Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ মে ২০২০

তথ্যবিবিরণী - ০৬ মে ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৬২৮

ভারত বাংলাদেশকে ৩০ হাজার করোনা শনাক্তকরণ কিট দিল

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

          ভারত বাংলাদেশকে ৩০ হাজার করোনা শনাক্তকরণ কিট মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রেরণ করেছে। আজ ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করে এ কিট হস্তান্তর করেন।

          এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে করোনা চিকিৎসায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক, ১৫ হাজার হেড কাভার, ৫০ হাজার সার্জিক্যাল গ্লাভ্‌স এবং ১ লক্ষ Hydroxychloroquine প্রেরণ করা হয়।

          ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশের ফেনী নদী সীমান্ত দিয়ে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করানোর চেষ্টাকে অনাকাঙ্খিত বলে এসময় ড. মোমেন উল্লেখ করেন । তিনি বলেন, এধরনের ঘটনা দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে সে বিষয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সতর্ক করার অনুরোধ করেন।

          ভারত থেকে আমদানিকৃত মালামালসহ পেট্রোপোল সীমান্তে আটকে থাকা ট্রাকসমূহ বাংলাদেশে দ্রুত প্রবেশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেন। ড. মোমেন বলেন, ট্রাকসমূহ আটকে থাকায় বাংলাদেশি আমদানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এসময় রেলপথে উভয় দেশের মালামাল পরিবহনের বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয় দেশের আমদানি ও রফতানিকারকদের সমস্যা দূর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।  ড. মোমেন উল্লেখ করেন, ভারত থেকে আসা ৬১ জন ড্রাইভার ও তাদের সহযোগীকে মানবিক কারণে বাংলাদেশ সরকার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তাদেরকে দ্রুত ভারতে ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

          পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছে বাংলাদেশে ও ভারতের নাগরিক। যে সব দেশে উভয় দেশের শ্রমিকরা আর্থিক ও খাদ্য সংকটে আছে তাদের সহযোগিতায় উভয় দেশ একত্রে কাজ করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। যদি কোন শ্রমিক দেশে ফেরত আসে তবে তারা যেন কমপক্ষে ৬ মাসের বেতনের সমপরিমাণ আর্থিক সহায়তা পায় সে বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবকে ভারতের হাইকমিশনার স্বাগত জানান। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে সাম্প্রতিক  বৈঠকে দেয়া ‘Covid-19 recovery & Response fund  গঠনের প্রস্তাবের বিষয়ে উল্লেখ করেন। সাম্প্রতিক অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের ন্যাম (NAM) সম্মেলনেও ড. মোমেন ফান্ড গঠনের একই প্রস্তাব তুলে ধরেন, যেখানে ২০ জন রাষ্ট্রপতি, ৭ জন প্রধানমন্ত্রী ও ১০ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেন ।  এ ফান্ডে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা আর্থায়ন করবে বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ প্রস্তাবের সাথে ভারতের হাইকমিশনার একাত্বতা প্রকাশ করেন।

          বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

          এ সময় রীভা গাঙ্গুলি জানান, বাংলাদেশি ডাক্তারদের জন্য ভারত একটি ই-আইটিইসি কোর্সের আয়োজন করছে। এই কোর্সটি ১২-১৩ মে ২০২০ পর্যন্ত ভূবনেশ্বরের অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS) কর্তৃক বাংলাভাষায় পরিচালিত হবে।

#

তৌহিদুল/মাহমুদ/নাসির/রেজাউল/২০২০/২১১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর :  ১৬২৭

সংসদ সদস্য হা‌বিবুর রহমা‌ন মোল্লার মৃত্যুতে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের শোক

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

          ঢাকা-৫ আস‌নের সংসদ সদস্য হা‌বিবুর রহমা‌ন মোল্লার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন  আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; ডাক ও  টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার; প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ; শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।  

          মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা তাঁদের শোক বার্তায় প্রয়াত সংসদ সদস্যের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

#

রেজাউল/মাহমুদ/নাসির/রেজাউল/২০২০/১৯৫০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ১৬২৬

সকলের জন্য খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে সরকার

                                      -- শিল্প প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

          করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সরকার সকলের জন্য খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, করোনার দুর্যোগে নিম্নবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের নিকটও সরকার খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছে। 

          শিল্প প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকার মিরপুর ১৩ নম্বরে রোটারি উচ্চ বিদ্যালয়ে খাদ্য ও স্বাস্থ্য-সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণকালে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় এ কথা বলেন। করোনা পরিস্থিতিতে আয়-রোজগারহীন মানুষদের জন্য শিল্প প্রতিমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত পক্ষ হতে মিরপুরে চলমান ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ ১৪নং স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় ২শ' পরিবারের মাঝে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১টি সাবান ও ১টি হ্যান্ড স্যনিটাইজার বিতরণ করা হয়।

          এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের নিবিড় তত্ত্বাবধানের ফলে হাওরাঞ্চলের বোরো ধানকাটা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে দেশে ধান-সহ অন্যান্য খাদ্যশস্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত আছে। 

          তিনি বলেন, করোনার কারণে পৃথিবীর সব দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতির সকল খাতকে সক্রিয় ও গতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনার বাস্তবায়ন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সকল প্রণোদনায় কোন অনিয়ম হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। ত্রাণ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ত্রাণ বিতরণে যেখানেই অনিয়ম হচ্ছে, সেখানেই সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। 

          পরে শিল্প প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ স্টাফ কোয়ার্টারবাসীদের নিকট পৌঁছে দেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য ইসমাইল হোসেন, কাফরুল থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম, ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  

#

মাসুম/মাহমুদ/নাসির/রেজাউল/২০২০/১৭৪৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর :  ১৬২৫

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার অসহায় ক্রীড়াবিদকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবে

                                                              -- ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

          সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো ক্রীড়াঙ্গনের অনেকে করোনাভাইরাস দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষ করে অসহায় ক্রীড়াবিদরা। বিভিন্ন ব্যক্তি ও ফেডারেশন নিজের মতো করে অসহায় ক্রীড়াবিদদের সহায়তা করে আসছে। এবার সরকার এগিয়ে এসেছে অসহায় ক্রীড়াবিদদের তালিকা করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর।

          করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ক্রীড়াবিদদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে সভায় বসেছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রাথমিকভাবে ২৭ ফেডারেশনের ১ হাজার ক্রীড়াবিদকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদানের।

          সভা শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন,‌'পুরো বিশ্ব আজ স্থবির। পুরো বিশ্ব এখন আতঙ্কিত। এক সঙ্গে এত মানুষ ঘরবন্দী-এমন দূযোর্গ বিশ্ববাসী আগে দেখেছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। এই দুর্যোগে সকল মানুষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ক্রীড়াঙ্গন তার বাইরে নয়। ভাইরাসটি এমন সময় আক্রমণ করেছে যখন সব ধরনের খেলাই চলছিল। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলা, যেগুলো থেকে খেলোয়াড়দের বছরের একটা আয়ের উৎস। খেলা বন্ধ হওয়ার কারণে সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে, গত ২৮ এপ্রিল যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে  এ নিয়ে  সভা করেছিলাম। আজ দ্বিতীয় সভা করলাম।’

          প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘মানবিক সহায়তাগুলো কয়েক স্তরের দেয়ার চিন্তা করছি। প্রথম ধাপে আমরা বিভিন্ন ফেডারেশন থেকে প্রায় ১ হাজার অসহায় ক্রীড়াবিদদের সহায়তা দেবো। প্রথম ধাপে ২৭ ফেডারেশন থেকে যাদের সহায়তা না দিলেই নয় তাদের তালিকা আনছি। প্রত্যেককে আমরা ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছি। ৬৪ জেলাকে আমরা চিঠি দিচ্ছি। করোনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে এককালীন ২৪ হাজার টাকা প্রদান করবো। তাতে ক্রীড়াবিদরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।’

#

আরিফ/মাহমুদ/নাসির/রেজাউল/২০২০/১৭২২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ১৬২৪

সংসদ সদস্য হা‌বিবুর রহমা‌ন মোল্লার মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

          ঢাকা-৫ আস‌নের সংসদ সদস্য হা‌বিবুর রহমা‌ন মোল্লার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  

          আজ রাজধানীর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

          তথ্যমন্ত্রী তার শোক বার্তায় প্রয়াত সংসদ সদস্যের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। 

#

আকরাম/মাহমুদ/নাসির/রেজাউল/২০২০/১৬৫৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর :  ১৬২৩

 

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১ হাজার ১শত কোটি টাকা সিড মানি চেয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়

 

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

            করোনা পরিস্থিতিতে (ক্ষুত্র মাঝারী শিল্প) এসএমই খাতের জন্য ঘোষিত প্যাকেজে ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতা বহির্ভূত অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তার জন্য সিড মানি হিসেবে ১ হাজার ১শত কোটি টাকা চেয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সিড মানি দিয়ে অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশন পাঁচশত কোটি ও বিসিক ছয়শত কোটি টাকার ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। কোভিড-১৯’র প্রাদুর্ভাবের কারণে অতিক্ষুদ্র  ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা অপেক্ষাকৃত বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে শিল্প মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শিল্প মন্ত্রণালয় ৩০ এপ্রিল এ সংক্রান্ত একটি পত্র  অর্থ মন্ত্রণালয় বরাবর প্রেরণ করেছে।   

            পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ৫ এপ্রিল এসএমই খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার প্রেক্ষিতে এ খাতের প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ১৩ এপ্রিল একটি পরিপত্র জারি করে। পরিপত্র অনুযায়ী বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে ইতিপূর্বে ঋণ গ্রহীতারা বিশেষ সুবিধা পাবে। 

            পত্রে আরও বলা হয়, এসএমই খাতের জন্য  প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদান, করোনা পরিস্থিতিতে এসএমই খাতের সামগ্রিক বিষয় পর্যবেক্ষণ, করোনা পরবর্তী সময়ে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও কুটির এবং মাঝারি শিল্প খাতের শিল্প উদ্যোক্তা, শ্রমিক এবং সাপ্লাই চেইনের সাথে জড়িতদের মূলধারায় ফিরিয়ে আনা এবং এ খাতসংশ্লিষ্টরা কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করার জন্য ‘এসএমই খাত উজ্জীবন সংক্রান্ত কমিটি’ গঠন করা হয়। ১৬ এপ্রিল গঠিত শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ ও সুপারিশমালা তৈরির দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এসএমই খাত উজ্জীবন সংক্রান্ত কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন-সহ এসএমই খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট  ট্রেডবডিসমূহ, যেমন: বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি (বিইআইওএ), জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব) ও এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

            ২২ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ‘এসএমই খাত উজ্জীবন সংক্রান্ত কমিটি’র ১ম সভায় জানানো হয়, বর্তমানে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে প্রায় ১৫ শতাংশ উদ্যোক্তা বর্তমানে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছেন। অবশিষ্ট ৮৫ শতাংশ উদ্যোক্তা আনুষ্ঠানিক ঋণ কার্যক্রমে জড়িত নন এবং তারা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় আনুষ্ঠানিক হিসাব সংরক্ষণে অভ্যস্ত নন। করোনার প্রাদুর্ভাবের সংকটকালে বেঁচে থাকার জন্য অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও তাদের সাথে সম্পৃক্তদের বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন। সভায় এসকল অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার জন্য অতি জরুরি ভিত্তিতে সিড মানি সংগ্রহ করে এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিসিকের উদ্যোগে বিশেষ ঋণ কর্মসূচি পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে বিশেষ ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিসিকের অনুকূলে মোট ১ হাজার একশ’ কোটি টাকা সিড মানি হিসেবে বরাদ্দ প্রদানের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় ৩০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয় বরাবর পত্র প্রেরণ করে। 

            উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৯ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ৪৬ হাজার ২৯১টি উৎপাদন ইউনিটের মধ্যে ৮৭ শতাংশই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প। বর্তমানে দেশের উৎপাদন খাতের ৩৩ শতাংশ উৎপাদন করে থাকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং এ শিল্পের সাথে ১৩ লাখ ৯১ হাজার শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছেন।

#

 

মাসুম/মাহমুদ/নাসির/রেজাউল/২০২০/১৭১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ১৬২২  

অস্ত্রের প্রতিযোগিতা নয়, হোক মানুষকে সুরক্ষার প্রতিযোগিতা

সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন

                                            -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

            ‘বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা মহামারীর মধ্যে সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ। 

            সবকিছু লকডাউন হলেও গণমাধ্যম খোলা থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত দেশে প্রায় ৬০ জন গণমাধ্যমকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং আমি আমার প্রিয় বন্ধুপ্রতীম সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনকে হারিয়েছি।’

            আজ ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ’তে ডিজইনফেকশন চেম্বার উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

            অনুষ্ঠানের শুরুতে দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার সদ্যপ্রয়াত নগর সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খোকন স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় প্রয়াত খোকনের আত্মার শান্তি ও করোনা-আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থতা প্রার্থনা করেন মন্ত্রী। 

            সাংবাদিকদের প্রতি গভীর মমতার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, আমি সবসময় মন্ত্রী ছিলাম না বা থাকবো না, কিন্তু আমি সবসময় সাংবাদিকদের সাথে ছিলাম। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আমি সকল সাংবাদিকের করোনা পরীক্ষার বিশেষ ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করেছি, তারা সে ব্যবস্থা করেছে। বিশেষ বুথের জন্যও আমি তাদের তাগাদা দেবো। 

            ‘সেইসাথে দুস্থ সাংবাদিকদের জন্য আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব কিছু করার চেষ্টা করছি, শিগগিরই কিছু করতে পারবো বলে আশা করি’, জানান তথ্যমন্ত্রী। 

            মন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, ‘বিশ্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে মেডিকেল গবেষণায় যে অর্থ ব্যয় হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি ব্যয় হয় সামরিক খাতে। কিন্তু সমগ্র বিশ্ব আজ এক অদৃশ্য শত্রুর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত, যেখানে শুধু মাস্ক, স্যানিটাইজার আর জীবাণুনাশক নিয়েই আমাদের কাজ করে যেতে হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, এখনো কি আমরা অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় থাকবো, না কি সম্মিলিতভাবে মানব সমাজের জন্য কাজ করবো?’

            আর অস্ত্রের প্রতিযোগিতা নয়, সবাই মিলে মানুষের সুরক্ষার জন্য কাজ করাই হোক পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের ব্রত, আশা প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।

            মন্ত্রী এ সময় করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক রূপ তুলে ধরে বলেন, এটি কোনো জাতীয় দুর্যোগ নয়, এটি বৈশ্বিক মহামারী। এ সময় মানুষ যেনো হতাশাগ্রস্ত হয়ে না পড়ে, সেজন্য আপনারা আশাব্যঞ্জক সংবাদ পরিবেশন করুন।

            এ প্রসঙ্গে সরকারের কর্মতৎপরতার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষা, অর্থনৈতিক প্রণোদনাসহ দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষকে সরকারি সহায়তার আওতায় এনে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা আজ সমগ্র বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস এমনকি দি ইকনোমিস্ট-ও প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।  

            তথ্যমন্ত্রীর অনুরোধে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী অনুষ্ঠানে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দের কাছে এন্টিসেপটিক সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার হস্তান্তর করেন। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সুজিত রায় বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশে যখন যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই ত্রাণ ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

            ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিজইনফেকশন চেম্বার প্রদানকারী সংগঠন ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট অভ্‌ বাংলাদেশ-এনআইবি'র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও ডিআরইউ সহসভাপতি নজরুল কবীর। ডিআরইউ'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী, দৈনিক বর্তমানের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মোতাহার হোসেন প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  

#

আকরাম/মাহমুদ/নাসির/রেজাউল/২০২০/১৬৪৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ১৬২১

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

          ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় গতকাল পর্যন্ত ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪শত ৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৭২ কোটি ৫৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে । ‌

          রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৭৯০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৭২৯ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৪০৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জন-সহ এ পর্যন্ত এ রোগে ১৮৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

          দেশে মোট ৩১টি প্রতিষ্ঠানে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ১৯ লাখ ৩০ হাজার ২৫৪টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে, তার মধ্যে মোট বিতরণ করা হয়েছে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮২টি এবং ৩ লাখ ৮০ হাজার ৭৭২টি মজুত আছে।

          সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে।

#

 

তাসমীন/মাহমুদ/গিয়াস/নাসির/রেজাউল/২০২০/২০৫৪ ঘণ্টা

2020-05-06-21-22-3a77574d7afdb147a358e98023d6feb5.docx 2020-05-06-21-22-3a77574d7afdb147a358e98023d6feb5.docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon