Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ এপ্রিল ২০১৬

তথ্যবিবরণী 16/4/2016

তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর : ১২৬৬
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না
          ---এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী

রংপুর, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :  

এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে ভাল মন্দ বিচার করার জ্ঞান দিয়েছেন। যে ভালো কাজ করবে সে জান্নাতে যাবে।  কিন্তু চলন্ত গাড়িতে যারা বোমা নিক্ষেপ করে আগুন দিয়ে মানুষ মেরে ক্ষমতায় যেতে চায় তারা মানুষ হতে পারে না। এই স্বাধীন দেশ থেকে বিশৃঙ্খলাকারী ও জঙ্গিবাদীদের উৎখাত করতে হবে। যার যে ধর্ম সে সেই ধর্ম পালন করবে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না ।

    প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুর নগরীর পার্বতীপুর কেরামত আলী হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ্ বোর্ডিংয়ের তিনতলা ভবনের ছাদ ঢালাই শেষে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন।

পার্বতীপুুর কেরামত আলী হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের এর সভাপতি আলহাজ শাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মো. এমদাদুল ইসলাম, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আঞ্জু মনোয়ারা বেগম গিনি এবং সাবেক শ্রমিক নেতা আব্দুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখেন।
#
আহসান/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৯৪৭ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর :  ১২৬৫

বাংলাদেশের মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির সাথে ইন্ডিয়ান
মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

মুম্বাই (ভারত), ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল):

     দেশের একমাত্র বিশেষায়িত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (বিএসএমআর) মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির সাথে শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ইন্ডিয়ান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির এক সমঝোতা চুক্তি গতকাল ভারতের মুম্বাইয়ে স্বাক্ষরিত হয়।

    মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান মেরিটাইম সামিট ২০১৬-এ বিএসএমআর মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির পক্ষে উপাচার্য রিয়ার এডমিরাল এ এস এম আব্দুল বাতেন এবং ইন্ডিয়ান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির পক্ষে উপাচার্য কে অশোক বর্ধন শেঠি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ভারতীয় নৌ, সড়ক ও জনপথ মন্ত্রী নিতিন জয়রাম গাড়কারী উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা, বিশেষত সমুদ্রবিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে উৎকর্ষ অর্জন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমুদ্রকে অধিকতর নিরাপদ করে তোলার ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

#

আফরাজ/মোশারফ/সেলিম/২০১৬/১৬৩০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১২৬৪

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে
            ---পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
রাজশাহী, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :  

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ্রিয়ার আলম বলেছেন, অতীতে ভারত ও বাংলাদেশের সুসম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন মহল বিভ্রান্তির চেষ্টা করেছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে । আমরা সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে পেরেছি এবং ঐতিহাসিক সীমানা চুক্তিও বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি দ’ুদেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নিয়ে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহবান জানান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আজ রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে ‘মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ভারত সরকার কর্তৃক বৃত্তি প্রদানের চেক বিতরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো  ক্রমশই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশগুলোর মানুষের মধ্যে আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করলে তা এ অঞ্চলে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে সহায়ক হবে।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে তা অত্যন্ত আন্তরিক, দৃঢ় ও মজবুত। কোন শক্তিই এ বন্ধনকে ছিন্ন করতে সফল হবে না বলে  তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের ৭৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মোট ১৮ লাখ ৭২ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য ভারত সরকার ২০০৬-০৭ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে ১২ কোটিরও বেশি টাকার বৃত্তি প্রদান করেছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ১০ হাজার এবং ¯œাতক পর্যায়ে
২৪ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, ভারতীয় হাইকমিশন ঢাকার সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা স্কোয়াড্রন লিডার রজত হানস্, রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ডা. আব্দুল মান্নান এবং  ড. পত্রালিকা চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।

#
নাফেয়ালা/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৮১৮ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর :  ১২৬৩

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ়
                                                   -- প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

চিতলমারী (বাগেরহাট), ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল):

    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অত্যন্ত সুদৃঢ়। প্রতিটি ধর্মের মানুষ এদেশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।
    
