Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

তথ্যবিবরণী 20/02/2015

তথ্যবিবরণী                                                                             নম্বর : ৫১৪ 

যারা বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় তারা দেশের শত্রু

                                                                           -- ডেপুটি স্পিকার

গাইবান্ধা, ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :

          জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাড. মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, বাংলাদেশ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। যারা বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় তারা দেশের শত্রু। আমাদের উচিত সাম্প্রদায়িক শক্তি ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সরকারের হাতকে শক্তিশালী করা। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের তথ্য ও  প্রযুক্তিখাতে যে অভাবনীয় সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিশ্ববাসীর কাছে সমাদৃত হচ্ছে।

 

          ডেপুটি স্পিকার আজ গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলায় আইটি বাংলা আয়োজিত  ÒLearning & Earning” প্রোগ্রামের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

 

          ডেপুটি স্পিকার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রও পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, আজকের এই পরীক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতে দেশগড়ার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি পরীক্ষা চলাকালীন হরতাল ও অবরোধের মত অমানবিক ও কা-জ্ঞানহীন কর্মসূচির তীব্র নিন্দা জানান এবং অনতিবিলম্বে এমন হৃদয়বিবর্জিত, দেশ নস্যাৎকারী কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। হরতালের নামে কোনো নৃশংসতা বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায় না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

 

#

 

স¦পন/মিজান/নবী/রফিকুল/আব্বাস/২০১৫/২১২৬ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ৫১৩

জাতীয় সংসদের কর্মকা-ের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান স্পিকারের

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :

    স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতীয় সংসদের সকল কর্মকা-ের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে সংসদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সাংবাদিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

স্পিকার আজ ঢাকায় বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে (পিআইবি) ‘সংসদ বিষয়ক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণ’ এর সমাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ আহ্বান জানান। তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা, অবাধ নিরপেক্ষ তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সংবাদকর্মী তথা সাংবাদিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

স্পিকার বলেন, অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির সকল তথ্য বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রচার করতে সাংবাদিকবৃন্দকে একযোগে কাজ করতে হবে। জাতীয় সংসদ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সকল কর্মকা-ের কেন্দ্রবিন্দু। নির্বাহী সকল কর্মকা-ের জবাবদিহিতা এই জাতীয় সংসদে হয়ে থাকে। এছাড়া, সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধীদলও সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সংসদীয় সকল কর্মকা- জাতির সামনে তুলে ধরে সাংবাদিকরা সংসদীয় গণতন্ত্রকে আরো শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে।

তিনি আরো বলেন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।   দেশের সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণে পিআইবি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের আরো প্রশিক্ষণ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পিআইবি’র চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ, পিআইবি’র মহাপরিচালক শাহ আলমগীর এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ বক্তৃতা করেন।

#

মঞ্জুর/মিজান/নবী/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/২০০০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৫১২
বাংলাদেশি পণ্য সহজে ভারতে প্রবেশের জন্য অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা প্রত্যাহারের পরামর্শ
ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :
বাংলাদেশি পণ্য ভারতের বাজারে সহজে প্রবেশের জন্য অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা প্রত্যাহারের পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। তিনি শুধু ব্যবসায়িক প্রয়োজনে নয়, দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে ভারতীয় ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে সফররত ইন্ডিয়ান চেম্বার অভ্ কমার্স (আইসিসি) এর ১২ সদস্যের শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠককালে শিল্পমন্ত্রী আজ এ পরামর্শ দেন। রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে মন্ত্রীর বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী, আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট রূপেন রায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট জগদীশ প্রসাদ চৌধুরী, কনফেডারেশন অভ্ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ এর পূর্বাঞ্চলের সাবেক চেয়ারম্যান সঞ্চয় বুধিয়া, রবি অটো গ্রুপের চেয়ারম্যান রবি পোদ্দার, ইন্ডিয়া-চীন কোঅপারেশন প্রমোশন সেন্টারের চেয়ারম্যান এম কে শাহারিয়া, আইসিসি’র মহাপরিচালক ড. রাজিভ সিং, জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এফইএএল জিএমবিএইচ এর চেয়ারম্যান অসীম ক্লিংবার্গ, প্রধান নির্বাহী ডি কে ব্যানার্জি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ মুখার্জি এবং নর্থ-ইস্ট ইনিসিয়েটিভের উপদেষ্টা নকিব আহমেদসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে দু’দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তা পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার সহায়কের ভূমিকা পালন করবে। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য ভারতের উদ্যোক্তাদেরকে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশে সার্কভুক্ত দেশগুলোর বিনিয়োগ বাড়াতে ‘সার্ক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। তাঁরা বলেন, এ শিল্পপার্ক গড়ে তুললে বাংলাদেশে
৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আসবে। এর ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা সংযোজিত হবে। তাঁরা দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কিত যে কোনো প্রতিবন্ধকতা সম্মিলিত উদ্যোগে অপসারণ করা হবে বলে জানান।
বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদেরকে ভারতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান। ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশি যেসব পণ্যের বিপরীতে অশুল্ক বাধা আরোপ করা হয়ে থাকে সেগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে দূর করার জন্য ভারতের ব্যবসায়ীগণ উদ্যোগ নেবে বলে তাঁরা মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। তাঁরা বাংলাদেশের সাথে ঐতিহাসিকভাবে গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের আশা প্রকাশ করেন।
#
জলিল/মিজান/নবী/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/১৯০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                     নম্বর : ৫১১

