তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৫৩
সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে
-- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
গংগাচড়া (রংপুর), ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট):
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বিদ্যুৎ খাতে এক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নে টিআর, কাবিখার বিশেষ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দরিদ্র জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় পার্টির নেতা মোঃ শামসুল আলম, মোঃ মতিউর রহমান ও আলহাজ আব্দুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ও লোডশেডিং এর হার উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমেছে। ইতোমধ্যে দেশের ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। এ বছরের মধ্যে যাতে সারাদেশ শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসে সরকার সেজন্য কাজ করছে। তিনি বলেন দীর্ঘ মেয়াদি মহা-পরিকল্পনার আওতায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে রামপাল, মাতারবাড়ি, পটুয়াখালীর পায়রায় এবং বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের আর্থিক সহায়তায় মহেশখালীতে ৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে গংগাচড়া উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী জমচওড়া জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
#
আহসান/ বিবেকানন্দ/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/২১৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৫২
তথ্যমন্ত্রীর ঈদের শুভেচ্ছা
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট):
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
আজ এক শুভেচ্ছা বার্তায় সকল গণমাধ্যমকর্মীসহ দেশবাসীর শান্তিময় ও আনন্দমুখর ঈদ কামনা করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, সকলকে আমি পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা এবং ঈদের আনন্দ সবার সাথে ভাগ করে নেয়ার আহ্বান জানাই।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ঈদ উৎসব সার্বজনীন। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য এ ঈদকে আনন্দমুখর রাখতে সরকার অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছে।
#
আকরাম/বিবেকানন্দ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৮/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৫১
কুরবানির জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানির পশু জবাইয়ের বিষয়টি একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চেষ্টা করছে। এ লক্ষ্যে দেশের ১১টি সিটি কর্পোরেশনে মোট ২ হাজার ৯৩৬টি স্থান নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
মন্ত্রী সম্প্রতি সচিবালয়স্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসহ সারাদেশে নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানির পশু জবাই এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণকল্পে কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তুতি-পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ সাঈদ খোকন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভিসহ দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায় যথেষ্ট লোক নিয়োগ করে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কুরবানি নিশ্চিত করতে হবে। কাউন্সিলরদের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি নিশ্চিত করে সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নিজ বাড়িতে যদি কেউ কুরবানি করে তাহলে নিজদায়িত্বে কুরবানির স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নিজেরা কুরবানি করে যদি নিজেরা পরিষ্কার করে ফেলেন তাহলে কোন সমস্যা নেই। মূল কথা বর্জ্যগুলো সাথে সাথে পরিষ্কার করতে হবে। আর পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের সুবিধার্থে যদি নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানি করা হয় তাহলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে করা যায়। তিনি বলেন, বর্জ্য ফেলার জন্য সিটি কর্পোরেশন বিনামূল্যে পলিথিন ব্যাগ ও ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করবে।
#
জাকির/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০১৮/১৪৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৫০
ঈদুল আজহার পূর্বের ৪ দিন ও পরের ৪ দিন সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিএনজি স্টেশনগুলো ঈদের পূর্বের ৪ দিন ও ঈদের দিনের পরের ৪ দিন ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
#
আসলাম/অনসূয়া/জসীম/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৩৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৪৯
সচিব পর্যায়ে রদবদল
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
সরকার সচিব পর্যায়ে রদবদল করেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ্কে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলামকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব পদে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ণেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক মোঃ আবদুল হালিমকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ নাসিরুজ্জামানকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
১৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারী করেছে।
#
মাসুম বিল্লাহ/অনসূয়া/জসীম/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১১৩০ ঘণ্টা
আগামীকাল বিকাল পাঁচটার আগে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৪৮
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি প্রিয় দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।
মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয়বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভে যে অনন্য দৃষ্টান্ত হযরত ইব্রাহীম (আঃ) স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। প্রতিবছর এ উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছল মুসলমানগণ কুরবানিকৃত পশুর গোস্ত আত্মীয়স্বজন ও গরীব-দুঃখীর মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে মানুষে-মানুষে সহমর্মিতা ও সাম্যের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করেন।
ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়। আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
আমি প্রত্যাশা করি, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের জীবনে সুখ ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে।
পবিত্র এই দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করছি। রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলের সহায় হোন-আমিন।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১২৩০ ঘণ্টা
আগামীকাল বিকাল পাঁচটার আগে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
আগামীকাল বিকাল পাঁচটার আগে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৪৭
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
"ঈদ মোবারক।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাইবোনদের জানাই ঈদের শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
