেশন লিমিটেড (আরটিভি) প্রযোজিত ‘সাপলুডু’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো উপভোগ করেন।
#
ফয়সল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬৯৩
সমকালের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে সংবাদপত্রের ভূমিকা কেবল গুরুত্বপূর্ণ নয়, আবশ্যিক এবং অনিবার্যও বটে। সংবাদপত্রের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের অসঙ্গতি সম্পর্কে পাঠক জানতে ও বুঝতে পেরে সচেতনভাবে অসঙ্গতি নিরসনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন।
আজ রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় সমকালের নিজস্ব অফিস ভবনে পত্রিকাটির ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সমকালের প্রকাশক, সাংবাদিক কলাকুশলী-সহ প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে শুভেচ্ছা জানান কৃষিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে প্রয়াত বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও সমকাল পত্রিকার সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের কথা স্মরণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
#
গিয়াস/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬৯২
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকার সংকল্পবদ্ধ
-- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর), ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার সংকল্পবদ্ধ।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার নবনির্মিত স্টোর কাম পরিবার পরিকল্পনা ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের উপপরিচালক আবুল হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী ও পৌর মেয়র আব্দুস সবুর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের নবনির্মিত চারতলা ভবনের উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে যোগ দেন। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বোচাগঞ্জের বিভিন্ন পূজাম-পে সরকারি অনুদান বিতরণ করেন। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় পুরস্কার বিতরণ করেন।
সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী দিনাজপুরের বিরল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেনের স্মরণসভায় যোগ দেন।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬৮৮
ডেঙ্গু পরিস্থিতির আরো উন্নতি
ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৬০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৭ শতাংশ কমেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছেন ৮৫ হাজার ১১৫ জন, যা হাসপাতালে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর প্রায় ৯৮ শতাংশ। বর্তমানে সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগী আছেন ১ হাজার ৫৫৭ জন। এ যাবত ৮১ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
#
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৬৮৭
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর জ্যেষ্ঠ কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁকে উষ্ণ অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
শেখ হাসিনার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম শেখ হাসিনা শৈশব থেকেই রাজনৈতিক সচেতনভাবে বেড়ে উঠেছেন। দেখেছেন পিতার নেতৃত্বে দেশ ও গণমানুষের রাজনীতি। ছাত্রাবস্থায় যুক্ত হয়েছেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে এক রকম বন্দি অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন।
জাতির পিতার কন্যা হওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনার জীবন কখনো মসৃণ ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এ সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। মা, বাবা, ভাইসহ আপনজনদের হারানো বেদনাকে বুকে ধারণ করে পরবর্তীতে ছয় বছর লন্ডন ও দিল্লিতে চরম প্রতিকূল পরিবেশে তাঁদের নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়। ১৯৮১ সালে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ’৯০-এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হয়, বিজয় হয় গণতন্ত্রের ।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। এ সময় ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তি এবং প্রতিবেশী ভারতের সাথে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনকল্যাণে গৃহীত নানা কর্মসূচি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জোট সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এসে দক্ষতার সাথে সরকার পরিচালনা করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শুরু ও রায়ের বাস্তবায়নসহ সমুদ্রে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, ভারতের সাথে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত স্থলসীমানা নির্ধারণ তথা ছিটমহল বিনিময় চুক্তিসহ গণমানুষের কল্যাণে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জোট সরকার ক্ষমতায় আসে এবং তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তিনি বদ্ধপরিকর।
বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে, কমছে দারিদ্র্যের হার। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেলসহ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। মহাকাশে উৎক্ষেপিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি’র অর্জনের ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জনে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বশান্তিতে বিশ্বাসী। ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ও নির্যাতিত লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দেশে আশ্রয় দিয়ে তিনি বিশ্বমানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ জন্য তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ অভিধায় ভূষিত হয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, তথ্যপ্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়নসহ দারিদ্র্য বিমোচনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি দেশি-বিদেশি অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এবং দেশের জন্য বয়ে এনেছেন বিরল সম্মান। দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে তিনি ‘ভিশন ২০২১’ ও ‘ভিশন ২০৪১’ কর্মসূচিসহ বাংলাদেশ ব-দ্বীব মহাপরিকল্পনা (ডেল্টা প্লান ২১০০) গ্রহণ করেছেন। দেশ ও জনগণের জন্য তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা তাঁর পিতার মতোই গণমানুষের নেতা। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, গতিশীল নেতৃত্ব, মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে তিনি শুধু দেশেই নন, বহির্বিশ্বেও অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অত্যন্ত সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত শেখ হাসিনা ত্যাগী ও মমতাময়ী, কিন্তু গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার আদায়ে আপসহীন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে- এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর নিজের ও পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সুখ-সমৃদ্ধি ও অব্যাহত কল্যাণ কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৬৮৫
আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘ ‘তথ্য সবার অধিকার : থাকবে না কেউ পেছনে আর’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০১৯’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
সরকার এবং রাষ্ট্রের নিকট হতে তথ্য পাওয়ার অধিকার বিশ্বব্যাপী একটি মানবাধিকার হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদে জনগণের চিন্তা, বিবেক ও বাক্ স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। জনগণের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে তথ্য জানার অধিকারকে প্রাধান্য দিয়েই প্রণয়ন করা হয়েছে ‘তথ্য অধিকার আইন ২০০৯’ এবং এর যথাযথ বাস্তবায়নে তথ্য কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সকল স্তরে দুর্নীতি দূরীকরণের একটি কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে তথ্য অধিকার আইনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য অধিকার আইনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার পাশাপাশি এ আইনের যথাযথ প্রয়োগে তথ্য কমিশনকে আরো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জনগণের তথ্য জানার অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস।
তথ্য অধিকার আইন একটি জনকল্যাণকর আইন। আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণকে তথ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে এবং তথ্য সেবা নিশ্চিত করতে তথ্য কমিশন অনলাইন প্রশিক্ষণ ও অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেম কার্যক্রম গ্রহণ করেছে জেনে আমি আনন্দিত। এর ফলে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এই আইনের সুফল ভোগ করতে পারবে এবং তথ্য জানার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে। আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০১৯ পালনের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে, সর্বস্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হবে - এ প্রত্যাশা করি।
আমি আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০১৯ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
ইমরানুল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/১৭০০ ঘণ্টা