Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৯ মে ২০২৪

তথ্যবিবরণী ২৯ মে ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৪৮৯২

 

সৌদি আরবে বাংলাদেশি ও বিদেশি শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট সৌদি সরকার

 

রিয়াদ (সৌদি আরব), ২৯ মে:

 

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে অধিকতর স্বচ্ছতা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়ন, মালিক ও শ্রমিক উভয়পক্ষকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা ও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার জন্য সৌদি সরকারের সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের সাথে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি সরকার।

 

আজ সৌদি মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী উপমন্ত্রী ফয়সাল আল দাফায়ান তাঁর কার্যালয়ে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মোঃ আবুল হাসান মৃধার সাথে সাক্ষাৎ ও ওয়ার্কশপে আলোচনায় এই আগ্রহ প্রকাশ  করেন। তিনি আরো জানান, বর্তমানে সৌদি আরবে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যাই সর্বোচ্চ এবং বাংলাদেশি শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও কাজের প্রতি আন্তরিকতার কারণেই সৌদি শ্রম বাজারে তাদের  চাহিদা বাড়ছে।

 

সহকারী উপমন্ত্রী বলেন, ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে যে সকল প্রকল্প হাতে নিয়েছে তাতে বাংলাদেশের বিশাল এই জনশক্তি সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বলে প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন। তিনি বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মীদের  তাদের গৃহীত বিভিন্ন সেবার ডিজিটালাইজড সিস্টেমের সাথে পরিচিত করতে দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন। ওয়ার্কশপে বিভিন্ন সেবার ডিজিটালাইজড সিস্টেমে কী কী সুবিধা রয়েছে এবং তা থেকে প্রবাসী কর্মীগণ কিভাবে সেই সকল সুবিধা কাজে লাগিয়ে উপকৃত হতে পারেন সে বিষয়ে  বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

 

সভায় সৌদি আরবে বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও তাদের দেখভালের জন্য মিশন উপপ্রধান সৌদি সরকারকে  ধন্যবাদ জানিয়ে শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, কাজ ও ইকামার নিশ্চয়তাসহ ভিসা ইস্যুকরণ, চুক্তি শেষে নারী কর্মীদের ফেরত প্রেরণ, ইকামার মেয়াদ শেষ হওয়া কর্মীদের দ্রুত দেশে প্রত্যাবর্তন এবং  মুসানিদ সিস্টেমে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির অভিযোগ নিষ্পত্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সৌদি আরবের  সহযোগিতা কামনা করেন।  ওয়ার্কশপে সৌদি সৌদি মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে সহকারী উপমন্ত্রী আরো জানান সৌদি শ্রম বাজারে আরো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য সৌদি সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শ্রমিকদের অভিযোগ আমলে নিয়ে সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি ১২০০ শ্রম পরিদর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যারা ২০২৩ সালে প্রায় ১০ লাখ অভিযোগের সমধান করেন মর্মে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, সৌদি সরকার সৌদি আরবকে একটি আধুনিক শ্রমবান্ধব দেশে উন্নীত করতে শ্রমিকদের নিয়োগ সহ পুরো প্রক্রিয়াকে অটোমেশন করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের  গৃহীত এসব উদ্যোগে বাস্তবায়নে দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করলে  হাসান মৃধা বাংলাদেশ সরকারের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেনা। এছাড়াও তিনি শ্রমিকদের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য সৌদি মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে একজন ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করতে অনুরোধ জানালে সহকারী উপমন্ত্রী সহমত প্রকাশ করেন।

 

ওয়ার্কশপে দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কাউন্সিলর (শ্রম) মুহাম্মদ রেজায়ে রাব্বী, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, প্রথম সচিব (শ্রম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন।

#

 

আসাদুজ্জামান/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২২০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৪৮৯১

 

বিআইডব্লিউটিসিকে উন্নয়নের রোল মডেল হতে হবে

                            -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):

 