    প্রতিমন্ত্রী আজ বাগেরহাট জেলার চিতলমারীর কলাতলা ইউনিয়নের অশ্বিনী গোসাই বাড়িতে ধর্মীয় নামযজ্ঞানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

      প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির অসাম্প্রদায়িক চেতনা সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সেতুবন্ধ হয়ে কাজ করে। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সকলের। এদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সকলের অবদান রয়েছে। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে এদেশের জনগণ শান্তিতে থাকুক এবং সুন্দরভাবে বসবাস করুক।  প্রতিটি উপাসনালয় অত্যন্ত পবিত্র এবং কেউ যাতে কোনোভাবে ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই ঐতিহ্যকে অক্ষুণœ রেখে দেশের উন্নয়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে।

    প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূল করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
    
#

আফরাজ/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৮০০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর :  ১২৬২

ইসলামাবাদে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন

ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল):

    যথাযথ আনন্দ-উদ্দীপনা ও সমারোহের মধ্যদিয়ে আজ পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ উদ্যাপন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি, শিক্ষার্থী এবং মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় যোগ দেন।

    বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নাজমুল হুদা অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্যে তিনি বাংলা সনের উৎপত্তি ও নববর্ষ পালনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন বাঙালির সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। বিগত বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি মুছে দিয়ে নতুন বছর সবার জীবনে আনন্দ ও সুখ বয়ে আনবে বলে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেন।

    বর্ষবরণ উপলক্ষে চ্যান্সারি ভবন ও প্রাঙ্গণে বেলুন, রঙিন কাগজ, ফুল ও ব্যানার দিয়ে মনোরম সাজে সাজানো হয়। এসো হে বৈশাখ এসো এসো- বৈশাখি সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি তুলে ধরে বাংলাদেশি শিশুরা মনোমুগ্ধকর নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথি ও শিশুদের জন্য বিনোদনমূলক খেলাধুলার আয়োজন করা হয়।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার  পাশাপাশি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা, পেঁয়াজু ও ঝালমুড়ি পরিবেশন করা হয়। এছাড়া, অতিথিদের ভাত-মাছ, নানা রকম ভর্তা  ও অন্যান্য দেশীয় খাবার  দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

#

ইকবাল/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৭৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১২৬১

রূপসায় ভারতীয় কাপড় আটক করেছে কোস্টগার্ড

খুলনা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :  
    আজ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের রূপসা স্টেশনের একটি টহল দল রূপসা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় টহল দানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রূপসা থানাধীন খানজাহান আলী সেতুর টোলপ্লাজা এলাকা হতে অবৈধভাবে আনা ভারতীয় ৯৪৬টি থ্রি পিস, ৭টি শেরওয়ানি, ১৮৮টি পাঞ্জাবি এবং ৪ হাজার ৭০ মিটার থান কাপড় আটক করে।

    আটককৃত অবৈধ ভারতীয় কাপড় খুলনা কাস্টম অফিসে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন। আটককৃত কাপড়ের বাজার মূল্য প্রায় ৪৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ইদানিংকালে খুলনাসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় অবৈধ ভারতীয় পন্যের চোরাচালানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরায় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন টহল জোরদার করেছে।  

#
মারুফ/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৮৩০ ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর :  ১২৬০

ব্যবহারিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে
                           -- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

যশোর, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল):

     বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকেই  পেশাদারি কাজের মনোভাব সৃজন করতে হবে। অফিসে কাজ করতে গেলে  যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা ইন্টার্নশিপ (ওহঃবৎহংযরঢ়) করা থাকলে দ্রুত সমাধান করা সহজ হয়।

    প্রতিমন্ত্রী আজ যশোরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম এবং মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের সম্ভাবনা’ শীর্ষক  সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় ৫শ’ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য  যে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করেছে, তাতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের  পেট্রোলিয়াম এবং মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীদেরকেও সুযোগ  দেয়া হবে। সমুদ্র বিজয় বাংলাদেশে এ বিষয়ের ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃজন করবে। এখন ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহারিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

    যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল ইমাম এবং পেট্রোলিয়াম ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের  চেয়ারম্যান ড.  মো.  তোফায়েল আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
    
#

আসলাম/আফরাজ/মোশারফ/সেলিম/২০১৬/১৭৩০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                                                              নম্বর : ১২৫৯
মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :  

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
    ‘‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৭ই এপ্রিল এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। পাশাপাশি এদিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ অনুমোদন করা হয়। সেদিন থেকে এ স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে।
    ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে, জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী শুরু হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ। ১৭ই এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে।
    স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলসমূহ, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ এবং তদানীন্তন ইপিআরসহ সকল শ্রেণি-পেশার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ  রেখে এই সরকার দীর্ঘ নয় মাস দক্ষতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মিত্রশক্তির সহায়তায় চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
    স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে সমূলে ধ্বংস করার লক্ষ্যে আড়াই মাসের ব্যবধানে ৩রা নভেম্বর জেলখানায় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী চার জাতীয় নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছিল না। আইনের শাসন ও জনগণের অধিকার সামরিক স্বৈরাচারের বুটের তলায় পিষ্ট হচ্ছিল। ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে সরকার গঠনের পর দেশে আবারও ফিরে আসে গণতন্ত্র।
    ঐতিহাসিক এ দিনে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ চার জাতীয় নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিত মা-বোনদের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
    জাতির পিতার হত্যাকারীদের প্রচলিত আদালতে বিচার ও রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি দায়মুক্ত হয়েছে। জেলখানায় নিহত ৪ জাতীয় নেতা হত্যা মামলার বিচার করা হয়েছে। একাত্তরের মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে সকল ক্ষেত্রে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। গত সাত বছরে দেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যবিমোচন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বৈদেশিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ১৪৬৬ ডলারে উন্নীত হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ০৫। আমরা সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছি। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
    বিএনপি-জামাত জোট যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত এবং বিএনপি নেত্রী ও তাঁর পরিবারকে দুর্নীতি মামলা থেকে বাঁচানোর জন্য রাজনীতির নামে জঙ্গি স্টাইলে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। দেশব্যাপী নাশকতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। দেশের জনগণ তাদেরকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। স্বাধীনতার চেতনা ও  উন্নয়ন বিরোধী এ অপরাজনীতির বিরুদ্ধে জনগণ আজ একতাবদ্ধ।
    ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি দেশবাসীকে বঙ্গবন্ধুর কাক্সিক্ষত ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতামুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
       বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
নূরএলাহী/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৭০৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১২৫৮
মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :
    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
    ‘‘ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই  আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
    আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করি জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং এ. এইচ. এম কামারুজ্জামানকে যাঁদের নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকার পরিচালিত হয়েছিল। সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদ, মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক-সংগঠকসহ সকলস্তরের জনগণকে যাঁরা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য অবদান রেখেছেন।
    আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও ভূমিকা অপরিসীম। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ২৬ মার্চ ঘোষিত স্বাধীনতা দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারির মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে মুজিবনগর সরকার শপথ নেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যাত্রা শুরু করে।
    মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাসহ বিশ্ব দরবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি, শরণার্থীদের সহায়তা, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ও সহায় সম্বলহীন জনগণের পাশে দাঁড়ানোসহ মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় নবগঠিত এ সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্র্রুত সফল পরিসমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মুজিবনগর সরকার গঠনে যাঁরা সহযোগিতা করেছিলেন আমি তাঁদের অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।
    বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাসহ সার্বিক উন্নয়ন অপরিহার্য। আমরা ইতোমধ্যে জাতীয় জীবনে নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, বেসরকারি খাতে উন্নয়নসহ বিভিন্ন অগ্রগতি অর্জন করেছি। সরকার এ উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা করেছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা দেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।
    বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা। স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের নিকট সঠিকভাবে তুলে ধরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। দেশের তরুণ প্রজš§ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার পাশাপাশি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতিগঠনমূলক কাজে অবদান রাখবে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে-এই প্রত্যাশা করি।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা

 

Todays handout (6).doc Todays handout (6).doc

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon