Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd মে ২০২১

তথ্যবিবরণী ২২ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                                         নম্বর : ২৩৮৯

 

চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ চলমান                                                             

 

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) :

            চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া গরিব, অসহায়, দুস্থ, দিনমজুরসহ হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

            চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১১ কোটি ৪৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১০৩,৮৭৫টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৫ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ৫,১৯,৩৭৫ জন প্রান্তিক, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা যার পুরোটাই এ পর্যন্ত ১,৮৩,০৩১টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬৫ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৭,৪৩৬টি প্রান্তিক পরিবারের মাঝে ৫৯ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ চট্টগ্রাম জেলায় বরাদ্দকৃত ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১৬৭টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২,৬০৫টি পরিবার।

            কক্সবাজার জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ২৪ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ২ কোটি ১৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ৪৩,৩০২ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৭ কোটি ৮৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৩০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ১,৭৪,৭২৭টি প্রান্তিক পরিবার ও ৮,০৬,৫৭৪ জন মানুষ। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ পেয়েছে আরো ১,৩৬৮টি পরিবার। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১,৫২২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৭ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১,৩১৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৭ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

            রাঙ্গামাটি জেলায় জিআর(ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩১,০০০ পরিবার ও ১,১৯,৩৫০ জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ যাবৎ ৩০,০০০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১০ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে।

            খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৩৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২২,৯০০টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ১ কোটি ১৫ লক্ষ ০৩ হাজার ১৫৫ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ২৫ হাজার ১৫০ টাকার পুরোটাই ৩৩,২৬৭টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৫৯৩টি পরিবার।

            বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৮৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ১৭,৪১৪টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা যার পুরোটাই এ যাবৎ ৫৯,০৮২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৭ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৭ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে ১৩২টি পরিবার। তাছাড়া জেলাটিতে ১৪২৮টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১৪২৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

 

 

পাতা-২

            লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক গৃহীত মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে অদ্যাবধি ৩২,৪৯৭টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ৭৫,০৫৯ টি দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩,৭৫,২৯৫ জন প্রান্তিক মানুষ। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ০৯ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ০৫ লক্ষ টাকা বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ লক্ষ্মীপুর জেলায় ১৩ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।

            নোয়াখালী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৩৫ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫১,৫০০ প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৫০ টাকা যার পুরোটাই অদ্যাবধি ১,৬৭,৭৫৩টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৫৮৯টি পরিবার। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

            ফেনী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৬৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা ২৩,৮০০টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার পুরোটাই ৩৬,৮০০টি প্রান্তিক হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ফেনী জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬ লক্ষ টাকা ইতোমধ্যে ৬০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ জেলায় বরাদ্দকৃত ৬ লক্ষ টাকার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬০০টি পরিবার।

            কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১১ কোটি ৩০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৫ কোটি ৪১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা ১,০৬,৫৯০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার পুরোটাই ১,৯১,১৪০টি প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৪২ লক্ষ টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে ২৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ৫,৯২০টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১৭ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২৭০ টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৩ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলায় শুকনো খাবার বাবদ বরাদ্দকৃত ১০০০ প্যাকেটের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫৪ প্যাকেট ১৫৪ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৮২০টি পরিবার।

            চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ৫ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৬০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ৫২,০৫০টি প্রান্তিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১,০১,২২৫ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় খাতে ৮ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় খাতে আরো ৮ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৫টি পরিবার।

            ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ২৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে ২ কোটি ৮৩ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা ৫৮,৭৪৬টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ১১ লক্ষ ১৯ হাজার ৯০০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ১,৩৫,৮২২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২২৮টি পরিবার। তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৭৫৪টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৪ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১৭০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ২ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

            উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে। 

#

ফয়সল/পাশা/রফিকুল/রেজাউর/২০২১/১৯৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ২৩৮৮

 

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এবারও তিনগুণ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে
                                                                                        -- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) :

            দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন,‍ করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে । সেই সঙ্গে মৃত্যু শূন্যের কোটায় রাখতে শতভাগ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার প্রচেষ্টা থাকছে ।

            প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত 'ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পলিসি কমিটির' সভায় এসব কথা বলেন ।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, “উপকূলীয় এলাকায়  শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে হবে। যে করেই হোক সবাইকে শেল্টারে আনতে হবে, একজনকেও রেখে আসা যাবে না। এবার আমরা টার্গেট রাখব মৃত্যুহার যেনো জিরো হয়”। অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছে। আম্পানের সময়ে করোনার কারণে ১৪,০৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৪ লাখ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে রাখা হয়েছে।

            “কোভিডের কারণে তিনগুণ আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার করবো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবহার করা হবে। সবার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে। ফনী, বুলবুল, আম্পান মোকাবেলা করেছি । অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঝড় মোকাবিলা করা হবে এবং শতভাগ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসে মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় আনা হবে।”

            প্রতিমন্ত্রী জানান, দূর্গত এলাকার শতভাগ মানুষকে শেল্টার সেন্টারে আনতে পারলে মৃত্যুহার শূন্য হবে আশা করা যায়। যারা বাইরে অবস্থান করে তাদের মধ্য থেকেই মারা যায়। আম্পানে আশ্রয় কেন্দ্রে কেউ মারা যায় নি; যারা মারা গেছে তারা গাছ চাপ পড়ে, টিনের আঘাতে। তিনি বলেন, “কোভিড রোগী থাকলে তাকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। আক্রান্ত কেউ যেন সুস্থ মানুষের মাঝে না আসতে পারে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোনোভাবেই যেন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে নতুন করে সংক্রমণের সৃষ্টি না হয়।”

            ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান ২৩ মে'র পর ঠিকভাবে বোঝা যাবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান,  ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এর সব সদস্যদের এরমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। তারা প্রচারণা শুরু করেছে। শেল্টার সেন্টারগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে প্রচারণা করছে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত রয়েছে। স্কাউটের ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। শুকনা খাবার মজুত রয়েছে। রোববার থেকে বিভিন্ন জেলায় এসব খাবার পাঠিয়ে দেওয়া হবে ।

            দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘রুল মডেল’ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের যে সুনাম রয়েছে তা ধরে রাখায় সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান তিনি।

            প্রস্তুতিমূলক এ সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ শামসুদ্দীনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা-বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

#

সেলিম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৩৮ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ২৩৮৭

 

জনগণের সুরক্ষায়  কাজ করছে সরকার

             --তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

 

সরিষাবাড়ি (জামালপুর), ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) :

 

          তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, করোনা মোকাবিলা ও জনগণের সুরক্ষায় সরকার নিরলস ভাবে কাজ করছে এবং সরকার  সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে এখনও। সরকারের প্রচেষ্টা সফল করতে জনগণের সহযোগিতা আবশ্যক। 

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ সরিষাবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিবিভাগের  বর্ধিত ভবন উদ্বোধন ও হেলথ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

          ডা. মুরাদ হাসান বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, এখানে করোনা থেকে দূরে থাকতে হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল ও স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকলে জীবিকা নির্বাহের সংকটের পাশাপাশি জীবনও শঙ্কার মুখে পড়ে। তাই সরকার দুয়ের মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। 

 

          উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গাজী মোহাম্মদ রফিকুল হক,  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ প্রমুখ।

 

#

 

মাহবুবুর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৫৫ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ২৩৮৬

 

খুলনা বিভাগে করোনাকালীন সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

 

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) :

 

            করোনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত রোগ কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে চলমান বিধিনিষেধের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে সরকার।  তারই অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় আজ গরিব, অসহায়, কর্মহীন এবং দুস্থ মানুষের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

            যশোর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে  ৫৮ হাজার টি পরিবারের মাঝে ২ কোটি  ৯০ লাখ টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৩ লাখ ১০ হাজার ৭ শত ৯৮ টি পরিবারের মাঝে ১৩ কোটি  ৯৮  লাখ ৫৯ হাজার ১ শত টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া  ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ২ হাজার ৪ শতটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

            বাগেরহাট জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ৪০ হাজার  ৬ শত ৫০ টি পরিবারের মাঝে ২ কোটি  ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৭২ হাজার ৮ শত ৯৯ টি পরিবারের মাঝে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৪ হাজার ৫ শত ৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া  ৩৩৩ হেল্পলাইনে কলের মাধ্যমে ২ শত ৩৯ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

            চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে  ২৩ হাজার  ৬ শত ৬৮ টি পরিবারের মাঝে ১ কোটি  ৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৫৩ হাজার ৮ শত ২৫ টি পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ২ শত ৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া  ৩৩৩ হেল্পলাইনে কলের মাধ্যমে ৪ শত ৫৭ টি পরিবারের ২ হাজার ২ শত ৮৫ জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

            নড়াইল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ ২৪  হাজার  ৯ শত ৫৪টি পরিবারের মাঝে ১কোটি  ২০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৭৬ হাজার ৭৮টি পরিবারের মাঝে ৩ কোটি  ৪২  লাখ ৩৫ হাজার ১ শত টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ২ হাজার ৭৭ টি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবারের প্যাকেট এবং ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ৩০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

            মেহেরপুর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ১৩ হাজার  ২ শত ৫০টি পরিবারের মাঝে ৬২ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১৫ হাজার ২ শত ৫০টি পরিবারের মাঝে ৬৮ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া  ৩৩৩ হেল্পলাইনে কলের মাধ্যমে ১৫টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

            মাগুরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ হিসেবে ১ শতটি পরিবারের মাঝে  ৫ শত টাকার মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

            উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।

#
 

দীপংকর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮১২ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                              নম্বর : ২৩৮৫

 

রোজিনাকে নিয়ে ফায়দা লুটতে চায় দেশবিরোধীরা 

                                 --তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) :

            তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, 'গত ১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিক রোজিনার ঘটনাকে পুঁজি করে দেশবিরোধী চিহ্নিত মহল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে, কারো কর্মকাণ্ড যেন তাদের হাতে অস্ত্র তুলে না দেয়।'

            মন্ত্রী আজ তাঁর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে টিভি নাট্যপরিচালকদের সংগঠন  ডিরেক্টরস গিল্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎশেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন। গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দীন লাভলু, সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগরসহ নির্বাহী সদস্যবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। 

            'রোজিনার ঘটনাকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে এবং দেশবিরোধী মহল এটি নিয়ে অতি তৎপর হয়ে উঠেছে' উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা দেখেছেন, 'এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ফিলিস্তিনে নারী-শিশুসহ শতশত প্রাণহানি ঘটার পর বিবৃতি দিতে অনেকদিন সময় লাগলেও বিচারাধীন রোজিনা ইস্যুতে তারা পরদিনই বক্তব্য দিলো।' 

            মন্ত্রী বলেন, 'দেশবিরোধী বিভিন্ন চক্র যারা বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, কুৎসা রটায়, মিথ্যা অপপ্রচার চালায়, তাদেরও সক্রিয় হতে দেখা গেছে। বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মুশফিক ফজল জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গিয়ে একটি প্রশ্ন করে এক কর্মকর্তার কাছে থেকে সার্বজনীন গণমাধ্যম বিষয়ক একটি জবাব আদায় করেছে। সেই বক্তব্যকেই রোজিনার বিষয়ে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করেছে। জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তার বক্তব্য আর জাতিসংঘের উদ্বেগ এক নয়।'

            'মন্ত্রী, সচিব বা রোজিনা ইসলাম কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন' স্মরণ করিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমাদের কোনো কর্মকাণ্ডকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দেশবিরোধীরা যাতে দেশের ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।' স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনার স্বামীর ব্যবসায়িক সংশ্লিষ্টতা এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অতীতে রোজিনার এ ধরনের ঘটনার প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সেটি আমি সামাজিক ও গণমাধ্যমে দেখেছি, তবে যেহেতু তদন্ত চলছে, তদন্তেই সেগুলো বেরিয়ে আসবে।

            এবিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের দেয়া বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, বিএনপি যখন রোজিনা ইস্যুতে বক্তব্য দিতে থাকে, তখন বুঝতে হবে, এটিকে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার অপচেষ্টা চলছে।

            ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শিক্ষা উপমন্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, মতের অমিল হলেই কাউকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা কখনোই সমীচীন নয়। 

            উল্লেখ্য গত ১৭ মে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষ থেকে গোপনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং জরুরি তথ্য সংবলিত কাগজ সরিয়ে নেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম এখন আদালতে বিচারাধীন। 

            পরে মন্ত্রী বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে রোজিনার বিষয়টি আবেগতাড়িতভাবে না দেখে বাস্তবতার নিরিখে দেখার আহ্বান জানান। বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. আবদুল মজিদ, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, নির্বাহী সদস্য ইব্রাহিম খলিল খোকন, সিনিয়র সাংবাদিক মোতাহার হোসেন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

