তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১১৪
চট্টগ্রাম বিভাগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ চলমান
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :
চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পুরোদমে চলমান রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা, ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ নগদ সহায়তা, ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা প্রভৃতি কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৬৯২ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬০ জন দুস্থ, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৬৫ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১৫ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১২৪১টি পরিবার।
কক্সবাজার জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে ১ কোটি ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৩০০ টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লাখ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৬৮ লাখ ১৬ হাজার ৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে মোট ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৭৪টি প্রান্তিক পরিবার ও ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩০ জন মানুষ। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬৩৩টি পরিবার। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৮ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৮ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ২৩ হাজার পরিবার ও ৮১ হাজার ৯৫০জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ যাবৎ ২১ হাজার ৫০০ পরিবারের মাঝে ৯৭ লাখ ২০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১০ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১৬,৪৮৮টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ৮৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে অদ্যবধি ২৬ লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকা ৫ হাজার ৭৬৮টি হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৮টি পরিবার।
বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে ৫৪ লাখ টাকা ১০ হাজার ৭১৪টি দুস্থ পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা যার মধ্যে এ যাবৎ ১২ হাজার ৩৭৯টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ৬০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া বান্দরবান জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৭ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৭ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৪২টি পরিবার।
পাতা-২
লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে এ যাবৎ ১৪ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১৩ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
নোয়াখালী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১৮ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৯০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা (নগদ) খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫০ টাকা যার মধ্যে অদ্যাবধি ৬ হাজার ৬৬৬টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৯৪টি পরিবার। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ফেণী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে ৬৫ হাজার ২৫০ টাকা ১০০টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১৬ লাখ ০৮ হাজার ৭৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল লাভ করেছে ৩৬ হাজার ৮০০টি প্রান্তিক হতদরিদ্র পরিবার। তাছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৬ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৬ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মধ্যে ১ কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লাখ ১৩ হাজার টাকার মধ্যে ৬৪ লাখ ৮৯ হাজার ৪৫০ টাকা মোট ৪০ হাজার ৭১টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য নগদ অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে ৪২ লাখ টাকা।তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২ হাজার পরিবার।
চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ২ কোটি ৭২ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ৪৭ হাজার ৬০০টি হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১ লাখ ১ হাজার ২২৫টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় খাতে ৮ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় খাতে আরো ৮ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ১৯ লাখ ২০ হাজার ৪০০ টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে মোট ৩৯ হাজার ৮২৯টি প্রান্তিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।
#
ফয়সল/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১১৩
ময়মনসিংহ বিভাগে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
ময়মনসিংহ, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :
ময়মনসিংহ বিভাগে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মানবিক কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৫১৫টি পরিবারের মাঝে ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে ৭৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৫০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে ৪ হাজার পরিবারের মাঝে ১৮ লাখ টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
#
মাহমুদুল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১১২
রাজশাহী বিভাগে করোনাকালীন সরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :
রাজশাহী বিভাগে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা ও ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাজশাহী জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবেলায় নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ১০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে । ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯০ পরিবারের মাঝে ৭ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
নওগাঁ জেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৮৯ পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ২৫০ পরিবারের মাঝে ৩০৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। ২১ হাজার ৫৫১ পরিবারকে নগদ ২ কোটি ২১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৯৭ হাজার ৭৬০ পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ১০ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯২৮ পরিবারের মাঝে ১৭ হাজার ৭৯৪ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, করোনায় গবাদি পশুকে বাঁচিয়ে রাখতে এ জেলায় ১১ লাখ টাকা গো-খাদ্য হিসেবে বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং দরিদ্র খামারিদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৪ পরিবারের মাঝে ৫ কোটি ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৩০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
নাটোর জেলায় করোনার মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বিভিন্ন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ১ লাখ ১৯ হাজার ৬০০ জনের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া শিশু খাদ্য ও গো খাদ্য হিসেবে শাপলা করে মোট ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা অচিরেই বিতরণ হবে।
বগুড়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ৪০ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯ কোটি ৮৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫০ টাকার ২ লাখ ১৮ হাজার ৫২১ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গো খাদ্য হিসেবে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা অচিরেই বিতরণ হবে।
পাবনা জেলায় আজ জিআর (ক্যাশ) খাতে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা ১ হাজার ৮৪ জনের মাঝে এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে ২০ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫০ টাকার ১৮ হাজার ৪৮৪ জনের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গো খাদ্য হিসেবে ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা অচিরেই বিতরণ হবে।
বিভাগের অন্যান্য জেলাতেও একইভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
#
মারুফ/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১১১
রংপুর বিভাগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে আজ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
কুড়িগ্রাম পৌরসভায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও দরিদ্র-অসহায় ১ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে নগদ ৪৫০ টাকা করে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ১৮৭৫টি পরিবার, নাগেশ্বরী উপজেলায় ৬২৫০টি পরিবার, ফুলবাড়ি উপজেলায় ২৫০০টি পরিবার ও রাজারহাট উপজেলায় ১৮৭৫টি পরিবারের কর্মহীন-দরিদ্র-অসহায় মানুষের মাঝে ৪০০ টাকা করে বিতরণ করা হয়েছে।
নীলফামারী জেলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮০৩টি পরিবারের মাঝে নগদ ৯ লাখ ১ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭টি পরিবারকে শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
আজ দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার ৫০০ গরিব-দুস্থ-অসহায় মানুষকে নগদ ৫শত টাকা করে দিয়েছে উপজেলা পরিষদ।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে জেলায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও গরিব-দুস্থ-অসহায় ২ হাজার ৬৯৮টি পরিবারকে ৪৮৪ টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। এছাড়া ৬৭৮৯টি পরিবারকে নগদ ৪৫০ টাকা করে ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে।
গতকাল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ৬৬৮টি পরিবারকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আটোয়ারী উপজেলায় ৫৫৫টি পরিবারকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় আটোয়ারী উপজেলায় ১১৮০টি পরিবারকে নগদ ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭০০ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
#
রেজাউল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯১৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১১০
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১ হাজার ৯৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৯১৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ জন-সহ এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৭০৫ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩২ জন।
#
হাবিবুর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৫৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১০৯
সরকারের সমালোচক দুস্থ সাংবাদিকের জন্যও সহায়তা
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে):
সরকারের সমালোচনাকারী সাংবাদিক যদি দু:স্থ হন, তার জন্যও কল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তা উন্মুক্ত বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২০-২১ অর্থবছরের সহায়তা চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সচিব খাজা মিয়া বক্তব্য রাখেন। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল মজিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।
সাংবাদিকবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিকাশ নিশ্চিত করেছে ও তা অব্যাহত আছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, 'বাংলাদেশের গণমাধ্যম যে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে, উন্নয়নশীল দেশের জন্য তা নজিরবিহীন। দেশের স্বার্থে, বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেয়া ও রাষ্ট্রের বিকাশের স্বার্থে এটি প্রয়োজন, সে বিশ্বাস নিয়েই আমরা কাজ করছি।'
যে সমস্ত সাংবাদিক আমাদের বিরোধিতা ও সমালোচনা করেন, তাদের জন্যও এই ট্রাস্টের সহায়তা উন্মুক্ত, বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'রাষ্ট্র সবার জন্য। যিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করেন, তিনি যদি দুস্থ হন, আমাদের নীতিমালার মধ্যে পড়েন, এই সহায়তা তার জন্যও উন্মুক্ত এবং এটি আমরা বাস্তবায়ন করেছি।'
তথ্যমন্ত্রী এসময় তার উদ্যোগে রমজানের পূর্বে দেয়া করোনাকালীন বিশেষ বরাদ্দ ২ কোটি টাকা ঈদের আগে সাংবাদিকদের মাঝে বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।
গণমাধ্যম নিয়ে বিএনপি'র অবস্থান প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি’র পক্ষ থেকে নানা সমালোচনা করা হয়, কেউ কেউ বিবৃতি দেয় আবার কেউ কেউ জাতিসংঘের কাছে চিঠি লেখে। সেই চিঠি লেখা আর বিএনপি’র বিবৃতি আসলে একসূত্রে গাথা ও এগুলো বৃহত্তর রাজনীতির একটা অংশ ছাড়া কিছু নয়।'
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার করোনা চিকিৎসা প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, 'তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, আমি তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। করোনাকে পরাভূত করে তিনি আবার সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে যান, এটিই মহান স্রষ্টার কাছে আমার প্রার্থনা।'
একইসাথে বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, করোনার চিকিৎসা সব দেশে একইরকম এবং আমাদের দেশের চিকিৎসা অনেক ভালো। তাই করোনার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়।
পাতা-২
প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান তার বক্তৃতায় সাংবাদিকদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের একাগ্রতার কথা তুলে ধরেন। সচিব খাজা মিয়া এ আয়োজনের জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানান।
এদিন সহায়তাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩০ জনের হাতে চেক হস্তান্তর করেন অতিথিবৃন্দ। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ২০০ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যকে ২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছে ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ।
২০১৪ সালের ৮ জুলাই গেজেটে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৪’ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৯৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যকে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ২৩১ জনকে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ৩০৩ জনকে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ৩৩৯ জনকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা ১৯৯ জনকে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনাকালীন বিশেষ অনুদান হিসেবে ৩ হাজার ৩৩৫ জনকে ১০ হাজার করে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা দেয়া হয়। সবমিলে গত অর্থবছর পর্যন্ত ট্রাস্ট ৪ হাজার ৬৪০ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারকে ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিলে সিডমানি হিসেবে জমা হয়েছে ৪৩ কোটি ৮ লাখ ২৭ হাজার ৮১ টাকা। এছাড়াও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রাস্টকে ১০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন।
#
আকরাম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১০৮
১৮৬টি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে):
আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত দেশের ১৮৬টি উপজেলায় সাড়ে ষোলশত কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
একনেক সভা শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে অনুষ্ঠিত ২৪তম একনেক বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত দেশের ১৮৬টি উপজেলায় সাড়ে ষোলশত কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এটি ক্রীড়াঙ্গনের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বড় সুসংবাদ। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকতা শেষে এ সকল স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ সকল স্টেডিয়াম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও খেলাধুলাকে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নবজাগরণের সৃষ্টি হবে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেশের ১২৫টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
#
আরিফ/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১০৭
খুলনা বিভাগে অসহায় জনগণের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে):
কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে আজ খুলনা বিভাগের খুলনা, যশোর, মাগুরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা ও নড়াইল জেলায় করোনায় কর্মহীন মানুষের মাঝে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে খুলনা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে শহিদ হাদিস পার্কে করোনায় কর্মহীন খুলনা নগরীর পাঁচশত নারী শ্রমিকের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। অনুষ্ঠানে নগরীর ১৬ থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাসকারী পাঁচশত কর্মহীন নারী শ্রমিকের মাঝে চাল, ডাল, আলু, তেল, সবজি ও মুরগির মাংস বিতরণ করা হয়।
যশোর জেলায় অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ২৩ হাজার ৪ শত ৮০টি পরিবারের মাঝে ১ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার ৭ শত টাকার নগদ অর্থ এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪ শত ৬০টি পরিবারের মাঝে ৬ কোটি ২৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকার নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। এছাড়া, ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে ১ হাজার ৪ শত ২০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ হিসেবে ৪ হাজার পরিবারের মাঝে ২০ লাখ টাকার নগদ অর্থ এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজার পরিবারের মাঝে ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে ২০ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলায় ৬ শত ৪১টি পরিবারের মাঝে ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার নগদ অর্থ এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ২ শত ৯৩টি পরিবারের মাঝে ৫ লাখ ৮১ হাজার ৮ শত ৫০ টাকার নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
মাগুরা জেলায় আজ ১ শত পরিবারের মাঝে ৫ শত টাকার মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ৩০টি পরিবারের প্রত্যেককে ৭ কেজি চাল ও ১ কেজি করে ডাল খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
মেহেরপুর জেলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৫০০টি পরিবারের মাঝে ২ লাখ টাকার নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। নড়াইল জেলায় করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ১শত ৬০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ প্রদান করা হহয়েছে।
#
দীপংকর/পাশা/রফিকুল/রেজাউর/২০২১/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১০৬
প্রধানমন্ত্রী আগামী ৬ মে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার
‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ উদ্বোধন করবেন
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে):
আগামী বৃহস্পতিবার ৬ মে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার নবসৃষ্ট ‘চারটি মেরিন একাডেমী; পায়রা বন্দর পুনর্বাসন প্রকল্পের ৫০০টি বাড়ি; বিআইডব্লিউটিএ’র ২০টি ড্রেজার ও ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান, একটি প্রশিক্ষণ ও একটি বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ এবং একটি ড্রেজার বেইজ; বিআইডব্লিউটিসি’র দু’টি যাত্রিবাহী জাহাজ’ উদ্বোধন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করবেন।
অবকাঠামো ও জলযানগুলোর মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার, ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান, প্রশিক্ষণ জাহাজ ‘টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই)’, বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ ‘পরিদর্শী’, নবনির্মিত নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেইজ; বিআইডব্লিউটিসি’র দু’টি উপকূলীয় যাত্রিবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’; পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা আবাসন’ পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট মেরিন একাডেমি।
এসব অবকাঠামো এবং জলযান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নৌসেক্টরের উন্নয়নে নতুন মাত্রা সংযোজন করবে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে তৈরি ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজারসহ শতাধিক নৌযান একসাথে উদ্বোধন বাংলাদেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ নদীর নাব্যতা রক্ষা, নৌপথ উন্নয়ন, উপকূলীয় এলাকার যাত্রী পরিবহণ ও দক্ষ নৌকর্মী গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননে সরকার বদ্ধপরিকর। এলক্ষ্যে ২০টি ড্রেজার এবং ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান প্রস্তুত করা হয়েছে। নৌপথ খনন ও নাব্যতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে ২০টি ড