তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০২৩
জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হলে লোভ লালসার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে -দুদক চেয়ারম্যান
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, প্রতিটি অনুসন্ধান বা তদন্ত সকল প্রকার লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে ও মোহমুক্ত থেকে করতে হবে। এ নির্মোহ দায়িত্ব পালনে আমাদের কোনো ভাই-বন্ধু বা স্বজন নেই। আর এমনটি হলেই জাতির পিতার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হবে। তাঁর আদর্শকে লালন করা হবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। জনগণ এটা বিশ্বাস করে বলে কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন-১০৬-এ বিগত দুই বছরে ৩১ লাখ মানুষ ফোন করেছে। তাদের আস্থা ও বিশ^াসের জায়গা হচ্ছে কমিশন। কর্মকর্তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে জনগণের আশা-ভরসার প্রতীক হতে পারে কমিশন।
আজ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে রক্ষা করতে হলে দুর্নীতি দূর করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করতে হবে। নইলে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।
তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্ধারিত সময়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত শেষ করার বিধান না মানলে তদবিরবাজির সুযোগ সৃষ্টি হয়, ঘুষখোররা ঘুষ খাওয়ার সাহস পায় এবং কমিশনের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে| ইকবাল মাহমুদ বলেন, নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের শপথ নিয়ে জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্যকে ধারণ করতে হলে সবার মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, মহাপিরচালক এ কে এম সোহেল, পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন ও মোঃ আক্তার হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্টে নিহত শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
#
প্রনব/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/শামীম/২০১৯/১৫৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০২২
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত হাসপাতালগুলোতে সর্বমোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৮ হাজার ২৮০ জন তার মধ্যে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছেন ৪০ হাজার ৬৭০ জন। আর এ যাবত ডেঙ্গু রোগে মারা গেছেন ৪০ জন।
বর্তমানে সারাদেশের হাসপাতাগুলোতে ভর্তিকৃত ডেঙ্গুরোগী আছেন ৭ হাজার ৫৭০ জন, যার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩ হাজার ৯১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে নতুন ১ হাজার ৯২৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
#
আয়শা/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/জসীম/শামীম/২০১৯/১৫৩৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০২১
হ্যানয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন
হ্যানয় (ভিয়েতনাম), ১৫ আগস্ট:
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আজ জাতীয় শোক দিবস এবং জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করা হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। এ দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিগণ, স্থানীয় অতিথিবৃন্দ, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সামিনা নাজ জাতির পিতার জীবনাদর্শ এবং স্বাধীনতা অর্জনসহ সকল সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতীয় শোক দিবসে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী ও সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়তে ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
শোকসভায় ভিয়েতনামের ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিন ও ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত হোরহে রন্ডন উজকাটিগুই বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ১৫ই আগষ্ট জাতির পিতার এবং তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ যারা এই দিনে শাহাদত বরণ করেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। উজকাটিগুই বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে উত্থান স্মরণ করেন এবং বিশ^ রাজনীতিতে তাঁর অবদান উল্লেখ করেন। তিনি জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র 'Bangabandhu - Forever in Our Hearts' প্রদর্শন করা হয়।
#
সামিনা/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৯/১৫১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০২০
জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালন
টোকিও, ১৫ আগস্ট:
জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ শ্রদ্ধা আর ভাবগাম্ভীর্যের সাথে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
আজ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শোক দিবসের প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙ্গালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল। তিনিই যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ নির্মাণে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছিলেন, দ্রুততম সময়ে জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় ও তাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন ।
রাবাব ফাতিমা বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু নেই, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনার পথ ধরেই তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন। রাষ্ট্রদূত জাপান প্রবাসী সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর এই অগ্রযাত্রার সক্রিয় অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতার সংগ্রাম আর জীবন-কর্ম নিয়ে ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
#
শিপলু/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৯/১১৪৮ ঘণ্টা