বাংলাদেশ - ভারতের অভিন্ন ইস্যুগুলো
আলোচনার মাধ্যমে শিগগিরই নিষ্পত্তি হবে
                        -- রাশেদ খান  মেনন

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :

    বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ছিটমহলসহ বিদ্যমান অভিন্ন অনেক ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে শিগগিরই নিষ্পত্তি হবে। বাংলাদেশ ও ভারত ভৌগোলিক সীমারেখায় বিচ্ছিন্ন হলেও ঐতিহাসিক কারণে  দু’দেশের মানুষের মন এক বলে তিনি উল্লেখ করেন ।

    বাংলাদেশে সফররত  ইন্ডিয়ান চেম্বার অভ্ কমার্স (আইসিসি) এর একটি প্রতিনিধিদল আজ মিন্টুরোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন। দিলোইটি টিটি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আইসিসি প্রেসিডেন্ট রূপেন রায় ১১ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

    বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধুপ্রতীম দু’টি প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভারতের জনগণ ও সরকারের গভীর আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে  তিনি বলেন, দু’দেশের জনগণের কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধ হাজার বছরের পুরোনো এবং অভিন্ন। দু’দেশের জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন আরো বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগের পাশাপাশি বিমান যোগাযোগ আরো বাড়াতে হবে।

    প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন- টিটাগড় ওয়াগনস লিমিটেডের নির্বাহী চেয়ারম্যান জগদীশ প্রসাদ চৌধুরী, পাট্রন গ্রুপের এমডি হর্ষবর্ধন নিয়োতিয়া, রবি অটো গ্রুপের চেয়ারম্যান রবি পোদ্দার, শাহারিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান এমকে শাহারিয়া, ইন্ডিয়ান চেম্বার অভ্ কমার্সের মহাপরিচালক রাজেব সিংহ, ফিয়াল জিএমবিএইচ এর চেয়ারম্যান  আছিম ক্লিংগবার্গ এবং সিইও ডিকে ব্যানার্জি। প্রতিনিধিদল ঢাকা-আগরতলা বিমান ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী এ ব্যাপারে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

    মন্ত্রী বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শন সংবলিত নরসিংদীর ওয়ারি বটেশ্বরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান এ উপমহাদেশের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খুবই লাভজনক একটি খাত। নদী, পাহাড়, সাগর থেকে শুরু করে বিস্তীর্ণ বনভূমি এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন পর্যটকদের জন্য খুবই চিত্তাকর্ষক। পর্যটন ও এভিয়েশনসহ বিভিন্ন খাতে বর্তমান সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির সুযোগ কাজে লাগাতে তিনি প্রতিনিধিদলের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

#

শেফায়েত/মিজান/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/১৯০০ ঘণ্টা
 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                              নম্বর : ৫০৭

মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :


‘‘মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলা ভাষাভাষীসহ বিশ্বের সকল ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।


    মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জীবনে শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক। ১৯৫২ সালের এদিনে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ আরো অনেকে।
    আজকের এদিনে আমি ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শ্রদ্ধা জানাই বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সকল ভাষা সৈনিকের প্রতি।
    ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সংগ্রাম পরিষদ ধর্মঘট ডাকে। এদিন সচিবালয়ের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধুসহ অনেক ছাত্রনেতা গ্রেফতার হন। ১৫ মার্চ তাঁরা মুক্তি পান। ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ মুজিবুর রহমান। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।
    ঐ বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি মুক্তি পান। ১৯ এপ্রিল আবারও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জুলাই মাসের শেষে তিনি মুক্তি পান। ১৪ অক্টোবর ঢাকায় বঙ্গবন্ধুকে আবার গ্রেফতার করা হয়। কারাগার থেকেই তাঁর দিকনির্দেশনায় আন্দোলন বেগবান হয়। সেই দুর্বার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শাসকগোষ্ঠীর জারি করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ভাষা শহিদরা।
মহান একুশে ফেব্রুয়ারির সেই রক্ত¯œাত গৌরবের সুর বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আজ বিশ্বের ১৯৩টি দেশের মানুষের প্রাণে অনুরণিত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য কানাডা প্রবাসী সালাম ও রফিকসহ কয়েকজন বাঙালি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সরকার জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করে। যার ফলে ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
    আজ সারাবিশ্বের সকল নাগরিকের সত্য ও ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রেরণার উৎস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
    বিশ্বের ২৫ কোটি মানুষের ভাষা বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতিদানের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দাবি উত্থাপন করেছি। বিশ্বের সকল ভাষা সংক্রান্ত গবেষণা এবং ভাষা সংরক্ষণের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি।
    অমর একুশে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক। একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও নিরক্ষরমুক্ত এবং আধুনিক ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের সরকার দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত ছয় বছরে আমরা দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি অর্জন করেছি। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছি।
আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হই। পবিত্র সংবিধান ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখি। সন্ত্রাস ও হানাহানির পথ পরিহার করে দেশ ও জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার শপথ নিই।
                                                                                 জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
                                                                                 বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
মিনা/মিজান/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর :  ৫০৬                                       
মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে
রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :
    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
    ‘‘মহান ‘শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৫’ উপলক্ষে আমি পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। সেই সাথে মহান ভাষা আন্দোলনে শহিদদের অম্লান স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
    অমর একুশে বাঙালি জাতির চিরন্তন প্রেরণার উৎস। আমি আজ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি মহান ভাষা আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী ভাষা শহিদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা অসংখ্য শহিদদের। সেইসাথে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তৎকালীন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তসহ সকল ভাষা সৈনিককে। তাঁদের অসীম সাহসিকতা, দক্ষ সাংগঠনিক ক্ষমতা ও ত্বরিত কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। বাঙালি পায় মাতৃভাষার অধিকার।
    মহান ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এ আন্দোলন ছিল আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষারও আন্দোলন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে এ আন্দোলনের মাধ্যমে। অমর একুশে অবিনাশী চেতনা হয়ে পরবর্তীকালে স্বাধিকার ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্্র প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে যুগিয়েছে অসীম প্রেরণা ও শক্তি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা।
    মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ বিশ্বে বিরল ঘটনা। পৃথিবীতে বোধ করি বাঙালিই একমাত্র জাতি যাঁরা মাতৃভাষার অধিকার আদায়ে জীবন দিয়েছেন। আমরা গর্ববোধ করি এই ভেবে যে, অমর একুশের চেতনা আজ দেশের গ-ি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। তাই একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর এককভাবে আমাদের সম্পদ নয়; এটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বের সকল ভাষাভাষীর প্রেরণার উৎসও। নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ হয়ে অন্যের ভাষা ও সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে নিহিত আছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল চেতনা। এ চেতনাকে ধারণ করে পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের সাথে যোগসূত্র স্থাপিত হোক, পৃথিবীতে লুপ্তপ্রায় ভাষাগুলো আপন মহিমায় নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে উজ্জীবিত হোক, গড়ে উঠুক নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির বর্ণাঢ্য বিশ্ব Ñ মহান ভাষা দিবসে এই কামনা করি।
    আমি মহান ‘শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৫’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
মিজান/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা
                            

 

Todays handout (5).doc Todays handout (5).doc

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon