তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬১
গ্রামে পশুপাখির পালন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে
--- মৎস্য প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ মাঘ (২৮ জানুয়ারি) :
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মযজ্ঞ তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিপ্লোমাধারী কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। তিনি বলেন, কৃষিক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির আগমনে কৃষির উন্নয়ন ঘটলেও গ্রামে পশুপাখির পালন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে, যা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অহরসধষ ঝপরবহপব ধহফ ঠবঃবৎরহধৎু অনুষদের ‘ওরিয়েন্টেশন এবং ডিন’স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অহরসধষ ঝপরবহপব ধহফ ঠবঃবৎরহধৎু অনুষদের ¯œাতক লেভেলে পরপর ২টি সেমিস্টারে জিপিএ
৪ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের এই ‘ডিন’স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়ে থাকে। ১৮ জন ডিন’স অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মাঝে প্রতিমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এই অ্যাওয়ার্ড ও সনদপত্র তুলে দেন।
চিকিৎসাক্ষেত্রে মানুষের অনেক অগ্রগতি হলেও এদেশে পশুপাখিদের চিকিৎসার অপ্রতুলতা রয়েছে-উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভেটেরিনারি ডাক্তারের অভাবই এজন্য দায়ী। তাই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অনুষদের শিক্ষার্থীদের এই অভাব পূরণে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রোভিসি অধ্যাপক সেকেন্দার আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ারুল হক বেগ, অহরসধষ ঝপরবহপব ধহফ ঠবঃবৎরহধৎু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নাথুরাম সরকার বক্তৃতা করেন।
#
শাহ আলম/ফারহানা/এনায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২২২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬০
মুক্তাগাছার উন্নয়নে এক ও অভিন্ন থাকব
--- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ মাঘ (২৮ জানুয়ারি) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মুক্তাগাছা উপজেলার উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তার সবই করা হবে। মুক্তাগাছার উন্নয়নে সবাই এক ও অভিন্ন থাকব। রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হোক না কেন, উন্নয়ন ও উৎসব সবার।
প্রতিমন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকাস্থ মুক্তাগাছা উপজেলা কল্যাণ সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মুক্তাগাছা উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তাগাছায় একটি সংস্কৃতি পল্লী গড়ে তোলা হবে যেখানে উপজেলার সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনকে সম্পৃক্ত করা হবে। মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি সংস্কারপূর্বক পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। তিনি বলেন, মুক্তাগাছার ম-া একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটিকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের চেষ্টা করা হবে। তিনি আরো বলেন, মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি কলেজে দুইটি নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণসহ এটিকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপান্তর করা হবে।
মুক্তাগাছা উপজেলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান মাসুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোঃ আবদুল হক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী এটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌস রূপা, মুক্তাগাছা হাজী কাশেম আলী কলেজের অধ্যক্ষ এখলাসুর রহমান জুয়েল, সাবেক যুগ্মসচিব ক্যাপ্টেন জামিলুর রহমান, আর এ কে গ্রুপের পরিচালক জে রেজা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মোল্লা জালাল উদ্দিন প্রমুখ
#
ফয়সল/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২১৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৯
ক্রীড়া উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে
--- ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
সাভার, ১৫ মাঘ (২৮ জানুয়ারি) :
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল আজ ঢাকায় বিকেএসপি’র ১০ তলা ছাত্রী হোস্টেলের ৫ তলা পর্যন্ত সমাপ্ত কাজের উদ্বোধন করেন। এছাড়া তিনি বিকেএসপি’র প্রমীলা কমপ্লেক্সের কাজের অগ্রগতি এবং বিকেএসপি পরিচালিত ক্রীড়া বিভাগের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগ পরিদর্শন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে যুব সমাজ ও ক্রীড়াকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। তাই ক্রীড়ার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি বিকেএসপিকে সেন্টার অভ্ এক্সেলেন্সে রূপান্তর করা হবে বলে উল্লেখ করেন।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আনিছুর রহমানসহ বিকেএসপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকতাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহ আলম/মাহমুদ/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২১৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮
রোগীর সেবা নিশ্চিতে মনিটরিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে
--- স¦াস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ মাঘ (২৮ জানুয়ারি) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, হাসপাতালে রোগী গিয়ে ডাক্তার, নার্স না পেলে সরকার দায়ীদের কোনো ছাড় দেবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে আবাসন ব্যবস্থা ও গাড়ি বরাদ্দসহ বিভিন্ন সুযোগসুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি রোগীর সেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে তিন স্তরের মনিটরিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মচারীদের উপস্থিতি, যন্ত্রপাতির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বিভাগীয় পর্যায়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হচ্ছে। একটি মনিটরিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই সেলগুলো থেকে হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন কঠোর নজরদারি করা হবে।
স¦াস্থ্যমন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ''বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগের বৃদ্ধি, প্রতিকার এবং স্বাস্থ্যখাতে জাপান-বাংলাদেশ সম্ভাব্য সহযোগিতা" শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বেসরকারি খাতে বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ উদ্যোগ শিপ-আইচি মেডিকেল সার্ভিসেস এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান হিরোইউকি কোবায়াশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, জাইকার প্রতিনিধি হিতোশি হিরাতা বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশের সকল গরিব মানুষের মাঝে আগামীতে আরো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সব স্টেকহোল্ডারদের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে আরো দরিদ্রবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালের চার্জ ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের খরচ কমানোর জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সকলকে মনে রাখতে হবে, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার শুধু ব্যবসা নয়, সেবাও গুরুত্বপূর্ণ।
