Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী ২৩ নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর :  ৪৬৫৬

 

১০ ডিসেম্বর নিয়ে বাগাড়ম্বর করছে বিএনপি

               -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

  

ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর) :

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘খালি কলসি বাজে বেশি’র মতোই বিএনপি নেতারা ঢাকায় তাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে বাগাড়ম্বর করছেন। 

 

আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবসহ বিএনপি নেতারা তো সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন ১২-১৩ বছর ধরে। উনারা এক দফা আন্দোলনেই তো আছেন। আর ১০ ডিসেম্বর কতটুকু কি হবে সেটা আমরা জানি এবং বুঝি। কারণ সারাদেশে তো উনারা সমাবেশ করেছেন। সমাবেশের নামে কোনো কোনো জায়গায় পিকনিক করেছেন, বিশৃঙ্খলাও সৃষ্টি করেছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশের যে হাঁকডাক তারা দিয়েছিলেন তার কোনো প্রতিফলন সমাবেশগুলোতে ছিলো না। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের কোনো সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে যতো মানুষ হয়েছে, তাদের মহাসমাবেশগুলোতে সে রকম হয়নি।’

 

কুমিরের একই ছানা বারবার দেখানোর মতো, বিএনপির সমাবেশগুলোতে একই লোক সারা বাংলাদেশে ঘুরছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে লঞ্চে করে বরিশালে মানুষ গেছে সমাবেশ করার জন্য। সিলেটের সমাবেশে কুমিল্লা থেকে গেছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ থেকেও গেছে। ঢাকাতেও কি হবে আমরা জানি এবং বুঝি। তবে তারা যেন সমাবেশ করতে পারে সে জন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে তাদেরকে সহায়তা করে এসেছে। সে জন্যই তারা নির্বিঘ্নে সমাবেশগুলো করতে পেরেছে।’

 

‘আর আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন তারা আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, বোমা হামলা চালিয়েছে, বহু মানুষকে হতাহত করেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আমি নিজেও আহত হয়েছি’ বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, তাদের সমাবেশে কিন্তু একটি পটকাও ফোটে নাই আজ পর্যন্ত। সরকার নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে বিধায় তাদের এভাবে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করা সম্ভবপর হয়েছে।

 

‘বিএনপি কেন নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়’ প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, ‘উনারা না কি বিশাল সমাবেশ করবেন- কেউ বলছে ১০ লাখ, আবার কালকে টেলিভিশনে দেখলাম ২৫ লাখ, কিন্তু নয়াপল্টনের সামনে ১ কিলোমিটার রাস্তা যদি বন্ধ করা যায় তাহলে ৫০ হাজার মানুষ ধরে। নয়াপল্টনে করার উদ্দেশ্যের মধ্যে বোঝা যায় যে সমাবেশ আগে থেকেই ফ্লপ।’

 

কেন একটি প্রধান রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে হবে- প্রশ্ন রেখে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আমরা কি কোনো প্রধান রাস্তা বন্ধ করে কোনো সমাবেশ করি! তারা অন্যান্য জায়গায় যে সমাবেশগুলো করেছে সেগুলো তো মাঠেই হয়েছে। তারা যেভাবে সমাবেশ করবে বলছে সে রকম মাঠ তো ঢাকা শহরে নেই, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও তা নেই। আসলেই পূর্বাচল ছাড়া আমি কোনো জায়গাই দেখি না কারণ ১০-২০ লাখ লোকের জন্য পূর্বাচল ছাড়া আর কোনো জায়গা নেই।

 

 

মন্ত্রী বলেন, ‘তারা কেন নয়াপল্টনের সামনে করতে চায়, সেটি সহজেই অনুমেয়। হেফাজতে ইসলাম যে ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল, তারা সে ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির জন্য গাড়িঘোড়া ভাংচুর, অগ্নিসন্ত্রাস এবং মানুষের সম্পত্তির ওপর হামলা পরিচালনা করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ সেটি হতে দেবে না।’

 

‘১০ ডিসেম্বর আমাদের নেতা-কর্মীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে’ জানান হাছান মাহ্‌মুদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভিত জনগণের অনেক গভীরে প্রোথিত, আমরা জনগণের সাথে আছি। সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার জন্য সবসময় সতর্ক আছি। বিএনপি সারাদেশে সমাবেশের নামে যে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে তার সাথে জঙ্গিগোষ্ঠীর সাম্প্রতিক অপতৎপরতা একসূত্রে গাঁথা। টার্গেটেড কিলিং-সন্ত্রাসসহ তাদের নানা পরিকল্পনা রয়েছে।’

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩-১৪-১৫ সালে যখন তারা শুধু মানুষ নয়, পশুপাখি-গরু-মুরগির ওপরও হামলা পরিচালনা করেছিল, রাস্তার গাছপালা উপড়ে ফেলেছিল, তখন তাদের মোকাবিলা করেছি। সুতরাং তাদেরকে কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় আমরা জানি। তবে দেশের মানুষ সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেবে না, আমরা করতে দিতে পারি না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যা কিছু করবে সেটি দেশে শান্তি, স্থিতি, শৃঙ্খলা রাখার স্বার্থে করবে।’

 

১০ ডিসেম্বর পরিবহন ধর্মঘট থাকবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘দেখুন বাস-ট্রাক মালিক সমিতি এগুলো বেসরকারি সংগঠন, এখানে সব দলের নেতারা আছে। সব দল মিলেই বাস-ট্রাক মালিক সমিতি এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোতেও সব দল আছে। এটি তাদের ব্যাপার, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো জানাশোনা নেই, আমাদের কোনো হাতও নেই।’

 

#

 

আকরাম/পাশা/রাহাত/মোশারফ/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২০৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৪৬৫৫

অর্থ অপচয় রোধে নিরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল সিস্টেম চালু

 ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর) :

          সরকারি অর্থের অপচয় রোধ ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল সিস্টেম চালু করেছে দেশের শীর্ষ নিরীক্ষা দপ্তর সিএজি অফিস।

          আজ রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে সফ্টওয়্যার ইন্সটলেশন অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) এর অফিস ও অধীন অধিদপ্তরগুলোতে ‘অডিট ম্যানেজমেন্ট এন্ড মনিটরিং সিস্টেম’ (AMMS ২ দশমিক শূন্য) সফ্টওয়্যার ইন্সটলেশন উদ্বোধন করেন। এর ফলে অফিসগুলো সরকারি অর্থের ব্যবহার তদারকিতে ডিজিটাল পদ্ধতির সুবিধা পাবে।

          শীর্ষ নিরীক্ষা কর্মকর্তা কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী ও অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।

          পরিকল্পনামন্ত্রী এ সময় সরকারি অর্থের অপচয় রোধ এবং অর্থ মিতব্যয়িতার সাথে ব্যবহার হচ্ছে কি না তা সাংবিধানিকভাবে দেখার দায়িত্বে নিয়োজিত সিএজি কার্যালয়ের এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

          এম এ মান্নান বলেন, সাইবার নিরাপত্তা এবং ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। ডিজিটাল অডিট ব্যবস্থাপনার এই সফ্টওয়্যার সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগসহ সকল দপ্তরের অর্থ ব্যয়ে মিতব্যয়িতা চর্চায় অত্যন্ত সহায়ক হবে।

          সিএজি মুসলিম চৌধুরী বলেন, এর মাধ্যমে মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দপ্তরসমূহের অডিট এবং আপত্তিসহ সামগ্রিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ে আরো স্বচ্ছতা ও দ্রুততা আসবে।

#

আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০৩০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৪৬৫৪

‍প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এক ডিজিটে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে

                                                                           ---- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর):

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিনিয়োগ, দুর্যোগের পূর্বাভাস ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, নতুন আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উদ্ধার কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবীদের নিবেদিত প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এক ডিজিটে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

 

আজ ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও প্রশমনে আগাম সতর্কবার্তা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ ইমদাদুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক ডক্টর কামাল উদ্দিন আহমেদ, লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর মনিরুজ্জামান খন্দকার । সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর একিউএম মাহবুব।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে থাকার পরও দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিরোধে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে জাতিসংঘ থেকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের সাত হাজার সাইক্লোন সেন্টার ও বন্যাদুর্গতদের জন্য ৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিরাপদে আশ্রয় ও অবস্থানের জন্য এই সাইক্লোন সেন্টারগুলোর মান উন্নয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে প্রতিটা আশ্রয়কেন্দ্রে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা থাকার জায়গা, গর্ভবতী ও মাতৃদুগ্ধ দানকারী নারীদের এবং প্রতিবন্ধী ও শিশুদের জন্য আলাদা থাকার জায়গা করা হয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩টি করে টয়লেট ও একটি প্রতিবন্ধীবান্ধব টয়লেট রাখা হয়েছে।

