Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

Handout                                                                                                           Number : 3602

Prime Minister's message on the World Maritime day

Dhaka, September 23 :

            Prime Minister Sheikh Hasina has given the following message on the occasion of the World Maritime day, 2020.

            I am delighted to learn that Bangladesh along with other littoral countries celebrates the World Maritime day, 2020. The theme for this year- "Sustainable Shipping for Sustainable Planet" appears very time befitting, while the whole world is suffering from global supply chain disruption due to the ongoing COVID-19 coronavirus pandemic which thwarts the collective efforts for achieving the Sustainable Development Goals as promised by the United Nation."

            The Oceans and Seas are the versatile resource base for mankind. Ocean-linked industries such as ports and shipping, fisheries and marine biodiversities, energy and minerals, tourism, etc are the key contributing global economic drivers. Realizing the importance of the aquamarine world, the Greatest Bangali of all time, our Father of the Nation, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman first adopted ‘The Territorial Waters and Maritime Zones Act, 1974’ much before the adoption of the United Nations Convention on the Law of the Sea (UNCLOS), 1982. That is how, Father of the Nation also has become the architect of our maritime vision who laid down the foundation of acquiring another 1,18,813 sq. km of sea areas to sovereign Bangladesh, the greatest achievement of the Awami League government after our great victory in the liberation war in 1971.

            During 1996-2001, we have ratified the United Nations Convention on the Law of the Sea, 1982. Besides, we had taken another milestone decision by establishing Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Maritime University. Since winning in the 2008 election, we have been working tirelessly for fulfilling the dream of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and went to the International Tribunal for the Law of the Sea (ITLOS) and Permanent Court of Arbitration (PCA) to solve the maritime boundary disputes between our two neighboring countries, Myanmar and India and won. Awami League government has been closely working with the International Maritime Organization (IMO) to improve safety and environmental standards in the country's ship-recycling industry. As we have pledged to achieve Sustainable Development Goals (SDGs) within the prescribed timeframe and to work for the development of the blue economy in our 2018 election manifesto, we are keen to work on these with top priority and great importance. We are working to modernize ‘The Territorial Waters and Maritime Zones Act, 1974’ in light of the UNCLOS, 1982. We have successfully hosted the first-ever Blue Economy Workshop in 2014, Blue Economy Dialogue in 2017 and the 3rd Indian Ocean Rim Association (IORA) Blue Economy Ministerial Conference in 2019. Bangladesh is the serving Vice Chair of IORA and will assume the charge of IORA Chair in 2021 for the next two years period.

            I am confident that our commitments for the development of global maritime cooperation and ensuring a healthy ocean through the promotion of regional cooperation, capacity building, ocean governance, sustainable exploration and exploitation of resources, shipping, connectivity etc would eventually help to build a prosperous future for our next generation. I would like to express my appreciation to all connected to this event.

            I wish all-out success of all programs relating to the "World Maritime Day, 2020".

Joi Bangla, Joi Bangabandhu

May Bangladesh Live Forever.

#

Rejaul/Sahela/Khalid/Rafiqul/Salim/2020/23.00 Hrs.

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর :  ৩৬০১

 

রাষ্ট্রপতির সাথে জার্মানে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর): 

 

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে আজ বঙ্গভবনে জার্মানে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সাক্ষাৎ করেন।

 

          সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, জার্মানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। সেদেশ বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের অন্যতম গন্তব্যস্থল। জার্মানের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপতি দু’দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক আরো জোরদারে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাতে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।

 

          নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা কামনা করেন।

 

          রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন ও সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান
এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

ইমরানুল/সাহেলা/খালিদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২১৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৩৬০০

 

রাষ্ট্রপতির সাথে সরকারি কর্ম কমিশনের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

 

বঙ্গভবন, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর) :

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে আজ বঙ্গভবনে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) এর নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মোঃ সোহরাব হোসাইন সাক্ষাৎ করেন।

          রাষ্ট্রপতি বিপিএসসি’র নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিপিএসসি উচ্চতর নিয়োগে দেশের প্রধানতম সংস্থা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের যোগ্য তরুণরা যাতে সরকারের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পেতে পারে সে ব্যাপারে বিপিএসসি সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবে। এছাড়া নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিপিএসসি সার্বিক প্রচেষ্টা চালাবে। নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিপিএসসি’র সার্বিক কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

