Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd এপ্রিল ২০১৯

তথ্যবিবরণী 03/04/2019

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৩৫৪
 
বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি রিভিউ এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
 
জেনেভা, ৩ এপ্রিল :
  আজ জেনেভায় বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের রুম ডব্লিউ-তে বাংলাদেশের ৫ম ট্রেড পলিসি রিভিউ-এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে বাণিজ্য সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম, জেনেভাস্থ বালাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম এম আহসানসহ ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ ট্রেড পলিসি রিভিউতে অংশগ্রহণ করেন। ডব্লিটিও ট্রেড পলিসি রিভিউ বডির চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসাডর টিহাংকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রথম দিনের এ সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী  ২০১২ সাল হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও সংস্কারসমূহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের বাস্তায়নাধীন “ভিশন ২০২১” সহ দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার প্রয়াসের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সভায় বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার প্রায় সকল সদস্যের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। মুক্ত আলোচনা পর্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া ও জাপানসহ ৩০টি দেশ অংশগ্রহণ করে। মুক্ত আলোচনায় সদস্য দেশসমূহ বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়ন, ২০১২ হতে ২০১৮ পর্যন্ত অব্যাহতভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্য নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুৎসহ অবকাঠামো উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে উন্নয়ন, ভিশন ২০২১ সহ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্ঠা ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়দানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। সভায় বাংলাদেশের আমদানি শুল্ক কমানোসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নীতিমালাসমূহ উদারীকরণের জন্য ও একাধিক দেশের প্রতিনিধি অনুরোধ জানান। 
আগামী ৫ এপ্রিল বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি রিভিউ এর দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ১৮টি দেশ ১৪০টি লিখিত প্রশ্ন দাখিল করেছে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আগামী শুক্রবার উক্ত প্রশ্নসমূহের জবাব দেবে।
উল্লেখ্য বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রতি সাত বছর অন্তর বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি রিভিউ অনুষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালে বাংলাদেশের ৪র্থ ট্রেড পলিসি রিভিউ অনুষ্ঠিত হয়।
#
বকসী/মাহমুদ/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২২:৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৩৫৩
 
নদীতে বর্জ্য ফেলা যাবে না
   --- খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
 
ঢাকা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
নদীতে কোনো ধরনের ময়লা ও বর্জ্য  ফেলা যাবে না। নদী রক্ষায় নদী তীর দখল ও দূষণমুক্ত করতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। এখন আমাদের অঙ্গীকার নদী তীরের বর্জ্য অপসারণ করা। বর্জ্য অপসারণের প্রতীকী কর্মসূচি ঢাকা শহরের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। কোনোভাবেই আমরা নদীতে ময়লা ফেলব না- এ প্রতিজ্ঞা নিয়ে সকলকে কাজ করতে হবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ ঢাকা সদরঘাট টার্মিনাল সংলগ্ন পার্কিং ইয়ার্ডে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত বুড়িগঙ্গা নদীর তীরভূমি থেকে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) -এর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলামের  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ এবং বিশিষ্ট কলামিস্ট ও পরিবেশবিদ সৈয়দ আবুল মকসুদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা নদীকে রক্ষা করতে পারিনি। এটা আমাদের জন্য লজ্জা ও পরিতাপের বিষয়। তিনি বলেন, এখন আমাদের টার্নিং পয়েন্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন, তাঁর নেতৃত্বে আমরা সকল ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়াব। বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শৃঙ্খলা ভেঙে আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, আর  প্রধানমন্ত্রী মমত্ববোধ দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন।
প্রতিমন্ত্রী পরে সদরঘাটের লালকুঠি-শ্যামবাজার এলাকায় বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২২১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৩৫২
 
নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই
                          --- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, দেশের উন্নয়নে সঠিক নীতি প্রণয়ন ও যথাযথ বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই । 
আজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ্ গভর্নেন্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইজিএম) এ সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত পলিসি অ্যানালাইসিস কোর্সের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অন্যতম দ্বায়িত্ব হলো নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। এক্ষেত্রে উৎকর্ষতা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, বিগত দশ বছরে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য স্থান করে নিয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশকে  উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী দেশে পরিণত করতে আরো দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এসময় তিনি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের মানবসম্পদকে আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিআইজিএম’র ভূমিকারও প্রশংসা করেন। 
বিআইজিএম’র বোর্ড অভ্ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এম. মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে স্কিল্স ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টম্যান্ট প্রোগ্রাম (ঝঊওচ) এর উপ-নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক ফজলুল বারি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুর রহিম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। 
উল্লেখ্য দশ সপ্তাহ মেয়াদী এই কোর্সে ৩৫ জন সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
#
শিবলী/মাহমুদ/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২১৩০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৩৫১
প্রথম পর্যায়ে ১০০টি উপজেলায় সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে 
                                         --- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী 
ঢাকা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, দেশের তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চা ও প্রসারে দেশের সকল উপজেলায় মাল্টিপারপাস কালচারাল কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে দেশের ১০০টি উপজেলায় মাল্টিপারপাস কালচারাল কমপ্লেক্স নির্মিত হবে যেখানে থাকবে ৪০০ থেকে ৫০০ আসনের একটি মিলনায়তন, একটি মুক্তমঞ্চ ও একটি আধুনিক সিনেপ্লেক্স। এর মাধ্যমে দেশে সিনেমা প্রদর্শনের জন্য আধুনিক মানের সিনেমা হলের সংকট অনেকাংশে দূর হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)এর ৮নং শ্যুটিং ফ্লোরে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ২০১৯ উপলক্ষে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন কমিটি ও বিএফডিসি আয়োজিত “বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা এবং উত্তরণের উপায়” শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব ও এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) লক্ষণ চন্দ্র দেবনাথের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। 
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকে প্রতি বছর ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। নতুন এসএমই নীতিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার সুযোগ রয়েছে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা এ সুযোগ নিতে পারেন। তিনি বলেন, সিনেমা হলসমূহ আধুনিকীকরণ ও সিনেমায় অর্থলগ্নিসহ চলচ্চিত্র শিল্পে বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সহযোগিতায় তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় যৌথভাবে একটি প্রকল্প প্রস্তুত করতে পারে। সে ক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরিয়ে আনতে সুদক্ষ অভিনয়শৈলী, ভালো মানের স্ক্রিপ্ট, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য দূরীকরণ ও সিনেমা দেখার সুন্দর পরিবেশ-এ চারটি বিষয়ের সমন্বয় জরুরি উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু চলচ্চিত্র নয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের লোকজ সংস্কৃতি সংরক্ষণেও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। সে লক্ষ্যে লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান যাত্রাশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সপ্তাহব্যাপী সারা দেশে যাত্রাপালা আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেমিনার উপকমিটির আহ্বায়ক ও প্রবন্ধকার মতিন রহমান। আলোচনা করেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও প্রদর্শক খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্র প্রদর্শক মিয়া আলাউদ্দিন ও নায়ক জায়েদ খান।
#
ফয়সল/মাহমুদ/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২১২৫ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৩৫০
কৃষির উন্নয়নে সরকার সহায়তা করছে
                           --- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এ দেশের কৃষিবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক সর্বোপরি আমাদের কৃষকদের একাগ্রতা নিষ্ঠা ও সক্ষমতার কারণে দেশ আজ খাদ্যে স¦য়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কৃষিতে এখন আমাদের প্রয়োজন বিনিয়োগকারী, রপ্তানি বাজার ও প্রক্রিয়াজাতকরণ। সরকার কৃষির সার্বিক উন্নয়নের জন্য সহায়তা করে আসছে। 
মন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ইউএসএআইডি’র মিশন পরিচালক ডেরিক ব্রাউনের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে আসলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  
প্রতিনিধিদল ‘ফল আর্মি ওয়ার্ম’ পোকাসহ ফসলের বিভিন্ন ক্ষতিকর পতঙ্গ প্রতিরোধের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তারা ভবিষ্যতে ফসলের ক্ষতিকর পতঙ্গ দমনসহ মানসম্মত বীজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায়। বাংলাদেশে কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ, প্রক্রিয়াকরণ ও মূল্য সংযোজনের বিষয়টি অনুধাবন করে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সাথে তারা কাজ করবেন বলে মিশন পরিচালক ডেরিক ব্রাউন উল্লেখ করেন। ‘ফল আর্মি ওয়ার্ম’ বাংলাদেশে একেবারেই অপরিচিত একটি পোকা। এই পোকা পাড়ি দিতে পারে দিনে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ। ২০১৭ সালে আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কয়েকটি দেশে খাদ্যশস্য নষ্ট করে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির জন্যও এই পোকাটি দায়ী।
১৯৭১ সাল থেকে ইউএসএআইডি বাংলাদেশকে ৭শ’ কোটি ডলারেরও বেশি উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করেছে। ২০১৭ সালে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে প্রায় বিশ লাখ ডলার প্রদান করেছে।
ফিড দ্য ফিউচারের টিম লিডার পেটরিক ওরলইউজ, সিনিয়র খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি নীতি উপদেষ্টা অনিরুদ্ধ হোম রায়, প্রাইভেট সেক্রেটারি অ্যাডভাইজার মোঃ মঈন উদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
গিয়াস/মাহমুদ/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২১২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর: ১৩৪৯

