তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৭৪৪
সবুজ ও সহনশীল বিশ্ব গড়তে উন্নত দেশসমূহকে দৃঢ় সংকল্পে এগিয়ে আসতে হবে
--- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সবুজ ও সহনশীল বিশ্ব গড়তে উন্নত দেশসমূহকে দৃঢ় সংকল্পে এগিয়ে আসতে হবে। পারষ্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বিত উদ্যোগ, আর্থিক সম্পদ সমূহের গতিশীলতা ও প্রযুক্তির শর্তহীন বিনিময় ছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার ঘটবে না। বিষয়টি মাথায় রেখে সহযোগিতার মনোভাব নিয়েই আলোচনা উচিত।
প্রতিমন্ত্রী আজ জার্মানীতে BERLIN ENERGY TRANSITION DIALOGUE ২০২৪-এর Ministerial-level multi-stakeholder roundtable on "Implementing the COP28 decisions in the energy sector-opportunities, barriers, and next steps: The Way Ahead শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেব। তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস হতে উৎপাদন করবে। উন্নত দেশ হতে, আধুনিক গ্রিড ব্যবস্থা ও দক্ষতার উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং উৎকর্ষতার বিনিময় হওয়া প্রয়োজন। জার্মানী, নরায়নযোগ্য প্রযুক্তির প্রসারে বিশেষ করে বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারে। কার্বন নিঃসরণের হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমাতে আন্তর্জাতিক কমিউনিটির সহযোগিতা আবশ্যক। জলবায়ু নিরপেক্ষ পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহারে প্রয়োজন নরায়নযোগ্য জ্বালানির পরিচালনায় আর্থিক সহায়তা এবং আর্থিক সম্পদের গতিময়তা। এসব ছাড়া নরায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়বে না। নরায়নযোগ্য জ্বালানি ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন অপরিহার্য।
গোলটেবিল বৈঠকে জার্মানীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালিনা বারবক (Annalena Baerbock), জার্মানীর অর্থনৈতিক বিষয়ক ও জলবায়ু কার্যক্রম বিষয়ক মন্ত্রী ডঃ রবার্ট হাবেক (Dr Robert Habeck) সহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২১৪০ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৭৪৩
গুণিজনকে সঠিক মর্যাদা দিতে হবে
--- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ):
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, গুণিজনকে আমরা যাতে সঠিক মর্যাদা দিতে পারি, সেই ব্যবস্থা আমরা চালু করেছি। এটা ধরে রাখতে হবে এবং গুণিজনকে সঠিক মর্যাদা দিতে হবে।
আজ ঢাকায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি কর্তৃক বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদকে আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি। তিনি যখন আইন পেশা শুরু করেন তখন আমার পিতা এডভোকেট সিরাজুল হক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। সেই সূত্রে বহুদিন যাবৎ ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সঙ্গে আমার পরিচয়। আমার পরিবারের সঙ্গেও তাঁর ভালো পরিচয় ছিল। আইন বিষয়ে পড়াশোনার সময় তাঁর অভিভাবকত্বও আমি পেয়েছি।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোঃ ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন ফকির ও সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান তারিক চৌধুরী বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২০৪৫ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৭৪২
দুঃখজনক যে বিএনপি জনগণের নয়, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়
--- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটিই দুঃখজনক যে বিএনপি জনগণের কোনো সহযোগিতা চায় না, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের সাহায্য চেয়েছেন’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আর আওয়ামী লীগ সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে গিয়ে বিএনপি নিজেই ধপাস করে পড়ে এখন হাঁটা শুরু করেছে, হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিতরণ করছে। দলটাকে টিকিয়ে রাখা, অস্তিত্ব জানান দেওয়ার জন্যই মঈন খান এ সব কথা বলছেন।
‘শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এবং আওয়ামী লীগের ভিত জনগণের গভীরে প্রোথিত’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিই এখন নড়েবড়ে হয়ে গেছে। তাদের নেতাদের ওপর কর্মীদের কোনো আস্থা নেই। মূল নেতাদের ওপর কেন্দ্রীয় নেতাদের আস্থা নেই। তাদের এখন নেতৃত্বের টানাপোড়েন চলছে।’
এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ‘বরই না খেজুর দিয়ে ইফতার হবে- সেটিও সরকার বলে দেবে’ এমন মন্তব্য করেছেন উল্লেখ করলে মন্ত্রী হাছান বলেন, 'সরকার এটি বলেনি, এটি ব্যক্তিগত অভিমত। বরং সাধারণ মানুষ যাতে সুলভ মূল্যে পণ্যসামগ্রী পায় সে জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা যেন অহেতুক ইফতার পণ্যসামগ্রীরও মূল্য বৃদ্ধি না করতে পারে সে জন্যও নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন রমজানে যেন অহেতুক কোনো ব্যয় না করা হয়, অহেতুক কোনো ইফতার পার্টিও না করা হয় বরং সেই টাকা যেন সাধারণ মানুষের মাঝে দেওয়া হয়। সে হিসেবে আমি আমার এলাকায় এবং সকল সংসদ সদস্য ও নেতৃবৃন্দ যার যার এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছি। তিনি বলেন, অপরদিকে বিএনপি রমজানের প্রথম দিনেই ইফতার পার্টি করে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম বিএনপি কোথাও কোথাও ইফতার পার্টির নামে চাঁদাবাজিও করছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাবিক এবং জাহাজ দুটোকেই মুক্ত করা।
এর আগে মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা খাসিফ আলমুদি (Abdulla Ali Abdulla Khaseif AlHmoudi) সাক্ষাৎ করেন। সে বিষয়ে মন্ত্রী জানান, সম্প্রতি আরব আমিরাতে আমার দ্বিপাক্ষিক সফরে সে দেশের পররাষ্ট্র ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীদ্বয়ের সাথে সামগ্রিক সব বিষয়ে আলোচনার ‘ফলো আপ’ সাক্ষাৎ এটি। ইউএই’র সাথে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। সেখানে এক মালিক হতে অন্য মালিকের অধীনে ‘আকামা’ বা কর্মানুমতি হস্তান্তর সহজ করার বিষয়ে এবং দুবাই ছাড়া অন্য আমিরাতগুলোতে বাংলাদেশিদের ‘ওয়ার্ক পারমিট’ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পাশাপাশি দেশে ইউএই'র বিনিয়োগ বাড়াতে ইকোনমিক জোনগুলোতে আরব আমিরাতকে বিনিয়োগের আহ্বান এবং মাতারবাড়িতে ৩০০ একর জমি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, জানান ড. হাছান।
মন্ত্রী আরো বলেন, গাজায় নির্বিচারে শিশু ও নারী হত্যা চলছেই। গাজা বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কারাগারে পরিণত হয়েছে। এই ঘৃণ্য সহিংসতা বন্ধে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার বিষয়ে একযোগে কাজ করা নিয়ে কথা হয়েছে।
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী যারা দেশে অবস্থান করছে তাদের প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের আগের মতোই ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
#
আকরাম/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০০৫ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৭৪১
বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনাকে বিশ্বের মধ্যে একটি মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে চাই
--- ধর্মমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ):
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের হজ ব্যবস্থাপনাকে স্মার্ট করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হজ এই প্রত্যয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনাকে আমরা বিশ্বের মধ্যে একটি মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে চাই।
আজ ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (হাব) আয়োজিত আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, সরকার হজযাত্রীদের কল্যাণে সম্ভাব্য সকল ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে বদ্ধপরিকর। আল্লাহর মেহমানগণকে আমরা যথাযথ সম্মানের সাথে হজব্রত পালন করানোর জন্য যাবতীয় উদ্যোগ নিতে সদাপ্রস্তুত। এক্ষেত্রে হাবের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, আমাদের হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো দুর্বলতা থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং এর সম্ভাব্য সমাধানের সকল পথ বের করতে হবে। কী কী পদক্ষেপ নিলে হজযাত্রীগণ আরেকটু বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন সেগুলো নিয়ে আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে।
হজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে মোঃ ফরিদুল হক খান বলেন, গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ করে হজ ব্যবস্থাপনায় নানা ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। হজ ও উমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আশকোনা হজক্যাম্প হজযাত্রীদের জন্য উপযোগী করা হয়েছে। ই-হজ ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে। জেদ্দা হজ টার্মিনালে বাংলাদেশ প্লাজা স্থাপন করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে রেকর্ডসংখ্যক ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৩৫ জন হজযাত্রী হজব্রত পালন করেছেন।
হজ ব্যবস্থাপনায় হাবের ভূমিকা তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, এদেশের হজ ব্যবস্থাপনায় হাব একটি বড় অংশীদার। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে হাবের ইতিবাচক ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হজযাত্রায় উদ্বুদ্ধকরণ, হজযাত্রী সংগ্রহ ও হজ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি প্রভৃতিক্ষেত্রে হাবের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আগামীদিনে হজযাত্রীদের কল্যাণে হাবের ভূমিকাকে আরো বেশি ফলপ্রসূ ও কল্যাণমুখী করার জন্য মন্ত্রী হাবের প্রতি অনুরোধ জানান।
হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মতিউল ইসলাম, হাবের মহাসচিব ফারুক আহমেদ সরদার, সিনিয়র সহসভাপতি মওলানা ইয়াকুব শরাফতীসহ হাবের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আবুবকর/পাশা/সায়েম/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৪০
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হলে আমাদেরকে আগে থেকেই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে
--- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ):
আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সভাপতিত্বে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব হ্রাসকরণ ও চিকিৎসাসেবা সুসমন্বিতকরণ বিষয়ক একটি বিশেষ সভা করা হয়েছে। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবি এম আবদুল্লাহ, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএসএমএমইউ এর ভিসি শারফুদ্দিন আহমেদ-সহ মন্ত্রণালয়ের ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের সাথে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্যবৃন্দ। সভার শুরুতে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ও নানাবিধ সমস্যা তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
সভায় সকলের কথা শুনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সমন্বয় সভার পরিসংখ্যানগত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিগত ২৩ বছরে যত ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে গত ২০২৩ সালে এক বছরেই তার থেকে বেশি রোগী আক্রান্ত হয়েছে। অর্থাৎ গত ২৩ বছরে দেশে মোট ডেঙ্গু রোগী ছিল প্রায় আড়াই লাখ। কিন্তু গত ২০২৩ সালে মাত্র এক বছরেই রোগী আক্রান্ত হয় প্রায় ৩ লাখ। এই সংখ্যা শুধু হাসপাতালে ভর্তিকৃতদের। এর বাইরে তো আরও রোগী ছিলই। এতেই বোঝা যায়, ডেঙ্গু রোগী নিয়ে আমাদের এবার আগে থেকেই সতর্ক না হয়ে কোন উপায় নেই। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হলে একদিকে যেমন মশা মারতে হবে, আবার অন্যদিকে প্রাদুর্ভাব কমাতে আগে থেকেই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। সবার আগে আমাদের নিজ নিজ এলাকার কমিউনিটি সম্পৃক্ততা ও সচেতনতা বাড়াতে হবে। মশা মারার জন্য ওষুধ যেমন মানসম্পন্ন কিনতে হবে তেমনি আমাদেরকে ভালো ট্রিটমেন্ট ব্যাবস্থাও রাখতে হবে। তবে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আজ থেকে যেভাবে উদ্যোগ নেওয়া শুরু হলো, এটিকে চলমান রেখে সব সেক্টরকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে লক্ষ্য করে বলেন, সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে লার্ভার তথ্য জানতে হবে। নিয়ম না মানলে জরিমানার ব্যাবস্থা করতে হবে। দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় যারা বাধা হবে তাদেরকে জরিমানা করাসহ আরো কঠোর নিয়ম হাতে নিতে হবে।
সভায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিণের মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত সব রোগীর সময় মতো চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। কোন রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পাঠানো যাবে না। ২০২৩ সালের ডেঙ্গুতে নারী ও শিশু বেশি কেন মারা গেল সেটি নিয়ে গবেষণা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর, মানুষকে সঠিক তথ্য জানাতে হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করতে আমাদেরকে এক হয়ে মাঠে নেমে কাজ করতে হবে। কোন ভেদাভেদ যেন আমাদের মধ্যে না হয়। করোনা যেভাবে আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করেছি, ডেঙ্গুও আমরা এক হয়ে সমন্বিতভাবে প্রতিরোধ করবো। একই সাথে এ বছর ওষুধ কিনতে আরো বেশি সতর্কতা অবলম্বন করে পরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই করে আমাদেরকে ওষুধ কেনার উদ্যোগ নিতে হবে।
সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত মিডিয়া কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
#
মাইদুল/ পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৭২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৩৯
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শনে ভিক্টোরিয়া
খুলনা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ):
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)'র শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া আজ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার উপকূলীয় কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের নোয়ানি গ্রামের যজ্ঞমন্দির এলাকায় ইউএনডিপি, ইউএনসিডিএফ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও সুইডেন সরকারের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন পরিচালিত লজিক প্রকল্পের আওতায় নির্মিত রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম পরিদর্শন করেন।
ক্রাউন প্রিন্সেস এসময় স্থাপিত হওয়া ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম থেকে স্থানীয় মানুষদের লবণমুক্ত সুপেয় পানি সংগ্রহ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেমের উপকারভোগীদের সাথে সংক্ষিপ্ত সময় মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে উপকারভোগীরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ততা সমস্যার কারণে অতীতে পানযোগ্য পানির সংকটের কথা তুলে ধরেন। তারা জানান, আগে গ্রামীণ উৎস হতে পরিবারের পানযোগ্য পানি সংগ্রহের জন্য নারীদের বাড়ি থেকে দূরে যেতে হতো আবার অনেক সময় লবণমুক্ত পানি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়তো। এখন নতুন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম হওয়ার পরে সহজেই লবণমুক্ত বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাচ্ছে।
ক্রাউন প্রিন্সেস একই ইউনিয়নের শিকারিপাড়া এলাকায় লজিক প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু সহনশীল জীবিকায়নের অংশ হিসেবে ভেড়া পালন, মৎস্য চাষ এবং জলবায়ু ও জীবিকা উন্নয়ন সমবায় সমিতির মধু বিপণন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তিনি কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অবস্থিত ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার পরিদর্শন করে ডিজিটাল সেন্টার হতে সেবাগ্রহীতারা কীভাবে সেবা পান তার সম্যক ধারণা লাভ করেন।
#
আতিক/পাশা/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৬৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৩৮
খুলনার কয়রায় স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট অভ্ পোস্ট অফিস উদ্বোধন করেন ক্রাউন প্রিন্সেস
খুলনা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ):
আজ খুলনার কয়রায় বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট অভ্ পোস্ট অফিস উদ্বোধন করেন ক্রাউন প্রিন্সেস। ক্রাউন প্রিন্সেসের সফরকালে সুইডেনের Minister for International Development Cooperation and Foreign Trade Mr. Johan Forssell, বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তাঁর সাথে ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টার যোগে কয়রা ত্যাগ করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের জন্য যে কার্যক্রমগুলো হাতে নেয়া হয়েছে সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস সেগুলোর মধ্যে স্মার্ট ডাক সার্ভিস পয়েন্ট পোস্ট অফিস উদ্বোধন করলেন। সরকার দেশের সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন, তিনশত ১৯টি পৌরসভা ও সকল সিটি কর্পোরেশনে ডিজিটাল সেন্টার চালু করেছে। এসকল সেন্টার থেকে প্রতি মাসে প্রায় এককোটি মানুষ সেবা গ্রহণ করছেন। যার মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থা প্রণয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের আট হাজার ডাকঘরকে মেইল ডেলিভারি সেন্টার থেকে সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টারে রূপান্তর করতে চান। তারই অংশ হিসেবে আমরা আজ একটি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট অভ্ পোস্ট অফিস হিসেবে উদ্বোধন করলাম।
#
আতিক/পাশা/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২০০৫ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৭৩৭
রাজউক, ইউডিডি ও এইচবিআরআই এর বিদ্যমান সমস্যা
নিরসন ও কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধির আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ):
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী রাজউক, ইউডিডি ও এইচবিআরআইয়ের বিদ্যমান সমস্যা নিরসন ও কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংস্থা তিনটির সাথে পৃথক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর (ইউডিডি) ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার ও পরিকল্পিত নগরায়নের লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ করছে। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানে জনবল সংকট, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা। মন্ত্রী এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। সেই সাথে অধিদপ্তরের কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য যা কিছু করা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা নিস্পন্ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী উদ্ভাবন ও তৎসংশ্লিষ্ট শিল্পকারখানা স্থাপনে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন। পোড়ামাটির ইটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারযোগ্য স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লক তৈরির আড়াইশোর বেশি কারখানা ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এসব নির্মাণ সামগ্রী বিশেষ করে স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লক ব্যবহারে সর্বস্তরে আরো সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেন। পরিবেশবান্ধব এসব নির্মাণ সামগ্রী ডিকার্বানাইজেশনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম এবং জাতীয় স্বার্থে এসব নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধি প্রয়োজন বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন। তিনি এইচবিআরআইয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যাসমূহ দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। একই দিনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় রাজউকের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পে পর্যাপ্ত বনায়ন, পার্ক, খেলার মাঠ, শিশুপপার্ক ও জলাধার সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী বলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল দপ্তর-সংস্থার কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি, ও যথাযথ নিয়ম মেনে দ্রুততম সময়ে কাজ নিস্পন্ন করার মাধ্যমে আমরা একটি জনবান্ধব ও স্মার্ট মন্ত্রণালয় গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সুচারুরূপে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/পাশা/সায়েম/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৭৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৩৬
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাজে ভিন্নতা আছে। পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে মিলিয়ে কাজ করতে হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। গভীর সমুদ্র বন্দর, বে-টার্মিনাল, পায়রা বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনাল ইত্যাদি কাজ শেষ হলে অর্থনীতিতে আরো সমৃদ্ধি আসবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাসমূহের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২০২৩-২৪ এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওয়াটার ওয়েকে আরো বেশি স্মুথ করতে পারলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আরো উপরের দৃষ্টিতে আসবে। সঠিক সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারা বড় ধরনের দুর্বলতা। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। প্রকল্পের কাজ সময়মতো সম্পন্ন করা ও অর্থের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পের ডিপিপি সঠিকভাবে তৈরি করতে হবে। পরবর্তীতে ডিপিপি পরিবর্তন করা-সঠিক নয়। নদী খননের ড্রেজ মেটেরিয়াল কোথায় ফেলা হবে এটি একটি সমস্যা। বিচার বিশ্লেষণ করে ডিপিপি ফর্ম করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল এবং দফতর ও সংস্থা প্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে ২৮টি এডিপিভুক্ত, তিনটি নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্প। এজন্য বরাদ্দ পেয়েছে ১০,১৪৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৯ হাজার ৪৭৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ৬৭৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত ২৮টি প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১৪টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দু’টি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চারটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) একটি, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের একটি, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তরের একটি এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির একটি প্রকল্প। নিজস্ব অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি প্রকল্প।
#
জাহাঙ্গীর/পাশা/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৬৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৩৫
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তা করার
আগ্রহ প্রকাশ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ):
আজ সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদি সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই আগ্রহের কথা জানান।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান অংশীদারিত্ব আরো বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তা করতে চাই। এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্প আমাদের দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় করবে।
প্রত্যুত্তরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে, দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণেও আমরা নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। বাংলাদেশের পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন, হোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। যদি আমিরাত এই খাতে বিনিয়োগ করে তবে আমরা তাদের সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করব। এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান সম্পর্কের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র দুই দেশের সম্পর্ককে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
#
তানভীর/পাশা/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৬০৫ঘণ্টা
তথ্যব