          এ সময় বিপিএসসি’র চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা কামনা করেন।

          রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন ও সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

ইমরানুল/সাহেলা/রফিকুল/জয়নুল/২০২০/২১০০ঘণ্টা

সংশোধনী

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৩৫৯৪

৪ অক্টোবর থেকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন শুরু

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর): 

          ২৬ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে পক্ষকালব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত।

          এই সময়ে দেশের নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রসমূহে পর্যায়ক্রমে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের ১টি নীল রঙের ১ লাখ আই ইউ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১টি করে লাল রঙের ২ লাখ আই ইউ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর পাশাপাশি ঐ সময়ে পুষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন বার্তা জনগণের মাঝে প্রচার করা হবে।

          কোভিড-১৯ মহামারির কারণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই সকল সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

          ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। উল্লিখিত ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর সময়ে ভিটামিন ‘এ’ এর গুরুত্ব তুলে ধরে জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিজ নিজ দপ্তর থেকে প্রচারণায় অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

#

মাইদুল/পরীক্ষিৎ/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/২১০৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৩৫৯৯

 

রাষ্ট্রপতির নিকট সুইডেন, স্পেন ও নরওয়ের বাংলাদেশে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

 

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর) : 

 

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের নিকট আজ বঙ্গভবনে বাংলাদেশে সুইডেনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত Alexandra BERG VON LINDE, স্পেনের রাষ্ট্রদূত  Francisco de Asis Benetiz Salas ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত  Espen Rikter-Svendsen  পরিচয়পত্র পেশ করেন।

 

রাষ্ট্রপতি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সুইডেন, স্পেন ও নরওয়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ তিন দেশের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ককে বাণিজ্য-বিনিয়োগ-সহ বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে সম্প্রসারণে আগ্রহী। দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রদূতগণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের প্রতিটি ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে আন্তরিক প্রয়াস চালাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহযোগিতার জন্য সুইডেন, স্পেন ও নরওয়ে সরকারকে ধন্যবাদ জানান। রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে ভবিষ্যতেও তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। ।

 

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণে হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন,  বিশ্ববাসী সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মহামারির হাত থেকে রক্ষা পাবে। তিনি করোনার ভ্যাকসিন ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকল রাষ্ট্রই যাতে পেতে পারে সে জন্য উন্নত দেশ ও বহুজাতিক সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদে সহযোগিতার জন্য স্পেন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

 

নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণ বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের সাথে স্ব স্ব দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদারে সার্বিক প্রয়াস অব্যাহত রাখবেন। একইসাথে তাঁদের দায়িত্বপালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

 

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন ও সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

ইমরানুল/নাইচ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২০৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৩৫৯৮

RCUWM এর বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর) : 

            তেহরানভিত্তিক Regional Centre on Urban Water Management (RCUWM)- এর বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণ করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

            প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই সভায় বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন।

            প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শহরাঞ্চলে পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও এই সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে কারিগরি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে তা অতিক্রম করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

            উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে ইউনেস্কোর পানি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ইতিবাচক অবদান রাখতে ২০০২ সালে RCUWM যাত্রা শুরু করে। ইরানের আয়োজনে এই সভায় ১৯টি দেশের সদস্যরাষ্ট্র (আফগানিস্তান, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, মিশর, জার্মানি, ভারত, ইরাক, ইরান, লেবানন, ওমান, পাকিস্তান, কাতার , শ্রীলংকা, সিরিয়া, তাজিকিস্তান, তুর্কি, তুর্কিমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান) এর প্রতিনিধিগণ অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।

#

আসিফ/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৯০০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                         নম্বর : ৩৫৯৭

প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে করোনাকালেও দেশের প্রবৃদ্ধি এশিয়ায় প্রায় সবদেশের উপরে

                                                                                               -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর) :

            তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকায় আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এশিয়ার প্রায় সব দেশের উপরে।

            আজ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী একথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী করোনাকালে সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এসময় মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের আত্মার শান্তি ও আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