 

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) তে নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) তে ৭৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ নারী স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। এত বেশি নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে যেন নারীদের অধিকার আদায়ে ও দুর্যোগে তাদের পাশে থেকে সেসব নারী কাজ করতে পারে। কারণ নারীরা সহজেই একজন নারীকে সাহায্য করতে পারে।

 

#
 

সেলিম/এনায়েত/রাহাত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/লিখন/২০২২/১৭২৭ঘণ্টা
 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর :  ৪৬৫৩

 

প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য অঞ্চলে শান্ত পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছেন

                             -- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী

 

খাগড়াছড়ি, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর) :

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, ২০০ বছর ব্রিটিশ শাসন গেলো, ২৩ বছরের পাকিস্তান শাসন গেলো, অনেক সরকার এলো গেলো, এর আগে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির পরিবেশ কোনো সরকারই করে যায়নি। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পেরেছেন অশান্ত পার্বত্য অঞ্চলকে শান্ত করতে। কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই পার্বত্য অঞ্চলে শান্ত পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি থানার পূজগাংপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম উদ্বোধন শেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার বক্তব্য রাখেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ নুরুল আলম চৌধুরী পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) ইফতেখার আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. হুজুর আলী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রেরণার উৎস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই। আজ পার্বত্য জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে স্কুল কলেজ নির্মাণ করা হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে, শিক্ষা ক্ষেত্রে, যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রত্যেক জায়গায় উন্নয়ন হয়েছে। পাকা রাস্তা, ড্রেন, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, খিয়াম, গির্জা এমনকিছু বাদ নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি। একটি বাড়ি একটি খামার, মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্কভাতা সকল নাগরিক সুযোগ সুবিধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেয়া হচ্ছে। আধুনিক শিক্ষা প্রযুক্তির ব্যবহার পার্বত্য ছেলে-মেয়েরা অনায়াসেই করতে পারছে। ছেলেমেয়েরা ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া পাচ্ছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আগে পার্বত্য এলাকায় কোনো মেডিকেল কলেজ ছিল না, বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার পার্বত্য জেলাগুলোতে থানা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ সকল নাগরিক সুযোগ সুবিধা প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছে।

এর আগে মন্ত্রী খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির পূজগাংপাড়া গ্রামে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় এসআইডি, সিএইচটি, ইউএনডিপি এবং জেলা পরিষদের যৌথ বাস্তবায়নাধীন কৃষিপণ্য সংগ্রহ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য এখানে জমা করা হয়। ব্যবসায়ী আড়তদারদের মাধ্যমে পরে তা বিক্রয় করা হয়। কৃষকরা এ সুবিধা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাচ্ছেন। এর আগে মন্ত্রী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা থানার গুগড়াছড়ি ইউনিয়নের মংগারামপাড়া গ্রামে মসলা চাষ পরিদর্শন করেন।

#

রেজুয়ান/পাশা/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/১৯৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৪৬৫২

বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে নৌযোগাযোগ বৃদ্ধি ও মেরিটাইম

সহযোগিতাকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ হচ্ছে

                                                        --- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর) :

          বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে নৌযোগাযোগ বৃদ্ধি ও মেরিটাইম সহযোগিতাকে সম্প্রসারিত করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমৃদ্ধশালী হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ উপলব্ধি থেকে উভয় দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নির্ণয় করে একযোগে কাজ করে চলেছে।

          আজ সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে এক বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং শ্রীলংকার সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম ইউ এম আলী সাবরি (M U M. Ali Sabry) নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।

