তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৬৩
২২ দিন মা-ইলিশ এবং নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত ৮ মাস
১০ ইঞ্চি সাইজের জাটকা ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ
ঢাকা, ৩ চৈত্র (১৭ মার্চ) :
১৬ মার্চ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ মাছঘাটে ১৬ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু।
সপ্তাহের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, ইলিশ আহরণে উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের প্রায় ৫ লাখ প্রত্যক্ষভাবে এবং পরিবহন, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরি, বরফ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানি ইত্যাদি কাজে পরোক্ষভাবে প্রায় ২৫ লাখ লোক জড়িত রয়েছে। নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত একটানা ৮ মাস ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চি সাইজের জাটকা ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পৃথিবীর আরো ১৩টি দেশে ইলিশ পাওয়া গেলেও বাংলাদেশই বিশ্বের সর্বোচ্চ ইলিশ উৎপাদনকারী দেশের মর্যাদা পেয়েছে। দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান ১ শতাংশ এবং দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১২ শতাংশ। ইলিশের এই অবদান আরো বৃদ্ধির জন্য সরকার উপকূলীয় ৬টি এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে।
ইলিশ সম্পদ রক্ষা এবং এর ক্রমবর্ধমান উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রমের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, জাটকা আহরণে বিরত থাকলে জেলেরাই বড় বড় ইলিশ আহরণ করে অধিক আয় করতে পারবেন। তাই তিনি মা-ইলিশ রক্ষায় প্রধান প্রজনন মৌসুমে মোট ২২ দিন (আশ্বিন মাসের প্রথম উদিত চাঁদের পূর্ণিমার ৪ দিন আগে, ১৭ দিন পরে ও পূর্ণিমার দিনসহ মোট ২২ দিন) এবং একটানা নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত একটানা ৮ মাস জাটকা নিধন রোধে কোনো প্রকার জাল না ফেলতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় উপকূলীয় ৩৬টি জেলায় জাটকাসহ অন্যান্য মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নির্মূলে ‘সম্মিলিত বিশেষ অভিযান’ পরিচালনার কাজেও তিনি সবার সহায়তা কামনা করেন।
জাটকা রক্ষার ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ বছরও ১৬ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯’ পালনে সর্বস্তরের জনগণের সম্পৃক্ততা কামনা করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। তাই এবারের প্রতিপাদ্য হিসেবে ‘কোনো জাল ফেলবো না, জাটকা ইলিশ ধরবো না, এই স্লোগান বাস্তবায়নে জেলেদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম ম-লের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চরফ্যাশন ৪ আসনের এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ডড়ৎষফ ঋরংয এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাল্কম ডিকশন, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক বক্তৃতা করেন।
#
শাহ আলম/শহীদ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৯/২২:২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৬২
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করেই বাংলাদেশ পৃথিবীতে শান্তির সংস্কৃতি সৃষ্টি করবে
---পররাষ্ট্র মন্ত্রী
ঢাকা, ৩ চৈত্র (১৭ মার্চ) :
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করেই বাংলাদেশ পৃথিবীতে শান্তির সংস্কৃতি সৃষ্টি করবে এবং পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সেমিনার, ওয়ার্কশপসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এতে বঙ্গবন্ধু ও ইতিহাস সম্বন্ধে জানা যাবে এবং আমরা সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে উন্নত হতে পারব। এ ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি প্রবাসী ও বিভিন্ন গুণী ব্যক্তিকে সম্পৃক্ত করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন।
নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার ঘটনা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সহনশীল মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে হামলার কারণ হলো পারস্পরিক হিংসা ও বিদ্বেষ। এ সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের হয়রানি ও লাগেজ চুরি বন্ধে দেশের বিমান বন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও মনিটরিং করা হবে । তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণহত্যা সম্পর্কে বিদেশিদের জানানো ও তাদের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় গণহত্যার ছবি সংবলিত একটি রুম স্থাপনের চিন্তা করছে সরকার।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি বক্তব্যের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে দিয়েছিলেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর পরিচয়ে বাংলাদেশকে সারা বিশ্ব চিনবে।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সভাপতি ডা. উত্তম কুমার বড়–য়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এ. কে. এম আতিকুর রহমান। বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন, শহিদ সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী ও ডিক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুল ইসলাম হাসিব।
#
তৌহিদুল/ফারহানা/শহীদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২১৪৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৬১
রোগীবান্ধব হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে
-স¦াস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ চৈত্র (১৭ মার্চ) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, রোগীবান্ধব হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারলে স্বাস্থ্য সেবায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন বাস্তবায়িত হবে। স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা এদেশের গরিব দুঃখী মানুষের জন্য সহজলভ্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি চিকিৎসকদের কর্তব্যনিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে হাসপাতাল পরিষ্কার রাখা, যন্ত্রপাতি সচল রাখাসহ চিকিৎসকদের উপস্থিতিও নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বিএমএ’র সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও সাহসিকতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তাঁকে অনুসরণ করেই মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ মানুষ আত্মত্যাগ করেছিল। যারা স্বাধীনতা চায়নি তারাই নৃশংসভাবে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যা, পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা, ২০১৩-২০১৪ সালে নিরীহ মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা হামলা সব একই সূত্রে গাঁথা।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত দশ বছরে দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি স্তরের মানুষ নিজ নিজ কাজে আত্মনিয়োজিত থাকলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে।
#
পরীক্ষিৎ/ফারহানা/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০১৯/২১১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৬০
বাংলাদেশ উপহাইকমিশন কলকাতায় উদযাপিত হলো বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী
কলকাতা, ৩ চৈত্র (১৭ মার্চ) :
বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে বাংলাদেশ উপহাইকমিশন, কলকাতা যথাযথ মর্যাদায় আজ দিনব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী সকালে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবনের স্মৃতি-বিজড়িত মৌলানা আজাদ কলেজ (পূর্বতন ইসলামিয়া কলেজ)-এর বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেলে (কক্ষ নং-২৪) তাঁর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানের নেতৃত্বে উপহাইকমিশনের রাজনৈতিক, ক্রীড়া ও শিক্ষা, বাণিজ্য, কনস্যুলার এবং প্রেস উইং-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া উপহাইকমিশনের সকল কর্মচারী, কলকাতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-এর কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনও বঙ্গবন্ধুর মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং প্রেস ইনস্টিটিউট অভ্ বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবেদ খান। আলোচনা সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবেদ খান বলেন, বাঙালি জাতির পরিচয়ই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু শুধু জাতির পিতাই নন, বাঙালি সংস্কৃতির মুখপাত্র হিসেবে ইতিহাসের বরপুত্র হয়ে বাঙালির ত্রাণকর্তা রূপে আবির্ভূত হলেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশকে পৌঁছে দেয়ার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নেই।
দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে উপহাইকমিশনের আর্ট গ্যালারিতে শিশু-কিশোরদের জন্য দু’টি গ্রুপে (গ্রুপ-১ এ প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী এবং গ্রুপ-২ এ ষষ্ঠ হতে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী) ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ এর ওপর চিত্রাঙ্কন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনী বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। উপহাইকমিশনের প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ওপর প্রায় ৩০০টি আলোকচিত্র প্রদর্শনীরও ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সবশেষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিশু-কিশোরদের (ছাত্র-ছাত্রী) মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
#
ইকবাল/ফারহানা/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২০৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৫৯
বঙ্গবন্ধু নিজেকে অপ্রতিরোধ্য সংগ্রামে নিয়োজিত
করে বাঙালি জাতির মহান নেতায় পরিণত হয়েছিলেন
---গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