            তথ্যমন্ত্রী এসময় সম্প্রতি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি প্রকাশিত ২০২০ সালে এশিয়ার দেশগুলোর জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এডিবি’র প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ২০২০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ, যেখানে ভারতের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক শূন্য দশমিক ৯, পাকিস্তানের ঋণাত্মক শূন্য দশমিক ৪, শ্রীলঙ্কার ঋণাত্মক ৫ দশমিক ৫, চীনের ১ দশমিক ৮, থাইল্যান্ডের ঋণাত্মক ৮, ফিলিপাইনের ঋণাত্মক ৭ দশমিক ৩ ও সিঙ্গাপুরের ঋণাত্মক ৬ দশমিক ২।

            ড. হাছান বলেন, করোনায় যখন পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেল, বাংলাদেশেও সবকিছু ছুটি ঘোষণা করা হলো, তখন অনেকেই দেশ নিয়ে নানা আশঙ্কা-শঙ্কা করেছিলেন। কারণ বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল খেটে খাওয়া মানুষের দেশ, যে দেশে কোটি কোটি মানুষ প্রাত্যহিক উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল। এখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। কিন্তু দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সকল শঙ্কা-আশঙ্কা মিথ্যে প্রমাণ হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব, সময়োচিত পদক্ষেপ, মানুষের জন্য আর্থিক সহায়তা, খাদ্য সহায়তা, অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য অর্থনৈতিক প্রণোদনা ঘোষণা এবং বাস্তবায়নের কারণে দেশে সাড়ে ৬ মাসে অনাহারে একজন মানুষেরও মৃত্যু হয়নি, খাদ্যের জন্য কখনো কোথাও হাহাকার হয়নি।

            প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই এটি সম্ভবপর হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে এই দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতাকর্মীকে সম্পৃক্ত করেছেন। তাঁর আহ্বানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।’

            তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, গত সাড়ে ৬ মাস বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একদিনের জন্যও বসে থাকেননি, প্রতিদিন কাজ করছেন। শুধু মন্ত্রিসভার বৈঠক বা একনেক সভা করছেন তা নয়, তিনি বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের সাথে অনলাইনে বৈঠক করছেন, অন্যান্য কাজগুলোও করছেন। এই সময় অনেক দেশে এই সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ ছিল। আমাদের দেশে সেটি বন্ধ হয়নি। সেই কারণে আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল থেকেছে, এশিয়ার প্রায় সমস্ত দেশকে পেছনে ফেলেছে, এই করোনাকালেও এডিবির প্রাক্কলন অনুযায়ী আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৮ শতাংশ, করোনা না থাকলে সেটি করা সম্ভবপর হতো।’

            করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে অনেক আলোচনা-সমালোচনা আছে। কিন্তু এরপরও যদি পরিসংখ্যানের দিকে তাকাই, তাহলে আমরা দেখতে পাই, করোনা মোকাবিলাতেও বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪, ভারতে ১ দশমিক ৬, পাকিস্তানে ২ দশমিক শূন্য ৯, যুক্তরাজ্যে ১০ দশমিক ৩৬, বেলজিয়ামে ৯ দশমিক ৪৬, ফ্রান্সে ৬ দশমিক ৭১, জার্মানিতে ৩ দশমিক ৪২ ও যুক্তরাষ্ট্রে ৩ শতাংশের মতো। বাংলাদেশে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার আরো কম হতো যদি আরো ব্যাপকভাবে মানুষ পরীক্ষা করতো। পরীক্ষার হার নিয়েও যে বক্তব্য আছে, সেটি নিয়েও আমি বলতে চাই বাংলাদেশে যে পরিমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে সেটি প্রায় জাপানের কাছাকাছি। অর্থাৎ করোনা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রেও আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছি।

            কিন্তু করোনা চলে গেছে এমনটি ভাবলে ভুল হবে- সতর্কবাণী উচ্চারণ করে ড. হাছান সবাইকে পূর্ণ সতর্কতার সাথে স¦াস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

#

আকরাম/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৯১০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৩৫৯৬

 

পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর
মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথে আরো এক ধাপ অগ্রসর হচ্ছে

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর): 

