Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st জুলাই ২০১৮

তথ্যবিবরণী ২১ জুলাই ২০১৮

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২০১৬
 
সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে
                               -- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
 
গঙ্গাচড়া (রংপুর), ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
 
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, বর্তমান সরকার সকল ধর্মের মানুষের ধর্মীয় সুরক্ষা, নির্বিঘœ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন, ভ্রাতৃত্ববোধ ও ধর্মীয় সম্প্রীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে।  
 
প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলায় বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ গংগাচড়া উপজেলা শাখা আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের মন্দির মেরামত, পুননির্মাণ ও সংরক্ষণের জন্য ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ধর্ম ও ধর্মীয় মূল্যবোধের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করার মাধ্যমে উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিময় সমাজ নির্মাণ সম্ভব। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সনাতন ধর্মের অনুসারীগণকে দেশ ও জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। 
 
এর আগে প্রতিমন্ত্রী গংগাচড়া ডিগ্রী কলেজ ও মহিলা ডিগ্রী কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এবং পরে বড়বাড়ী জামে মসজিদ ও কাওরাফান্দা জামে মসজিদের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
 
#
 
আহসান/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২৩০০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর :  ২০১৫
চলতি বছর হজ এজেন্সিকে অতিরিক্ত চার শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের সুযোগ প্রদান
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :  
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত কোটার সমসংখ্যক হজযাত্রীকে সৌদি আরবে গমনের সুযোগ প্রদান এবং সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে  সরকার প্রতিটি এজেন্সিকে অতিরিক্ত চার শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের সুযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। 
মন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় তাঁর বেইলী রোডের বাস ভবন অফিসে ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে  এসব তথ্য জানান।  
ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজ এজেন্সিসমূহকে প্রতিস্থাপনের জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে। শর্তসমূহ হল:  ১) এজেন্সিকে সর্বোচ্চ চার শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের জন্য  তাঁর নিজস্ব প্যাডে পরিচালক, হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকা বরাবর ২৪ জুলাই বিকাল পাঁচটার মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদনটি অনলাইনেও নিশ্চিত করা যাবে; ২) আবেদনের পত্রের সাথে প্রতিস্থাপনযোগ্য হজযাত্রীর গুরুতর অসুস্থতা অথবা মৃত্যুজনিত কারণে হজ পালন করতে পারবেন না মর্মে উপযুক্ত চিকিৎসকের নিকট থেকে সনদপত্র দাখিল করতে হবে; ৩) প্রতিস্থাপন প্রাপ্তির জন্য এজেন্সির পক্ষ থেকে কোন মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হচ্ছে না মর্মে তিনশ’ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে। 
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, হজ পরবর্তী সময়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে কোন প্রতিস্থাপন গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করা হবে। যাচাই করে প্রদত্ত তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
ধর্মমন্ত্রী বলেন, জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি ১৪৩৯ হিজরি/২০১৮ খ্রি: অনুযায়ী মৃত্যুজনিত ও  গুরুতর অসুস্থতা জনিত কারণে প্রতিটি এজেন্সি তার নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্য থেকে চার শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপন করতে পারে। হজ নীতির এ বিধান অনুসারে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির আবেদনে ইতিমধ্যে চার শতাংশ হিসেবে মোট ৪ হাজার ৬ শত ১৪ জন হজযাত্রী প্রতিস্থাপিত হয়েছেন। 
অধ্যক্ষ মতিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, গত ১৪ জুলাই হতে হজযাত্রীগণ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি এ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স যোগে হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গমন শুরু করেছেন। আজ ২১ জুলাই পর্যন্ত মোট ৩৭ হাজার ২ শত ২২ জন হজযাত্রী ইতিমধ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
মন্ত্রী আরো জানান, ২১ জুলাই সরকারি ব্যবস্থাপনার ৬ হাজার ৪ শত ২৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৬১ হাজার ২৫ জন মোট ৬৭ হাজার ৪ শত ৫২ জন হজযাত্রীর  ভিসা পাওয়া গিয়েছে। মোট ৫ শত ১১টি এজেন্সি ১ লক্ষ ৫ হাজার ৪ শত ৪২ জন হজযাত্রীর বিপরীতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি এ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের অনুকূলে টিকেট প্রাপ্তির লক্ষ্যে পে-অর্ডার ইস্যু করা হয়েছে। অবশিষ্ট হজযাত্রীদের অনুকূলে টিকেট সংগ্রহের জন্য পে-অর্ডার ইস্যু করতে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিসমূহকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের জন্য বাংলাদেশের সকল নিবন্ধিত হজযাত্রী কোন প্রকার অসুবিধা ছাড়াই এ বছর হজে গমন করতে পারবেন। 
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনিছুর রহমান, যুগ্ম সচিব (হজ) মোঃ হাফিজ উদ্দিন, পরিচালক (হজ) মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
#
আনোয়ার/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২২৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                 নম্বর: ২০১৪

 

গ্রাহকদের হয়রানিমুক্ত বিদ্যুৎ দিতে আরো আন্তরিক হতে হবে

                           -- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই):

     বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্রাহকদের হয়রানিমুক্ত বিদ্যুৎ দিতে আরো আন্তরিক হতে হবে। উৎপাদন, বিতরণ ও সঞ্চালন সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে নিজেদের উদ্যোগ নিতে হবে। উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন যেন চাহিদা মাফিক হয়।

     প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো)-এর সম্মেলন কক্ষে জেনারেল ম্যানেজার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। গ্রাহক তথা জনগণের সন্তুষ্টিই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাদের কোন অবস্থায়ই হয়রানি করা যাবে না, হাসি মুখে কথা বলতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করতে হবে। সরকার প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা দ্রুততার সাথে দিবে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

     অনুষ্ঠানে শতভাগ উপজেলা বিদ্যুতায়নের টার্গেট এবং তার জন্য মাঠ পর্যায়ে সমস্যা, কারিগরি সীমাবদ্ধতা ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসন, ট্রান্সফরমার নষ্টের সম্ভাব্য কারণ ও প্রতিকার, বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে করণীয় ও প্রতিকার, রাইট অভ্ ওয়ে ও লাইন রক্ষণাবেক্ষণ, প্রিপেমেন্ট মিটার স্থাপন ও পরিচালন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। ১৯৭৮ থেকে ২০০৮ সাল নাগাদ ৩০ বছরে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো)-এর গ্রাহক ছিল ৭৪ লক্ষ, যা বিগত নয় বছরে বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৪১ লক্ষ। ইতিমধ্যে ২৪০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে, বাকিগুলো নির্ধারিত সময়েই হয়ে যাবে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বাপবিবো ৫৫ হাজার কিলোমিটার লাইন নির্মাণ ও ১৮০০ এমভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন উপকেন্দ্র স্থাপন করে ৩৯ লক্ষ গ্রাহককে নতুন সংযোগ প্রদান করেছে ও ২৫টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আইএসও (ISO) সনদ অর্জন করেছে। এখন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বাপবিবো ৫০ হাজার কিলোমিটার লাইন নির্মাণ ও ২১৭৭ এমভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন উপকেন্দ্র নির্মাণ করে ২৫ লক্ষ গ্রাহককে নতুন সংযোগ প্রদান করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

     জিএম সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ) ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বক্তব্য রাখেন।

#

 

আসলাম/সেলিম/পারভেজ/রেজাউল/২০১৮/১৮৪৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২০১৩

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

          "জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে আমি দেশের সকল মৎস্য চাষি ও মৎস্যজীবীসহ মৎস্যখাত সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য 'স্বয়ংসম্পূর্ণ মাছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ' অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।  

          মাছে-ভাতে বাঙালি - এ ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে মৎস্যখাত  উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। বর্ধিত জনগোষ্ঠীর প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে মৎস্যখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।     

          সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে সৃষ্ট ব্লু-ইকোনমির বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগানোর লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গবেষণা ও জরিপ জাহাজ ক্রয় করে সামদ্রিক মৎস্যসম্পদের জরিপ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো লং লাইনার ও পার্সসেইনার এর মাধ্যমে মৎস্য আহরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ আমাদের সরকারের গণমুখী কর্মকাণ্ডের ফলে ইলিশ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। জাতীয় মাছ ইলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে ব্রান্ডিং-এর লক্ষ্যে ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন করা হয়েছে।

          রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিপুল সম্ভাবনাময় মৎস্যখাত এ লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমি আশা করি, মৎস্যখাতের সার্বিক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাই আরো নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন।

          আমি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৮- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।  

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীরী হোক।" 

#

 

ইমরুল/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭০১ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর ঃ ২০১২
 
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী 
 
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :  
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৮ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দেশের মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে এ উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।
নদ-নদী, হাওর-বাওড় সমৃদ্ধ বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের পুষ্টি চাহিদাপূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্যমোচনের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মৎস্য সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বর্তমান সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আধুনিক ও পরিকল্পিত উপায়ে মৎস্যচাষ, আহরণ ও পরিচর্যা, মৎস্য সম্পদের যথাযথ সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্যসম্মত সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে দেশীয় মাছের প্রজাতি রক্ষায় বিভিন্ন নদ-নদী ও জলাশয়গুলোতে প্রজনন মৌসুমে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা, মাছের অভয়ারণ্য ঘোষণাসহ সময়ে সময়ে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নে আমি সকলকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা মূল্যবান জলজ সম্পদের আধার। ব্লু-ইকোনমির এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণ নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এ প্রত্যাশা করি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার সাথে একাত্ম হয়ে এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ মাছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ যথার্থ ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। এ দেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরে মৎস্যখাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে কাজ করবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।
আমি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৮-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।  
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
 
#
 
হাসান/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/রেজাউল/২০১৮/১৭০০ ঘণ্টা 
Todays handout (3).docx