তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৪০
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে অভিযান শুরু করা হবে
-- এলজিআরডি মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১৮ ফাল্গুন (২ মার্চ) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব সংস্থার সমন্বয়ে কয়েক দিনের মধ্যে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি কর্পোরেশন বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা হবে।
মন্ত্রী আজ নগরীর সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও চলমান উন্নয়ন কর্মকা- বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কর্মকর্তাদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভা’ শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চট্টগ্রামের উন্নয়নে গৃহীত সকল প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গৃহীত প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সকল প্রকল্পের গুণগত মান রক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন করবে। সভায় কর্ণফুলী নদীর দূষণ রোধ ও নাব্যতা রক্ষাসহ নগরীর ছোট বড় ৫৭টি খালের নাব্যতা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস. এম গোলাম ফারুক, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
সাইফুল/নাইচ/এনায়েত/পারভেজ/সেলিম/২০১৯/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৩৯
অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অনেক নারী সহিংসতার শিকার হচ্ছেন
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (২ মার্চ) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তি বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অধিকার ও সুবিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছে। যা নারী ও শিশুর অধিকার এবং তাদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তারপরও নারীরা তাদের ন্যায্য অধিকার বা বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনো অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন। আবার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তাদের অনেকে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। যা মোটেই কাম্য নয়।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারি আইনি সেবার ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নারীরা কিন্তু শুধু শারীরিকভাবেই সহিংসতার শিকার হচ্ছে না তারা বিভিন্ন উপায়ে মানসিকভাবেও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। যদিও মানসিকভাবে সহিংসতার শিকারের ঘটনাগুলো আমাদের সামনে সেভাবে প্রকাশ পাচ্ছে না। তিনি বলেন, এসব মানসিক সহিংসতার কারণেই পরবর্তী সময়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটছে বা সেসব নারী মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, যার প্রভাব অনেক সময় পুরো পরিবারের উপরেই পড়ছে। পরিবারকেন্দ্রিক নারীর প্রতি এসব শারীরিক ও মানসিক সহিংসতা প্রতিরোধে সরকার ২০১০ সালে ‘পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন’ এবং ২০১৩ সালে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। কিন্তু বাস্তবে এই আইনের প্রয়োগ আমরা খুব একটা দেখতে পাচ্ছি না। তার মানে এই আইন সম্পর্কে তারা এখনও পুরোপুরি জানে না। তাই এই আইন সম্পর্কে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরও জানাতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন প্রচারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
মন্ত্রী আরো বলেন, পরিবারকেন্দ্রিক সহিংসতার শিকার নারীরা দেশে প্রচলিত আইন সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন হলে এবং তাদের সাথে ঘটে যাওয়া অপরাধসমূহ আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করলে এদেশে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা অনেকটাই হ্রাস পাবে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সর্বদাই আন্তরিক এবং এরই প্রেক্ষিতে সহিংসতার শিকার নারীদের অধিকার ও সুবিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বিনা খরচে তাদের সরকারি আইনি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সহিংসতার শিকার নারীরা এখন ঘরে বসেই ‘১৬৪৩০’ হেল্প লাইনে ফোন করে সরকারি আইনি সেবা নিচ্ছেন এবং এ পর্যন্ত এক লাখ ৮৫ হাজার ২৮৬ জন নারী বিনা খরচে সরকারি আইনি সেবা নিয়েছেন।
#
রেজাউল করিম/নাইচ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৯/১৮৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৩৪
একাদশ জাতীয় সংসদের পাঁচটি বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (২ মার্চ):
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ একাদশ জাতীয় সংসদের ১ম (২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ১ম) অধিবেশনে জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত পাঁচটি বিলে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁর সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
বিলগুলো হচ্ছে t (১) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) বিল, ২০১৯; (২) বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম বিল, ২০১৯; (৩) Chittagong Hill Tracts (Land Acquisition) Regulation (Amendment) Bill, 2019; (৪) Representation of the People (Amendment) Bill, 2019 এবং (৫) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বিল, ২০১৯।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখা থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
#
হুদা/নাইচ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৯/১৭২৫ ঘণ্টা