তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৫১
আওয়ামী কাউন্সিল থেকে বিএনপি শিখবে এবং দুর্বৃত্তচক্র থেকে বেরিয়ে আসবে
--- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ পৌষ (২২ ডিসেম্বর) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিল থেকে বিএনপি শিখবে এবং যে দুর্বৃত্তচক্রে বিএনপির রাজনীতি আটকা পড়েছে, সেখান থেকে তারা বেরিয়ে আসবে।
আজ ঢাকার শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কেবিন ব্লকে চিকিৎসাধীন বর্ষীয়ান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে দেখার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে গণতন্ত্রের চর্চা নেই এবং সেখানে সঙ্কট উত্তরণের নির্দেশনাও নেই- বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যে মন্ত্রী বলেন, তারপরও ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগ কাউন্সিলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এজন্য তাকে ধন্যবাদ। আমি তাকে বলবো, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন শুধু রাজনীতির ক্ষেত্রেই নয়, জাতীয় ক্ষেত্রেও একটি মাইলফলক। ১৯৬৬ সালের আওয়ামী লীগ কাউন্সিল, যেখানে বঙ্গবন্ধু সভাপতি হয়েছিলেন, সেখানে সূচনা সঙ্গীত ছিল আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে ড. হাছান বলেন, ১৯৭৫ সালের পর রাজনীতিতে বণিকায়ন ও দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছিল জিয়াউর রহমান, সেই ধারা অক্ষুণ্ন রেখেছিল এরশাদ সাহেব এবং বেগম জিয়া তা ষোলকলায় পূর্ণ করেছে। সেই ধারা থেকে রাজনীতিকে উদ্ধার করে, রাজনীতি যে একটি ব্রত, তা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগে নিয়মিত সম্মেলন হয়, বিএনপিতে কি সম্মেলন হয় এক কলমের খোঁচায় সেখানে সদস্য হয়, বাদও যায়।
আমাদের প্রত্যেক সম্মেলনের একটি ঘোষণাপত্র থাকে, এ সম্মেলনেরও আছে। সেখানে ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা, জাতিকে আমরা কোন লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে চাই, সব রয়েছে। বিএনপিতে তো এই চর্চা নেই।
কাউন্সিলে নেতৃত্বে তেমন কোনা পরিবর্তন নেই- এমন মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিল মানেই নবীন-প্রবীণের মিলিত রক্ত¯্রােত সঞ্চালন। এবারও তা হয়েছে। আর পরিবর্তনই যে হতে হবে, এমন তো কথা নেই। যারা ভালো কাজ করছেন, তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সভাপতি তাকে সেকাজে রাখতেই পারেন।
এটিএম শামসুজ্জামানকে দেখতে বিএসএমএমইউতে তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন চলচ্চিত্র অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে দেখতে যান।
তিনি বিএসএমএমইউ কেবিন ব্লকের ৫১১ নম্বর কক্ষে চিকিৎসাধীন এটিএম শামসুজ্জামানের শয্যাপাশে কিছুক্ষণ অবস্থান করে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
এ সময় প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী মোঃ রফিকুল আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, অভিনয়শিল্পী তারিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডাঃ পবিত্র দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এটিএম শামসুজ্জামান তার অনবদ্য অভিনয়ের জন্য গত ৮ ডিসেম্বর জাতীয় চলচ্চিত্রে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আগেও তাঁর চিকিৎসার জন্য সবকিছু করেছেন, এখনও করবেন। তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁকে দেখতে।
#
আকরাম/নাইচ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২১২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৫০
একটি জাতির পরিচয় সংস্কৃতির মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়
--- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ পৌষ (২২ ডিসেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, হাজার শব্দে যা বর্ণনা করা যায় না, একটি ছবির মাধ্যমে তা প্রকাশ সম্ভব। তিনি বলেন, একটি জাতির পরিচয় সংস্কৃতির মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। আর সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে তার চর্চায়, নানান আঙ্গিকে, নিত্য নতুন ধাঁচে। সময়ের পরিক্রমায় আমরা আধুনিক জাতি। ফেলে আসা অতীতকে ফ্রেমে বন্দি করে রাখার ধারনা থেকে ফটোগ্রাফির জন্ম।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় ÔBangladesh University of Professionals Photography Society (BUPPS) আয়োজিত ÔBUPPS Presents Contrast 3.0Õ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন Bangladesh University of Professionals (BUP) এর Faculty of Security and Strategic Science (FSSS) এর ডিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইফুর রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করেন (Bangladesh University of Professionals Photography Society (BUPPS) এর সভাপতি মোঃ রাকিবুল ইসলাম তামজিদ।
#
ফয়সল/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৪৯
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা ২৪ ডিসেম্বর শুরু
ঢাকা, ৭ পৌষ (২২ ডিসেম্বর) :
প্রাথমিক শিক্ষা ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৯ এর বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। পরীক্ষা আগামী ২৪ ডিসেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ২৮ ডিসেম্বর। একই দিনে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দু’টি এবং ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দু’টি করে অনুষ্ঠিত হবে।
দিনের প্রথম পরীক্ষা সকাল দশটায় শুরু হয়ে শেষ হবে দুপুর সাড়ে ১২টায় এবং দ্বিতীয় পরীক্ষা দুপুর ২ টায় শুরু হয়ে শেষ হবে সাড়ে ৪ টায়। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২৪ ডিসেম্বর সকালে ইংরেজি, বিকালে প্রাথমিক বিজ্ঞান; ২৬ ডিসেম্বর সকালে বাংলা, বিকালে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়; ২৮ ডিসেম্বর সকালে গণিত, বিকালে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২৪ ডিসেম্বর সকালে ইংরেজি, বিকালে আরবি; ২৬ ডিসেম্বর সকালে বাংলা, বিকালে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বিজ্ঞান; ২৮ ডিসেম্বর সকালে গণিত, বিকালে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং আকাইদ ও ফিকহ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিটি বিষয়ের জন্য পরীক্ষার সময় দেওয়া হবে আড়াই ঘণ্টা। তবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত ৩০ মিনিট বরাদ্দ থাকবে।
#
রবীন্দ্রনাথ/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০০০ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৪৫
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আইভিএফ উৎপাদন কারখানা পরিদর্শন
ঢাকা, ৭ পৌষ (২২ ডিসেম্বর) :
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আইভিএফ উৎপাদন কারখানাটি অনেক পুরাতন ও স্যাতস্যাতে, ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিং হওয়ায় এটিকে নতুনভাবে সরকার কাজে লাগানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে চিকিৎসা সরঞ্জমাদি উৎপাদনের কারখানা করার পাশাপাশি এটিকে আধুনিক রিসার্স সেন্টার করা যায় কিনা সে ব্যাপারেও গুরুত্ব দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট কারখানা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
উল্লেখ্য, কারখানায় ওরস্যালাইন, ব্লাড ব্যাগ-সহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জমাদি তৈরি করা হয়। কারখানা থেকে প্রতি বছর বর্তমানে এক লাখেরও বেশি ব্লাড ব্যাগ তৈরি হচ্ছে যা দেশের মোট চাহিদার ৭ ভাগের ১ ভাগ পূরণ করছে। অন্যদিকে, ঢাকার জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, রংপুর, যশোর, কুমিল্লা আঞ্চলিক অফিস সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি খাবার স্যালাইন উৎপাদন করছে যা গোটা দেশে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে বছরে ২ কোটির মতো আইভি ফ্লুইড উৎপাদন করা হচ্ছে যা দেশের মোট প্রয়োজনের ৮ ভাগের ১ ভাগ পূরণ করছে।
#
মাইদুল/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৪৪
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৭ পৌষ (২২ ডিসেম্বর):
আজ সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত কসোভো প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত গানার ইউরেয়া সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তারিত আালোকপাত করা হয়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জানান, হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতিকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সংস্কৃতির উপাদানসমূহ গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি আরো সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ৪৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং এ চুক্তির আওতায় সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম চালু রয়েছে। তিনি জানান, আরো বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
কসোভোর রাষ্ট্রদূত বলেনে, বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক তৈরির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম চালু করা এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণ, জাদুঘর ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে।
সাক্ষাৎকালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং ঢাকাস্থ কসোভো দূতাবাসের নির্বাহী সহকারী Akhand Surid উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০১৯/১৮২০ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৪৩
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ব্যবসায়ীদের লোভ সংবরণ দরকার
-খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ পৌষ (২২ ডিসেম্বর) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, অতি লোভ সংবরণ করে যদি ব্যবসায়ীরা সঠিক দায়িত্বপালন করতে পারেন তাহলে জনগনের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। পাহারা দিয়ে কাউকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়না সবারই নিজ নিজ বিবেক দিয়ে কাজ করতে হবে। আজ রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘হোটেল-রেস্তোরা, বেকারি ও মিষ্টির কারখানার গ্রেডিং’ প্রদান অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রেস্তোরার ভালো মান বজায় রাখার জন্য পদকপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁরা ‘এ’ গ্রেড পেলেন সরকার আশা করছে এই স্বীকৃতিটুকু তাঁরা ধরে রাখবেন এবং জনগণের জন্য মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করে সামনের বছর তাঁরা ‘এ+’ গ্রেড পাবেন।
তিনি বলেন, সরকারের একার পক্ষে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এলক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। যারা ব্যাবসা করেন তারা নিজেদের মানসিক তৃপ্তির জন্য হলেও ভোক্তার হাতে নিরাপদ খাদ্য তুলে দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ভোক্তাদের স্বার্থে ‘এ+’, ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ এই চার ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ঢাকা মহানগরীর হোটেল ও রেস্তোরাকে। গ্রেডিং সিস্টেমের আওতায় খাবারের মান, বিশুদ্ধতা, পরিবেশ, ডেকোরেশন, মনিটরে রান্নাঘরের পরিবেশ দেখা যাওয়ার ব্যবস্থা ও ওয়েটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ভিত্তিতে রেস্তোরাগুলোতে চার ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এসব বিচারে ৯০ নম্বরের বেশি স্কোর হলে সবুজ বণের্র স্টিকার ‘এ+’, স্কোর ৮০ এর ঊর্ধ্বে হলে নীল বণের্র স্টিকার বা ‘এ’, ৫৫ থেকে ৭৯ পর্যন্ত স্কোর হলে হলুদ বণের্র ‘বি’ এবং ৪৫ থেকে ৫৫ স্কোর হলে কমলা বণের্র ‘সি’ ক্যাটাগরি পাবে। ‘এ+’ এর মানে হচ্ছে রেস্তোরাটি উত্তম, এ মানে ভালো, ‘বি’ মানে গড়পড়তা ভালো এবং ‘সি’ মানে গ্রেড দেওয়া হয়নি। রেস্তোরায় সবুজ স্টিকার দেখলে বুঝতে হবে এখানকার মান এ+ (এ প্লাস) অর্থাৎ উত্তম। কমলা রংয়ের স্টিকার দেখলে বুঝতে হবে এটি অনিরাপদ। এক মাসের মধ্যে কমলা স্টিকারযুক্ত রেস্তোরাগুলো মান ভালো না করলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে ।
যাঁরা খাবার খেতে যাবেন- তাঁরা রেস্তোরায় প্রবেশের সময় স্টিকার দেখেই জেনে নিতে পারবেন, এখানকার ভেতরের পরিবেশ পরিস্থিতি কেমন। হলুদ স্টিকারধারী রেস্তোরাকে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে তাদের মান ও গ্রেড উন্নতির জন্য। একইভাবে কমলা বণের্র রেস্তোরাকে গ্রেডিং বাড়ানোর জন্য এক মাস সময় দেয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা না হলে, হোটেল-রেস্তোরার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
গত বছর এই কার্যক্রমের পরীক্ষার উদ্বোধন করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন ও সচিবালয় এলাকায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই উদ্যোগ চালু করা হয়েছিল। আজকের অনুষ্ঠানে মোট ১৩টি ‘এ’, ৯টি ‘বি’ এবং ৭টি সি গ্রেডের স্টিকার দেয়া হয়।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতির নের্তৃবৃন্দ, বেকারি ও মিষ্টির দোকানের মালিকগণ প্রমূখ।
#
সুমন/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/শামীম/২০১৯/১৬৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৪২
শীতকালীন সতর্কতা
ঢাকা, ৭ পৌষ (২২ ডিসেম্বর):
শীতের সময় মানুষের সর্দি-কাশি, টনসিলাইটিস, নিউমোনিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট, আর্থ্রাইটিস বা বাতব্যথা, হার্টের সমস্যার প্রকোপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে শিশুদের অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, ব্রংকিওলাইটিসসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সেই সঙ্গে শীতে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার জন্য বেড়ে যায় সর্দি, কাশি, হাঁচির মতো নানা রোগের প্রকোপ। শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জিজনিত রোগের মাত্রাও বাড়ে। এ সময় শরীরে রোগব্যাধি বাসা বাঁধার আগেই সতর্ক হওয়া জরুরি।
বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের প্রচন্ড শীত মোকাবিলায় নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ পরামর্শ দিয়েছেন :
# ঠাণ্ডা খাবার ও পানীয় পরিহার করা আবশ্যক। কুসুম কুসুম গরম পানি পান করা ভালো, হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা উচিত;
# প্রয়োজনমতো গরম কাপড় পরা, তীব্র শীতের সময় কানঢাকা টুপি পরা এবং গলায় মাফলার ব্যবহার করতে হবে। গরম কাপড় দিয়ে শিশুদের মাথা ঢেকে রাখলে শরীরের সঠিক তাপমাত্রা বজায় থাকবে;
# হাত ধোয়ার অভ্যাস করা, বিশেষ করে চোখ বা নাক মোছার পরপর হাত ধোয়া প্রয়োজন;
# সম্ভব হলে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ঘর থেকে বাইরে বের না করাই উত্তম;
# শিশু ও বয়স্কদের সব সময় হাত ও পায়ের মোজা পরিধান করা বাঞ্ছনীয়। প্রয়োজনে গরম পানি ব্যবহার করা জরুরি;
# শীতবস্ত্র, লেপ-তোশক নিয়মিত রোদে দিতে হবে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাইন খাওয়াতে হবে;
# সহনীয় গরম পানিতে শিশুকে গোসল করানো উত্তম;
# সুস্থ শিশুকে সর্দি-কাশি, ব্রংকিওলাইটিস, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর কাছে যেতে দেওয়া যাবে না;
# সুষম ও পুষ্টিকর খাবার ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ গ্রহণ করতে হবে;
# শীতের শুষ্কতায় অনেকের ত্বক আরও শুষ্ক হয়, ত্বক ফেটে যায় এবং চর্মরোগ দেখা দেয়। হাত ও পায়ের তালু এবং ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে হবে। ত্বকের সুরক্ষায় ময়েশ্চারাইজার যেমন : ভ্যাসেলিন, গ্লিসারিন, অলিভ অয়েল ও সরিষার তেল ব্যবহার করা আবশ্যক;
# আগুন পোহাতে সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে;
# যেখানে-সেখানে কফ, থুথু বা নাকের শ্লেষ্মা ফেলা যাবে না;
# হাঁপানির রোগীরা শীত শুরুর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রতিরোধমূলক ইনহেলার বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন;
# যাদের অনেক দিনের শ্বাসজনিত কষ্ট আছে, তাদের ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোক্কাস নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া উচিত। অ্যাজমা প্রতিরোধে অবশ্যই ধুলোবালি থেকে দূরে রাখতে হবে;
# শৈত্য প্রবাহ সামাল দিতে সবসময় গরম কাপড় পরা এবং শীতল বাতাস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
#
অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০১৯/১৫৩০ ঘণ্টা