Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

তথ্যবিবরণী 15 Dec 2016

তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর : ৩৮৪৪
নকল নবিশদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী
কলম বিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদান করুন
ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক নকল নবিশদেরকে কলম বিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নকল নবিশদের বকেয়া পরিশোধের ব্যাপারে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৫০ কোটি টাকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে তাদেরকে নিয়মিত পাওনা পরিশোধ করার  চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকার তেজগাঁওয়ে নিবন্ধন পরিদপ্তরের অধীন রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের হেলপ ডেস্ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিবন্ধন পরিদপ্তরকে আরো জনবান্ধব হতে হবে। জমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বাস্তবমুখী সর্বনি¤œ বাজার মূল্য নির্ধারণ করতে হবে যাতে কোন একক গোষ্ঠী বা শ্রেণি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বাজারদর ও দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় এনে জমির নিবন্ধন ফি পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। জনগণকে হয়রানি না করে আগামীতে রাজস্ব আয় আরো বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী বাজেটের আগেই নিবন্ধন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পর্কে  তিনি বলেন, ২১ বছর পর বিচার শুরুর পর এটি শেষ হতে লেগেছে আরো ১৪ বছর। কারণ বর্তমান সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের মাধ্যমে  এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির সমাপ্তি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আইনের মাধ্যমেই জামায়াতে ইসলামী ও তার দোসরদের বিচার করা হবে এবং বিচারের রায় কার্যকর করা হবে। যুদ্ধাপরাধীরা সঠিক পথে সম্পত্তি আহরণ করেননি। তাই তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আইন প্রণয়ন করা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা দেশের কল্যাণে কাজে লাগানো হবে।
    অনুষ্ঠানে নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক এবং ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার দীপক কুমার সরকার বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/২০৩০ঘন্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                নম্বর : ৩৮৪৩

কর্ণফুলী ও ঢাকার নদী বাঁচাতে কমিটি গঠিত

ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী ও ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরির  লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে  একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নৌপরিবহণ মন্ত্রী এবং পানি সম্পদ মন্ত্রী কমিটির কো-চেয়ারম্যান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন : ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র; নৌ-বাহিনী প্রধান; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব/সচিব; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পরিবেশ ও বন এবং নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব; ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক-৩; বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান; ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক; সিভিল সোসাইটির দু’জন প্রতিনিধি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন)। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও সমন্বয়ের জন্য সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে।
#

জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৯১৫ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                নম্বর : ৩৮৪২

আশুলিয়া অঞ্চলের শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
    আশুলিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
    আজ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে আন্দোলনরত শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে দীর্ঘ এক বৈঠক শেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার, কলকারকানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহমেদ, শিল্প পুলিশের মহাপরিচালক আবদুস সালাম এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    আশুলিয়ার যে সকল কারখানার শ্রমিকরা কাজ থেকে বিরত রয়েছে তারা আগামী শনিবার সকাল থেকে কাজে যোগ দেবে বলে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। আরো সিদ্ধান্ত হয় যে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে আন্দোলনের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে গার্মেন্টসের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সরকার আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
#

আকতারুল/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৮১০ঘন্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                নম্বর : ৩৮৪১

বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে ফরাসি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
    বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে। ফ্রান্সের উদ্যোগে ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, এজেন্সি ফর ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট (এএফডি)-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে অত্যাধুনিক পানি শোধনাগার, তেল শোধনাগার প্ল্যান্ট নির্মাণ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। আগামী ২০১৭ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে। ফ্রান্স বাংলাদেশে আরো বিনিযোগ বাড়াতে উদ্যোগ নেবে। মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে ফ্রান্স বাংলাদেশেকে অস্ত্র ছাড়া সকল পণ্যের উপর ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হলেও ফ্রান্স বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রদান করবে। এ মুহুর্তে ফ্রান্সের সাথে বাণিজ্য ভারসাম্য বাংলাদেশের পক্ষে। গত বছর বাংলাদেশ ফ্রান্সে রপ্তানি করেছে ১৮৫২ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ফ্রান্স থেকে আমদানি করেছে ২০৩ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। প্রতি বছর ফ্রান্সে বাংলাদেশের বাণিজ্য ২০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
    বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ঝড়ঢ়যরব অঁনবৎঃ -এর সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ সব কথা বলেন।
    তোফায়েল আহমেদ বলেন,  রপ্তানি বাণিজ্যের দিক থেকে ফ্রান্স বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্য বৃদ্ধির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে কিছুদিনের মধ্যে দু’দেশের বাণিজ্য ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ফ্রান্সে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, ঔষধ, ফার্নিচার, চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে রপ্তানি বৃদ্ধির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য রপ্তানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
    ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত  ঝড়ঢ়যরব অঁনবৎঃ বলেন, বাংলাদেশ ফ্রান্সের ভালো ব্যবসায়িক অংশীদার। দু’দেশ একত্রে চলমান প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলে  আগামী দিনগুলোতেও দু’দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে  ফ্রান্সের বিনিয়োগ বৃদ্ধির  পরিকল্পনা রয়েছে।
    এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) জহির উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
#

বকসী/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৮০৫ঘন্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                নম্বর : ৩৮৪০

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত নার্সদের কাজে যোগদান

ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ৯ হাজার ৪৭৮ সিনিয়র স্টাফ নার্স আজ সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে যোগদান করেছেন। আজ তারা স্ব স্ব কর্মস্থলে জেলার সিভিল সার্জন, হাসপাতালের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়কদের কাছে যোগদানপত্র দাখিল করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রায় ১০ হাজার নার্স নিয়োগের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এতো বিপুল সংখ্যক নার্স নিয়োগ দেয় সরকার। এর মধ্য দিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে নার্স সংকটের সমাধানের পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
১৮ হাজার ৬৩ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৩ জুন লিখিত এবং পরে এক মাসব্যাপী মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৯ হাজার ৪৭৮ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। এরই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে তাদেরকে পদায়ন করা হয়।
#

পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৭৪৫ঘন্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                নম্বর : ৩৮৩৯
তরুণ প্রজন্মকে নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে
                                       -- শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, তরুণ প্রজন্মই আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণ করবে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নির্মাণের অগ্রবাহিনী হিসেবে তাদেরকে তাই বিশ্বমানের প্রযুক্তিজ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান ও সৃষ্টি করতে হবে। শুধু প্রযুক্তি আমদানি করেই আমরা এগিয়ে যাব না, আমাদের প্রযুক্তিও বিদেশে রপ্তানি করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
    মন্ত্রী আজ ঢাকায় মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের নবীনবরণ ও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
    মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দারিদ্র্য অনেক কমে এসেছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও বাংলাদেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। সকলের মতামত নিয়ে ’জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এটা এখন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
    শিক্ষকদেরকে সকলের মাথার মণি এবং মানুষ গড়ার কারিগর উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষকরাই দেশ গড়ার জন্য ভালো ও যোগ্য মানুষ তৈরি করবেন। তিনি বলেন, শিক্ষকতা শুধু পেশাই নয়। এটা পেশার চেয়ে বেশি কিছু। শিক্ষা পরিবার দেশের সবচেয়ে বড় পরিবার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ পরিবারে ৫ কোটি শিক্ষার্থী ও প্রায় ২৫ লাখ শিক্ষক রয়েছেন।
    প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি আওলাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর মো. শামসুল হুদা এবং মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিনা শামসী বক্তব্য রাখেন।
    পরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
#

আফরাজ/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৭৪০ঘন্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                নম্বর : ৩৮৩৮
তথ্য অধিদফতরে ই-ফাইলিং প্রশিক্ষণ
ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশ সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের আওতায় ই-ফাইলিং বিষয়ে আজ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি অফিসে গতিশীলতা,স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান ও কাগজবিহীন অফিস সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের  উদ্বোধন করেন তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার এ কে এম শামীম চৌধুরী।
প্রধান তথ্য অফিসার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সূত্র ধরেই ই-ফাইলিং এর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ পদ্ধতি সরকারের সঙ্গে সাধারণ জনগণের দূরত্বও কমাবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ফাইলের স্তূপ হবে না এবং কোন সেবা প্রত্যাশীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে দাপ্তরিক কাজে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমাবে ই-ফাইলিং কার্যক্রম।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। নথিভুক্ত করা, নথি ট্রান্সফার করা এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরকারি দপ্তরের গতিশীলতা ও দক্ষতা অনেকাংশে  বৃদ্ধি করবে। তিনি জানান কৃষি ও শিল্প বিপ্লবের পর এখন চলছে তথ্য বিপ্লব। ডিজিটাল পদ্ধতিতে কিভাবে নথি ব্যবস্থাপনা করতে হয় তা সকলকে ভালো ভাবে শিখতে হবে। আপনারা প্রশিক্ষিত হলে জনগণ লাভবান হবে। ই-ফাইলিং সরকারকে জনগণের কাছে আরো দায়িত্বশীল করবে।
প্রধান তথ্য অফিসার আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যই হলো জনগণ সেবার পেছনে ছুটবে না বরং সেবাই পৌঁছে যাবে জনগণের কাছে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকারের বিরামহীন প্রয়াসের অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে ।  
তথ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার (প্রটোকল) ফজলে রাব্বী, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার (প্রেস) আকতার হোসেনসহ তথ্য অধিদফতরের  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ খোরশেদ  আলম খান। তথ্য অধিদফতরের ৫০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।

#

অনসূয়া/দীপংকর/সাহেলা/গিয়াস/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৬/১৫৫০ ঘন্টা   

তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর : ৩৮৩৭

 বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান  খুঁজে বের করতে স্পিকারের আহবান

ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কমনওয়েলথ পার্লামেন্ট সদস্যদের প্রতি উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর সাধারণ সমাধান  খুঁজে বের করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি ১৪ ডিসেম্বর লন্ডনে ৬২তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
স্পিকার বলেন, কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ) আন্তঃ সংসদীয় সংলাপের এক অনন্য ক্ষেত্র। তিনি বলেন, সিপিএ কেবলমাত্র কমনওয়েলথ দেশসমূহের জাতীয় সংসদ সদস্যদেরই একটি ফোরাম নয় বরং প্রাদেশিক পরিষদ ও রাষ্ট্রীয় আইন প্রণেতাদেরও ফোরাম এটি। সিপিএ সদস্যভুক্তির  এ বহুমুখিতা সমগ্র কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ, গণতান্ত্রিক চর্চা  এবং  নতুন ও উদ্ভাবনী চিন্তার সুযোগ করে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ৬২তম কমনওয়েলথ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘এ কোলাবোরেটিভ কমনওয়েলথ: ইউনিটি, ডাইভারসিটি এন্ড কমন চ্যালেঞ্জেস’ যা বিশ্বের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত সময়োপযোগী। বিশ্বচ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই এবং বিভিন্ন দলভিত্তিক  আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ায় এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কমনওয়েলথ মহাসচিব চধঃৎরপরধ ঝপড়ঃষধহফ ছঈ, সিপিএ মহাসচিব আকবর খান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সংসদ সদস্য খরহফরবি গধংবশড়  বক্তৃতা করেন।
সম্মেলনে সিপিএ ৯টি অঞ্চল আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ ও ভূমধ্যসাগরীয়, কানাডা, ক্যারিবিয়ান, আমেরিকাস এন্ড আটলান্টিক, ভারত, প্যাসিফিক এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ৫২টি দেশের স্পিকার, সংসদ সদস্য ও সংসদ স্টাফ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।   
#

নূরুল/অনসূয়া/দীপংকর/সাহেলা/শহীদ/গিয়াস/জসিম/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৬/১৫১৭ ঘন্টা

                                                           
তথ্যবিবরণী                                                                   নম্বর : ৩৮৩৬
ঢাকা-দিনাজপুর-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন চালু
ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
 রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, যাত্রীসেবার মানন্নোয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নতুন রেললাইন তৈরি করা হচ্ছে, আরো ইঞ্জিন, কোচ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সারাদেশের রেল লাইনকে ডুয়েল গেজে রুপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আজ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা-দিনাজপুর-ঢাকা রুটে একতা ও দ্রুতযান নতুন ট্রেন উদ্বোধনকালে একথা বলেন। মন্ত্রী পতাকা নেড়ে দু’টি নতুন ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেলওয়েতে ৪৬টি প্রকল্প চলমান আছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ রেলওয়েতে অভাবনীয় উন্নতি দেখা যাবে। বাংলাদেশের মানুষ রেলের মাধ্যমে আরো উন্নত সেবা পাবে। বিজয়ের মাসে ট্রেন দু’টি সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসির উপহার বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, এডিবিব অর্থায়নে ১৫০টি কোচ ইন্দোনেশিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ১০০টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ কোচ। নতুন ব্রডগেজ কোচ  দ্বারা এ দু’টি ট্রেন চলাচল করবে। পূর্বে ট্রেন দু’টি মিটারগেজে চলাচল করতো। এতে ১২টি কোচ এবং মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ৮৫২টি।  
 উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, রেলপথ সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#

শরিফুল/অনসূয়া/শহীদ/রেজ্জাকুল/রফিকুল/শামীম/২০১৬/১৪০৮ ঘণ্টা   

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী                                                                   নম্বর : ৩৮৩২
বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিজয় দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দিনে আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে তা পরিপূর্ণতা পায়। আমি বিনম্রচিত্তে পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অপরিসীম ত্যাগ ও আপসহীন নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। আমি শ্রদ্ধা জানাই বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থকসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন।
আমাদের জাতীয় ইতিহাসে মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। বিজয় যেমন আমাদের স্বকীয়তা দিয়েছে, তেমনি বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করেছে স্বাধীন জাতি হিসেবে। তবে আমাদের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথ সবসময় মসৃণ ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে সামরিক স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের উত্থান ঘটে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রাম এবং নানা চড়াই-উৎরাই এর মধ্য দিয়ে দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত। দেশ উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অর্জিত হচ্ছে নানা সাফল্য। দারিদ্র্যের হার কমে এসেছে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের বিকাশ, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, নারী শিক্ষার প্রসার, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ, কৃষির উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশসহ অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকার সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সাফল্যের সাথে অর্জন করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
  
চলমান পাতা/২

-০২-
‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’, জাতির পিতা ঘোষিত এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। এ নীতির আলোকে জাতিতে জাতিতে আমাদের দ্বি-পাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীরতর ও সম্প্রসারিত হবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠাসহ বৈশ্বিক জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের উদ্যোগ আজ দেশীয় পরিম-লের বাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ এ বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘চষধহবঃ ৫০-৫০ ঈযধসঢ়রড়হ’ এবং ‘অমবহঃ ড়ভ ঈযধহমব অধিৎফ’-এ ভূষিত করে। এটা বাঙালি জাতির এক বিরাট অর্জন বলে আমি মনে করি।
বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে আরও অর্থবহ করতে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে দলমতনির্বিশেষে একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সরকার ‘ভিশন ২০২১’ ও ‘ভিশন ২০৪১’ ঘোষণা করেছে। আমাদের বিপুল মানবসম্পদ ও তথ্যপ্রযুক্তির সার্থক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এ ‘ভিশন’ বাস্তবায়নে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ্। আমি মহান বিজয় দিবসের প্রাক্কালে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাবো, আসুন, আমরা দলমতনির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আরও বেশি অবদান রাখি।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হোক, মহান বিজয় দিবসে- এ আমার প্রত্যাশা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”  
#

আজাদ/অনসূয়া/শহীদ/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১৪০০ ঘণ্টা   

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩৮৩৩
বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয় দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আজ ১৬ই ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির অনন্য গৌরবের দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এ দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
৪৫তম মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে আমি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিজয়ের এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহিদ এবং দুই লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে, যাঁদের অসামান্য আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।
জাতির পিতার বলিষ্ঠ ও আপোষহীন নেতৃত্বে বাঙালি জাতি বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, বাষট্টি’র শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টি’র ৬-দফা, ঊনসত্তরের ১১-দফা ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ফলে বৈধ ভিত্তি পায় বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা। জাতির পিতা অনুধাবন করেছিলেন স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ মূলত সেদিন থেকেই শুরু হয় স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। চলে সশস্ত্র ম্ুিক্তযুদ্ধের প্রস্তুতি।
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ২৫শে মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ১০ই এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারী করেন। বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপ্রতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করা হয়। এই সরকার ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগরে সমবেত হয়ে শপথ গ্রহণ করে এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনেন। জাতি পায় স্বাধীন রাষ্ট্র, নিজস্ব পতাকা ও জাতীয় সংগীত। বাঙালি জাতির এই বীরত্ব ও দেশাত্মবোধ বিশ্বে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে।
  চলমান পাতা/২    

-০২-
বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তুলে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের এই জঘন্য হত্যাকা-ের মধ্য দিয়ে তারা হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারী করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। মার্শাল ল’ জারীর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। অবৈধ সরকার গঠন করে। সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রুদ্ধ করে।
সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯৬ সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। ২০২১ সালের আগেই আমরা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করব, ইনশাআল্লাহ্।
আসুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করি। সবাই মিলে একটি সেবামুখী, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। প্রতিষ্ঠা করি- জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#

নজরুল/অনসূয়া/নুসরাত/শহীদ/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১২০৫ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

Todays handout (3).docx Todays handout (3).docx