দেশ আজ পোলিও এবং ধনুষ্টংকারমুক্ত হওয়ার পাশাপাশি নানান সংক্রামক রোগকে জয় করতে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংক্রামক রোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সফল। কিন্তু অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে আমাদের আরো কাজ করতে হবে। যদিও গত ১০ বছরে দেশে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, ডাইজেস্টিভ হাসপাতাল, নাক কান গলা হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতাল চালু হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী এবার প্রত্যেক বিভাগে ক্যান্সার হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে কিডনি ইউনিট স্থাপনে সরকার কাজ করবে। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির দিকে বেশি গুরুত্ব দেবে সরকার।
জাইকার সহযোগিতায় আশুলিয়ায় নির্মাণাধীন আইচি মেডিকেল গ্রুপের উদ্যোগে ৬৫০ শয্যার জাপান ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাজ এ বছরের শেষে সমাপ্ত হবে বলে আয়োজকরা জানান।
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৭
জিরো টলারেন্স নীতিতে মন্ত্রণালয় কাজ করবে
--- মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব
ঢাকা, ১৫ মাঘ (২৮ জানুয়ারি) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ি সিনিয়র সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি এর বিদায় সংবর্ধনা এবং সদ্য যোগদানকৃত সচিব কামরুন নাহার এর বরণ অনুষ্ঠান আজ ঢাকায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোঃ আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত সচিব মাহমুদা শারমিন বেনু, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কাজী রওশন আরা, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব জাহানারা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারা বেগম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল করিমসহ অধিদপ্তরের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব কামরুন নাহার অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তাদের সততা ও দক্ষতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন এবং অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত সকল উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রমের যথাযথ মনিটরিংয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলে তিনি জানান।
#
খায়ের/মাহমুদ/এনায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৬
কোরিয়ায় বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
সিউল (কোরিয়া), ২৮ জানুয়ারি :
রিপাবলিক অভ্ কোরিয়ার ইনছন সিটিতে গতকাল রবিবার বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল ও ইনছন সাপোর্ট সেন্টার ফর ফরেন ওযার্কার্স এর যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের কোরিয়ায় অবস্থানকালীন সময়ে করণীয় ও বর্জনীয়’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রিপাবলিক অভ্ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এবং মকিমা বেগম, প্রথম সচিব (শ্রম)। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট অভ্ কোরিয়ার প্রতিনিধি মি. কিম হিয়ন সেং, ইয়ুন এ সুন, টিম ডিরেক্টর এবং ইনছন সাপোর্ট সেন্টার ফর ফরেন ওয়ার্কার্স এর প্রেসিডেন্ট কিম জে উপ।
সেমিনার শুরু হওয়ার পূর্বে ৭৩ জন বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী বাংলাদেশে অবস্থিত কোরিয়ান কোম্পানিতে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পর নিয়োগ প্রাপ্তির লক্ষ্যে এইচ আর ডি কোরিয়া কর্তৃক প্রদত্ত ফর্ম পূরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তাঁর বক্তব্যে সেমিনার আয়োজনে সহায়তা করার জন্য ইনছন সাপোর্ট সেন্টার ফর ফরেন ওয়াকার্স-কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজনে এইচ আর ডি কোরিয়া শামিল হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি উদ্যোক্তা বিষয়ে একটি উপস্থাপনাও প্রদান করেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানকাল সমাপ্ত করে যে সকল বাংলাদেশি কর্মী দেশে ফিরে যাবেন তাঁদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি তাদেরকে আত্মবিশ্বাস বজায় রেখে ভবিষ্যতের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়নেরও পরামর্শ দেন।
ইনছন সাপোর্ট সেন্টার ফর ফরেন ওয়াকার্স এর প্রেসিডেন্ট তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের সব রকম সমস্যা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সমাধান করার জন্য সবসময় প্রস্তুত আছি। তিনি তাদের এই সেন্টারে এসে বিনামূল্যে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান। এর পরে ‘হ্যাপি রিটার্ন প্রোগ্রাম’ এর ওপর একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা প্রদান করেন মি. জুন জি হুন ও এসিস্টেন্ট ম্যানেজার এইচ আর ডি কোরিয়া। উপস্থাপনায় তিনি বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের দেশে ফিরে যাওয়ার পূর্বপরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি সম্পর্কে উল্লেখ করেন।
প্রথম সচিব (শ্রম) তাঁর উপস্থাপনায় রিপাবলিক অভ্ কোরিয়ায় অবস্থানকালীন সময়ে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন। তাঁর উপস্থাপনায় তিনি ব্যয় কমানোর উপায়, বিমা সুবিধা, ফ্রি হেলথ চেক-আপ এর বিষয়েও আলোচনা করেন। তিনি কোরিয়ান ভাষায় দক্ষতা অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
সেমিনার এর শেষ পর্যায় ছিল র্যাফেল ড্র, পুরস্কার বিতরণী এবং বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী সকলকে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
#
বাংলাদেশ দূতাবাস, কোরিয়া /মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৫
কোরিয়া প্রতিনিধিদলকে বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান
দেশে পণ্য উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য বিডা প্রস্তুত
ঢাকা, ১৫ মাঘ (২৮ জানুয়ারি) :
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলামের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিনিধিদল আজ ঢাকায় বিডা কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে উৎপাদন খরচ কম। এর ফলে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশ যেমন ভারত ও চীনের তুলনায় বাংলাদেশে উৎপাদন করা সহজ। বর্তমানে দেশে যে সকল পণ্য আমদানি করা হয় তা দেশেই উৎপাদনের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা প্রদানে বিডা প্রস্তুত।
বিডা’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
শরীফা/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/১৯০০ঘণ্টা