Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ এপ্রিল ২০২১

তথ্যবিবরণী ২৫ এপ্রিল ২০২১

Handout                                                                                                                              Number : 1958

Decisions about cross-border movements of humans and goods between Bangladesh and India through land ports in the backdrop of the worsening covid-19 situation

 Dhaka, 25 April :

Following decisions have been taken in an inter-ministerial meeting chaired by the Foreign Secretary (Senior Secretary) and attended by. High Commissioner of Bangladesh to India; Secretary, Security Services Division, Ministry of Home Affairs; Secretary (East), Ministry of Foreign Affairs; Additional Secretary, Cabinet Division; and representatives of PMO, Ministry of Foreign Affairs, Ministry of Home Affairs, Ministry of Health and Family Welfare, Ministry of Commerce, BGB and Bangladesh Missions in Kolkata and Agartala:

  1.    From 6 am of 26 April 2021 to 6 pm of 9 May 2021, general movements of humans between Bangladesh and India will temporarily stay suspended through the land ports.

 

2.   The Bangladeshi citizens currently traveling to India for treatment and having visas with validity for less than 15 days could enter Bangladesh through only Benapole, Akhaura and Burimari after taking permission from Bangladesh Missions in New Delhi, Kolkata, and Agartala and with a mandatory Covid-negative certificate done through PCR test within seventy-two hours of entry. People entering Bangladesh through this process would have to stay officially quarantined for two weeks. Except for the aforementioned three land ports, all kinds of human movements through all other land ports between the two countries would completely stay suspended for two weeks.

 

3.    The vehicles carrying imported goods from India would have to be properly sterilized before entering Bangladesh borders. The concerned drivers and helpers would have to observe the Covid-19 safety protocol strictly.

 

4.   Railroads would be encouraged for export and import of goods between the two countries in this period.

 

5.   Bangladesh Missions in New Delhi, Kolkata and Agartala would convey the relevant information in this regard to the concerned authorities in India in the light of the friendly relations between the two countries.

The above decisions would be in effect for two weeks and would be revised in due time. It may here be mentioned that Bangladesh is operating special flights to Saudi Arabia, UAE, Kuwait, Bahrain and Singapore to facilitate departure of expatriate workers to those countries.

#

 

Tohidul/Roksana/Sanjib/Shamim/2021/2220 hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ১৯৫৭

সোনার বাংলা গড়ার পথে একটি অন্যতম পাথেয় তথ্য-প্রযুক্তি

                                                          -পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল):   

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে জাতির পিতার  স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে একটি অন্যতম পাথেয় তথ্য-প্রযুক্তি। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের বলিষ্ঠ ও দৃঢ় নেতৃত্বে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত ‘বৈঠক’ অ্যাপের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন। দেশের নিজস্ব কারিগরি কুশলতায়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ব্যবস্থাপনায় ‘বৈঠক’ অ্যাপটি জুম বা অন্যান্য ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।

          এসময় মন্ত্রী বলেন, বিদেশি সাহায্যনির্ভর অর্থনীতি থেকে বাংলাদেশ রপ্তানি ও বৈদেশিক আয়নির্ভর অর্থনীতির রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে দেশ এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। সেজন্য প্রয়োজন কৃষি, শিল্প, সেবা, তথ্য প্রযুক্তিসহ সকল খাতে সাফল্যের ধারা বজায় রাখা।

          ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্বের কাছে স্বীকৃত এবং এ বিষয়ে  সম্প্রতি ১৪৭টি দেশের রাষ্ট্র প্রধান ও সরকার প্রধান ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। দেশে উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকার গুরুত্বারোপ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন ।

          মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনা আছে, সম্পদ আছে এবং স্পৃহা আছে। আছে সঠিক দিকনির্দেশনা ও সুযোগ্য নেতৃত্ব। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে রাষ্ট্রের সবগুলো অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে একযোগে ও এক লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, এখন বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। আইসিটি খাত থেকে প্রতি বছর দেশ এক বিলিয়ন ডলার আয় করছে। ২০২৫ এর মধ্যে এই সংখ্যা পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

          ড. মোমেন বলেন, উন্নত দেশ হবার পাশাপাশি জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়া সরকারের লক্ষ্য। আর এই সেবা নিশ্চিত করতে দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের সাথে ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থাকেও যুগোপযোগী করতে হচ্ছে এবং সেই পথে এগিয়ে যাবার একটি চমৎকার  উদাহরণ এই ‘বৈঠক’ প্লাটফর্ম।

          তথ্য-প্রযুক্তির নতুন নতুন মাত্রার সাথে শামিল হতে জনগণের দক্ষতা উন্নয়ন এখনই দরকার। জীবনের সকল ক্ষেত্রে, সকল কর্মযজ্ঞে, সকল বিষয়ে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার যদি সঠিকভাবে করা না যায়, তবে এর বহুমাত্রিক উপযোগিতা থেকে দেশ বঞ্চিত হবে এবং এর খেসারত দেবে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

          উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

 #

তৌহিদুল/সাহেলা/সঞ্জীব/শামীম/২০২১/১৯৪১ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                           নম্বর : ১৯৫৬

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

 ‌          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১ হাজার ৯২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৯২২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩২২ জন।

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১ জন-সহ এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৫৩ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫২ জন।

#

দলিল/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৮৫২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                         নম্বর : ১৯৫৫

 

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৯১ হাজার ৯০ জনের ভ্যাকসিন গ্রহণ

 

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ১ লাখ ৯১ হাজার ৯০ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজে ১৯ হাজার ৫২০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজে ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭০ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। প্রথম ডোজে ১১ হাজার ৭৫৩ জন পুরুষ এবং ৭ হাজার ৭৬৭ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় ডোজে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৭৯ জন পুরুষ এবং ৬৪ হাজার ৮৯১ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।

 

          এ নিয়ে সারা দেশে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বমোট ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা ৮১ লাখ ৪৫ হাজার ২৬৬ জন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজে ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৫৯ জন পুরুষ এবং ২২ লাখ ১০ হাজার ৩৪১ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় ডোজে ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৭০৯ জন পুরুষ এবং ৮ লাখ ২ হাজার ১৫৭ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।                        

 

          উল্লেখ্য, ২৫ এপ্রিল ২০২১ বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সরকার কর্তৃক তৈরিকৃত সুরক্ষা অ্যাপে মোট ৭২ লাখ ২৪ হাজার ৩০৭ জন  ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন।

 

#

 

মিজানুর/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯০৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                            নম্বর : ১৯৫৪

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ বিডিএস

কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা ১১ জুন

 

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

 

          ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ বিডিএস কোর্সের সকল সরকারি ও বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ/ ডেন্টাল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কোভিড-১৯ মহামারির ২য় ঢেউজনিত কারণে ৩০ এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দের পরিবর্তে আগামী ১১ জুন, ২০২১ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত হবে।

          আজ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

 

#

মাইদুল/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৮৫৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১৯৫৩

দ্বিতীয় ঢেউ কেন হলো তা বুঝতে পারলে তৃতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা মিলবে

                                                                           -স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল):   

          স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার প্রথম ঢেউ সরকার যথেষ্ট দক্ষতার সাথে সামলে নিয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে যখন করোনার মৃত্যু ৩/৪ জনে নেমেছিল তখন মানুষ ভেবেছিল করোনা দেশ থেকে চলে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষ অনীহা দেখাচ্ছিল। কক্সবাজার, সিলেটসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ২৫/৩০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ভ্রমণ করেছে। অধিকহারে বিয়ে অনুষ্ঠান, পিকনিকসহ নানা রকম সামাজিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। দেশে এসব কারণেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। দিনে প্রায় শত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সময়মতো সরকার লকডাউন ঘোষণা করায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হয়তো অচিরেই কমে যাবে। তবে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর কারণ সম্পর্কে সচেতন না হলে সামনে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে আসবে এবং তৃতীয় ঢেউ আরো ভয়াবহ হয়ে দেখা দিতে পারে। এ কারণে করোনার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে, দেশের প্রতিটি মানুষকে করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

          আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত অনলাইন জুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

          দেশে মাত্র ২টি জেলা বাদে সকল জেলা থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ম্যালেরিয়া এখন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দেশে ২০০৮ সালের তুলনায় এখন ৯৩ শতাংশ ম্যালেরিয়া রোগী কমেছে এবং ৯৪ শতাংশ মৃত্যু কমেছে। দেশের মাত্র ২টি জেলায় এখন ম্যালেরিয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে ম্যালেরিয়া পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হবে।

          সিডিসি-এর পরিচালক ডা. নাজমূল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাচিপ-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি Dr. Bardan Jung Rana, গ্লোবাল ফান্ডের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

 #

 

মাইদুল/সাহেলা/সঞ্জীব/শামীম/২০২১/১৮৫৭ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                              নম্বর : ১৯৫২

করোনাকালীন সহায়তা পাবেন আরো দুই হাজার সাংবাদিক

 

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

          আরো দুই হাজার সাংবাদিককে করোনাকালীন সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

          তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. হাছান মাহ্‌মুদ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের জরুরি সভাশেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। করোনা আক্রান্তের পর চিকিৎসাধীন তথ্যসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খাজা মিয়া অনলাইনে সভায় যোগ দেন।

          করোনা মহামারির মধ্যে কর্মরত সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের আত্মার শান্তি, অসুস্থদের সুস্থতা এবং পৃথিবীর করোনামুক্তি কামনা করে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন লকডাউন চলছে, সরকারি ছুটিতে মন্ত্রণালয়গুলো বন্ধ, এর মধ্যেই আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কিভাবে সাংবাদিকদের সহায়তা করতে পারি, সেজন্যই আজকে এই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় আপাতত ২ হাজার সাংবাদিককে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে এককালীন সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া এই অর্থবছরে কল্যাণ ট্রাস্টের নিয়মিত সহায়তার আওতায় আরো প্রায় দুই শতাধিক সাংবাদিককে সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

          ড. হাছান বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে সাংবাদিকদের ভূমিকা এবং অস্বচ্ছল, নানা কারণে চাকরিচ্যুত বা চাকরি থাকা সত্ত্বেও বেতন না পাওয়া সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাক্রমে করোনা মহামারির প্রথম দফায় সারাদেশে দলমত নির্বিশেষে ৩ হাজার ৩শ’ ৫০ জন সাংবাদিককে সহায়তা দেয়া হয়েছে। যে সমস্ত সাংবাদিক বন্ধু প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে সরকারের ওপর বিষোদগার করেন, তাদের মধ্যে অস্বচ্ছলরাও যেন এই সহায়তা থেকে বাদ না যায়, আমার সেই অনুরোধ সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ রেখেছিলেন, এজন্য তাদের ধন্যবাদ।’

          বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী করোনাকালে সাংবাদিকদের যে এককালীন সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এ ধরণের কোনো সহায়তা ভারত-পাকিস্তান-নেপাল-ভুটান-শ্রীলংকা কোথাও দেয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে ড. হাছান জানান, করোনায় কেউ যদি মৃত্যুবরণ করে শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রে ভারতে সহায়তা দেয়া হচ্ছে, কিন্তু করোনাকালে অস্বচ্ছল বা চাকরিচ্যুত হয়েছে এমন কাউকে সেখানে সহায়তা দেয়া হচ্ছে না।

          করোনাকালে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এসময় এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, অনভিপ্রেত ও আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য। আমি জানি, সংবাদমাধ্যমগুলো করোনাকালে অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মতোই নানা সমস্যার সম্মুখীন। কিন্তু বিষয়টাকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার অনুরোধ আমি শুরু থেকেই করেছিলাম। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেটি অনুসরণ করা হয়নি। সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সম্প্রতি যেখানে চাকরিচ্যুতি হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো চেষ্টা করছে। আশা করবো, যাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে পুণর্বহাল করার দিকেই কর্তৃপক্ষ যাবে, এই আমার প্রত্যাশা।

          ভারতের সাথে সীমান্ত বন্ধের জন্য বিএনপি মহাসচিবের প্রস্তাবের বিষয়ে প্রশ্ন করলে  ড. হাছান বলেন, ‘ভারতের সাথে কার্যত সীমান্ত স্বাভাবিক অবস্থায় যেভাবে চালু থাকে সেভাবে চালু নাই। বাংলাদেশের কোনো মানুষ সেখানে যেতে পারছে না। সেখান থেকে বাংলাদেশেও কেউ আসতে পারছে না। কিন্তু পণ্য পরিবহণ চালু আছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দিতে বলেছেন, যাতে বাংলাদেশে পণ্যের সংকট হয়। উনি তো বুদ্ধিমান মানুষ, খুব বুদ্ধি করেই বলেছেন, যাতে দেশে একটি সংকট তৈরি হয়। কার্যত সীমান্ত চালু নাই, শুধু পণ্য পরিবহন চালু আছে।’

চলমান পাতা-২

         

পাতা-২

 

          লকডাউন শিথিল করা বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘সরকার লকডাউন দেয়ার পর লকডাউন না দেয়ার জন্য, দোকান খোলার জন্য বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মানুষের জীবন এবং জীবিকা উভয়ই রক্ষাকল্পে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এবং এ দু’য়ের সমন্বয় করে অত্যন্ত সফলতার সাথে কাজ করার কারণে বাংলাদেশ প্রথম দফা করোনা মহামারির ঢেউ যেমন সফলভাবে মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে একইসাথে অর্থনীতিকে রক্ষা করতেও সক্ষম হয়েছে। মাত্র ২০টি দেশে পজেটিভ জিডিপি গ্রোথ হয়েছে যার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তিন নম্বরে।’

          খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট হচ্ছে এবং দেশে কয়েক কোটি মানুষ দোকানের ওপর নির্ভরশীল, সামনে ঈদ, এগুলো সরকারকে বিবেচনায় রাখতে হয়। সেকারণে সরকার সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এগুলো খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আমি মনে করি, যদি সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করে, তাহলে আমাদের পক্ষে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভবপর হবে।

          সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ ফিজনূর রহমান, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ গোলাম মোস্তফা, ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এস এম মাহফুজুল হক, বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

আকরাম/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৭৫৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ১৯৪৯

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকি

তিনদিনে ২৭৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৯ লক্ষ টাকা জরিমানা

 

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

 

      বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাজধানীসহ সারাদেশে বৃহস্পতিবার থেকে গত তিনদিনে ৯৮টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ২৭৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯ লক্ষ ২১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।

       আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সহ সংশ্লিষ্ট শিল্প বণিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেন। বাজার অভিযানকালে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীবৃন্দের মধ্যে লিফলেট, প্যাম্ফলেট বিতরণসহ হ্যান্ডমাইকে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়।

       এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেটগণ ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষন আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।

#

 

তাহমিনা/পরীক্ষিৎ/সুবর্ণা/বিপু/২০২১/১৫২০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                নম্বর : ১৯৫১

 

হাওরে ধানের ঝুঁকি কমাতে আগাম জাতের ধানের চাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে

                                                                                -  কৃষিমন্ত্রী

 

মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ), ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

 

            কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, হাওরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান হয়, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ ধান কোন কোন বছর আগাম বন্যার কারণে নষ্ট হয়ে যায়। এ ঝুঁকি কমাতে আমরা কাজ করছি। ১৫- ২০ দিন আগে পাকে এমন জাতের ধান চাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, শ্রমিক সংকটের কথা চিন্তা করে, দ্রুততার সাথে  ধান কাটার জন্য হাওরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দেয়া হচ্ছে।

       কৃষিমন্ত্রী আজ কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার সাদরের হাওরে 'বোরো ধান কর্তন উৎসব' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। মিঠামইন উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরে কৃষিমন্ত্রী ধান কাটার উদ্বোধন করেন ও ধান কাটার যন্ত্র ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার’ কৃষকের মাঝে বিতরণ করেন।

            কৃষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন,  হাওরের বিস্তীর্ণ জমিতে বছরে মাত্র একটি ফসল বোরো ধান হয়। এ ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে উচ্চফলনশীল জাতের ধান যেমন ব্রিধান ৮৯, ৯২ উদ্ভাবন করেছে। সরকার এসব উন্নত জাতের হাইব্রিড ধানের বীজ সরবরাহ করবে। এগুলো চাষে কৃষকদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।

            তিনি আরও বলেন, হাওরে চাষযোগ্য জাতের ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য হাওরে ‘ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের' আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলমান আছে।

            ড. রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকবান্ধব। আজকে দিগন্তবিস্তৃত হাওরে সোনার ধানের যে অপরূপ হাসি দেখা যাচ্ছে, দেশের কৃষকের মুখেও সে রকম অমলিন হাসি ধরে রাখতে চায় সরকার। সেজন্য, কৃষিকে লাভবান ও কৃষকের জীবনমান উন্নত করতে সরকার কৃষকদেরকে সার, বীজ, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কমানো ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে ৭০% ভর্তুকিতে কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ বিভিন্ন যন্ত্র কৃষকদেরকে দিচ্ছে।

            কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর, বারির মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

            উল্লেখ্য, এ বছর কিশোরগঞ্জ জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাওরে এক লাখ দুই হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত হাওরের ৫৩% অন্যান্য এলাকার ৩৯% জমির ধান কর্তন হয়েছে। এবছর জেলায় সাত লাখ ১১ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

#

কামরুল/পরীক্ষিৎ/সুবর্ণা/বিপু/২০২১/১৪৫০ ঘণ্টা

 

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                       নম্বর : ১৯৫০

করোনায় মানবিক সহায়তা ৫৭৪ কোটি টাকা, পাবে সোয়া কোটি পরিবার

খাদ্যকষ্টে থাকলে ৩৩৩-এ ফোন করুন, যতদিন প্রয়োজন ততদিন কার্যক্রম চলবে - ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

 

            কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউনের কারণে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তায় সরকার এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান। তিনি জানান, এতে প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমদানি, স্থানীয় ক্রয় এবং বোরো উৎপাদন মিলিয়ে আমরা মজুদের ক্ষেত্রে স্বস্তিকর অবস্থায় আছি। আমাদের খাদ্য সংকট হবে না। সরকারের সামর্থ্য আছে, যতদিন প্রয়োজন আমরা এই মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব। তিনি এসময় জানান, কেউ খাদ্যকষ্টে থাকলে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে তাকে তালিকাভুক্ত করে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। কাউন্সিলদের বলা হয়েছে যে যেখানে থাকুন না কেন খাদ্যকষ্টে থাকলে তাকে এনআইডির ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা দিতে হবে।

            প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে সার্বিক ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে  এসব কথা জানান।
            প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর ফলে বাংলাদেশে চলাচল সীমিতকরণের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারাদেশের কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষজনের জন্য সরকার গত বছর বিপুল পরিমাণ খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছিল। এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তায় সরকার এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

            এনামুর রহমান জানান, সরকার জিআর ক্যাশ দিয়েছে ১২১ কোটি টাকা, ভিজিএফ দিয়েছে ৪৭২ কোটি টাকা। বড় সিটি কর্পোরেশনগুলোকে ৫৭ লাখ টাকা করে, ছোট সিটি কর্পোরেশনগুলো ৩২ লাখ টাকা করে দিয়েছে। পৌরসভায় ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোতেও টাকা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য আরও টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

            এছাড়াও করোনাসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে সব সময় অর্থ বরাদ্দ ও মজুদ রাখা হয়। 'এ' ক্যাটাগরি জেলার জন্য তিন লাখ টাকা, 'বি' ক্যাটাগরির জন্য আড়াই লাখ টাকা এবং 'সি' ক্যাটাগরি জেলার জন্য দুই লাখ টাকা করে সবসময় মজুদ রাখা হয় যা জেলা প্রশাসকগন যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যয় করতে পারেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

            প্রধানমন্ত্রী অতি সম্প্রতি কর্মহীন মানুষকে আর্থিক সহায়তায় ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যামে সরাসরি প্রান্তিক জনগষ্ঠীর মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়াও হিটশকে ক্ষতিগ্রস্থ এক লাখ কৃষক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

            তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণের জন্য সাড়ে ৭ কোটি টাকার প্যাকেটজাত খাবার ক্রয় করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, নুডুলস, চিড়াসহ বিভিন্ন পণ্য আছে। ১০ কেজি চালসহ প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে প্রায় ১৭ কেজি ওজনের খাদ্যসামগ্রী থাকবে যা দিয়ে একটি পরিবারের প্রায় এক সপ্তাহ চলবে বলে আশা করা যায়। আরও ১০ কোটি টাকার খাদ্য সামগ্রী কেনা হবে।

            প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণের জন্য খুব শিগগিরই ৪০ কোটি টাকার ঢেউটিন কেনা হবে জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিআর ও কাবিখা খাতে তৃতীয় কিস্তিতে ৯৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান থাকায় কর্মহীন মানুষ এ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

            কালবৈশাখী, ঘূর্ণিঝড়, এবং বন্যাসহ বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলার জন্য ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

&nb

2021-04-25-16-23-8afd860c1b0676155757fc02ccd5a311.docx