Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ এপ্রিল ২০১৯

তথ্যবিবরণী ১৪ এপ্রিল ২০১৯

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১৫০৯
শিল্পনগরীসমূহের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস স্থাপন করা হবে
                                                --- শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা, ১ বৈশাখ (১৪ এপ্রিল):
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, শিল্পনগরীসমূহে প্রয়োজনীয় পরিসেবাগুলো দ্রুত নিশ্চিত করতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস স্থাপন করা হবে। দেশের সম্ভাবনাময় শিল্পখাতসমূহের বিকাশে সরকারি সহায়তা আরো কার্যকরভাবে প্রদানের লক্ষ্যে ওয়ানস্টপ সেন্টারসমূহ কাজ করবে। 
আজ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বৈশাখী মেলা ১৪২৬-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমি যৌথভাবে ১০ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে। 
বিসিকের চেয়ারম্যান মোঃ মোশতাক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশের সভাপতি মীর্জা নুরুল গনি শোভন। ১৪ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবে। 
শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্পখাতের সমস্যাসমূহ নিরসনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে শিল্প উদ্যোক্তাদের সমস্যাসমূহ দ্রুত সমাধান করতে হবে। 
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প পণ্যের বিদেশি ক্রেতা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসমূহে এ সকল পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি এ সকল পণ্যের ডিজাইন ও মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধাসমূহ প্রসারিত করতে স্থানীয় শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে হবে। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক সহায়তা আরো সহজলভ্য করতে হবে। 
শিল্পসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে শিল্পখাতের বিকাশে অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। এই পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনায় দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। 
অনুষ্ঠানে ৬৫ জন কারুশিল্পীর মাঝে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ী ৯ জনকে কারুশিল্পী পুরস্কার ১৪২৫ প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে ১ জনকে কারুরতœ ও ৮ জনকে কারুগৌরব পুরস্কার প্রদান করা হয়। 
#
মাসুম/ফারহানা/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২২০০ ঘণ্টা  তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১৫০৮

নববর্ষ উপলক্ষে সাশ্রয়ী রেটে টেলিটকের ইন্টারনেট প্যাকেজ উদ্বোধন করলেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
 টেলিটককে আরো উন্নত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ

ঢাকা, ১ বৈশাখ (১৪ এপ্রিল):
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটককে উন্নত গ্রাহক সেবার মাধ্যমে  প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে এবং প্রতিযোগিতায় যোগ্যরাই টিকে থাকে। মন্ত্রী  টেলিটককে জনপ্রিয় করতে সংশ্লিষ্টদের আরো সচেষ্ট  হওয়ার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে টেলিটকের সাশ্রয়ী মূল্যে ডাটা প্যাকেজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক  মোঃ সাহাব উদ্দিন অনুষ্ঠানে  বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী দেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দিতে ইন্টারনেট সহজলভ্য এবং ব্যয় সাশ্রয়ীর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ সফলতার মাইফলক স্থাপন করেছে। গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন  কর্মসূচি বাংলাদেশ প্রযুক্তি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।  তথ্যপ্রযুক্তিতে গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো তফাৎ থাকবে না। ইতোমধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হয়েছে। জনগণ সাশ্রয়ীমূল্যে ইন্টারনেট সেবা যাতে পেতে পারে সে লক্ষ্যে ইন্টারনেটের মূল্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস করা হয়েছে।

পরে মন্ত্রী সাশ্রয়ী দামে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সবচেয়ে কমরেটে  টেলিটক ইন্টারনেট প্যাকেজ উদ্বোধন করেন।

#
শেফায়েত/ফারহানা/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২০১৬ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৫০৭
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতায় বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন
 
কলকাতা, ১ বৈশাখ (১৪ এপ্রিল):
কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন অত্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র মাধ্যমে দিনব্যাপী বাংলা ১৪২৬ এর আগমন উদ্যাপন করে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’টি উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তৈরি মুখোশ ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ নানান প্রাণী সদৃশ সুসজ্জিত মুখোশ নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি দর্শকদের দৃষ্টি কেড়েছে। 
 
উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কলকাতায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ কলকাতার কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। 
 
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাঙালির ঐতিহ্য নিয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের ঐতিহ্যম-িত সুসজ্জিত প্রাঙ্গণে বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য ও আবহ রক্ষা করে মেলা ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন বিদেশি মিশনের কূটনীতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।  
 
 
#
ইকবাল/ফারহানা/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০১৯/২০১১ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ১৫০৬
 
নববর্ষের স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্ত অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
বাঙালির বড় সেতুবন্ধ বাংলা নববর্ষ
ঢাকা, ১ বৈশাখ (১৪ এপ্রিল):
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাঙালির জাতি, ধর্ম ও বর্ণের সবচেয়ে বড় সেতুবন্ধ হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। এই অঞ্চলের মানুষ শত বছর ধরে বাংলা নববর্ষ অনুষ্ঠান উদ্যাপন করে আসছে। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই দিবসটি প্রত্যেকে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং জীবনযাপনের ধারায় মিল রেখে উদ্যাপন করছে। 
 
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ডাক অধিদপ্তর মিলনায়তনে বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর আয়োজিত নববর্ষ ১৪২৬ উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
 
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র বক্তৃতা করেন।
 
মন্ত্রী এ সময় স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্ত করেন। বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদ্যাপন উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর দশ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করেছে। এই বিষয়ে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড প্রকাশ করেছে ও একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়েছে।
 
জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ  দেশের সকল ডাকঘরে এ স্মারক ডাকটিকিট বিক্রি করা হবে। পরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
 
#
শেফায়েত/ফারহানা/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/১৯৫৫ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ১৫০৫
জনশক্তিকে সম্পদে পরিণত করতে পারলে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে
                                                                                    ---পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ১ বৈশাখ (১৪ এপ্রিল):
বাংলাদেশের মানবসম্পদ অত্যন্ত শক্তিশালী; বিভিন্ন দেশে মানবসম্পদ কমে যাচ্ছে। জনশক্তিকে আগামী বিশ্বের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারলে বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকবে। দেশ কেবল জনসংখ্যায় অষ্টম বৃহত্তম দেশ হবে না অথনীতিতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবেও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। আগামীতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসবে, সেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেশি বেড়ে যাবে। সেই নিরিখে বাঙালি যাতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে টিকে থাকতে পারে এবং জনশক্তিকে সত্যিকারের মানবসম্পদে পরিণত করতে পারে-সে বিষয়ে সরকার খুবই সজাগ। 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ রাজধানীর নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলার ছেলে-মেয়েরা বিগত দিনের সব গ্লানি ও দুঃখ মুছে ফেলে নতুনের উদ্দীপনায় উদ্দীপ্ত হবে। নবদিনের আনন্দ তাদের প্রেরণা যোগাবে। তারা সারা বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নিজেরা সচেষ্ট থাকবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যথোপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তিতে শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করছে।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের পানি ও মানব দুটি প্রধান সম্পদ। এই দুই সম্পদকে কাজে লাগাতে পারলে তা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে। মানবসম্পদকে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ অচিরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবে। 
নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি, পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হাসেম বক্তৃতা করেন।
#
তৌহিদুল/ফারহানা/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০১৯/১৯১৭ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                নম্বর : ১৫০৪
সাংস্কৃতিক চর্চা শিশু কিশোরদের পরিশীলিত করবে 
                          ---সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ বৈশাখ (১৪ এপ্রিল):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সুশিক্ষার পাশাপাশি সুস্থ দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশ সাধন করতে পারলে দেশ ও সমাজ থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদকাসক্তি ও সাম্প্রদায়িক মনোভাব দূর হবে। সাধারণ শিক্ষার সাথে সাংস্কৃতিক চর্চা করলে শিশু-কিশোরেরা পরিশীলিত ও পরিমার্জিত হবে। 

প্রতিমন্ত্রী গতকাল ঢাকার লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল ও কলেজ মাঠে বেনুকা ললিতকলা কেন্দ্রের ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেনুকা ললিতকলা কেন্দ্রের সভাপতি এবং সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেনুকা ললিতকলা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম মোস্তফা খান। 