পবিত্র ঈদুল আজহা আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর। ধর্মীয় এ উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্র্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কুরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়। আজহার অর্থ কুরবানি বা উৎসর্গ করা। কুরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য।
বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি জাঁকজমকের সাথে পালন করে আসছে। এটা আমাদের সম্প্রীতির এক অনুপম ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে তা কাজে লাগাতে হবে। সকল ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানবকল্যাণ। তাই ধর্মের অপব্যাখ্যা করে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। কুরবানির শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হোক-এ প্রত্যাশা করি।
পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ- মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।"
#
আজাদ/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১২৩০ ঘণ্টা
আগামীকাল বিকাল পাঁচটার আগে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৪৬
২১শে আগস্ট উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১শে আগস্ট উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১শে আগস্ট একটি কলঙ্কময় দিন। ২০০৪ সালের এ দিনে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
চারিদিকে যখন গ্রেনেড বিস্ফোরিত হচ্ছে, তখন আমাদের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীরা মানববর্ম সৃষ্টি করে আমাকে রক্ষা করেন। আল্লাহতায়া’লার অশেষ রহমত ও জনগণের দোয়ায় আমি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই। তবে সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী। অনেকে আজও পঙ্গুত্বের অভিশাপ বহন করছেন। অনেকে দেহে স্পিøন্টার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়নের ধারাকে স্তব্ধ করে দেওয়া; বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা; মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা।
এ নারকীয় হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচার করা ছিল সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকার কোন পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো হত্যাকারীদের রক্ষায় সবধরণের ব্যবস্থা করেছিল। হামলাকারীদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। অনেক আলামত ধ্বংস করে। তদন্তের নামে এই নৃশংস হত্যাকা-কে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে তারা জনগণকে ধোঁকা দিতে ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজানোর মতো ঘৃণ্য কাজ করে। কিন্তু সত্য কখনও চাপা থাকে না। পরবর্তীকালে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তে বেরিয়ে আসে বিএনপি-জামাত জোটের অনেক কুশীলব এ হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।
বিএনপি-জামাত জোট যখনই সরকারে এসেছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকেছে। বিএনপি-জামাতের সকল অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেশের জনগণ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় বিপুল ভোটে বিজয়ী করে। আমরা সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দেশকে দৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার কাজ শুরু করি। বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে থাকে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ পুনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে।
গত সাড়ে ৯ বছরে আমরা দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি অর্জন করেছি। আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ‘রোল মডেল’। সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধুৃ স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি।
আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। আমরা সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। আমাদের সরকার সকল সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিহত করে দেশে শান্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে। দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের কোন স্থান হবে না, এসব নির্মূল করবই। দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।
আমি আশা করি, ২১শে আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ, উদার, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের সকল নাগরিক ঐক্যবদ্ধ হবেন। ২১শে আগস্টের হামলাকারী, পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা এবং মদদদাতাদের সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে দেশ থেকে হত্যা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের চির অবসান হবে এবং দেশে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। আজকের দিনে এটাই আমার প্রত্যাশা।
আমি ২১শে আগস্টের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আহতদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৪৫
২১ শে আগস্ট উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২১ শে আগস্ট উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
"আজ শোকাবহ ২১ শে আগস্ট। বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। ২০০৪ সালের এদিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ কাপুরুষোচিত হামলায় শহিদ হন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী আইভি রহমানসহ
২২ জন নেতাকর্মী। শোকাবহ ঐ মর্মান্তিক ঘটনায় সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা।
লাখো শহিদের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের মহান স্বাধীনতা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ পরবর্তী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে শাসকের বুলেটের আঘাতে। তাই এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথ কখনো মসৃণ ছিল না। নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র এগিয়ে চলেছে। অগণতান্ত্রিক ও অশুভশক্তি বারবার গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ওপর প্রথম আঘাত আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এদিন স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে অকালে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। এরপরও ঘাতকচক্র থেমে থাকেনি। তাঁরা বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালীন ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়। আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২৩ জন নেতাকর্মী। আহত হন বহু নেতাকর্মী। এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে আজও পঙ্গুত্ববরণ করে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি ।
গণতন্ত্রকে অর্থবহ করতে হলে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহমর্মিতার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা অপরিহার্য। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে সকল রাজনৈতিক দল নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণ একটি আত্মমর্যাদাশীল ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসবেন, এ প্রত্যাশা করি।
আমি ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শাহাদাতবরণকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।"
#
আজাদ/অনসূয়া/জসীম/সেলিনা/আসমা/২০১৮/১০৩০ ঘণ্টা