নৌপরিবহন  প্রতিমন্ত্রী  খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দেশের স্বাধীনতার টার্নিং পয়েন্ট। তার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি দারিদ্র্যপীড়িত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। জিডিপি প্রায় নয় ভাগে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা ব্যর্থ হয়েছিলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর  উন্নয়নকে ব্যর্থ করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করেছিলেন। সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে তারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। এরপর দেশ অন্ধকারে তলিয়ে যায়, আর আলোর মুখ দেখেনি। আমাদের  বর্তমান  টার্নিং পয়েন্ট হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হতে পারলে বিআইডব্লিউটিসি কেন উন্নয়নের রোল মডেল হতে পারবে না? আজকে বিআইডব্লিউটিসির অফিসার্স এসোসিয়েশনের নতুন কমিটিকে শপথ নিতে হবে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে বিআইডব্লিউটিসি অফিসার্স এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

বিআইডব্লিউটিসি অফিসার্স এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সভাপতি এ কে এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমান, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রাশিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেলুজ্জামান।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিআইডব্লিউটিসির ফেরির সাথে খুবই পরিচিত। আপনারা ফেরির সেবাটা দিয়ে যাচ্ছেন। দেশে অনেক সেতু হলেও এখনো সারা দেশে ফেরির চাহিদা রয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এর অধীনস্থ  সংস্থার কাজের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করিনি। সংস্থাকে শক্তিশালী করার দায়িত্ব আপনাদের। চেষ্টা থাকতে হবে একে ভালো প্রতিষ্ঠানের রূপ দেওয়ার। শুধু ৩৫ জলযান সংগ্রহের প্রকল্প নয়, আরো বড় বড় প্রকল্প নেয়া হবে। দাবি আপনারা বাস্তবায়ন করবেন, পথ তৈরি করেন- আমরা সহযোগিতা করব। যদি আমরা দেশের কথা, দেশের মানুষের কথা ভেবে কাজ করি কখনোই কোনো প্রতিষ্ঠান হারিয়ে যাবে না।

 

#

 

জাহাঙ্গীর/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২২২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৪৮৯০

 

গ্রামাঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হলে অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন প্রবণতা হ্রাস পাবে

                                                                       -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):

 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন একটি চ্যালেঞ্জ। অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটাতে ও সুযোগ-সুবিধার জন্য মানুষের গ্রাম থেকে শহরে যাবার একটা সহজাত প্রবণতা থাকে। সারা বিশ্বেই এটা হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ একটি আয়তনে ছোট ঘনবসতি পূর্ণ দেশ হওয়ায় এতগুলো মানুষের শহরে ঠিকমতো নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। এক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলে শহরের মতো সুযোগ সুবিধা-নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা, কাজের সুযোগ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে গ্রাম অঞ্চলে সুষম ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হলে অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন প্রবণতা হ্রাস পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার এই লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে।

 

স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে এবং ইউএনডিপি ও ইউকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এর সহোযোগিতায় আয়োজিত মেয়র'স এক্সচেঞ্জ নলেজ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে উপস্থিত সুধীবৃন্দের প্রতি একথা বলেন৷ এলআইইউপিসিপি এর উন্নত চর্চা নিরূপণে আয়োজিত কর্মশালাটি আজ সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।

 

মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ও জনগণের পুষ্টির মান হয় উন্নত। শিক্ষাখাতসহ গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসে দৃশ্যমান উন্নয়ন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার যে প্রত্যয় ছিল, বর্তমান সরকার সে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

          ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ টেনে মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের মতো সমসাময়িক অনেক দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছে গেছে তাদের নিরলস প্রচেষ্টা আর কঠোর পরিশ্রমের কারণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে একসাথে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এগিয়ে এলে ২০৪১ সালের মধ্যে একটা স্মার্ট উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।

 

 স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার, ব্রিটিশ হাইকমিশনের উপ-হাই কমিশনার ম্যাট ক্যানেলসহ প্রমুখ।

 

#

 

পবন/সায়েম/সঞ্জীব//সেলিম/২০২৪/২১০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৪৮৮৯

 

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর প্রভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ পুনঃসংযোগ বিষয়ক গৃহীত কার্যক্রম

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ৯৩ শতাংশ ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন

কোম্পানি ৮৭ শতাংশ গ্রাহককে বিদ্যুৎ পুনঃসংযোগ প্রদান

 

ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):

 

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর প্রভাবে প্রায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভৌগোলিক এলাকায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)’র বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি তিন লাখ নয় হাজার সাতশত দুই ও  ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)’র বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাহক চার লাখ তেপ্পান্ন হাজার একাশি জন। আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আরইবি ২ কোটি  ৮২ লাখ (৯৩ শতাংশ) গ্রাহককে পুনঃসংযোগ প্রদান করেছে এবং ওজোপাডিকো তিন লাখ পঁচানব্বই হাজার পাঁচশত একত্রিশ (৮৭ শতাংশ) জন গ্রাহককে ইতিমধ্যে পুনঃসংযোগ প্রদান করেছে। 

 

ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর প্রভাবে আরইবি’র বিতরণ ব্যবস্থার পুনঃস্থাপন সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য:

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি তিন লাখ নয় হাজার সাতশত দুই, রিকভারির পরিমাণ দুই কোটি বিরাশি লাখ, রিকভারি অবশিষ্ট একুশ লাখ নয় হাজার সাতশত দুই; ৩৩ কেভি ফিডার ক্ষতি ৭৬৬, রিকভারি ৭৬০, রিকভারি অবশিষ্ট ৬টি; ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র ক্ষতি ১১০৫, রিকভারি ১০৯৫, রিকভারি অবশিষ্ট ১০টি; ১১ কেভি ফিডার ক্ষতি ৬২৩৫, রিকভারি ৬০৬৪, রিকভারি অবশিষ্ট ১৭১; বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতি ৩৮৩৩, রিকভারি ৩৫৬৩, রিকভারি অবশিষ্ট ২৭০টি; বিতরণ ট্রান্সফরমার ক্ষতি ২৮১৮, রিকভারি ২৪৫৩, রিকভারি অবশিষ্ট ৩৬৫;  তার ছেড়া স্প্যান (কিঃমিঃ) ৩০৫৬, রিকভারি ২৫৬৩, রিকভারি অবশিষ্ট ৪৯৩কিঃমিঃ; ইন্সুলেটর ক্ষতি ২৪২৫৮, রিকভারি ২৩৮১৫, রিকভারি অবশিষ্ট ৪৪৩ এবং মিটার ক্ষতি ৫৯৩৯৯, রিকভারি ৫২০৯৯, রিকভারি অবশিষ্ট ৭৩০০টি। প্রাথমিক তথ্যানুসারে একশত  তিন কোটি তেত্রিশ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আজ রাত ১১টা নাগাদ ৯৫ শতাংশ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। সমিতির দুর্যোগে আলোর গেরিলা ও আরইবি’র কারিগরি টিমসহ ঠিকাদারগণের পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবলসহ বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার জনবল মাঠ পর্যায়ে কর্মরত আছেন। বাকি গ্রাহকদের সার্ভিস ড্রপ ও মিটার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতে হবে বিধায় পরবর্তীতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)’র মোট গ্রাহক সংখ্যা পনেরো লাখ আটচল্লিশ হাজার একশ চুয়ান্ন, বর্তমান বিদ্যুতায়িত গ্রাহক সংখ্যা চৌদ্দ লাখ নব্বই হাজার ছয়শত চার, ঝড়ের কারণে বর্তমান বিদ্যুৎবিহীন গ্রাহকের সংখ্যা সাতান্ন হাজার পাঁচশত পঞ্চাশ। ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইনের অবশিষ্টাংশের মেরামত কাজ চলমান আছে। 

 

বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলমান রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতিসত্বর সম্পূর্ণ লাইন চালু হবে।

 #

 

আসলাম/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২১৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৪৮৮৮

 

গণমাধ্যমকে দেশ ও জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে হবে

                        -- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):

 

গণমাধ্যমকে দেশ ও জনগণের স্বার্থের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

 

আজ রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক ২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

 

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশটা আমাদের সবার। এদেশের স্বার্থের বিপক্ষে যেসব ষড়যন্ত্র হবে সেগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে একটা অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে, এ সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে প্রচেষ্টা সেক্ষেত্রে গণমাধ্যমসহ সবাইকে সম্মিলিত ভূমিকা রাখতে হবে।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার পূর্ণাঙ্গভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। কারণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। যে স্বপ্ন নিয়ে এদেশ তৈরি হয়েছিল সে স্বপ্নের একটি বড় জায়গায় গণতন্ত্র, মানবাধিকারের সুরক্ষা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। এ বিষয়গুলো আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছিল '৭৫ এর ১৫ আগস্ট এ দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে। তারপর অন্ধকারের শক্তি এ দেশে ক্ষমতায় এসেছে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। সামরিক শাসন জারি করে, গণমাধ্যমের গলা টিপে, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হত্যা করে, মানবাধিকার বিনষ্ট করে, স্বাধীনতার স্বপ্নগুলোকে ভূলুঠিত করে এ দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিক্রিয়াশীল ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তিকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সেই বাস্তবতা থেকে গত পনেরো বছরে অন্ধকার জায়গা থেকে ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে আলোর দিকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এই চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রেস কাউন্সিলকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আরো শক্তিশালী করা, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের পরিবেশ আরো উন্নততর করা, আরো স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের সাথে সম্পৃক্ত যারা আছেন তারা যাতে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করতে পারেন, সে কারণে সরকার বিভিন্নভাবে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। গণমাধ্যম সব ধরণের স্বাধীনতা ভোগ করে সরকারের সমালোচনাও যদি করে সেগুলো বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বাগত জানাতে চায়। সরকারের চোখ হিসেবে কাজ করে গণমাধ্যম। কোথাও কোন বিচ্যুতি-ব্যর্থতা থাকলে, সমস্যা থাকলে গণমাধ্যম সেটি নিরপেক্ষভাবে এবং পেশাদারিত্বের সাথে তুলে ধরবে। এর মাধ্যমে সরকার মনে করে গণমাধ্যম সরকারের সহযোগিতাই করছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে আমরা গণমাধ্যমকে দেখতে চাই। সরকারের বিচ্যুতি-ব্যর্থতা বা কোন সমস্যা সত্য তথ্যের ভিত্তিতে তুলে ধরলে সেগুলোকে সরকার স্বাগত জানাবে এবং স্বীকৃতি দিয়ে পুরস্কারও হাতে তুলে দেবে। সমালোচনা নেয়ার ব্যাপারে শেখ হাসিনা সরকারের যে সহনশীলতা বা তার যে দৃষ্টিভঙ্গি সেটি প্রেস কাউন্সিল পদক প্রদানের মাধ্যমে প্রমাণ হচ্ছে।

 

চলমান পাতা/২

 

 

--০২--

 

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে জার্মানির ডয়চে ভেলে একটি তথ্যচিত্র বানিয়ে প্রচার করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে শান্তি রক্ষা মিশনে আমাদের যে সাফল্য ও সুনাম, সে সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য, আমাদের খাটো করে দেখানোর জন্য এক ধরনের দূরভিসন্ধিমূলক অপপ্রচারের একটি তথ্যচিত্র তারা তৈরি করেছে। এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। কোনো দলের বিপক্ষে নয়, কোন ব্যক্তির বিপক্ষে নয়। যে প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে সুরক্ষা দেয়, যে প্রতিষ্ঠান গোটা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা রেখেছে, বাংলাদেশের সুনাম যারা বৃদ্ধি করেছে, সেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে খাটো করা মানে বাংলাদেশকে খাটো করা। একটা গোষ্ঠী সিন্ডিকেট করে আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যম ব্যবহার করে এ ধরনের অপপ্রচার করছে। ডয়চে ভেলে বা যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংবাদ সংস্থা তারা যদি মানবাধিকারের প্রতি তাদের কোন সৎ অঙ্গীকার থেকে কোন প্রতিবেদন বা তথ্যচিত্র করে সেটাকে আমরা স্বাগত জানাবো। ডয়চে ভেলের যদি মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার থাকে, সততা থাকে তাহলে আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করতে চাই, আজকে বিশ্বে যে যুদ্ধের ডামাডোল, মধ্যপ্রাচ্যের গাজায় যেভাবে নারী-শিশুকে হত্যা করে মানবাধিকার ভঙ্গের ন্যাক্কারজনক নজির তৈরি হচ্ছে, যেখানে গণহত্যা হচ্ছে, সেই গণহত্যা নিয়ে তারা একটি তথ্যচিত্র তৈরি করে তুলে ধরুক। তাহলে আমরা বুঝবো তাদের মানবাধিকারের অঙ্গীকারে সততা আছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো যোগ করেন, পাশ্চাত্যের দেশগুলো উঠতে-বসতে আমাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার লেকচার দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের একেবারে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধে পুলিশের আচরণ আমরা দেখেছি। কীভাবে মিলিটারি ঢঙ্গে ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে গিয়ে গ্রেফতার করছে। নারী একজন অধ্যাপককে মাটিতে ফেলে যুদ্ধংদেহী অ্যাপ্রোচে গ্রেফতার করছে। অথচ এরাই কিছুদিন আগে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকার এগুলোর লেকচার আমাদের দিচ্ছিলো। যদি তারা সত্যিকার অর্থে তাদের অঙ্গীকারের সৎ থাকতো তাহলে আজ গাজায় যে ঘটনা ঘটছে, সেগুলোকে সমর্থন দিয়ে যেতে পারতো না। তারা এটার প্রতিবাদ করতো।

 

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী এমপি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

 

#

 

ইফতেখার/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ৪৮৮৭

রপ্তানি পণ্য বহুমুখী করতে কাজ করছে সরকার

                                          --- বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):

          বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সাথে আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কিমো লাহদেভির্তা সাক্ষাৎ করেছেন।

          সাক্ষাতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাতে রপ্তানি পণ্য বহুমুখী করতে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; এজন্য রপ্তানির সাথে আমদানিকে বহুমুখী করতে হবে। ব্যবসার সুবিধায় জাতীয় লজিস্টিক নীতি-২০২৪ অনুমোদন করেছে সরকার। বি টু বি যোগাযোগের মাধ্যমে একাধিক দেশের সাথে সুসম্পর্ক বাড়াতে সরকার কাজ করছে।

          প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দর, পায়রা বন্দর দেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে উঁচু করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা সম্প্রসারণে আসিয়ান দেশের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। আগামী বিশ্বের কূটনীতি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে হতে যাচ্ছে।

          বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিনল্যান্ড-বাংলাদেশের দীর্ঘসময় ধরে সুসম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী অক্টোবরে বিনিয়োগে আগ্রহী এমন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের একটি দল বাংলাদেশে আসবে। তারা বাংলাদেশের সমজাতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে অংশীদার হয়ে ব্যবসায় আগ্রহী, সেলক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন ।

          এসময় ফিনল্যান্ডের কাউন্সিলর সানা ওরাভা, অতিরিক্ত সচিব মোঃ নাভিদ শফিউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

#

আসিফ/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ৪৮৮৬

জলবায়ু প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত বিশ্বের প্রতি পরিবেশমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বান

জেনেভা (সুইজারল্যান্ড), ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এ সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করতে হবে।

          পরিবেশমন্ত্রী সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ‘ক্লাইমেট এন্ড হেলথ ফাইন্যান্স ডায়লগের কান্ট্রিড্রাইভেন ক্লাইমেট হেলথ একশনস এন্ড ফাইন্যান্সিং নিডস’ শীর্ষক ২য় সেশনে ভাষণ প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

          পরিবেশ মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ-সহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো জলবায়ু অর্থায়নের অভাবে রয়েছে। প্রতিবার উন্নত দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না। তিনি বলেন, পর্যাপ্ত অর্থায়ন ছাড়া জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করা বাংলাদেশের জন্য কষ্টসাধ্য। এই অর্থবছরে, বাংলাদেশ সরকার অভিযোজনের জন্য ৩.৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে স্বাস্থ্যও অন্তর্ভুক্ত। আমাদের বার্ষিক প্রয়োজন প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার। বাকি অর্থের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রয়োজন।

          বিশ্বব্যাপী সংহতির গুরুত্বারোপ করে সাবের চৌধুরী বলেন, আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারছি না কারণ প্রতিশ্রুতি এবং অঙ্গীকারগুলো সবসময় অপূর্ণ থাকছে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে আরো খারাপ হতে দিতে পারি না। এজন্য বায়ুতে কার্বন নির্গমন কমাতেই হবে। তিনি বলেন, অভিযোজনের সীমা রয়েছে। যদি আমরা আমাদের নির্গমন নিয়ন্ত্রণ না করি তবে আরো গভীর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব।

          মন্ত্রী চৌধুরী বলেন, তাপপ্রবাহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে। উত্তরে হিন্দুকুশ হিমালয় এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সাথে, আমরা গলিত হিমবাহ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিজনিত মধ্যে চাপে রয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন স্বাস্থ্য ছাড়াও পানিসম্পদ, পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং নারীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ মহিলাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করছে, যার মধ্যে রয়েছে কিডনির সমস্যা, শ্বাসকষ্ট এবং উচ্চ রক্তচাপ। জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

#

দীপংকর/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৪৮৮৫

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):

     স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ৩৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

     গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৬ জন।

                                           #

দাউদ/পাশা/সায়েম/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৬৩৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৪৮৮৪

দেশের উন্নয়নে সেবাইত-পুরোহিতদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

                                                                 -ধর্মমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):

ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে সেবাইত-পুরোহিতদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারাই পারে হিন্দু ধর্মের মানুষের মধ্যে সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসার ঘটিয়ে আদর্শ ও নিষ্ঠাবান মানুষ গড়ে তুলতে।

আজ রাজধানীর বাসাবোতে ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহার কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে ঢাকা বিভাগীয় পুরোহিত ও সেবাইত সম্মেলন-২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজে সকল ধর্মের মানুষের কাছেই তাদের ধর্মীয় নেতাদের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সমাজের অধিকাংশ মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে, সম্মান করে। বিভিন্ন পরামর্শের জন্য তাদের শরণাপন্ন হয়ে থাকে। তাদের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলে। এই শ্রেণির মানুষকে আমরা যদি আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা দিতে পারি এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে তাদেরকে শানিত বা দক্ষ করে তুলতে পারি তাহলে দেশ ও জাতির কল্যাণে তারা অনেক বেশি অবদান রাখতে পারবে। এ কারণেই আমরা পুরোহিত-সেবাইতদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছি।

মন্ত্রী বলেন, আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পীঠস্থান। বিভিন্ন ধর্ম-গোত্রের মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করে। উৎসব-পার্বনে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়। এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এটি আমাদের ঐক্য এবং শক্তির প্রতীক। এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে পুরোহিত-সেবাইতরা বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

হিন্দু সম্প্রদায়ের কল্যাণে গৃহীত প্রদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা হচ্ছে-রুপকল্প ২০৪১। এছাড়া, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা সবাইকে সমান তালে এগিয়ে নিতে চাই। সকল ধর্মের মানুষকে সমান গুরুত্ব দিয়ে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। আগামীদিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে আরো বেশি কাজ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদার, কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, ধর্ম সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল ও এসআরএসসিপি প্রকল্পের পরিচালক প্রফেসর শিখা চক্রবর্তী প্রমুখ।

#

 

আবুবকর/পাশা/সায়েম/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৬৫৫ঘণ্টা

 

 

Handout                                                                                                                 Number : 4883  

The world must act and Climate Commitments must be fulfilled

                                                                     - Environment Minister

Geneva (Switzerland), 28 May: 

            The Minister of Environment, Forest, and Climate Change Saber Hossain Chowdhury said the world must act, and commitments must be fulfilled.

Environment Minister said this while delivering a compelling and urgent address at the Climate & Health Finance Dialogue held in Geneva, Switzerland last night. His speech, titled "Country-driven Climate-Health Actions and Financing Needs," underscored the critical intersection of climate change and public health, emphasizing the immediate need for robust, country-specific actions and financing mechanisms.

Environment Minister ‍also said "Climate change is underfunded. Each time there are pledges by developed nations, they remain unfulfilled. In Bangladesh, we have plans and locally-led adaptation to engage communities

2024-05-29-16-39-5b2a431e8bf3c2d4df39084544c38614.docx