            কক্সবাজার জেলার মহেষখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার বন্দর নির্মাণ প্রক্রিয়ায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথে আরো এক ধাপ অগ্রসর হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। জাপানের নিপ্পন কোয়ে যৌথ কোম্পানি এবং জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্ট গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড যৌথ কোম্পানি দু’টিকে প্রকল্পটির পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দু’টির সাথে চুক্তির মাধ্যমে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পটির কার্যক্রমে আরো এক ধাপ অগ্রসর হচ্ছে।

            আজ ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ সংক্রান্ত দু’টি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রকল্প পরিচালক জাফর আলম এবং জাপানের নিপ্পন কোয়ের (Nippon Koei) প্রতিনিধি নাওকি কুডো (Naoki Kudo) প্রকৌশলগত বিষয়ের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের (বন্দর সংযোগ সড়ক অংশ) সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের (আরএইচডি) কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রকল্প পরিচালক মো. সাদেকুল ইসলাম এবং জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্ট গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি শুনজি ইউশিহারা (Shunji Yoshihara) সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ সংক্রান্ত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

            এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী যথাক্রমে প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসাবে ভার্চুয়াল লাইনে সংযুক্ত ছিলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব  মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে  চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন, জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া (Yuho Hayakawa) বাংলাদেশস্থ জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইকি ইয়ামায়া (Hiroyuki Yamaya) উপস্থিত ছিলেন।

            পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে আমাদের অধিকার আরো বেশি শক্তিশালী হবে। সুনীল অর্থনীতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে মাতারবাড়ী বন্দর নতুন উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাবে।

            নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র সম্পদ ও বঙ্গোপসাগরের বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে মাতারবাড়ী বন্দর সহায়ক হিসাবে কাজ করবে।

            মাতারবাড়ী বন্দরের প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রম ২০২৬ সালে সম্পন্ন হবে। নির্মাণ সম্পন্ন হলে মাতারবাড়ী বন্দরে ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারবে এবং বিশ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার নিয়ে জাহাজ ভিড়তে পারবে মাতারবাড়ী বন্দরে।

            জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় মাতারবাড়ী ও ধলঘাট এলাকায় বন্দরটি নির্মিত হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করবে।

#

জাহাঙ্গীর/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৭৫৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৩৫৯৫

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর):  

 ‌                  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজার ১৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৬৬৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৮৭ জন।

          গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন-সহ এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৪৪  জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৩ জন।

#

দলিল উদ্দিন/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৮২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                  নম্বর : ৩৫৯৩

মেট্রোরেল প্রকল্পের ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন

                                                                   - ওবায়দুল কাদের

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর) : 

            স্বাস্থ্যবিধি মেনে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রায় পঞ্চাশ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। উড়ালপথে তিন কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন।

          সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের  আজ সকালে মেট্রোরেল রুট-৬ প্রকল্পের আওতায় কোভিড ব্যবস্থাপনায় গাবতলী ও উত্তরায় নির্মিত দুটি আইসোলেশন সেন্টার বা ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধনকালে একথা বলেন। তিনি নিজ বাসভবন থেকে  ভিডিও কনফারেন্সে এ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন।

          এসময় মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির শুরু থেকে মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত জনবলের মাঝে সংক্রমণ রোধে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। দুটি আইসোলেশন সেন্টার বা ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের ফলে কর্মরত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, পরামর্শকসহ অন্যান্য জনবলের মানসিক সাহস বাড়ার পাশাপাশি প্রকল্পের কাজে নবগতি সঞ্চার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

          মন্ত্রী বলেন, উত্তরা হতে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম অংশের এগারো কিলোমিটার উড়ালপথ ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। ফার্মগেট হতে মতিঝিল পর্যন্ত সড়ক অত্যন্ত ব্যস্ত ও যানবাহনের চাপ অত্যধিক, একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনদূর্ভোগ কমাতে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের ভিত্তির কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

          এসময় মন্ত্রী জানান, ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম মহানগরীতে মেট্রোরেল চালু এবং চট্টগ্রামের জন্য একটি পরিবহন মাস্টারপ্ল্যান তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

          উল্লেখ্য, মেট্রোরেল প্রকল্পের আওতায় উত্তরার পঞ্চবটি এবং গাবতলী কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে চব্বিশ শয্যার দুটি আইসোলেশন সেন্টার তথা ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন নিয়ে এরই মাঝে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে কার্ডিয়াক মনিটর, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি।

          সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক সচিব এমএএন ছিদ্দিক, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, মেট্রোরেল রুট-৬ এর প্রকল্প পরিচালক আফতাব উদ্দিন তালুকদারসহ ডিএমটিসিএল-এর কর্মকর্তাগণ ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।

#

নাছের/পরীক্ষিৎ/কামাল/কুতুব/আসমা/২০২০/১৬০০ ঘণ্টা   

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৩৫৯২

বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী রুয়ান্ডা

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর) :  

          বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে রুয়ান্ডা আগ্রহী বলে জানিয়েছেন সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিনসেন্ট বিরুটা (Vincent Biruta)।

          গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে টেলিফোন আলাপকালে রুয়ান্ডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।

          এসময় দ্বৈতকর পরিহারে বাংলাদেশের প্রস্তাবের বিষয়ে শীঘ্রই রুয়ান্ডার মতামত জানানো হবে বলে জানান সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করেন। এসময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুয়ান্ডাকে বাংলাদেশের ঔষধ, পিপিইসহ করোনা চিকিৎসা সামগ্রী, তৈরি পোশাক ও বাইসাইকেল আমদানির আহবান জানান। দু’দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের পারস্পারিক সফর বিনিময়ের ওপর উভয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।

          বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন ও সম্ভাবনা তুলে ধরে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের সরকার অত্যন্ত ব্যবসাবান্ধব। রুয়ান্ডাকে বাংলাদেশের অথনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগেরও আহবান জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এতে উভয় দেশ লাভবান হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

          আলাপকালে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সেদেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে রুয়ান্ডার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ভিনসেন্ট বিরুটা।

#

তৌহিদুল/পরীক্ষিৎ/কামাল/খোরশেদ/২০২০/১৫২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৩৫৯১

কৃষি উন্নয়নে কৃষি প্রকৌশল উইং হচ্ছে

                                   - কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর) :  

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কৃষিকে আধুনিকীকরণ ও অধিকতর লাভজনক করতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে লাগসই কৃষিযন্ত্রপাতি জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কৃষির যান্ত্রিকীকরণে সম্প্রতি তিন হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। ইতোমধ্যে ‘জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা ২০২০’ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলী নিয়োগের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কৃষি প্রকৌশল উইং স্থাপনে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কৃষক ও স্থানীয় উদ্যোক্তাদেরকে কৃষি প্রকৌশলীগণ সহযোগিতা করবে।

মন্ত্রী বুধবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবায়নাধীন ‘অ্যাপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন ইনোভেশন হাব বাংলাদেশ-আসমি প্রকল্প আয়োজিত ‘লাগসই কৃষিযন্ত্রপাতি: বাংলাদেশে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার চাবিকাঠি’ শীর্ষক বার্ষিক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষিকাজের প্রতিটি ধাপে লাগসই কৃষি যন্ত্রের প্রয়োগ খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। ধানের চারা রোপনের সময় শ্রমিক সংকটসহ শ্রমিকের বাড়তি মজুরি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি হয় অপরদিকে উৎপাদন ব্যাহত হয়। অন্যদিকে, সনাতন পদ্ধতিতে অসংখ্য শ্রমিকের বহু শ্রমঘন্টার বিনিময়ে ধান কাটা, মাড়াই-ঝাড়াই করা হয়। ফলে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। কৃষিকে লাভজনক করার জন্য ভৌগোলিক ও কৃষিপরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে কৃষিযন্ত্রপাতির অঞ্চলভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আগামী দিনে যেন শুধুমাত্র আমদানিকৃত কৃষিযন্ত্রপাতির উপর নির্ভর না করে, সেজন্য সরকার স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকার&

2020-09-24-10-46-9f7b3ea0458bc592def0d3ea3e12461f.docx 2020-09-24-10-46-9f7b3ea0458bc592def0d3ea3e12461f.docx