          তারা বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার মধ্যে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট এবং শ্রীলংকান শিপিং কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মধ্যে ফিডার সার্ভিসের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) বিষয়ে আলোচনা করেন। সম্ভাবনা এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নির্ধারণের জন্য উভয় দেশ প্রতিবছর একটি সচিব পর্যায়ের সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার মধ্যে সচিব পর্যায়ের প্রথম সভাটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দ্বিতীয় সভাটি কলম্বোয় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে তা বিলম্বিত হয়েছে। দ্বিতীয় সভাটি শীঘ্রই কলম্বোয় অনুষ্ঠিত হবে।

          প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার মধ্যে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ পক্ষ সকল দপ্তর ও সংস্থা, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে সভা করে তাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত মতামত এবং ইনপুট পর্যালোচনা করেছে। এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট আইন এবং বিধি-বিধান পর্যালোচনা শেষে শ্রীলংকাকে শীঘ্রই জানানো হবে।

           বৈঠকে আরো জানানো হয়, শ্রীলংকান শিপিং কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মধ্যে ফিডার সার্ভিসের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) বিষয়ে শ্রীলংকান কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পক্ষের মতামতের বিষয়ে একটি রিভাইজড টেক্সট প্রেরণ করেছে। উক্ত এসওপি’র বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থা হতে মতামত পাওয়ার পর বাংলাদেশ পক্ষের টেক্সট চূড়ান্ত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শ্রীলংকান কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়া হবে।

          এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল এবং শ্রীলংকার হাইকমিশনার প্রফেসর সাধার্শন সেনেভিরত্নে (Prof. Sadharshan Seneviratne) উপস্থিত ছিলেন।

#

জাহাঙ্গীর/পাশা/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০২০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর :  ৪৬৫১

 

ডিজিটাল সংযোগ হচ্ছে অগ্রগতির চাবিকাঠি

                        -- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর) :

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল সংযোগ হচ্ছে অগ্রগতির চাবিকাঠি। প্রত‌্যন্ত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীসহ দেশের প্রতিটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ‌্যে আমরা দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ অঞ্চল ৪জি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছি। ২০২১ সালে বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে। বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে বাংলাদেশ কাজ করছে।

 

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তর থেকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে হুয়াওয়ে আয়োজিত ‘কানেক্ট দ্য আনকানেক্ট : মেকিং রিমোট কানেকশনস, পলিসি, টেকনোলজিক‌্যাল ইনোভেশন এন্ড মাল্টিপার্টি কো-অপারেশন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প‌্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। প‌্যানেল আলোচনায় বেলজিয়াম, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া এবং কম্বোডিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টেলিকম মন্ত্রী, ডিজিটাল প্রযুক্তি গবেষক ও ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতের অংশীজন অংশগ্রহণ করেন।

 

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এ সময় দেশের ডিজিটাল সংযোগ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশে ডিজিটাল সংযোগ ও প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ২০২১ সালে সফলতার সাথে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ‌্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ‌্য বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন বিকাশের অভিযাত্রা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে থ্রি-জি, ২০১৮ সালে ফোর-জি এবং ২০২১ সালে ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বাংলাদেশের জনসংখ‌্যার ঘনত্ব ও হাওর, দুর্গম চর-দ্বীপ এবং পার্বত্য অঞ্চলে উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছানো খুবই কঠিন কাজ উল্লেখ করে বলেন, আমরা দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছানোর চ‌্যালেঞ্জ  সফলতার সাথে মোকাবিলা করছি। মন্ত্রী বিদ্যুৎসাশ্রয়ী গ্রিন টেলিকম ডিভাইস প্রতিষ্ঠায় সরকারের গৃহীত উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, পরিবেশ ও প্রতিবেশবান্ধব নিরবচ্ছিন্ন  টেলিকম সেবা প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ‌্য।

 

অনুষ্ঠানে টেলিকম বিশেষজ্ঞগণ বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় স্মার্ট ফ‌্যাক্টরি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় কাজে লাগাতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে ফলপ্রসূ অবদান রাখবে বলেও তারা আশাবাদ ব‌্যক্ত করেন।

 

#

 

শেফায়েত/পাশা/রাহাত/মোশারফ/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/১৯৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৪৬৫০

 

ব্যবসায়ীদেরকে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে তথাকথিত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে

                                                                                                     --- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর) :

          পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বহুমাত্রিকতা ও উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ী সমাজের বিশেষ ভূমিকা অনস্বীকার্য। ব্যবসায়ীগণকে জাতীয় অর্থনীতির বিকাশে সহায়তার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে তথাকথিত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সদাসোচ্চার থাকতে হবে। 

          আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

          আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আনয়ন ও প্রতিযোগিতামূলক বিশেষ বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ়করণে যুগোপযোগী রপ্তানি নীতি ২০২২-২৪ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ নীতি অনুযায়ী রপ্তানি বহুমুখীকরণে সম্ভাবনাময় পণ্যসমূহকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত ও বিশেষ উন্নয়ন খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পণ্য বহুমুখীকরণে বিভিন্ন নীতি সহায়তার অংশ হিসেবে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৪৩টি পণ্য ও সেবাখাতে রপ্তানি প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম বর্তমান সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতিমালার প্রতিফলন।

          আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আরো বলেন, বরিশালের প্রথিতযশা ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাগণ যুগ যুগ ধরে জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে আসছেন। তিনি তাদের এ গৌরবোজ্জ¦ল ইতিহাস-ঐতিহ্য ধরে রেখে বরিশালবাসীর সার্বিক কল্যাণে সদা নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান।

#

আহসান/পাশা/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৮৪৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ৪৬৪৯

 

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে সরকার কাজ করছে

                                     -- সমাজকল্যাণমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর):

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা দেশের সম্পদ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে সরকার কাজ করছে। 

 

মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের আয়োজনে রাজধানীর মিরপুরস্থ জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল বিধিমালা ২০২২’ এর খসড়ার ওপর রিহ্যাবিলিটেশন পেশা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সমন্বয়ে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু। 

 

মন্ত্রী বলেন, সরকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করার জন্য ব্যাপক পরিসরে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বিভিন্ন ধরনের থেরাপি সেবাসহ তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিতে রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। তিনি আারো বলেন, রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল বিধিমালা প্রণীত হলে এ আইন বাস্তবায়নে গতির সঞ্চার হবে। দেশে এ সংক্রান্ত দক্ষ পেশাজীবী তৈরির পাশাপাশি এ খাতে শৃঙ্খলা আসবে।

 

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে থেরাপিসহ প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে অন্যান্য সেবা প্রদান সহজ হবে। ফলে দেশে এ পেশার বিকাশ ঘটবে।

#

 

জাকির/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মোশারফ/মাহমুদ/লিখন/২০২২/১৭২৭ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                          নম্বর : ৪৬৪৮

 

নারীর প্রতি সহিংসতারোধে সরকারের সাথে সকলকে

একসাথে কাজ করার আহ্বান মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর

 

ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর) :

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারী নির্যাতন এটা কোনো দেশের একক সমস্যা নয়। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। নারী নির্যাতন মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। তিনি বলেন, সময়ের পরিবর্তনের সাথে নারী নির্যাতনের ধরনও পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রতি তিনজনে একজন নারী তার জীবন পরিক্রমায় শারীরিক, মানসিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিয়ে সামাজিক সমস্যা এবং নারীর অধিকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ।  

আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘ এবং এলসিজিওয়েজ এর যৌথ উদ্যোগে ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠান এবং ন্যাশনাল ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা নারীর প্রতি সহিংসতারোধে সরকারের সাথে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকারের সাথে বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সংগঠন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যম ঐক্যবদ্ধ হয়ে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করতে হবে। 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও নারীর প্রতি সহিংসতারোধে বিভিন্ন নীতি, আইন, কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীরা দক্ষতার সাথে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএন রেসিডেন্ট কোঅর্ডিনেটর গোয়েন লুইস এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ড্রা বার্গ ভন লিন্ডে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিবুজ্জামান।

২৫শে নভেম্বর, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস ও  জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনব্যাপী প্রচারাভিযান ২৫শে নভেম্বর থেকে শুরু করে ১০ই ডিসেম্বর- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে শেষ হয় । নারীর প্রতি সহিংসতাকে মানবাধিকারের সাথে সম্পর্কিত করা এবং এ ধরনের সহিংসতা যে মানবাধিকার লঙ্ঘন তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর নারী নির্

2022-11-23-15-45-e5f42c8030c98ccd26e387c804b419c6.docx 2022-11-23-15-45-e5f42c8030c98ccd26e387c804b419c6.docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon