Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ জুন ২০১৫

তথ্যবিবরণী 13/06/2015

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৭০৭

বিদ্যুৎ গ্রামীণ অর্থনীতিকে বেগবান করে
                         -- মৎস্য প্রতিমন্ত্রী

ডুমুরিয়া (খুলনা), ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বিদ্যুৎ গ্রামীণ অর্থনীতিকে বেগবান করে। আগামী তিন বছরের মধ্যে ডুমুরিয়ার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হবে।
    
তিনি আজ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের রানাই গ্রামে নতুন বিদ্যুৎ লাইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের ফলে এ অঞ্চলে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাবে। এতে করে শিক্ষাসহ নতুন নতুন ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশ ঘটবে। তিনি নতুন গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের নিয়ম কানুন মেনে চলা এবং নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি আরো বলেন, মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়াতে শীঘ্রই এ উপজেলার ৯শ’ প্রান্তিক পরিবারকে বন্ধুচুলা প্রদান করা হবে। এছাড়া প্রতিমন্ত্রী রানাই গ্রামে পাকা রাস্তা করে দেয়ার আশ্বাস দেন।

খর্ণিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে খুলনা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার শহীদুজ্জামান এবং পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি বোর্ডের সহসভাপতি মোঃ আবুল কালাম মহিউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

খর্ণিয়া ইউনিয়নের রানাই গ্রামে তিন কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দেয়া হয়। এতে আজ ৫৪ জন নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী  ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৬টি পানি ব্যবস্থাপনা দলের মাঝে একটি করে পাওয়ার টিলার বিতরণ করেন।

#

মিজান/সাইফুল্লাহ/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/২১৪৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৭০৬

কর্মকর্তাদের প্রতি ভূমিমন্ত্রী
অর্পিত সম্পত্তির বিষয়ে নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিতে হবে

চট্টগ্রাম, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :

    ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, জনস্বার্থের দিকটি অধিকতর বিবেচনায় রেখে বিদ্যমান আইন ও বিধিমতে অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ে নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি  সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধাগ্রস্ত না হয়ে সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
    
    আজ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। 

চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, যুগ্মসচিব এস এম মনিরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বক্তৃতা করেন। 

    ভূমিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার, সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি স্বাধীনতার শত্রুদের বহু প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও  সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে দেশকে সুখী ও  সমৃদ্ধিশালী করতে কাজ করে চলেছে। সরকারি কর্মকতাদেরকেও সাহসী হতে হবে। সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে সকল প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে উঠতে হবে। তবেই এদেশ সোনার বাংলা তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে সার্থক হবে।

ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রত্যেকের নিজ নিজ ক্ষেত্রে  জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতা রয়েছে। তিনি বলেন, ভূমিকে ডিজিটালাইজেশন করার মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। কাজে অহেতুক দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।

#

রেজুয়ান/সাইফুল্লাহ/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/২০৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৭০৫

বাজেট আলোচনায় পরিকল্পনামন্ত্রী
বাংলাদেশের অর্থনীতি সত্যিকারের পরিপক্ক অর্থনীতির মতো আচরণ করছে
 

ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :
    এ বছর বাজেটে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের তুলনায় ৩০ ভাগ বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
    ২০১৫-১৬ বাজেট বিশ্লেষণ নিয়ে আজ রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এ বছরের নয় মাসে রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি ১৭ ভাগ। এর আগের পাঁচ বছরের গড় প্রবৃদ্ধি ১৮ ভাগ। এ বছর ৩০ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে গেলে বর্তমানের রাজস্ব আহরণ থেকে ৪০ হাজার ৯শ’ ৪২ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আহরণ করতে হবে।
    মন্ত্রী বলেন, আমরা কর কাঠামোতে ইতোমধ্যে সংস্কার শুরু করেছি। করদাতার আওতা বাড়াতে আমরা জেলা ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে কাজ করছি। বর্তমানে ৮৫টি উপজেলায় কর অফিস আছে। তাছাড়া, আগামী ১ লা জানুয়ারি থেকে সবধরণের কর প্রদান  ডিজিটাল পদ্ধতিতে হবে। সেই সাথে শুল্ক কাঠামোতেও প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা হচ্ছে।এর ফলে আমরা আশা করছি এ বছর প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ বাড়বে।
    আজকের আলোচনায় প্রাক্তন বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি স্থবির হয়ে গিয়েছে বলে উল্লেখ করলে পরিকল্পনামন্ত্রী তাঁর উত্তরে বলেন,‘বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ ২৯ ভাগ যা সিঙ্গাপুরের সমান এবং মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে বেশি। প্রকৃতঅর্থে জিডিপি প্রবৃদ্ধি শুধুমাত্র বিনিয়োগের ওপর নির্ভর করে না, দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতির ওপরও তা নির্ভর করে। মন্ত্রী এসময় আমীর খসরু মাহমুদকে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আপনার দল জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাস রাজনীতির নামে যেভাবে সহিংসতা চালিয়েছে তাতে বিনিয়োগ কিভাবে আসবে? পেট্রোলবোমার ভয় নিয়ে মানুষ তখন গাড়িতে উঠতো । তারপরও জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৫১ ভাগ হয়েছে এই সাধারণ মানুষের অদম্য আকাক্সক্ষায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এ প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগ হতো’।
    দেশ বৈদেশিক ঋণজালে আটকে যাচ্ছে কিনা আমীর খসরু মাহমুদ এর অপর এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বাজেট ব্যয় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ৫ ভাগ ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং সীমা কখনোই অতিক্রম করেনি। কাজেই আশঙ্কার কোন কারণ নেই। আমরা গত বছর ব্যাংক থেকে কোন ঋণ করিনি। পৃথিবীর প্রায় সব দেশই ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং করে থাকে। আপনাকে মনে রাখতে হবে অর্থনীতির চাহিদা পূরণ করতে সরকারকে ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করতে হয়। সত্যিকারভাবে একটি পরিপক্ক অর্থনীতি যেভাবে আচরণ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিও তাই করছে’।
    বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অর্থের অপচয় হচ্ছে স্বীকার করে পরিকল্পনা মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ আমাদের এখানে প্রকল্পের শেষ প্রান্তিকে এসে প্রথম তিন প্রান্তিকের সমান ব্যয় হয়। সবসময়ই এ ধারা চলে আসছে।ফলে অপচয় বেড়ে যায়। এর বহুমুখী আমলাতান্ত্রিক কারণ রয়েছে। আমরা এখানেও সংস্কার আনছি। আগে যেখানে প্রতি প্রান্তিকেই পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড়ের অনুমতি লাগতো এখন এক্ষত্রে শুধুমাত্র শেষ প্রান্তিকে এ অনুমোদন লাগে।আমি আশা রাখছি এর সুফল আগামী বছর থেকে দেখা যাবে’।
    প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে সভায় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

#

তাপস/সাইফুল্লাহ/নবী/জসীম/রেজাউল/২০১৫/১৯১৬ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৭০৪

জাতীয় পর্যায়ের আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :

    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মেছবাহ উল আলম বলেছেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন তৃণমূল পর্যায়ের সুপ্ত প্রতিভাকে প্রস্ফুটিত করে ভবিষ্যতে এক্ষেত্রে নতুন নতুন তারকা সৃষ্টি করবে। দেশ-বিদেশে তারা কৃতিত্বের স¦াক্ষর রেখে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। 
    
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আজ জাতীয় পর্যায়ের আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান আতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

    সচিব বলেন, সুস্থ দেহে সুস্থ মন। খেলাধুলার মাধ্যমে তা অর্জন করা সম্ভব। বর্তমান সরকার তাই খেলাধুলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিভিন্ন কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের  লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ভূমিকা রাখবে। 

    পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

    প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
    
    এ উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

#

রবীন্দ্রনাথ/সাইফুল্লাহ/জসীম/সেলিম/২০১৫/১৮০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১৭০৩

পেট্রোলবোমায় আহত শিক্ষক
রঞ্জিত শর্মার মৃত্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :

    পেট্রোলবোমায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন সরকারি রাঙ্গামাটি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রঞ্জিত শর্মার মৃত্যুতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।

    উল্লেখ্য, গত ২ জুন কুমিল্লার চান্দিনার কাঠেরপুল এলাকায় ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটিগামী একটি বাসে দুবৃত্তদের ছোড়া দু’টি পেট্রোলবোমায় শিক্ষক রঞ্জিতসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছিলেন। অন্যদের সাথে শিক্ষক রঞ্জিতও ঢাকা মেডিকেলের বার্ণইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