কে এম খালিদ বলেন, ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতির লালন, ধারণ, অনুশীলন ও বিকাশের ওপর বর্তমান সরকার গুরুত্বারোপ করে সংস্কৃতি খাতের উন্নয়নে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী এর আগে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ আয়োজিত ‘এক বৈশাখ অনেক আকাশ’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক নাটক উৎসব ও ফোকসংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। শিল্পকলা একাডেমি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
#
রবী/ফারহানা/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০১৯/১৭৫৮ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                             নম্বর : ১৫০৩
বাংলাদেশের জন্য ডব্লিউএসআইএস সম্মেলন গৌরবের
                    -- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১ বৈশাখ (১৪ এপ্রিল):
জেনেভায় জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন দি ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) ২০১৯ সালের ফলোআপ ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ দেশে ফিরেছেন। আইটিইউ, ইউনেস্কো, ইউএনডিপি এবং ইউএনসিটিএডি এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতিসংঘের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিখাতের এ রকম বড় কোনো সামিটের চেয়ারম্যান হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে এটিই প্রথম।
‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি‘ প্রতিপাদ্য নিয়ে জেনেভায় ৮ থেকে ১২ এপ্রিল এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়। ৫ দিনব্যাপী ডব্লিউএসআইএসে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিসহ সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। চেয়ারম্যান এর দায়িত্বের বাইরেও মন্ত্রী ডব্লিউএসআইএসে ৯ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ডব্লিউআইএসের এবারের সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য গৌরবের এবং অর্জনের। বিশ^সম্প্রদায়ের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে সমৃদ্ধির বাংলাদেশকে তুলে ধরার মাধ্যমে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে চিহ্নিত বাংলাদেশের প্রতি এই ফোরামের মাধ্যমে বিশ^ সম্প্রদায়ের মনোযোগ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন মোস্তাফা জব্বার। বিশ্বে বৈষম্যহীনভাবে প্রযুক্তি রূপান্তরের জন্য ডব্লিউএসআইএস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। বৈষম্যহীন প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব গড়তে শিল্পোন্নত এবং ধনী দেশগুলোই নয়, অনুন্নত আর উন্নত দেশ সবাইকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ডব্লিউএসআইএসকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, তাদের অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তব রূপ লাভ করেছে এবং একের পর এক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
সম্মেলনের বিভিন্ন ইভেন্টে মন্ত্রীর উপস্থাপনায় প্রথম তিনটি শিল্পবিপ্লব মিস করেও গত দশবছরে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশ থেকে ডিজিটাল শিল্পবিপ্লব বা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশ বৈশ্বিক নেতৃত্বের জায়গায় পৌঁছানোর সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে গৃহীত কর্মসূচিসমূহের চিত্র উঠে আসে। 
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক প্রমুখ সম্মেলনে অংশ নেন।
 
#
শেফায়েত/অনসূয়া/জসিম/রেজ্জাকুল/রেজাউল/২০১৯/১৬০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১৫০২ 
 
বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব
          -- কামাল আহমেদ মজুমদার
 
ঢাকা, ১ বৈশাখ (১৪ এপ্রিল):
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, মাতৃভাষা বাংলাকে সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। 
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল কার্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদ্যাপন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মোল্লা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাস্তবায়নে সকল বাধা দূর করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত না হলে এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখা সম্ভব হতো না। সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ সম্প্রীতি বজায় রেখে এদেশে বসবাস করছে এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছে।
পরে, শিল্প প্রতিমন্ত্রী ইব্রাহিমপুরে মনিপুর স্কুল ও কলেজ এবং মিরপুর ১০ নম্বরে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এসময় তিনি বলেন, দেশীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে বিশ্ব পরিম-লে তুলে ধরতে হবে এবং বিশেষ কিছু দিনের মাঝে সীমিত না রেখে সবসময় এগুলোর চর্চা করতে হবে।
#
 
মাসুম/অনসূয়া/জসিম/রেজ্জাকুল/রেজাউল/২০১৯/১৬০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                             নম্বর : ১৫০১
 
বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালন করতে হবে
             -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ বৈশাখ (১৪ এপ্রিল):
 
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আবহমান বাংলার হাজার বছরের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বাঙালি নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। চিরায়ত বাঙালির এ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালন করে সারাদেশে সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় শিশু পার্ক প্রাঙ্গণে ঋৃষিজ শিল্পী গোষ্ঠী আয়োজিত বর্ষবরণ উৎসব ১৪২৬ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্ষবরণ উৎসবকে বাধাগ্রস্থ করতে অতীতে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, ষড়যন্ত্র এখনো রয়েছে। সকল বাধা অতিক্রম করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ঋৃষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি ফকির আলমগীর এবং বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
#
 
জাহাঙ্গীর/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/রেজাউল/২০১৯/১৩২০ঘণ্টা
 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১৫০০

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান স্পিকারের

ঢাকা, ১ বৈশাখ (১৪ এপ্রিল):

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অতীতের সব গ্লানি মুছে ফেলে অর্জনগুলোকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে নতুন প্রত্যয়ে। নতুন বছরে বাংলাদেশকে ব½বন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলায় পরিণত করার প্রত্যয় গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।  

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ১৩ এপ্রিল রাতে বঙ্গাব্দ ১৪২৬কে স্বাগত জানাতে 'বার্জার রঙে রঙিন বৈশাখ' শীর্ষক উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। এসময় স্পিকার দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।

স্পিকার বলেন, 'আলপনা বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে। আলপনার মাধ্যমে প্রাণের রং আঁকা হয় । এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে সকলের প্রতি সহযোগিতারও আহ্বান জানান।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান নূর এমপি এবং বার্জার পেইন্টস এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুপালী চৌধুরী উৎসব অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

আয়োজনের সমন্বয়ক শিল্পী মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রায় চারশ' শিল্পী আলপনা আঁকায় অংশ নেন।

#

কামাল হোসেন/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/রেজাউল/২০১৯/১৩০৮ ঘণ্টা

Todays handout (7).docx Todays handout (7).docx