 

কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে

                           -- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ২০ চৈত্র (3 এপ্রিল):

            কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে| কৃষির গুরুত্ব ভবিষ্যতে আরো বাড়বে| সেই সঙ্গে নিরাপদ খাদ্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে| কৃষির সার্বিক উন্নয়নে মিডিয়া অপরিহার্য| মিডিয়া বিদেশি বিনিয়োগ, রপ্তানিসহ কৃষকদের কাছে কৃষিবিষয়ক নানা তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করে থাকে|

            মন্ত্রী আজ ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে কৃষিভিত্তিক মিডিয়া সংলাপ ২০১৯-এ এসব কথা বলেন|

            মন্ত্রী কৃষিতে ভর্তুকির বিষয় উল্লেখ করে বলেন, সরকার যদি কৃষিতে ভর্তুকি না দিত তাহলে এত পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন কখনই সম্ভব হতো না| এবার খাদ্য উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তার চেয়ে ১৩লাখ টন খাদ্য বেশি উৎপাদন হয়েছে|

            ড. রাজ্জাক বলেন, Ôদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পশ্চিমা সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নানা কটূক্তি করেছিল| শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের সমস্ত আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করেছে| বর্তমানে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার চেষ্টা চলছে| আশা করছি দ্রুত আমরা এ কাজও  করতে পারবো| তাদের আশঙ্কা আমরা বার বার মিথ্যা প্রমাণ করবো|’

            কৃষি তথ্য সার্ভিসের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।

            সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীম রেজা| মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এর সদস্য মো. হামিদুর রহমান|

#

গিয়াস/মাহমুদ/এনায়েত/রফিকুল/রেজাউল/২০১৯/২০৫৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ১৩৪৮
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে স্বর্ণযুগ আনতে ঐক্যবদ্ধ হোন
ঢাকা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে স্বর্ণযুগ আনার জন্য সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে দূরদৃষ্টি নিয়ে ঢাকায় চলচ্চিত্র শিল্পের গোড়াপত্তন করেছিলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই চলচ্চিত্রের বিকাশে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সারাবিশ্বে সমাদৃত হবে।’
আজ জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)-তে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদ্যাপন কমিটি ২০১৯ এর আহ্বায়ক সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে তথ্যসচিব আবদুল মালেক বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং চিত্রনায়ক আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, চিত্রনায়িকা রোজিনা প্রমুখ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন। 
এর আগে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শান্তির পায়রা ও একগুচ্ছ বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী। 
ড. হাছান তাঁর বক্তৃতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘১৯৫৭ সালের এই দিনে তদানীন্তন  প্রাদেশিক পরিষদের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল উত্থাপনের মাধ্যমে ঢাকায় চলচ্চিত্র শিল্পের দিগন্ত উন্মোচন করেন। তাঁর প্রতি এ মঞ্চ থেকে আমরা জানাই গভীর কৃতজ্ঞতা।’ 
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশে বহু কালজয়ী, জীবনধর্মী চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। স্বাধীনতার পূর্বেও সুকৌশলে নির্মিত বহু চলচ্চিত্র সূক্ষ্মভাবে  মানুষের মননে স্বাধিকারের চেতনা প্রোথিত করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা যেমন স্বাধীনতার ব্রতে জীবন বাজি রেখে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে লড়াই করেছে তেমনি এ দেশের চলচ্চিত্রও নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংগ্রাম সম্পর্কে জানতে সাহায্য করেছে।’
‘সমগ্র বিশ্বে চলচ্চিত্রের কোনো বিকল্প নেই’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘টেলিভিশন, ইউটিউব বা আইম্যাক্স কোনোটিই চলচ্চিত্রের বিকল্প নয়, চলচ্চিত্রের বিকল্প চলচ্চিত্রই। এই চলচ্চিত্র বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণ করেছেন বিশ্বমানের ফিল্ম আর্কাইভ, ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এফডিসির আধুনিকায়ন চলছে, ৩২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকল সুবিধাসহ এফডিসির নতুন সমন্বিত ভবন। ২০২১ সালে ঢাকায় বিশ্ব ফিল্ম আর্কাইভ সম্মেলনের আগেই এফডিসি নতুন রূপে সাজবে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি সৈয়দ হাসান ইমাম চলচ্চিত্র অঙ্গনের সকলকে দিনটি আনন্দের সাথে উদ্যাপনের আহ্বান জানান এবং তথ্যসচিব আবদুল মালেক দেশ ও চলচ্চিত্রের স্বার্থে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার ব্রতে উজ্জীবিত হতে বলেন।
তথ্যমন্ত্রী এ সময় শিল্পী ও অতিথিদের সাথে নিয়ে দিবসটি উপলক্ষে বিএফডিসি প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন, চলচ্চিত্রের ইতিহাসভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন ও বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন।  
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার সঞ্চালিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক লক্ষণ চন্দ্র দেবনাথ। দিবসটি উপলক্ষে এফডিসিতে দু’দিনব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। 
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৯/২০২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৩৪৭
সচিবালয়ে শ্যাম বেনেগালকে তথ্যমন্ত্রীর উষ্ণ অভ্যর্থনা
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বাঙালি জাতির জন্মকথা তুলে ধরতে চান শ্যাম বেনেগাল
 
ঢাকা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বাংলাদেশ সফররত ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগালকে সচিবালয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। আর শ্যাম বেনেগাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ওপর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি চান ইতিহাসের সঠিক প্রতিফলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বাঙালি জাতির জন্মকথা তুলে ধরতে।
আজ রাজধানীর সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য নির্বাচিত ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। তথ্যসচিব আবদুল মালেক ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র শাখার যুগ্মসচিব অশোক পারমার, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের উপ-মিশন প্রধান বিশ্বদীপ দে ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক এসময় উপস্থিত ছিলেন। 
বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দু’দেশের মধ্যে যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ক চুক্তির সূত্র ধরে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক যে চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা হয়েছে সেটির পরিচালক হিসেবে শ্যাম বেনেগালের এটি প্রথম বাংলাদেশ সফর। তাঁকে সহায়তার জন্য ভারত তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে, বাংলাদেশও অনুরূপ একটি কমিটি গঠন করতে চলেছে। সিনেমাটির প্রয়োজনে সম্ভাব্য সকল সুবিধা দেবে বাংলাদেশ।’
২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে এক বছর-মুজিব বর্ষের মধ্যেই এ চলচ্চিত্র নির্মিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ। 
শ্যাম বেনেগাল বলেন, ‘বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত উদ্বেলিত ও সম্মানিত বোধ করছি। আমি চাই ইতিহাসের সঠিক প্রতিফলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও একটি জাতির জন্মকথা তুলে ধরতে। বাঙালি জাতির জন্ম ইতিহাসে যেমন বিজয়ের আনন্দ আছে, তেমনি আছে হারানোর ব্যথাও-যেমনটি আছে গ্রিক ট্রাজেডিতে।’
‘বঙ্গবন্ধুর ওপর সিনেমাটি বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে হলেও বেশিরভাগ শিল্পী ও কলাকুশলী বাংলাদেশ থেকেই অংশ নেবেন’ উল্লেখ করে শ্যাম বেনেগাল বলেন, ‘দু’দেশের লেখক ও গবেষকবৃন্দই এ কাজে সহায়তা করবেন এবং সিনেমার প্রয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার যে কোনো স্থানে দৃশ্য ধারণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’ 
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ‘এখনো এ চলচ্চিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্ধারিত হয়নি’ বলে জানান শ্যাম বেনেগাল।
বৈঠক শেষে শ্যাম বেনেগালকে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে তথ্যমন্ত্রী একটি রুপোর নৌকা ও পাঞ্জাবী উপহার দেন।
#
 
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৯/২০১৫ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১৩৪৬
 
একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু ২৪ এপ্রিল 
 
ঢাকা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামী ২৪ এপ্রিল বুধবার বিকাল ৫ টায় একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় (২০১৯ খ্রিস্টাব্দের দ্বিতীয়) অধিবেশন আহ্বান করেছেন। 
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
#
তারিক/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০০০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৩৪৫
বাংলাদেশ ‘ই’ যুগ পার করে ‘ডি’ যুগে প্রবেশ করেছে
                                     --- মোস্তাফা জব্বার
 
ঢাকা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, উন্নয়ন ত্বরাণি¦ত করতে প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি গ্রহণের বিকল্প নেই। প্রযুক্তি গ্রহণে পৃথিবীতে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। পৃথিবী যখন ডিজিটাল বিপ্লবের কথা ভাবছে, বাংলাদেশ তখন বিপ্লব শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ‘ই’ যুগ (ইলেকট্রনিক) পার করে ‘ডি’ যুগে (ডিজিটাল) প্রবেশ করেছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় এক হোটেলে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের উদ্যোগে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ প্রতিযোগিতা  উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চীনের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে একটু ভিন্নরকম ধারণা ছিল।  চীন এখন প্রযুক্তিতে যথেষ্ট উন্নতি করছে। চীনের এই সাফল্যের অন্যতম কৃতিত্ব তাদের জনগণের। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে সামনের দিকে যদি যেতে হয়, তাহলে নতুন নতুন আবিষ্কার ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কোনো বিকল্প নেই। 
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনলজি বাংলাদেশের সিইও ঝাং জো ঝুন এবং বাংলাদেশে চীন দূতাবাসের ইকোনমিক এন্ড কমার্স কাউন্সিলর লী গুয়ান ঝু বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশে ২০১৪ সাল থেকে সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। চলতি বছর বাংলাদেশর পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চমবারের মতো এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১২০ জন করে মোট ৬০০ শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। তবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ জন করে মোট ৭৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্যায়ে অংশ নেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে চূড়ান্তভাবে দুইজন শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, সিনিয়র শিক্ষক এবং হুয়াওয়ের বিশেষজ্ঞ দলের সহায়তায় এসব শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়েছে। বাছাইকৃত এই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সাংস্কৃতিক পরিচিতির জন্য দুই সপ্তাহের জন্য চীনে হুয়াওয়ের হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হবে।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০০০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৩৪৪
স¦াস্থ্যসেবা আধুনিক করতে মার্কিন সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান স¦াস্থ্যমন্ত্রীর 
 
 
ঢাকা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে আরো আধুনিক ও সুলভ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, অসংক্রামক রোগের বিস্তারের কারণে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে ক্যান্সার ও কিডনী হাসপাতাল স্থাপনের পাশাপাশি প্রতিটি জেলা সদর ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ইউনিট নির্মাণের পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নেও সরকার উদ্যোগ নিতে চায়। এলক্ষ্যে সহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন।
আজ সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ঊধৎষ জড়নবৎঃ গরষষবৎ সাক্ষাৎ করলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। এ দেশের টিকাদান কর্মসূচি, ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি সারা বিশে^ প্রশংসিত। বাংলাদেশ আজ পোলিও ও ধনুষ্টংকার মুক্ত, যক্ষ্মা, কলেরা, ডায়ারিয়াও সরকার নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। কিন্তু অসংক্রামক রোগের বিস্তার বিশে^র অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। সরকার স্বাস্থ্যখাতের সুযোগ সুবিধাকে অসংক্রামক রোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করছে। এ বছরই দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নতুন ১৫০টি শয্যা যোগ করা হবে, ভবিষ্যতে যা আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, ক্যান্সার রোগের বিস্তার বাংলাদেশেও ব্যাপক। ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল বলে সরকারিভাবে প্রতিটি বিভাগে এর চিকিৎসা সহজলভ্য করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকার জনগণের মধ্যে জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছে। 
জাহিদ মালেক বলেন, বিগত তিন মাস যাবৎ নিয়মিত কঠোর নজরদারি বাড়ানোর ফলে উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উপস্থিতির হার বেড়েছে। তারপরও জনসংখ্যা ও রোগীর চাপের তুলনায় দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা অপ্রতুল। খুব শীঘ্রই আরো ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে এই সংকট আরো কমানো হবে। 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোনো দুর্যোগ পরবর্তী স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলায়ও দেশের স্বাস্থ্যখাত সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সাম্প্রতিক সময়ে অগ্নিদগ্ধদের দ্রুত চিকিৎসার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় একটি বৃহৎ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে যা শীঘ্রই চালু হবে।
এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
#
 
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৩৪৩
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের
আবাসিক ভবনসমূহে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
                                                                    --- স্থপতি ইয়াফেস ওসমান
 
রূপপুর (ঈশ্বরদী) পাবনা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের নির্মাণাধীন আবাসিক প্রকল্প গ্রিনসিটির বহুতল ভবনসমূহে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ফায়ার সেফটি এবং ফায়ার ডিটেকশন এন্ড প্রটেকশন বিষয়ক এক সভা আজ রূপপুর (ঈশ্বরদী)-তে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইতি রানী পোদ্দার।
মন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে নিরাপত্তার ওপর সর্বোচ্চ জোর দেয়া হচ্ছে।  আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সকল নিরাপত্তা মানদ- ও গাইডলাইন এবং বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও রাশান ফেডারেশন, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা, আন্
Todays handout (9).docx Todays handout (9).docx