    শিক্ষামন্ত্রী তাঁর শোকবাণীতে বলেন, রঞ্জিত বাবু ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন। তিনি ছিলেন সদালাপী, ভদ্র, মার্জিত, রুচিশীল একজন দক্ষ শিক্ষক। তাঁর মৃত্যুতে শিক্ষা পরিবার একজন নিবেদিতপ্রাণ আদর্শ শিক্ষককে হারালো। মন্ত্রী দুর্বৃত্ত ঘাতক সন্ত্রাসীদেরকে অবিলম্বে সনাক্ত করে কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

#

সুবোধ/সাইফুল্লাহ/জসীম/রেজাউল/২০১৫/১৭২৫ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৭০২

নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“নৌ-নিরাপত্তা উন্নয়নে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ও সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০১৫ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সচেতন হই এবং নৌ দুর্ঘটনা পরিহার করি’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী মাধ্যম নৌপথ। এদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নৌপরিবহণের গুরুত্ব অপরিসীম।
আমাদের সরকার গত সাড়ে ছয়বছরে নৌপথের নাব্যতা পুনরুদ্ধার, নদীদখল ও দূষণমুক্ত রাখা এবং গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর পানি প্রবাহ ও পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ এ খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। নৌদুর্ঘটনা হ্রাসে নদীবন্দরসমূহে নিরাপত্তা জোরদার, অনুমোদিত ড্রইং ও ডিজাইন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নৌযান নির্মাণ, ত্রুটিপূর্ণ নৌযান সনাক্তকরণ, নৌযান  রেজিস্ট্রেশন, সার্ভে, মেরিন অফিসার ও নাবিকদের প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা পদ্ধতি আধুনিকীকরণ, আন্তর্জাতিক কনভেনশন বাস্তবায়ন, নৌনিরাপত্তা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম ও আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণসহ নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল পুনরায় চালু করা হয়েছে। আমরা নদীরক্ষা কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের এসকল কার্যক্রমের ফলে নৌপরিবহণ খাত আধুনিক, গতিশীল ও সেবামুখী হয়েছে। জনগণ কাক্সিক্ষত নৌসেবা পাচ্ছেন।
বর্তমান ইজিআইএমএনএস প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় কামান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ উপকূলীয় এলাকায় ৭টি কোস্টাল রেডিও স্টেশন ও ৪টি নতুন বাতিঘর তৈরির কার্যক্রম চলছে, যা উপকূলীয় এলাকায় জাহাজ চলাচলে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।
আমি আশা করি, পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ নৌ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা আরো তৎপর হবে। নৌপথে ভ্রমণকারী যাত্রী, নৌযান কর্তৃপক্ষ এবং নদী ও নৌযানের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নৌআইন  মেনে চলে দেশের নৌ নিরাপত্তাকে আরো সুদৃঢ় করবেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দুর্ঘটনামুক্ত নৌ-নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
আমি নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

সাইফুল্লাহ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ১৭০১

নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :

    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

    ‘‘নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ১৪ জুন থেকে সপ্তাহব্যাপী ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০১৫’ উদ্যাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জেনে আমি আনন্দিত।

    নদীমাতৃক বাংলাদেশে আর্থসামাজিক উন্নয়নে নৌ পরিবহণের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের জন্য নৌ পরিবহণকে অধিকতর আকর্ষণীয় করার জন্য সুস্থ পরিবেশ, নৌ এবং  যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একান্ত আবশ্যক। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল হওয়ায় মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়ের তা-ব বেশি থাকে। ফলে এই সময়ে নৌ দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বেশি দেখা যায়। এ রকম একটি  সময়ে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উদ্যাপনের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এবারের নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘সচেতন হই এবং নৌ দুর্ঘটনা পরিহার করি’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং অন্যান্য বিরূপ পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে      বিধি-বিধান মেনে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে নৌযান পরিচালনার জন্য সংশ্লি¬ষ্টদের আহ্বান জানাচ্ছি।

    আমি ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০১৫’ এর সাফল্য কামনা করি।

    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’

#

হাসান/সাইফুল্লাহ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৫/১৭১২ ঘণ্টা

 

Todays handout (6).doc Todays handout (6).doc