            ডিরেক্টরস গিল্ডের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে সহসভাপতিত্রয় মাসুম আজিজ, ফরিদুল হাসান, রফিকুল্লাহ সেলিম, যুগ্ম সম্পাদকদ্বয় পিকলু চৌধুরী, ফিরোজ খান, অর্থ সম্পাদক সাজ্জাদ সনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরারী অমিত, প্রচার সম্পাদক সহিদ উন নবী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোস্তফা মনন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আনিসুল হক ইমেল, আইন সম্পাদক মাহমুদ নিয়াজ চন্দ্রদ্বীপ, দপ্তর সম্পাদক গোলাম মুকতাদির শান ও নির্বাহী সদস্যবৃন্দ মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে যোগ দেন। 

#

 

আকরাম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ২৩৮৪

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) :

 

 ‌                  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ২৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ২৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৬ জন।

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন-সহ এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৩৪৮ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৮ জন।

 

#

 

দলিল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৭৪৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ২৩৮৩

 

তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতাসম্পন্নদের ট্যালেন্টপুল তৈরি করবে সরকার

                                                                                    -আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) :

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতাসম্পন্নদের একটি ট্যালেন্টপুল (আইটি দক্ষদের ভান্ডার) তৈরি করবে সরকার। এজন্য তথ্যপ্রযুক্তির  বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য ও দক্ষদের বাছাইয়ের জন্য বিডিস্কিলস শীর্ষক একটি প্লাটফর্মের উন্নয়ন করছে, যাতে আইটি কোম্পানিগুলো এ প্লাটফর্মে প্রবেশ করে ট্যালেন্ট পুল থেকে চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ দিতে পারে।

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এলআইসিটি প্রকল্পের উদ্যোগে উন্নয়নকৃত ‘বিডি স্কিলস ডট গভ ডট বিডি’ নামের এ প্লাটফর্মটি আগামী ৩ জুন
উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে ট্যালেন্ট পুল তৈরির লক্ষ্যে ‘বিডি স্কিলস ডট গভ ডট বিডি’ নামের ডিজিটাল  প্লাটফর্মের বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্টেস প্রেজেন্টেশনের ওপর বক্তব্য প্রদানকালে  এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ট্যালেন্টপুল তৈরির এ প্লাটফর্মটি এমন হতে হবে যাতে সারাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাকুরি প্রত্যাশীরা আইটির বিভিন্ন বিষয়ে যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে পারে। তিনি বলেন, শুধু বর্তমানের কথা ভেবে নয়, ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্লাটফর্মটির উন্নয়ন করতে হবে।

          অনুষ্ঠানে জানানো হয়,  চাকুরিতে নিয়োগের জন্য আবেদন থেকে শুরু করে পরীক্ষা এবং যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়াটি ঝামেলাপূর্ণ, ব্যয় বহুল এবং অনেক ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা সম্ভব হয় না। প্লাটফর্মটির ব্যবহার করে পিএইচপি, লারাভেল, প্রোগ্রামিং, কোডিংয়ের মতো আইটি বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া উত্তীর্ণ এবং সার্টিফিকেটধারী ট্যালেন্টদের সব তথ্য থাকবে যাতে যে কোন প্রতিষ্ঠান চাহিদা অনুযায়ী তাদেরকে চাকুরিতে নিয়োগ দিতে পারে।

          এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি এডভাইজার সামি আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ) এনামুল কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটি বিভাগের অধ্যাপক ড. বি এম মঈনুল হোসেন, ব্রেইন স্টেশনের রাইসুল কবির প্রমুখ।

#

শহিদুল/কামাল/জসীম/কুতুব/২০২১/১৬২৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                             নম্বর : ২৩৮২

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে

                                              -পরিবেশমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) :

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পাশাপাশি সামগ্রিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সরকার বিভিন্ন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সকল সরকারি সংস্থা এবং নাগরিককে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন দেশের সমৃদ্ধ জীববৈ

2021-05-22-15-37-77516b7a7a1f074ce5bac379a2993c3a.docx 2021-05-22-15-37-77516b7a7a1f074ce5bac379a2993c3a.docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon