Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ অক্টোবর ২০২৩

তথ্যবিবরণী ২৭ অক্টোবর ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর :  ১৪৫৩

 

রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারবেন প্রবাসীরা

 

ঢাকা, ১১ কার্তিক (২৭ অক্টোবর):

ইতালির রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিরা নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করতে পারবেন। আজ দূতাবাসের সভাকক্ষে এ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মনিরুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। এছাড়াও ঢাকা থেকে আগত আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক এবং নির্বাচন কমিশন সচিলবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, উপস্থিত কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যম কর্মীগণ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি নির্ভুল ভোটার নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন যে, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ইতালি সফরকালে ইতালি প্রবাসীদের জন্য উপহার হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় দূতাবাসে ইতোমধ্যেই ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম চালু করা হলো।

উল্লেখ্য, রোম দূতাবাসে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য অনলাইনে ফরম পূরণের সিস্টেম (https://services.nidw.gov.bd) ইতোমধ্যে লাইভ করা হয়েছে। আগামী ২ নভেম্বর থেকে দূতাবাসে আবেদনকারীদের বায়োমেট্রিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নেওয়ার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেম চালু করা হবে। এসময় দূতাবাসের পক্ষ থেকে তিনটি সুস্পষ্ট বিষয়ে প্রবাসী আবেদনকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়ঃ

  • সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, দূতাবাস থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের জন্য কোনোরকম ফী নেওয়া হবে না।
  • দূতাবসে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা প্রদানের পর প্রবাসী নাগরিকের তথ্য যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা পর্যায়ে তদন্ত হবে। পজিটিভ তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাইয়ের পর জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত হলে, আবেদনের সময় দেওয়া ইতালির মোবাইল নাম্বারে মেসেজ আসবে। আবেদনকারী নিজেই অনলাইনে প্র্রবেশ করে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করে নিতে পারবেন এবং প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন। ডাউনলোডকৃত জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে, প্রবাসী নাগরিকগণ দেশে গিয়ে নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে পারবেন। স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়ে ঢাকা থেকে আসলে ওয়েবসাইট ও ফেইসবুকের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং তা দূতাবাস থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
  • দূতাবাস থেকে জাতীয় পত্রের কোনরুপ সংশোধনের সুযোগ নেই। দূতাবাসে কেবল নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন করা যাবে। অর্থাৎ, আগে যার কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল না, কেবল তিনিই এখানে আবেদন করতে পারবেন।

উপস্থিত নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে ইতালিতে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম চালুর জন্য সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান এবং তাদের বিভিন্ন পরামর্শ তুলে ধরেন।

#

মোশারফ/শামীম/২০২৩/২২৩০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর :  ১৪৫২

 

বাহরাইনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-বাংলাদেশ স্কুল

ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১১ কার্তিক (২৭ অক্টোবর):

আজ বাহরাইনের আ’ আলি শহরে বাংলাদেশ স্কুল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও Almoayyed & Paruco কোম্পানির সাথে চুক্তিসাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। বাহরাইনের রাজা কর্তৃক বাংলাদেশ স্কুল নির্মাণের জন্য প্রদত্ত নিজস্ব জমিতেই উদ্‌যাপিত হয় এই অনুষ্ঠানটি।

মন্ত্রী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, বাহরাইনে বাংলাদেশ স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি নতুন মাইলফলক উন্মোচিত হলো। স্কুলটি নিজস্ব জমিতে নির্মাণ করা হলে বাহরাইনস্থ সকল প্রবাসীর সন্তানগণ এই স্কুলে পড়াশোনা করার মাধ্যমে উপকৃত হবে এবং দেশের ভাবমূর্তি বিদেশের বুকে আরো সমুজ্জ্বল হবে। আপনারা স্কুলের নির্মাণ কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি স্কুলের উন্নয়নের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করবেন।

উল্লেখ্য, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অর্থায়নে দূতাবাস কর্তৃক বাংলাদেশ স্কুল ভবন (প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্কুল, বাহরাইন) নির্মাণ কাজ শুরু করার লক্ষ্যে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছে। স্কুল ভবন নির্মাণের জন্য গঠিত পিআইসি কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে Almoayyed & Paruco কোম্পানিকে নির্বাচন করা হয়। নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে Almoayyed & Paruco কোম্পানির সাথে চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ স্কুল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের পূর্বে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রধান ও নির্বাচিত নির্মাণ প্রতিষ্ঠান Almoayyed & Paruco কোম্পানির প্রধানের মধ্যে চুক্তিস্বাক্ষর সম্পাদিত হয়।  

উক্ত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এ.কে.এম মহিউদ্দিন কায়েস, Almoayyed & Paruco কোম্পানি হতে জামাল আল-মুঈদ, Arab Archetecs হতে মাজেন মুহাম্মদ আরিকাট ও মুহাম্মদ মাজেন আরিকাট, বাহরাইন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ স্কুল বাহরাইনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুইজ চৌধুরী, বোর্ড অভ্‌ ডিরেক্টরস, বাংলাদেশ স্কুলের অধ্যক্ষ অরুন জে নাইর, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

#

 

রাশেদুজ্জামান/মোশারফ/রফিকুল/শামীম/২০২৩/২০২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ১৪৫১

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১১ কার্তিক (২৭ অক্টোবর):

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ। এ সময় ৪২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।   

         গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৬০২ জন।

#

সুলতানা/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৮১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৪৫০

বান্দরবানের সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে কাজ করছে সরকার

                                                                                                                               -পার্বত্যমন্ত্রী

বান্দরবান, ১১ কার্তিক (২৭ অক্টোবর):

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বান্দরবানে পর্যটকদের জন্য সুন্দর ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাড়ে চার একর জায়গা নিয়ে বাস টার্মিনাল গড়ে তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, রাস্তার দু’পাশের পাহাড় রক্ষা, যানজট নিরসন, দূরত্ব কমানো ও পর্যটন জেলা বান্দরবানের সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে বান্দরবানে দৃষ্টিনন্দন টানেল তৈরি করা হয়েছে।

মন্ত্রী আজ বান্দরবান শহরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে বান্দরবান বাস টার্মিনাল টানেল এবং বান্দরবান জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে দশটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানের এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় পার্বত্যমন্ত্রী ৫০০ফুট দীর্ঘ ও আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন টানেল ঘুরে দেখেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য মানুষের প্রতি আন্তরিকতার কারণেই বান্দরবানে বাস টার্মিনাল টানেল নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণেই বান্দরবানের উপজেলাগুলোতে হাসপাতাল নির্মাণ, উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট, ১৪টি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ফায়ার সার্ভিস সেন্টার নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকার ৪২ হাজার ৫০০ পরিবারের মাঝে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

উশৈসিং বলেন, সম্প্রীতির বান্দরবানে পর্যটকদের আকর্ষণকে আরো বাড়িয়ে তুলতে ক্রমান্বয়ে আরো নান্দনিক স্থাপনা গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেক উপজেলায় সরকারের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বান্দরবানে ১২টি সম্প্রদায়ের মানুষ নিয়ে ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সুখ ও স্বাচ্ছন্দের জন্য সকল কিছু করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

বান্দরবান জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে ১৪ কোটি ৫ লাখ টাকার দশটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর ও উদ্বোধন করেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। চলতি অর্থবছরে ২৪১ কোটি ২১ লক্ষ টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ। এর আগে আজ সকালে বান্দরবান শহরের হাফেজঘোনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে রুমা বাস টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন করেন পার্বত্য মন্ত্রী। চলতি অর্থবছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ২২০ কোটি ৬২ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করেছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশীদ, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র শামসুল ইসলাম, বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.শাহ আলম, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত, বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক মিনারুল ইসলাম মিনারসহ স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

#

 

রেজুয়ান/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৭৫৬ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ১৪৪৯

 

প্রতিটি নাগরিককে ডিজিটাল সংযুক্তির আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর

                                                                 -টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ১১ কার্তিক (২৭ অক্টোবর):

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের প্রতিটি নাগরিককে ডিজিটাল সংযুক্তির আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ফাইবার পৌঁছেছে। দেশের প্রতিটি গ্রাম এবং গ্রাম থেকে প্রতিটি গৃহে উচ্চগতির অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য কাজ চলছে। এই চলমান কর্মসূচি সফল করতে সরকারের পাশাপাশি মোবাইল টাওয়ার প্রতিষ্ঠান ইডটকোসহ বেসরকারি টেলিকম কোম্পানিসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী গতকাল রাতে ঢাকার এক হোটেলে মালয়েশিয়ার মোবাইল টাওয়ার প্রতিষ্ঠান ইডটকোর বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনার একদশক পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের অভিযাত্রা শুরু হয়। এসময় কম্পিউটার প্রযুক্তি সাধারণের ক্রয় ক্ষমতায় পৌঁছে দিতে ভ্যাট টেক্স প্রত্যাহারসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের মেরুণ্ড। ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল সংযুক্তির শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে সরকার।

মোস্তাফা জব্বার ফাইভজি প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ ফাইভজি প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে কাজ করছে সরকার। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি যোগাযোগ ও দ্বিতীয়টি হবে আর্থ অবজারভেটরি। ডেটাভিত্তিক স্যাটালাইট হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-৩ উৎক্ষেপণের বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা মোঃ হাশেম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ইডটকো বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আদলান তাজুদ্দিন এবং ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীল আইজ্যাক বক্তৃতা করেন।

পরে মন্ত্রী কেক কেটে প্রতিষ্ঠানের এক দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

#

শেফায়েত/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৭২৩ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ১৪৪৮

নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক সমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ                                                                                                                                                                                                                                -খাদ্যমন্ত্রী                                                                                                                                                     

নিয়ামতপুর (নওগাঁ), ১১ কার্তিক (২৭ অক্টোবর):

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছেন, তখনই দেশের সার্বিক উন্নয়নের সাথে শিক্ষা ব্যবস্থারও উন্নয়ন হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক সমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি শিক্ষকদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

আজ নওগাঁর নিয়ামতপুর বহুমূখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা ও শিক্ষকের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শিক্ষকদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও তাঁরা অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন। তিনি শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লিটারেসি শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার শিক্ষকদের মর্যাদা দিয়েছেন। শিক্ষার জাতীয়করণে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিচ্ছেন তিনি। মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা পেয়ে যাচ্ছেন অভিভাবকেরা।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার বিকল্প নেই। আর শিক্ষিত সমাজ গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করছেন আমাদের শিক্ষকরা। শিক্ষক স্মার্ট হলে শিক্ষার্থীরাও স্মার্ট হয়ে উঠবে। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি ভিত্তি হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নর, স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। আর এর বাস্তবায়নের মূল কারিগর শিক্ষক শ্রেণি।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: ফরিদ আহম্মেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক মাহবুবুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার মো: লুৎফর রহমান, নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো: মমতাজ হোসেন মন্ডল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।

এর আগে খাদ্যমন্ত্রী বরিয়া-নাকইল সড়ক উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

#

কামাল/জুলফিকার/রবি/সাঈদা/কলি/শামীম/২০২৩/১৫৩১ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৪৪৭

আগামী নির্বাচন হবে স্মার্ট শক্তি বনাম পশ্চাৎপদ শক্তির লড়াই

                                                   -ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ১১ কার্তিক (২৭ অক্টোবর):

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে উন্নয়নের বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ শক্তি বনাম পশ্চাৎপদ বাংলাদেশ শক্তির লড়াই। এই লড়াই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সাথে  স্বাধীনতা  বিরোধী পরাজিত শক্তিরও লড়াই। ২০২১ সালে  প্রতিশ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অভিযাত্রা আমরা শুরু করেছি। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার এই সংগ্রাম এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নেই।

মন্ত্রী গতকাল ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার কক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অভিযাত্রা : শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচন : সরকার ও রাজনৈতিক দলসমূহের নিকট প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, মানবাধিকার নেত্রী এ্যারোমা দত্ত, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়ক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, বাংলাদেশ-এর প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল বক্তৃতা করেন। সভা সঞ্চালনা করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আইটি সেলের সভাপতি শহিদ সন্তান আসিফ মুনীর।

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত স্তব্ধ হয়ে যায়। এ সময়ে বাংলাদেশ পরিণত হয় পশ্চাৎপদ একটি রাষ্ট্রে। এ পরিস্থিতিতে ’৯৬ সালে রাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশকে অতীতের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে সামনের দিকে পরিচালিত করেন। কিন্তু ২০০১ সালে সেই অগ্রযাত্রা পুনরায় থমকে দাঁড়ায় এবং ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিভীষিকাময় একটি সময় পার করে। সেই সময়টি যেন বাংলাদেশের আর না আসে সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

#

শেফায়েত/জুলফিকার/রবি/সাঈদা/কলি/শামীম/২০২৩/১৩১৫ ঘণ্টা

 

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                    নম্বর : ১৪৪৬

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১১ কার্তিক (২৭ অক্টোবর) :     

            প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

            “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ৫ম বারের মত ‘গবেষণা দিবস’ উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এই দিবস উপলক্ষ্যে আমি বিশ্ববিদ্যালয়টির সকল শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের মৌলিক অবকাঠামো- পুনর্গঠনের পাশাপাশি দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা গবেষণাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে, যার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গবেষণার বুনিয়াদ সৃষ্টি করা। আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেবার পর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দৈনন্দিন চিকিৎসাসেবা প্রদানের পাশাপাশি গবেষণা ও শিক্ষা কর্মকাণ্ডকে অগ্রাধিকার দিয়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে চলছে। আমরাই প্রথম ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে গবেষণার জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করি, যা পরবর্তীতে ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করি। তাছাড়া, চলতি অর্থবছরেও তরুণদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি।

আমাদের সরকার দেশের সকল মানুষের জন্য গণমুখী স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে। হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা, সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা বিস্তৃত করা হয়েছে। নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করে মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক সম্প্রসারণ করা হয়েছে। একই সাথে চিকিৎসা গবেষণার গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে। পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনায় মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হলো দেশে রোগীরা যাতে স্বল্পমূল্যে সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবা দেশেই পায় এবং চিকিৎসার জন্য রোগীদেরকে বিদেশে যেতে না হয়। সর্বোপরি, চিকিৎসাসেবা খাতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়।

বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসাসেবা প্রদান ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। আমি আশা করি, চিকিৎসা গবেষণাতেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিবে। কেননা নিজস্ব গবেষণা ব্যতীত পরীক্ষিত, গ্রহণযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা দুরূহ ব্যাপার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে গবেষণাকে বেগবান করার জন্য এ্যামেরিটাস অধ্যাপক নিয়োগ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে গবেষণাখাতে ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আবাসিক চিকিৎসকদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে ‘উপাচার্য গবেষণা পুরস্কার’ সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন করেছে। গত বছর অধিকতর জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ২৪ জন গবেষক, শিক্ষক ও চিকিৎসককে পিএইচডি কোর্সে এনরোলমেন্ট করেছে। এ বছর ৩০ জন গবেষক, শিক্ষক ও চিকিৎসককে পিএইচডি কোর্সে এনরোলমেন্ট করেছে। তাছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও চিকিৎসকদের গবেষণার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা পরিচালনা এবং জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য এআইআইএমএস, ব্রাউন ও শিকাগো এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল নিয়মিত প্রকাশ করেছে, যা আমাকে আশান্বিত করেছে।

আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘গবেষণা দিবস ২০২৩’ উদ্‌যাপন খুবই সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত গবেষক, চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট সকলে তাঁদের শ্রম, মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে সদা সচেষ্ট হবেন। আমরা দেশে সমন্বিত উন্নয়নের অগ্রযাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জাতি গঠনে সমর্থ হব, ইনশাল্লাহ্।

আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘গবেষণা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

                            জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

             বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।” 

#

শাহানা/জুলফিকার/রবি/সাঈদা/কলি/শামীম/২০২৩/১২৩১ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ 

 

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১৪৪৫

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন উপলক্ষ্যে

2023-10-27-17-02-401fa5b564dc265b190a2272f8a26025.docx