সিঙ্গাপুর, ৩ চৈত্র (১৭ মার্চ) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন সাদামাটা একজন বাঙালি, যিনি সাহেবী পোশাক পরতেন না, যার জীবনবোধ ছিলো পরিপূর্ণরূপে একজন নির্ভেজাল বাঙালি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন টুঙ্গিপাড়ায় অজোপাড়া গ্রামে জন্ম নেয়া একজন মানুষ, যিনি শৈশব থেকে অপ্রতিরোধ্য সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করে বাঙালি জাতির মহান নেতায় পরিণত হয়েছিলেন।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের আরাধ্য সাধনা ছিলো পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ প্রতিষ্ঠিত করা, যেখানে বৈষম্য থাকবে না, দুর্নীতি থাকবে না, হানাহানি থাকবে না, সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিপূর্ণভাবে রূপান্তর করার জন্য। দুর্নীতির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতি। এই দৃঢ়তা যিনি ধারণ করেছেন আমরা তাঁকে দেখি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবি হিসেবে’।
সিঙ্গাপুরে থাকা বাঙালিরা প্রত্যেকে বাংলাদেশের অ্যাম্বাস্যাডর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বাংলাদেশের দূত। আপনাদের কৃতকর্মই বলে দেবে বাংলাদেশ কেমন। আপনি ভালো আচরণ করলে এখানের মানুষেরা ভাববে বাঙালিরা এরকম। আপনি যদি অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন, এখানের মানুষ ধরে নেবে বাংলাদেশ বোধ হয় এরকম’।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সুস্থতার জন্য মন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে প্রার্থনা করার জন্য অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইকমিশন, সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ সোসাইটি ও চেম্বারের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
#
ইফতেখার/ফারহানা/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৫৮
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস আজ যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও মর্যাদার সাথে ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে চানসারিতে এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয়। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন।
হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক এবং শিশুরাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে হাইকমিশনার শিশুসহ সকলকে সাথে নিয়ে জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন। পরে, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি-অগ্রগতি এবং বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা সভায় হাইকমিশনার তার বক্তৃতায় গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সংঘটিত সন্ত্রাসী হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং বাংলাদেশসহ সকল নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও মানুষের প্রতি তাঁর ¯েœহ-মমতার কথা স্মরণ করে বলেন, শিশুকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে সাধারণ মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও অনুকম্পার মতো বিশেষ গুণাবলি পরিলক্ষিত হয়। মানুষের প্রতি এই ভালবাসাই বঙ্গবন্ধুর পরিণত জীবনে তাঁর রাজনৈতিক আদর্শকে রূপায়িত করেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একটি স্বাধীন দেশই উপহার দেননি, তিনি আমাদের একটি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নও দিয়েছিলেন, যে স্বপ্নের দেশ হবে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা মুক্ত; যে সমাজ হবে সমতা, সামাজিক ন্যায় বিচার আর মানবিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত।
জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে “বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা” এবং “বঙ্গবন্ধু ও ছয় দফা” বিষয়ে রচনা লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এছাড়া শিশুরা বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত কবিতা ও ছড়া আবৃত্তি এবং দেশাত্ববোধক নৃত্য পরিবেশন করে। পরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়।
পরিশেষে, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৫৭
---সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে বেলুচিস্তানকে। ভারত থেকে কাশ্মীরের মুক্তি হওয়া অনেকটাই দূরাশায় পরিণত হচ্ছে। তারা শত চেষ্টা করেও তাদের স্বাধীনতা লাভ করতে পারছে না। তারা পারছে না কারণ তাদের দেশে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা জন্ম হয়নি। আমরা ধন্য বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশে জন্মেছিলেন। তিনি এই বাংলায় জন্মেছিলেন বলেই বাংলা আজ স্বাধীন।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদফতরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০১৯ উদ্যাপন উপলক্ষে সমাজসেবা অধিদফতর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবিরের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মাসুদ আহমেদসহ অন্য পরিচালক ও উপপরিচালকবৃন্দ।
এর আগে মন্ত্রীর নেতৃত্বে সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে এক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালি শেষে তিনি শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ঘুরে দেখেন।